বাবুদের ব্যাপারটা হঠাৎ ঘটে গেল। ধর্মঘটের আগের রাতে ওরা ঠিক করেছিল, লেবার য়ুনিয়ন যখন ধর্মঘট করছে তখন বাবুদের কাজে যেতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। ফ্যাক্টরি না চললে গুদামবাবুরা বেকার, পাতি না তোলা হলে পাতিবাবুর কিছু করার নেই। ওরা কজন অফিসে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকলে তাদের আর কি ক্ষতি হবে। প্রথম দু-তিন দিন সেইমত কাজ হচ্ছিল। বাবুরা নিয়ম করে সকাল বিকেল সাইকেলে করে অফিসে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসছিল। শুধু হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও কাজ হচ্ছিল না তখন।
কিন্তু গোলমালটা বেধে গেল এখানেই। সাধারণ লোক দেখছিল বাবুরা বেশ হাসতে হাসতে যাচ্ছে আর আসছে। কাজ না করেও ওরা মাসের শেষে মাইনে নেবে। আর ধর্মঘট করার জন্য শ্রমিকরা মাইনে পাবে না। কথাটা কানাকানি হতে লাগল দ্রুত। মানুষ নিজের কষ্ট সহ্য করতে পারে কিন্তু অন্যের সুখ চেয়ে দেখা আরো কষ্টকর। য়ুনিয়ন অফিসে শ্রমিকরা এসে ভিড় করল। বাবুদের অফিস যাওয়া বন্ধ করতে হবে। চাপ বাড়াতে লাগল ক্রমশ। য়ুনিয়ন ফুনিয়ন বুঝি না, বাবুরাও নোকর আমরাও নোকর, দুজনের ভাগ্য আলাদা হবে কেন? নেতারা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিল যে বাবুদের অনুরোধ করা হবে যেহেতু শ্রমিকরা উত্তপ্ত তাই বাবুরা যেন এই কয়দিন অফিসে না যায়। সিরিল গেল ফ্রান্সিসের মাধ্যমে বাবুদের খবরটা দিতে।
কোয়ার্টারের বারান্দায় ফ্রান্সিস বসেছিল খালি গায়ে। সিরিল দেখল যতই ও বাবু হোক চেহারাটা একটুও পালটায়নি। সিরিলকে দেখে যেন খুশি হল ফ্রান্সিস। হেসে বলল, খুব খেল শুরু করেছিস তোরা। সাহেব ঘাবড়ে গেছে এখন।
সাহেবের কোনো প্রতিক্রিয়া জানত না সিরিল। মেজাজে পাইপ মুখে গাড়ি চালিয়ে ক্লাবে যায় যেন কিছুই হচ্ছে না বাগানে। ফ্রান্সিসের কথা শুনে জিজ্ঞাসা করল, কেন, কী বলছে সাহেব?
বলবে আবার কি, মাথায় বাজ পড়েছে। বিরাট একটা এক্সপোর্ট অর্ডার পেয়েছে কোম্পানি। চল্লিশ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এদিকে তোদের জন্য প্রোডাকশন বন্ধ। অর্ডারটা ফিরিয়ে দিলে বদনাম তো বটেই প্রচুর লস হয়ে যাবে।
তাই যদি হয় আমাদের বোনাস দিয়ে দিক, কাজ হয়ে যাবে।
এখন লড়াই হচ্ছে। আর কি পেছনে ফেরা যায়!
সিরিল লক্ষ্য করল ফ্রান্সিস হেসে কথা বললেও তাকে বসতে বলছে না। তাদের আন্দোলন সমর্থন করছে হাবেভাবেও, কেন? ফ্রান্সিস সিগারেট ধরিয়ে জিজ্ঞাসা করল, হঠাৎ কী মনে করে?
সিরিল তখন য়ুনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুরোধটা ফ্রান্সিসকে জানাল। ফ্রান্সিস যেন অবিলম্বে বাবুদের জানিয়ে দেয়।
ফ্রান্সিসের ভুরু কুঁচকে গেল, তোরা কি ভয় দেখাচ্ছিস?
ভয় না। পাবিলক খেপে গেলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হচ্ছে। সিরিল ঠাণ্ডা গলায় বলল।
ফ্রান্সিস মুখ বেঁকিয়ে বলল, তোদের যুনিয়ন হরতাল করছে, নাফা করবি তোরা, আমাদের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক!
