তাহলে তোমার সঙ্গে মায়ের প্রতিটি স্টেপে ঝগড়া হয় কেন? কেন ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে হাত করতে একটা বাজে লোককে তেল দিতে হয়? এত রাত্রে মদ খেয়ে এই ঘরে এসেছে নিশ্চয়ই কোনো যন্ত্রণা থেকে, কেন আসতে হয়?
বিকজ, বিকজ–। বাবা দুহাত ছড়িয়ে কিছু বলতে গিয়েও শব্দ খুঁজে পেল না। তারপর বলল, তোমাদের জন্যে। তোমার আমাকে ডিস্টার্ব করছ। তোমার আমাকে ভাল থাকতে দিচ্ছ না। ইটস ইওর ফল্ট!
যার ফল্টই হোক, টাকা থাকা সত্ত্বেও তুমি ভাল থাকছ না, এটাই সত্যি।
তুমি কি চাও আমি সন্ন্যাসী হয়ে যাব? জঙ্গলে গেলেও ফল কিনতে টাকা লাগে!
তোমার রোজ রাত্রে স্কচ খাওয়ার কী দরকার?
ইটস্ মাই হ্যাবিট। ইন্ডিয়ান হুইস্কি খেতে পারি না আমি।
তোমার যদি বাড়তি টাকা না আসত–।
যদি মাসির গোঁফ বের হত! রাবিশ। আমি যা পেয়েছি তা অনেক কষ্ট করে অ্যাচিভ করেছি। এব্যাপারে কারও কোনও উপদেশ আমার কানে ঢুকবে না।
তাহলে তো কথা বলে লাভ নেই।
দ্যাখো ভরত, মানুষকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কিছু মনে নিতে হয়। লুক, তোমার মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কে আর যাই থাক প্রেম নেই। এইভাবে একসঙ্গে বাস করে আমি নিজেকে সে ব্যাপারে বঞ্চিত রাখছি। তেমন কোনো মহিলা যিনি আমাকে প্রেম দিতে পারেন, এগিয়ে এলেও আমি রেসপন্স করি না বিকজ আমি এখনও স্বামী। আমি যদি তাকে ডিভোর্স করতে চাই সে মেনে নেবে না। আমি যদি কোর্টে গিয়ে বলি, আই অ্যাম নট হ্যাপি উইদ হার কোর্ট আমার কথা শুনবে না, যতক্ষণ সে ওই একই কথা বলছে। অতএব তাকে মেনে নিতে হবে। জড়িয়ে মিশিয়ে থাকতে হবে। শুধু আমরা কেন, এই কলকাতা শহরে কয়েক লক্ষ স্বামী স্ত্রীর সামনে কোনো উপায় নেই বলে পরস্পরকে সহ্য করে একসঙ্গে আছে। ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড? বাবা সোজা হয়ে দাঁড়াল, আমি তোমার মাকেও যেমন অস্বীকার করতে পারি না তেমনি তোমাকেও। তোমার এই সব কথাবার্তা, অ্যাটিচ্যুড আমার কাছে অসহ্য বলে মনে হলেও গিলতে হচ্ছে কারণ তুমি আমাদের ছেলে এটা চিরকালের জন্যে সত্যি হয়ে গেছে। তোমাকে খাওয়াতে পরাতে হবে, পড়াশুনা করাতে হবে আমার তোমার কাছে দুর্ব্যবহার পেলে সহ্য করতে হবে। এটাই জীবনের ট্র্যাজিডি, বুঝলে! তাই একটু অ্যাডজাস্ট করতে শেখো। বাবা টলতে টলতে বেরিয়ে গেল।
ভরত ভেবেছিল ওপাশের ঘর থেকে মায়ের গলা এবার সরব হবে। মা সম্পর্কে বাবা যে সব কথা বলে গেল তাই নিয়ে আবার দুজনের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হবে। কিন্তু কোনো কিছুই। হলো না। মা অদ্ভুতভাবে চুপ করে আছে। বাবারও গলা শোনা গেল না।
অনেক রাত্রে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে ভরত আবিষ্কার করল তার খাবার হট বক্সে রাখা আছে। মা-বাবার ঘরে দরজা বন্ধ। একা বসে খাবার খেল সে। খেতে খেতে তার মনে হলো অ্যাডজাস্ট কথাটার অন্য একটা ব্যাখা আছে। যে যার নিজের মতো যদি থাকে, কেউ কারও ব্যাপারে নাক গলায়, মন্তব্য না করে তাহলে বাড়িতে একটা আপাত শান্তির আবহাওয়া তৈরি হবে। এইভাবে বাস করাটাকে হয়তো অ্যাডজাস্ট করে থাকা বলা যেতে দরকার আর একটা চাবি। তাহলে বেল বাজিয়ে দরজা খোলানোর জন্যে কারও ওপর নির্ভর করতেও হবে না। কিন্তু বাবার কথাটা খেয়াল হলো। তোমাকে খাওয়াতে পরাতে হবে, পড়াশুনাও করাতে হবে। মাথা নাড়ল ভরত। সে যদি নিজের রোজগার করতে পারে তাহলে বাবার আর কোনো দায় থাকল না। ভরত মাথায়। হাত বোলালো, কত টাকা লাগবে আর কিভাবে সেই টাকাটা রোজগার করা যায়? তাকে রাস্তাটা বের করতেই হবে।
.
