হঠাৎ অনিমেষ দেখল একটা ঘুসি ওর মুখ লক্ষ্য করে দ্রুত এগিয়ে আসছে। কিন্তু বোঝার আগেই ও মাথা নিচু করে রম্ভাকে নিয়ে বসে পড়ল। তাল সামলাতে না পেরে না পড়ে যেতে ওর হাত অনিমেষের শরীর থেকে খুলে গেল। অনিমেষ নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণে ছেলেটার উদ্দেশে একটা লাথি ঝাড়ল ওই অবস্থায়। ককিয়ে-ওঠা একটা শব্দ কানে যেতেই অনিমেষ দেখল ওর চারপাশে পাগুলো ঘিরে ফেলেছে। কোনোরকমে মাটি থেকে লাথি-খাওয়া ছেলেটা উঠে দাঁড়িয়ে বলল, এবার বুঝবে আমার গায়ে হাত তুললে কেমন লাগে। শালাকে শেষ করে ফেলব। অনিমেষ মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসেছিল। রম্ভা খানিক পেছনে উঠে দাঁড়িয়েছে। অনিমেষ বুঝতে পারছিল, ও যদি উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করে তা হলে সব দিক দিয়ে আক্রমণ শুরু হবে। ও হির.করল যদি মরতে হয় একজনকে মেরে মরবে।
ঠিক এই সময় মণ্টুর গলা শুনতে পেল অনিমেষ, কী হচ্ছে কী?
সঙ্গে সঙ্গে চারটে ছেলেই ঘুরে দাঁড়াল। অনিমেষ ওদের পায়ের ফাঁক দিয়ে দেখল মটু অর্ক আর তপন পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এতক্ষণ বুকের মধ্যে যে-ঢিপঢিপানিটা শব্দ তুলছিল সেটা চট করে থেমে গেল। এখন ওরা সমান-সমান, ও আর একা নয়। এই সময় এক নম্বর ছেলেটি বলে উঠল, আরে মণ্টু, তুই ওখানে।
মণ্টু বলল, তোরা কী করছিস? ওর গলার স্বর গম্ভীর।
ছেলেটি বলল, আরে শালা এখানে লায়লামজনুর জোর পেয়ার চলছিল। কী হাম খাওয়ার শব্দ? আমরা কেসটা হাতে নিতেই এই মাল ছুটে এল। আবার আমার গায়ে লাথি মারে, বোঝ। জানে না তো আমি কার শিষ্য!
মণ্টু এগিয়ে এল, সেমসাইড হয়ে যাচ্ছে। ও আমার বন্ধু, চিৎকার শুনে ছুটে এসেছে।
ছেলেটা যেন ভীষণ হতাশ হল, বলল, যাঃ শালা! তারপর অনিমেষের হাত ধরে তুলে বলল, খুব বেঁচে গেলে ভাই। কিন্তু ফিউচারে এরকম করলে ছাড়ব না।
এতক্ষণে মণ্টু রম্ভাকে ভালো করে লক্ষ করেছে, জাঙ্গিয়া-পরা ছেলেটাকে ও আগেই দেখেছিল। ও অনিমেষের কাছে এসে দাঁড়াল, খুব সাহস তো!
রম্ভা কাঁদো-কাঁদো গলায় বলে উঠল এই সময়, আমি কিছু জানি না।
এক নম্বর চাপা গলায় বলল, বৃহৎ হারামি মেয়েছেলে মাইরি! একদম বিশ্বাস করবি না। ওর কীর্তি আমি নিজের চোখে দেখেছি।
মণ্টু অনিমেষকে বলল, কী করা যায় রে?
অনিমেষ কিছু বলার আগেই অর্ক বলল, ছেড়ে দে, বালিকা জানে না ও মরে গেছে।
হঠাৎ মণ্টু ঘুরে দাঁড়িয়ে ছেলেটাকে খুব জোরে চট মারল। বেচারা এমনিই দাঁড়িয়ে কাঁপছিল, চড় খেয়ে পাথরের ওপর উলটে পড়ল। মণ্টু এগিয়ে গিয়ে ওকে আবার তুলে ধরল, এই, এই, তোকে বলেছিলাম না যে-এ পাড়ায় আসবি না! আবার সাইকেলে কেষ্টর বাঁশি বাজিয়েছে!
কোনোরকমে ছেলেটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল, আমি আসতে চাইনি, ও জোর করে এনেছে।
চাপা গলায় মণ্টু বলল, কী করে দেখা হল।
ছেলেটা গড়গড় করে বলে গেল, আমার বোন ওর সঙ্গে পড়ে। বোনের হাত দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেখা করতে বলেছিল।
একটু চিন্তা করল মণ্টু, ঠিক আছে। তুই ওকে বিয়ে করবি?
