মায়ের শরীর এখন স্বাভাবিক। সকালেই বড় নার্স ছুটি দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতোয়ারির অনুরোধে মাকে সন্ধে পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে দিলেন তিনি। এতোয়ারি ছুটির পরে মাকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ফিরে যাবে।
কাজ একটু হালকা হলে এতোয়ারি ছোট নার্সকে জিজ্ঞাসা করল, “দিদি, আপনি কি জানেন মহুয়ামিলন বলে যে-জায়গা আছে, সেটা কোথায়?”
ছোট নার্স অবাক হয়ে তাকাল, “মহুয়ামিলন?”
মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল এতোয়ারি।
“জায়গার নাম না ফুলের নাম?” ছোট নার্স জিজ্ঞাসা করল।
“জায়গার নাম,” এতোয়ারি জবাব দিল।
ঠোঁট ওলটাল ছোট নার্স, “বড়দিকে জিজ্ঞাসা করো, উনি হয়তো জানেন।”
বড় নার্সকে জিজ্ঞাসা করতে সাহস হচ্ছিল না। ঘণ্টাখানেক পরে দুই দিদি যখন একসঙ্গে পেশেন্টদের দেখতে এলেন, তখন ছোট নার্স বলল, “এই কী নাম বলছিলি?”
বড় নার্স জিজ্ঞাসা করলেন, “কী ব্যাপার?”
“ও একটা জায়গার নাম জিজ্ঞাসা করেছিল, নামটা আমার অচেনা,” ছোট নার্স হেসে কথাগুলো বলে সামনের রোগীর দিকে এগিয়ে গেল।
বড় নার্স তাকালেন, চোখে জিজ্ঞাসা।
এতোয়ারি নামটা বলল। বড় নার্স চোখ বন্ধ করে মনে করার চেষ্টা করে মাথা নাড়লেন, “এরকম নামের কথা আমি শুনিনি। বোধহয় কোনও ছোট জায়গা বা গ্রামের নাম। কিন্তু তুমি জানতে চাইছ কেন? কোনও দরকার আছে?”
মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল এতোয়ারি, কোনও কথা বলল না।
“তুমি ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করতে পারো,” বড় নার্স চলে গেলেন।
বিকেলে ডাক্তারবাবু যখন ওয়ার্ডে এলেন, তখন এতোয়ারি একজন জ্বরাক্রান্ত রোগীর কপালে জলপট্টি লাগিয়ে দিচ্ছিল। দেখতে পেয়ে ডাক্তারবাবু কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “জ্বর এখন কত?”
তাঁর পেছনে ছিল ছোট নার্স। বলল, “একশো এক।”
“তা হলে কিছুটা কমেছে। থাক, আর জলপট্টি দিতে হবে না। ওকে একবার ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছিয়ে দাও,” বলে ঘুরে দাঁড়িয়ে এক পা হেঁটেই ফিরে তাকালেন ডাক্তার, “বড়দিদি বলছিল তুমি মহুয়ামিলনের কথা জিজ্ঞাসা করেছ।”
নীরবে মাথা নাড়ল এতোয়ারি।
“এই নামটার কথা তুমি জানলে কী করে?”
“শুনেছি,” নিচু গলায় বলল এতোয়ারি।
“ও। মহুয়ামিলন নামে বোধহয় একটা জায়গাই আছে। সেটা এখান থেকে প্রায় আট-ন’শো মাইল দূরে বিহার প্রদেশে। আমার খুব অবাক লাগছে শুনে, তুমি কার কাছে জায়গাটার নাম শুনলে?” ডাক্তারবাবুর কথা শেষ হতে না-হতেই বড় নার্স দ্রুত ঘরে এসে বললেন, “ডক্টর, ম্যানেজার সাহেব আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।”
কাজ একটু হালকা হলে এতোয়ারি ছোট নার্সকে জিজ্ঞাসা করল, “দিদি, আপনি কি জানেন মহুয়ামিলন বলে যে-জায়গা আছে, সেটা কোথায়?”
ছোট নার্স অবাক হয়ে তাকাল, “মহুয়ামিলন?”
মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল এতোয়ারি।
“জায়গার নাম না ফুলের নাম?” ছোট নার্স জিজ্ঞাসা করল।
“জায়গার নাম,” এতোয়ারি জবাব দিল।
ঠোঁট ওলটাল ছোট নার্স, “বড়দিকে জিজ্ঞাসা করো, উনি হয়তো জানেন।”
বড় নার্সকে জিজ্ঞাসা করতে সাহস হচ্ছিল না। ঘণ্টাখানেক পরে দুই দিদি যখন একসঙ্গে পেশেন্টদের দেখতে এলেন, তখন ছোট নার্স বলল, “এই কী নাম বলছিলি?”
বড় নার্স জিজ্ঞাসা করলেন, “কী ব্যাপার?”
“ও একটা জায়গার নাম জিজ্ঞাসা করেছিল, নামটা আমার অচেনা,” ছোট নার্স হেসে কথাগুলো বলে সামনের রোগীর দিকে এগিয়ে গেল।
বড় নার্স তাকালেন, চোখে জিজ্ঞাসা।
এতোয়ারি নামটা বলল। বড় নার্স চোখ বন্ধ করে মনে করার চেষ্টা করে মাথা নাড়লেন, “এরকম নামের কথা আমি শুনিনি। বোধহয় কোনও ছোট জায়গা বা গ্রামের নাম। কিন্তু তুমি জানতে চাইছ কেন? কোনও দরকার আছে?”
মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল এতোয়ারি, কোনও কথা বলল না।
“তুমি ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করতে পারো,” বড় নার্স চলে গেলেন।
বিকেলে ডাক্তারবাবু যখন ওয়ার্ডে এলেন, তখন এতোয়ারি একজন জ্বরাক্রান্ত রোগীর কপালে জলপট্টি লাগিয়ে দিচ্ছিল। দেখতে পেয়ে ডাক্তারবাবু কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “জ্বর এখন কত?”
তাঁর পেছনে ছিল ছোট নার্স। বলল, “একশো এক।”
“তা হলে কিছুটা কমেছে। থাক, আর জলপট্টি দিতে হবে না। ওকে একবার ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছিয়ে দাও,” বলে ঘুরে দাঁড়িয়ে এক পা হেঁটেই ফিরে তাকালেন ডাক্তার, “বড়দিদি বলছিল তুমি মহুয়ামিলনের কথা জিজ্ঞাসা করেছ।”
নীরবে মাথা নাড়ল এতোয়ারি।
“এই নামটার কথা তুমি জানলে কী করে?”
“শুনেছি,” নিচু গলায় বলল এতোয়ারি।
“ও। মহুয়ামিলন নামে বোধহয় একটা জায়গাই আছে। সেটা এখান থেকে প্রায় আট-ন’শো মাইল দূরে বিহার প্রদেশে। আমার খুব অবাক লাগছে শুনে, তুমি কার কাছে জায়গাটার নাম শুনলে?” ডাক্তারবাবুর কথা শেষ হতে না-হতেই বড় নার্স দ্রুত ঘরে এসে বললেন, “ডক্টর, ম্যানেজার সাহেব আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।”