বিকজ, বিকজ–। বাবা দুহাত ছড়িয়ে কিছু বলতে গিয়েও শব্দ খুঁজে পেল না। তারপর বলল, তোমাদের জন্যে। তোমার আমাকে ডিস্টার্ব করছ। তোমার আমাকে ভাল থাকতে দিচ্ছ না। ইটস ইওর ফল্ট!
যার ফল্টই হোক, টাকা থাকা সত্ত্বেও তুমি ভাল থাকছ না, এটাই সত্যি।
তুমি কি চাও আমি সন্ন্যাসী হয়ে যাব? জঙ্গলে গেলেও ফল কিনতে টাকা লাগে!
তোমার রোজ রাত্রে স্কচ খাওয়ার কী দরকার?
ইটস্ মাই হ্যাবিট। ইন্ডিয়ান হুইস্কি খেতে পারি না আমি।
তোমার যদি বাড়তি টাকা না আসত–।
যদি মাসির গোঁফ বের হত! রাবিশ। আমি যা পেয়েছি তা অনেক কষ্ট করে অ্যাচিভ করেছি। এব্যাপারে কারও কোনও উপদেশ আমার কানে ঢুকবে না।
তাহলে তো কথা বলে লাভ নেই।
দ্যাখো ভরত, মানুষকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক কিছু মনে নিতে হয়। লুক, তোমার মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কে আর যাই থাক প্রেম নেই। এইভাবে একসঙ্গে বাস করে আমি নিজেকে সে ব্যাপারে বঞ্চিত রাখছি। তেমন কোনো মহিলা যিনি আমাকে প্রেম দিতে পারেন, এগিয়ে এলেও আমি রেসপন্স করি না বিকজ আমি এখনও স্বামী। আমি যদি তাকে ডিভোর্স করতে চাই সে মেনে নেবে না। আমি যদি কোর্টে গিয়ে বলি, আই অ্যাম নট হ্যাপি উইদ হার কোর্ট আমার কথা শুনবে না, যতক্ষণ সে ওই একই কথা বলছে। অতএব তাকে মেনে নিতে হবে। জড়িয়ে মিশিয়ে থাকতে হবে। শুধু আমরা কেন, এই কলকাতা শহরে কয়েক লক্ষ স্বামী স্ত্রীর সামনে কোনো উপায় নেই বলে পরস্পরকে সহ্য করে একসঙ্গে আছে। ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড? বাবা সোজা হয়ে দাঁড়াল, আমি তোমার মাকেও যেমন অস্বীকার করতে পারি না তেমনি তোমাকেও। তোমার এই সব কথাবার্তা, অ্যাটিচ্যুড আমার কাছে অসহ্য বলে মনে হলেও গিলতে হচ্ছে কারণ তুমি আমাদের ছেলে এটা চিরকালের জন্যে সত্যি হয়ে গেছে। তোমাকে খাওয়াতে পরাতে হবে, পড়াশুনা করাতে হবে আমার তোমার কাছে দুর্ব্যবহার পেলে সহ্য করতে হবে। এটাই জীবনের ট্র্যাজিডি, বুঝলে! তাই একটু অ্যাডজাস্ট করতে শেখো। বাবা টলতে টলতে বেরিয়ে গেল।
ভরত ভেবেছিল ওপাশের ঘর থেকে মায়ের গলা এবার সরব হবে। মা সম্পর্কে বাবা যে সব কথা বলে গেল তাই নিয়ে আবার দুজনের মধ্যে যুদ্ধ আরম্ভ হবে। কিন্তু কোনো কিছুই। হলো না। মা অদ্ভুতভাবে চুপ করে আছে। বাবারও গলা শোনা গেল না।
অনেক রাত্রে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে ভরত আবিষ্কার করল তার খাবার হট বক্সে রাখা আছে। মা-বাবার ঘরে দরজা বন্ধ। একা বসে খাবার খেল সে। খেতে খেতে তার মনে হলো অ্যাডজাস্ট কথাটার অন্য একটা ব্যাখা আছে। যে যার নিজের মতো যদি থাকে, কেউ কারও ব্যাপারে নাক গলায়, মন্তব্য না করে তাহলে বাড়িতে একটা আপাত শান্তির আবহাওয়া তৈরি হবে। এইভাবে বাস করাটাকে হয়তো অ্যাডজাস্ট করে থাকা বলা যেতে দরকার আর একটা চাবি। তাহলে বেল বাজিয়ে দরজা খোলানোর জন্যে কারও ওপর নির্ভর করতেও হবে না। কিন্তু বাবার কথাটা খেয়াল হলো। তোমাকে খাওয়াতে পরাতে হবে, পড়াশুনাও করাতে হবে। মাথা নাড়ল ভরত। সে যদি নিজের রোজগার করতে পারে তাহলে বাবার আর কোনো দায় থাকল না। ভরত মাথায়। হাত বোলালো, কত টাকা লাগবে আর কিভাবে সেই টাকাটা রোজগার করা যায়? তাকে রাস্তাটা বের করতেই হবে।
.