স্বামী লোকটি লম্বাচওড়া কিন্তু কণ্ঠস্বর মেয়েদের মতো। এক সঙ্গীকে নিয়ে সে অফিসে গেল। নাম-ঠিকানা লেখাল। তখন দুই মহিলা আর এক পুরুষ ঘেরাটোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে গর্ভবতী মহিলাকে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছিল। লোকটি বলছিল, “তোর আর কোনও ভয় নেই। হাসপাতালে এসে গিয়েছিস যখন—তখন ডাক্তারবাবু ঠিক বাচ্চা বের করে আনবে।”
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল গর্ভবতী। শ্বাস নিয়ে বলল, “চুপ করো। চুপ করো। তোমার জন্যে, তোমার জন্যেই এত কষ্ট আমার…”
“কী করব! তুমিই চেয়েছিলে!” লোকটি মিনমিন করল।
উলটোদিকে বসা মহিলাদের একজন ধমক দিল, “চুপ কর। কী কথা বলছিস? মেয়েটার কি মাথাখারাপ হয়ে গেল?”
গর্ভবতী চোখ খুলল, “কাকে বলছি?”
“শুকরাকে। তোর বরের বন্ধু,” অন্য মহিলা চাপা গলায় বলল।
“ও,” গর্ভবতী চোখ বন্ধ করল।
এই সময় ছোট নার্স এসে বলল, “আপনারা সবাই বাইরে যান,” ডাক্তারবাবু এখনই এসে যাবেন।
সেই পুরুষ সঙ্গী বলল, “দিদি, কোনও ভয় নেই তো!”
ছোট নার্স লোকটির দিকে তাকাল, “আপনি কে?”
মহিলাদের একজন বলল, “ওর স্বামীর বন্ধু।”
“অ! ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করবেন। তিনিই বলতে পারবেন। এখন আপনারা বাইরে যান, আর এখানে থাকবেন না,” ছোট নার্স চড়া গলায় বলল।
এতোয়ারি গর্ভবতী মহিলার মাথার পাশে এসে দাঁড়িয়ে চমকে উঠল। না, তার ভুল হচ্ছে না। এই লোকটিকে সে নদীর ধারে আবছা আলোয় একজন গর্ভবতী মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখেছিল। মেয়েটির দ্বিধা ছিল, কিন্তু তাকে বাধ্য করেছিল। এতোয়ারি পায়ে পায়ে বিছানার পাশে এসে দাঁড়াল। না, বেদনা কমলে গর্ভবতীর মুখ যখন স্বাভাবিক হচ্ছিল, তখন তাকে দেখে আর চিনতে অসুবিধে হল না। মেয়েটির সঙ্গে এই মহিলাকেই সে নদীর ধারে রাতের বেলায় দেখেছিল। লোকটির দ্বিধা হওয়া সত্ত্বেও এই লোকটি ওর কাছে শরীরের আনন্দ আদায় করে নিয়েছিল। আজ ছোট নার্সের সঙ্গে গিয়ে যে-লোকটি পরিচয় লিখিয়ে এসেছে, সে যদি এই নারীর স্বামী হয়, তা হলে এই উদ্বিগ্ন লোকটি কে? লোকটির মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল না।
ছোট নার্স বলল, “এতোয়ারি, সবাইকে সরিয়ে দাও। আপনারা চলে যান, বাইরে যান।” ছোট নার্স বাইরে বেরিয়ে গেলে এতোয়ারি প্রায় জোর করেই সবাইকে বের করে আনল। সে দেখল সেই লম্বাচওড়া লোকটি সঙ্গীর সঙ্গে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। তার নজর এদিকে। যে-লোকটি বেডের পাশে বসেছিল, সে ধীরে ধীরে লোকটির পাশে গিয়ে মাথা নেড়ে কিছু বলতে লাগল।
এতোয়ারি আবার ঘেরাটোপের ভেতর ঢুকল। গর্ভবতীর প্রসববেদনা এখন আগের মতো বোধহয় তীব্র নয়। সে বলল, “আর-একটু অপেক্ষা করো, ডাক্তারবাবু এসে তোমার ব্যথা কমিয়ে দেবেন।”
“আমার পেট থেকে যদি না বের হয়…”
“কেন বের হবে না। সব বাচ্চাই বেরিয়ে আসে।”
“অনেক সময় বেরুতে চায় না। তা হলে আমি কি মরে যাব?”