একটুও দ্বিধা করল না ছেলেটা, না!
কেন? প্রেম করছ আর বিয়ের বেলা না কেন? ধমক দিল মণ্টু।
ও মিথ্যেবাদী। নিজেই সব কাজ করে এখন ভান করছে।
অর্ক বলল, মেয়েছেলে মানেই তা-ই। এই সত্যটা চিরকার মনে রেখো চাঁদ। এখন কেটে পড়ো। রেডি, ওয়ান টু থ্রি-। অর্কের কথা শেষ হতেই ছেলেটা তীরের মতো দৌড়াতে লাগল সেনপাড়ার দিকে।
ঠিক এই সময় মণ্টুর গলা শুনতে পেল অনিমেষ, কী হচ্ছে কী?
সঙ্গে সঙ্গে চারটে ছেলেই ঘুরে দাঁড়াল। অনিমেষ ওদের পায়ের ফাঁক দিয়ে দেখল মটু অর্ক আর তপন পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এতক্ষণ বুকের মধ্যে যে-ঢিপঢিপানিটা শব্দ তুলছিল সেটা চট করে থেমে গেল। এখন ওরা সমান-সমান, ও আর একা নয়। এই সময় এক নম্বর ছেলেটি বলে উঠল, আরে মণ্টু, তুই ওখানে।
মণ্টু বলল, তোরা কী করছিস? ওর গলার স্বর গম্ভীর।
ছেলেটি বলল, আরে শালা এখানে লায়লামজনুর জোর পেয়ার চলছিল। কী হাম খাওয়ার শব্দ? আমরা কেসটা হাতে নিতেই এই মাল ছুটে এল। আবার আমার গায়ে লাথি মারে, বোঝ। জানে না তো আমি কার শিষ্য!
মণ্টু এগিয়ে এল, সেমসাইড হয়ে যাচ্ছে। ও আমার বন্ধু, চিৎকার শুনে ছুটে এসেছে।
ছেলেটা যেন ভীষণ হতাশ হল, বলল, যাঃ শালা! তারপর অনিমেষের হাত ধরে তুলে বলল, খুব বেঁচে গেলে ভাই। কিন্তু ফিউচারে এরকম করলে ছাড়ব না।
এতক্ষণে মণ্টু রম্ভাকে ভালো করে লক্ষ করেছে, জাঙ্গিয়া-পরা ছেলেটাকে ও আগেই দেখেছিল। ও অনিমেষের কাছে এসে দাঁড়াল, খুব সাহস তো!
রম্ভা কাঁদো-কাঁদো গলায় বলে উঠল এই সময়, আমি কিছু জানি না।
এক নম্বর চাপা গলায় বলল, বৃহৎ হারামি মেয়েছেলে মাইরি! একদম বিশ্বাস করবি না। ওর কীর্তি আমি নিজের চোখে দেখেছি।
মণ্টু অনিমেষকে বলল, কী করা যায় রে?
অনিমেষ কিছু বলার আগেই অর্ক বলল, ছেড়ে দে, বালিকা জানে না ও মরে গেছে।
হঠাৎ মণ্টু ঘুরে দাঁড়িয়ে ছেলেটাকে খুব জোরে চট মারল। বেচারা এমনিই দাঁড়িয়ে কাঁপছিল, চড় খেয়ে পাথরের ওপর উলটে পড়ল। মণ্টু এগিয়ে গিয়ে ওকে আবার তুলে ধরল, এই, এই, তোকে বলেছিলাম না যে-এ পাড়ায় আসবি না! আবার সাইকেলে কেষ্টর বাঁশি বাজিয়েছে!
কোনোরকমে ছেলেটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল, আমি আসতে চাইনি, ও জোর করে এনেছে।
চাপা গলায় মণ্টু বলল, কী করে দেখা হল।
ছেলেটা গড়গড় করে বলে গেল, আমার বোন ওর সঙ্গে পড়ে। বোনের হাত দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেখা করতে বলেছিল।
একটু চিন্তা করল মণ্টু, ঠিক আছে। তুই ওকে বিয়ে করবি?
একটুও দ্বিধা করল না ছেলেটা, না!
কেন? প্রেম করছ আর বিয়ের বেলা না কেন? ধমক দিল মণ্টু।
ও মিথ্যেবাদী। নিজেই সব কাজ করে এখন ভান করছে।
অর্ক বলল, মেয়েছেলে মানেই তা-ই। এই সত্যটা চিরকার মনে রেখো চাঁদ। এখন কেটে পড়ো। রেডি, ওয়ান টু থ্রি-। অর্কের কথা শেষ হতেই ছেলেটা তীরের মতো দৌড়াতে লাগল সেনপাড়ার দিকে।