ওকে উঠতে দেখে মণ্টুরা উঠে দাঁড়াল। মুভিং ক্যাসেল চোখ বড় বড় করে বললেন, ওমা, তোমাদের অনেকক্ষণ আটকে রেখেছি, না? কথা বলার লোক পেলে একদম খেয়াল থাকে না আমার। কথা বলতে এত ভালোবাসি আমি! কোনোরকমে উঠে দাঁড়িয়ে উনি অনিমেষের কাঁধে হাত রেখে হাঁটতে লাগলেন গেটের দিকে। মণ্টুরা আগে-আগে যাচ্ছিল। না, অনিমেষ ফিরে আসার পর থেকে মণ্টু একটাও কথা বলেনি। মুভিং ক্যাসেলের ধীরে চলার জন্য মণ্টুদের সঙ্গে দূরত্বটা বেড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ উনি ফিসফিস করে বললেন, তোমার ওই বন্ধুটা কিন্তু মোটেই ভালো নয়। ওর দাদা পি এস পি করে?
অনিমেষ বলল, জানি না। মুভিং ক্যাসেলের নরম হাতের চাপ ক্রমশ ওর কাঁধের কাছে অসহ্য হয়ে আসছিল। সেই মিষ্টি গন্ধটা ওকে এখন ঘিরে ধরেছে।
মুভিং ক্যাসেল বললেন, তোমার মতো ওর মন পরিষ্কার নয়। একটু সতর্ক হয়ে মিশো ওর। সঙ্গে। আর হ্যাঁ, আমাদের সে স্টুডেন্টস সংগঠন আছেন তাতে তোমার জয়েন করার দরকার নেই। তুমি,-তোমাকে দিয়ে অন্য কাজ করাবার প্ল্যান আছে।
অনিমেষ কিছু বলল না। ওরা গেটের কাছে এসে পড়তেই উনি দাঁড়িয়ে পড়ে অনিমেষের কাঁধ থেকে হাতটা নামাতে নামাতে ওর চিবুক ধরে নেড়ে দিলেন, ছেলের চিবুকটা এত সুন্দর যে কী বলব? তারপর গেটটা বন্ধ করে বললেন, কালকে এসো।
ওরা দেখল মুভিং ক্যাসেলের ফিরে যাওয়ার সময় সমস্ত শরীর নাচছে, শুধু কুকুরটা সঙ্গে নেই বলে যা মানাচ্ছে না। আচ্ছা, কুকুরটাকে সে সারা বাড়িতে দেখল না তো! মণ্টু মুভিং ক্যাসেলের দিকে তাকিয়ে বলল, বহুত খচ্চর মেয়েছেলে।
তপন সঙ্গে তাল দিল, হোলি মাদার গোয়িং ব্যাক।
অনিমেষ এখন আর কিছু বলতে পারল না। ওদের। মণ্টু যদি জানতে পারে রম্ভা ওকে চুমু খেয়েছে তা হলে কী করবে? এই পৃথিবীর কাউকে কখনো একথা বলা যাবে না।
তপন বলল, এতবড় মেয়েছেলে, এখনও কচি খুকি হয়ে আছে। মাসিমা বোলো না-বউদি বলো। পেয়াজি!
অনিমেষ ওদের এমন রাগের কারণ ঠিক বুঝতে পারছিল না।
মণ্টু বলল, আমাকে বলে কিনা তুমি ভুল পথে চলছ তোমার দাদার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কংগ্রেসে এলে তুমি কত সুযোগ-সুবিধে পাবে-অনির মাথা চিবিয়েছে, এবার আমারটার দিকে লোভ।
হঠাৎ তপন বলল, গরু, এতক্ষণ কী খেলে এলে ভেতরে বুকে হাত দিয়ে জ্বল দেখলে?
অনিমেষ রাগতে গিয়েও পারল না, কোনোরকমে বলল, কী হচ্ছে কী!
তপন বলল, হোলি মাদারের একজিবিশন দেখলাম অমরা, এতক্ষণ হোলি ডটার কি তোমাকে গ্রামার পড়াল?