সিরিল ফ্রান্সিসের মুখটা একবার দেখে গেটের দিকে হাঁটতে শুরু করল। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করল, নাফা শুধু আমরা একাই করব না। সাহেব বোনাস দিলে শুধু আমাদের দেবে না, তোমাদেরও দেবে। আমাদের কথা বলে গেলাম এখন বাবুদের বলো তারা যা ইচ্ছে হয় করুক।
কিন্তু গোলমালটা বেধে গেল এখানেই। সাধারণ লোক দেখছিল বাবুরা বেশ হাসতে হাসতে যাচ্ছে আর আসছে। কাজ না করেও ওরা মাসের শেষে মাইনে নেবে। আর ধর্মঘট করার জন্য শ্রমিকরা মাইনে পাবে না। কথাটা কানাকানি হতে লাগল দ্রুত। মানুষ নিজের কষ্ট সহ্য করতে পারে কিন্তু অন্যের সুখ চেয়ে দেখা আরো কষ্টকর। য়ুনিয়ন অফিসে শ্রমিকরা এসে ভিড় করল। বাবুদের অফিস যাওয়া বন্ধ করতে হবে। চাপ বাড়াতে লাগল ক্রমশ। য়ুনিয়ন ফুনিয়ন বুঝি না, বাবুরাও নোকর আমরাও নোকর, দুজনের ভাগ্য আলাদা হবে কেন? নেতারা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিল যে বাবুদের অনুরোধ করা হবে যেহেতু শ্রমিকরা উত্তপ্ত তাই বাবুরা যেন এই কয়দিন অফিসে না যায়। সিরিল গেল ফ্রান্সিসের মাধ্যমে বাবুদের খবরটা দিতে।
কোয়ার্টারের বারান্দায় ফ্রান্সিস বসেছিল খালি গায়ে। সিরিল দেখল যতই ও বাবু হোক চেহারাটা একটুও পালটায়নি। সিরিলকে দেখে যেন খুশি হল ফ্রান্সিস। হেসে বলল, খুব খেল শুরু করেছিস তোরা। সাহেব ঘাবড়ে গেছে এখন।
সাহেবের কোনো প্রতিক্রিয়া জানত না সিরিল। মেজাজে পাইপ মুখে গাড়ি চালিয়ে ক্লাবে যায় যেন কিছুই হচ্ছে না বাগানে। ফ্রান্সিসের কথা শুনে জিজ্ঞাসা করল, কেন, কী বলছে সাহেব?
বলবে আবার কি, মাথায় বাজ পড়েছে। বিরাট একটা এক্সপোর্ট অর্ডার পেয়েছে কোম্পানি। চল্লিশ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এদিকে তোদের জন্য প্রোডাকশন বন্ধ। অর্ডারটা ফিরিয়ে দিলে বদনাম তো বটেই প্রচুর লস হয়ে যাবে।
তাই যদি হয় আমাদের বোনাস দিয়ে দিক, কাজ হয়ে যাবে।
এখন লড়াই হচ্ছে। আর কি পেছনে ফেরা যায়!
সিরিল লক্ষ্য করল ফ্রান্সিস হেসে কথা বললেও তাকে বসতে বলছে না। তাদের আন্দোলন সমর্থন করছে হাবেভাবেও, কেন? ফ্রান্সিস সিগারেট ধরিয়ে জিজ্ঞাসা করল, হঠাৎ কী মনে করে?
সিরিল তখন য়ুনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুরোধটা ফ্রান্সিসকে জানাল। ফ্রান্সিস যেন অবিলম্বে বাবুদের জানিয়ে দেয়।
ফ্রান্সিসের ভুরু কুঁচকে গেল, তোরা কি ভয় দেখাচ্ছিস?
ভয় না। পাবিলক খেপে গেলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হচ্ছে। সিরিল ঠাণ্ডা গলায় বলল।
ফ্রান্সিস মুখ বেঁকিয়ে বলল, তোদের যুনিয়ন হরতাল করছে, নাফা করবি তোরা, আমাদের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক!
সিরিল ফ্রান্সিসের মুখটা একবার দেখে গেটের দিকে হাঁটতে শুরু করল। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করল, নাফা শুধু আমরা একাই করব না। সাহেব বোনাস দিলে শুধু আমাদের দেবে না, তোমাদেরও দেবে। আমাদের কথা বলে গেলাম এখন বাবুদের বলো তারা যা ইচ্ছে হয় করুক।