সত্যচরণ ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছিল। প্রৌঢ়কে আসতে দেখে বলল, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি, সে কোথায়?
ওপরে। আমার সঙ্গে এসো। কেউ কোনও কথা জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেবে না।
কেন?
আঃ। তোমার কি বাস্তববুদ্ধি নেই? বিয়ের কনে কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা বলছে জানলে চারধারে হই-চই পড়ে যাবে, এটা বোঝ না? এসো। প্রৌঢ় এগোলেন। পেছনে সত্যচরণ। দোতলায় উঠে একটু দাঁড়ালেন। ইশারায় বললেন সত্যচরণকে থামতে। তারপর উঁকি মেরে দরজা থেকে ঘরের ভেতরটা দেখলেন। মহাদেব সেন পেছন ফিরে ফোন করছেন। সত্যচরণকে নিয়ে দ্রুত দরজা পেরিয়ে ছাদের সিঁড়ি ধরলেন প্রৌঢ়।
ছাদটি বেশ বড়। ওপরে উঠে দেখলেন প্রতিমার মা ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। চিলেকোঠার ঘরের দরজা খুলে আলো জ্বেলে একটা চেয়ার টেনে প্রৌঢ় বললেন, বোস।
সে কোথায়? সত্যচরণ সরল গলায় জিজ্ঞাসা করল।
বউদি–! প্রৌঢ় ডাকলেন।
প্রতিমার মা ঘরে ঢুকলেন। তার মুখে ক্রোধ এবং বিরক্তি স্পষ্ট।
ওর মা এসেছেন, এবার ও আসবে। তুমি আগে বোসো। প্রৌঢ় বলতেই সত্যচরণ বসল। সঙ্গে সঙ্গে ওর হাতদুটো পেছনে নিয়ে এসে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেললেন প্রৌঢ়।
একি! এ কী করছেন? সত্যচরণ উঠে দাঁড়াতে গেল।
চোপ! একটাও কথা নয়। বলতে বলতে প্লাস্টার অনেকখানি খুলে সত্যচরণের মুখে মাথায় জড়িয়ে দিলেন এমনভাবে যাতে কোনমতে সে একটিও শব্দ যেন না করতে পারে। তারপর বাকি দড়ি দিয়ে পা বাঁধলেন, শরীর জড়িয়ে দিলেন চেয়ারের সঙ্গে।
সত্যচরণ তখন প্রবল চেষ্টা করছে দড়ি খোলার। কিন্তু চাপা গোঁ গোঁ শব্দ ছাড়া কিছুই বেরুচ্ছে না।
তার কান ধরলেন প্রৌঢ়। মন দিয়ে শোন। এখানে চুপচাপ বসে থাকো। বিয়েটা চুকে যাক, নিমন্ত্রিতরা বাড়ি ফিরে যাক, তারপর এসে তোমাকে নামিয়ে গেটের বাইরে ছেড়ে দেব। তোমার বাপের ভাগ্য ভাল তাই গায়ে হাত তুললাম না। চল বউদি। ঘরের বাইরে এসে শেকল তুলে দিলেন প্রৌঢ়।
প্রতিমার মা বললেন, বেশি বয়স নয়। দেখে মনে হল বেশ নিরীহ।
আগে কখনও দেখেছ?
না।
ওকে সামলানোর উপায় আর কিছু ছিল না। চল নিচে চল, বরযাত্রীরা এসে পড়ল বলে। ওরা নিচে নেমে এলেন। আসার সময় দেখলেন মহাদেব সেন তার ঘরে নেই এবং তখনই সানাই বেজে উঠল। আলো জ্বলল। বিয়েবাড়ি জমজমাট।
ওপরে। আমার সঙ্গে এসো। কেউ কোনও কথা জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেবে না।
কেন?
আঃ। তোমার কি বাস্তববুদ্ধি নেই? বিয়ের কনে কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা বলছে জানলে চারধারে হই-চই পড়ে যাবে, এটা বোঝ না? এসো। প্রৌঢ় এগোলেন। পেছনে সত্যচরণ। দোতলায় উঠে একটু দাঁড়ালেন। ইশারায় বললেন সত্যচরণকে থামতে। তারপর উঁকি মেরে দরজা থেকে ঘরের ভেতরটা দেখলেন। মহাদেব সেন পেছন ফিরে ফোন করছেন। সত্যচরণকে নিয়ে দ্রুত দরজা পেরিয়ে ছাদের সিঁড়ি ধরলেন প্রৌঢ়।
ছাদটি বেশ বড়। ওপরে উঠে দেখলেন প্রতিমার মা ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। চিলেকোঠার ঘরের দরজা খুলে আলো জ্বেলে একটা চেয়ার টেনে প্রৌঢ় বললেন, বোস।
সে কোথায়? সত্যচরণ সরল গলায় জিজ্ঞাসা করল।
বউদি–! প্রৌঢ় ডাকলেন।
প্রতিমার মা ঘরে ঢুকলেন। তার মুখে ক্রোধ এবং বিরক্তি স্পষ্ট।
ওর মা এসেছেন, এবার ও আসবে। তুমি আগে বোসো। প্রৌঢ় বলতেই সত্যচরণ বসল। সঙ্গে সঙ্গে ওর হাতদুটো পেছনে নিয়ে এসে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেললেন প্রৌঢ়।
একি! এ কী করছেন? সত্যচরণ উঠে দাঁড়াতে গেল।
চোপ! একটাও কথা নয়। বলতে বলতে প্লাস্টার অনেকখানি খুলে সত্যচরণের মুখে মাথায় জড়িয়ে দিলেন এমনভাবে যাতে কোনমতে সে একটিও শব্দ যেন না করতে পারে। তারপর বাকি দড়ি দিয়ে পা বাঁধলেন, শরীর জড়িয়ে দিলেন চেয়ারের সঙ্গে।
সত্যচরণ তখন প্রবল চেষ্টা করছে দড়ি খোলার। কিন্তু চাপা গোঁ গোঁ শব্দ ছাড়া কিছুই বেরুচ্ছে না।
তার কান ধরলেন প্রৌঢ়। মন দিয়ে শোন। এখানে চুপচাপ বসে থাকো। বিয়েটা চুকে যাক, নিমন্ত্রিতরা বাড়ি ফিরে যাক, তারপর এসে তোমাকে নামিয়ে গেটের বাইরে ছেড়ে দেব। তোমার বাপের ভাগ্য ভাল তাই গায়ে হাত তুললাম না। চল বউদি। ঘরের বাইরে এসে শেকল তুলে দিলেন প্রৌঢ়।
প্রতিমার মা বললেন, বেশি বয়স নয়। দেখে মনে হল বেশ নিরীহ।
আগে কখনও দেখেছ?
না।
ওকে সামলানোর উপায় আর কিছু ছিল না। চল নিচে চল, বরযাত্রীরা এসে পড়ল বলে। ওরা নিচে নেমে এলেন। আসার সময় দেখলেন মহাদেব সেন তার ঘরে নেই এবং তখনই সানাই বেজে উঠল। আলো জ্বলল। বিয়েবাড়ি জমজমাট।