অনিমেষ কোনো উত্তর না দিয়ে হাঁটতে শুরু করতেই দেখল বাগান পেরিয়ে উর্বশীর ঘরের এদিকের জানালাটা দড়াম করে বন্ধ হয়ে গেল। তপন আর মণ্টু সেদিকে চেয়ে চাপা গলায় কী-একটা কথা বলে এগোতে গিয়ে আবার থমকে দাঁড়াল। অনিমেষ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে দেখল, মটু পকেট থেকে কালোমাতন কী একটা বের করে চটপট গেটের গায়ে বিরাম করের নামটার আগে বিরাট অ: লিখে গম্ভীরমুখে হাঁটতে লাগল।
আচমকা ঘটনাটা ঘটে যাওয়ায় অনিমেষ পাথরের মতো দাঁড়িয়ে পড়ল। ও এগিয়ে-আসা মণ্টুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল, একটু আগের সেই বিরক্তিটা আর একদম সেখানে নেই। অনিমেষ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না।
অনিমেষ বলল, জানি না। মুভিং ক্যাসেলের নরম হাতের চাপ ক্রমশ ওর কাঁধের কাছে অসহ্য হয়ে আসছিল। সেই মিষ্টি গন্ধটা ওকে এখন ঘিরে ধরেছে।
মুভিং ক্যাসেল বললেন, তোমার মতো ওর মন পরিষ্কার নয়। একটু সতর্ক হয়ে মিশো ওর। সঙ্গে। আর হ্যাঁ, আমাদের সে স্টুডেন্টস সংগঠন আছেন তাতে তোমার জয়েন করার দরকার নেই। তুমি,-তোমাকে দিয়ে অন্য কাজ করাবার প্ল্যান আছে।
অনিমেষ কিছু বলল না। ওরা গেটের কাছে এসে পড়তেই উনি দাঁড়িয়ে পড়ে অনিমেষের কাঁধ থেকে হাতটা নামাতে নামাতে ওর চিবুক ধরে নেড়ে দিলেন, ছেলের চিবুকটা এত সুন্দর যে কী বলব? তারপর গেটটা বন্ধ করে বললেন, কালকে এসো।
ওরা দেখল মুভিং ক্যাসেলের ফিরে যাওয়ার সময় সমস্ত শরীর নাচছে, শুধু কুকুরটা সঙ্গে নেই বলে যা মানাচ্ছে না। আচ্ছা, কুকুরটাকে সে সারা বাড়িতে দেখল না তো! মণ্টু মুভিং ক্যাসেলের দিকে তাকিয়ে বলল, বহুত খচ্চর মেয়েছেলে।
তপন সঙ্গে তাল দিল, হোলি মাদার গোয়িং ব্যাক।
অনিমেষ এখন আর কিছু বলতে পারল না। ওদের। মণ্টু যদি জানতে পারে রম্ভা ওকে চুমু খেয়েছে তা হলে কী করবে? এই পৃথিবীর কাউকে কখনো একথা বলা যাবে না।
তপন বলল, এতবড় মেয়েছেলে, এখনও কচি খুকি হয়ে আছে। মাসিমা বোলো না-বউদি বলো। পেয়াজি!
অনিমেষ ওদের এমন রাগের কারণ ঠিক বুঝতে পারছিল না।
মণ্টু বলল, আমাকে বলে কিনা তুমি ভুল পথে চলছ তোমার দাদার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কংগ্রেসে এলে তুমি কত সুযোগ-সুবিধে পাবে-অনির মাথা চিবিয়েছে, এবার আমারটার দিকে লোভ।
হঠাৎ তপন বলল, গরু, এতক্ষণ কী খেলে এলে ভেতরে বুকে হাত দিয়ে জ্বল দেখলে?
অনিমেষ রাগতে গিয়েও পারল না, কোনোরকমে বলল, কী হচ্ছে কী!
তপন বলল, হোলি মাদারের একজিবিশন দেখলাম অমরা, এতক্ষণ হোলি ডটার কি তোমাকে গ্রামার পড়াল?
অনিমেষ কোনো উত্তর না দিয়ে হাঁটতে শুরু করতেই দেখল বাগান পেরিয়ে উর্বশীর ঘরের এদিকের জানালাটা দড়াম করে বন্ধ হয়ে গেল। তপন আর মণ্টু সেদিকে চেয়ে চাপা গলায় কী-একটা কথা বলে এগোতে গিয়ে আবার থমকে দাঁড়াল। অনিমেষ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে দেখল, মটু পকেট থেকে কালোমাতন কী একটা বের করে চটপট গেটের গায়ে বিরাম করের নামটার আগে বিরাট অ: লিখে গম্ভীরমুখে হাঁটতে লাগল।
আচমকা ঘটনাটা ঘটে যাওয়ায় অনিমেষ পাথরের মতো দাঁড়িয়ে পড়ল। ও এগিয়ে-আসা মণ্টুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল, একটু আগের সেই বিরক্তিটা আর একদম সেখানে নেই। অনিমেষ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না।