“না না, কিছু হবে না।”
এইসময় ডাক্তারবাবু আর ছোট নার্স ভেতরে ঢুকলেন। ঢুকে হাসলেন ডাক্তারবাবু, “ভয় পেয়ো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
ছোট নার্স সঙ্গে একটা ট্রে এনেছিল। তাতে মায়ের পেট থেকে বাচ্চাকে বের করে আনার জন্যে যেসব যন্ত্র দরকার হয়, তা তোয়ালে দিয়ে মোড়া আছে। ইশারায় এতোয়ারিকে সাহায্য করতে বলল ছোট নার্স। বিড়বিড় করে বলল, “কপালে কী লেখা আছে কে জানে।”
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল গর্ভবতী। শ্বাস নিয়ে বলল, “চুপ করো। চুপ করো। তোমার জন্যে, তোমার জন্যেই এত কষ্ট আমার…”
“কী করব! তুমিই চেয়েছিলে!” লোকটি মিনমিন করল।
উলটোদিকে বসা মহিলাদের একজন ধমক দিল, “চুপ কর। কী কথা বলছিস? মেয়েটার কি মাথাখারাপ হয়ে গেল?”
গর্ভবতী চোখ খুলল, “কাকে বলছি?”
“শুকরাকে। তোর বরের বন্ধু,” অন্য মহিলা চাপা গলায় বলল।
“ও,” গর্ভবতী চোখ বন্ধ করল।
এই সময় ছোট নার্স এসে বলল, “আপনারা সবাই বাইরে যান,” ডাক্তারবাবু এখনই এসে যাবেন।
সেই পুরুষ সঙ্গী বলল, “দিদি, কোনও ভয় নেই তো!”
ছোট নার্স লোকটির দিকে তাকাল, “আপনি কে?”
মহিলাদের একজন বলল, “ওর স্বামীর বন্ধু।”
“অ! ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করবেন। তিনিই বলতে পারবেন। এখন আপনারা বাইরে যান, আর এখানে থাকবেন না,” ছোট নার্স চড়া গলায় বলল।
এতোয়ারি গর্ভবতী মহিলার মাথার পাশে এসে দাঁড়িয়ে চমকে উঠল। না, তার ভুল হচ্ছে না। এই লোকটিকে সে নদীর ধারে আবছা আলোয় একজন গর্ভবতী মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখেছিল। মেয়েটির দ্বিধা ছিল, কিন্তু তাকে বাধ্য করেছিল। এতোয়ারি পায়ে পায়ে বিছানার পাশে এসে দাঁড়াল। না, বেদনা কমলে গর্ভবতীর মুখ যখন স্বাভাবিক হচ্ছিল, তখন তাকে দেখে আর চিনতে অসুবিধে হল না। মেয়েটির সঙ্গে এই মহিলাকেই সে নদীর ধারে রাতের বেলায় দেখেছিল। লোকটির দ্বিধা হওয়া সত্ত্বেও এই লোকটি ওর কাছে শরীরের আনন্দ আদায় করে নিয়েছিল। আজ ছোট নার্সের সঙ্গে গিয়ে যে-লোকটি পরিচয় লিখিয়ে এসেছে, সে যদি এই নারীর স্বামী হয়, তা হলে এই উদ্বিগ্ন লোকটি কে? লোকটির মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল না।
ছোট নার্স বলল, “এতোয়ারি, সবাইকে সরিয়ে দাও। আপনারা চলে যান, বাইরে যান।” ছোট নার্স বাইরে বেরিয়ে গেলে এতোয়ারি প্রায় জোর করেই সবাইকে বের করে আনল। সে দেখল সেই লম্বাচওড়া লোকটি সঙ্গীর সঙ্গে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। তার নজর এদিকে। যে-লোকটি বেডের পাশে বসেছিল, সে ধীরে ধীরে লোকটির পাশে গিয়ে মাথা নেড়ে কিছু বলতে লাগল।
এতোয়ারি আবার ঘেরাটোপের ভেতর ঢুকল। গর্ভবতীর প্রসববেদনা এখন আগের মতো বোধহয় তীব্র নয়। সে বলল, “আর-একটু অপেক্ষা করো, ডাক্তারবাবু এসে তোমার ব্যথা কমিয়ে দেবেন।”
“আমার পেট থেকে যদি না বের হয়…”
“কেন বের হবে না। সব বাচ্চাই বেরিয়ে আসে।”
“অনেক সময় বেরুতে চায় না। তা হলে আমি কি মরে যাব?”
“না না, কিছু হবে না।”
এইসময় ডাক্তারবাবু আর ছোট নার্স ভেতরে ঢুকলেন। ঢুকে হাসলেন ডাক্তারবাবু, “ভয় পেয়ো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
ছোট নার্স সঙ্গে একটা ট্রে এনেছিল। তাতে মায়ের পেট থেকে বাচ্চাকে বের করে আনার জন্যে যেসব যন্ত্র দরকার হয়, তা তোয়ালে দিয়ে মোড়া আছে। ইশারায় এতোয়ারিকে সাহায্য করতে বলল ছোট নার্স। বিড়বিড় করে বলল, “কপালে কী লেখা আছে কে জানে।”