বাঃ। আমি কিন্তু প্রশ্নটা না করতেই আপনি প্রশ্ন ভেবে নিয়েছেন। যাক গে। আপনি যখন ঔরঙ্গজেবের চার পূর্বপুরুষের নাম জানেন তখন নিশ্চয়ই আপনার চার পূর্বপুরুষের নাম জানা। বলুন তো! প্রতিমা তাকাল।
মাথা নামাল সত্যচরণ, তারপর বলল, বাবা, দাদু।
ওঁদের কোনও নাম নেই বুঝি–! প্রতিমা থামিয়ে দিল।
শ্ৰীযুক্ত সতীশ রায়, স্বর্গীয় সত্যসিন্ধু রায়–। চোখ বন্ধ করল সত্যচরণ। আর কোনও নাম মনে পড়ছিল না।
আপনি ওঁকে বলে দিন। প্রতিমা অনুরোধ করল সতীশ রায়কে।
ও জানলে তো বলবে। মোগল সম্রাটদের নাম মুখস্থ রেখেছে কিন্তু–। যাক গে। সাতকড়ি রায়, শুদ্ধানন্দ রায়।
দ্বিতীয় প্রশ্ন। আপনি আপনার বাবাকে ব্যবসায় সাহায্য করেন। তার মানে রোজগারের ব্যাপারে বাবার ওপর নির্ভরশীল। আচ্ছা ধরুন, বিয়ের পর আপনার বাবা আপনাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন। আমাকে তো আপনার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে হবে। তখন আমরা কোথায় থাকব, কীভাবে খাওয়া দাওয়া করব?
বাবা আমাকে তাড়িয়ে দেবেন না। অন্যদিকে তাকিয়ে বলল সত্যচরণ।
–-আচ্ছা, যদি দেন–।
দিলে তো এতদিনে দিতেন। মুখ নামাল সত্যচরণ।
জবাব দাও। তোমাকে বেরিয়ে যেতে বলিনি বলে কোনদিন বলব না একথা ভাবার কোনও কারণ নেই। বলেই প্রতিমার দিকে তাকিয়ে হেসে মাথা নাড়লেন।
একটা কিছু করতে হবে।
ব্যাস। এটাই শুনতে চেয়েছিলাম। আপনার মনে হচ্ছে এখানে বসে থাকতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। যান, ভেতরে যান।
প্রতিমা কথা শেষ করতেই মহাদেব সেনকে নমস্কার করে ভেতরে চলে গেল সত্যচরণ। সতীশ রায় জিজ্ঞাসা করলেন, কী বুঝলে?
বেশ নিরীহ। বলেই হেসে ফেলল প্রতিমা।
হুম। কিন্তু তোমাকে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। এমনটাইট দেরে যাতে চোখে সরষের ফুল দ্যাখে। সতীশ রায় হাসলেন।
না না। মহাদেব সেন বললেন, একে মা মনসা, আপনি তার ওপর–।
তুমি আমাকে মনসা বললে দাদু? মনসা তো ভগবান। প্রতিবাদ করল প্রতিমা।
হরিপদ ট্রে নিয়ে এল। তাতে নানান রকমের খাবার সাজানো মাছের বড়া, ফিশফ্রাই, সন্দেশ, রসগোল্লা।
মহাদেব সেন মাথা দোলালেন, এর সবকটাই আমার কাছে নিষিদ্ধ বস্তু।
কেন? সতীশ রায় জিজ্ঞাসা করলেন।
ভাজা খাওয়া বারণ হার্টের জন্যে। মিষ্টি নিষিদ্ধ ব্লাডসুগারের জন্যে।
ও। সতীশ রায় ভেবে পাচ্ছিলেন না কী করবেন।
হরিপদদা। দরজার বাইরে থেকে এলোকেশীর গলা ভেসে এল।
হরিপদ দ্রুত বাইরে চলে গেল। ফিরে এল আধ মিনিটের মধ্যেই। এসে বলল, আজ্ঞে, চিনিছাড়া সন্দেশ খেতে কি আপত্তি আছে?
চিনি ছাড়া সন্দেশ? সে তো কলকাতার বড় দোকানে পাওয়া যায়। মহাদেব সেন বললেন, মিষ্টি না থাকলে সন্দেশ কি সন্দেশ থাকে?
সতীশ রায় বললেন, এলোকেশী বলেছে যখন তখন নিয়ে এসো।
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সন্দেশ চলে এল। গোটা চারেক।
মাথা নামাল সত্যচরণ, তারপর বলল, বাবা, দাদু।
ওঁদের কোনও নাম নেই বুঝি–! প্রতিমা থামিয়ে দিল।
শ্ৰীযুক্ত সতীশ রায়, স্বর্গীয় সত্যসিন্ধু রায়–। চোখ বন্ধ করল সত্যচরণ। আর কোনও নাম মনে পড়ছিল না।
আপনি ওঁকে বলে দিন। প্রতিমা অনুরোধ করল সতীশ রায়কে।
ও জানলে তো বলবে। মোগল সম্রাটদের নাম মুখস্থ রেখেছে কিন্তু–। যাক গে। সাতকড়ি রায়, শুদ্ধানন্দ রায়।
দ্বিতীয় প্রশ্ন। আপনি আপনার বাবাকে ব্যবসায় সাহায্য করেন। তার মানে রোজগারের ব্যাপারে বাবার ওপর নির্ভরশীল। আচ্ছা ধরুন, বিয়ের পর আপনার বাবা আপনাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন। আমাকে তো আপনার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে হবে। তখন আমরা কোথায় থাকব, কীভাবে খাওয়া দাওয়া করব?
বাবা আমাকে তাড়িয়ে দেবেন না। অন্যদিকে তাকিয়ে বলল সত্যচরণ।
–-আচ্ছা, যদি দেন–।
দিলে তো এতদিনে দিতেন। মুখ নামাল সত্যচরণ।
জবাব দাও। তোমাকে বেরিয়ে যেতে বলিনি বলে কোনদিন বলব না একথা ভাবার কোনও কারণ নেই। বলেই প্রতিমার দিকে তাকিয়ে হেসে মাথা নাড়লেন।
একটা কিছু করতে হবে।
ব্যাস। এটাই শুনতে চেয়েছিলাম। আপনার মনে হচ্ছে এখানে বসে থাকতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। যান, ভেতরে যান।
প্রতিমা কথা শেষ করতেই মহাদেব সেনকে নমস্কার করে ভেতরে চলে গেল সত্যচরণ। সতীশ রায় জিজ্ঞাসা করলেন, কী বুঝলে?
বেশ নিরীহ। বলেই হেসে ফেলল প্রতিমা।
হুম। কিন্তু তোমাকে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। এমনটাইট দেরে যাতে চোখে সরষের ফুল দ্যাখে। সতীশ রায় হাসলেন।
না না। মহাদেব সেন বললেন, একে মা মনসা, আপনি তার ওপর–।
তুমি আমাকে মনসা বললে দাদু? মনসা তো ভগবান। প্রতিবাদ করল প্রতিমা।
হরিপদ ট্রে নিয়ে এল। তাতে নানান রকমের খাবার সাজানো মাছের বড়া, ফিশফ্রাই, সন্দেশ, রসগোল্লা।
মহাদেব সেন মাথা দোলালেন, এর সবকটাই আমার কাছে নিষিদ্ধ বস্তু।
কেন? সতীশ রায় জিজ্ঞাসা করলেন।
ভাজা খাওয়া বারণ হার্টের জন্যে। মিষ্টি নিষিদ্ধ ব্লাডসুগারের জন্যে।
ও। সতীশ রায় ভেবে পাচ্ছিলেন না কী করবেন।
হরিপদদা। দরজার বাইরে থেকে এলোকেশীর গলা ভেসে এল।
হরিপদ দ্রুত বাইরে চলে গেল। ফিরে এল আধ মিনিটের মধ্যেই। এসে বলল, আজ্ঞে, চিনিছাড়া সন্দেশ খেতে কি আপত্তি আছে?
চিনি ছাড়া সন্দেশ? সে তো কলকাতার বড় দোকানে পাওয়া যায়। মহাদেব সেন বললেন, মিষ্টি না থাকলে সন্দেশ কি সন্দেশ থাকে?
সতীশ রায় বললেন, এলোকেশী বলেছে যখন তখন নিয়ে এসো।
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সন্দেশ চলে এল। গোটা চারেক।