দুদিন বাদে বাজার থেকে বের হওয়ার সময় দেবেশের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। সাইকেল থেকে নেমে দেবেশ বুঝিয়ে দিল কীভাবে ওর ডেরায় পৌঁছোতে হবে। নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলল, যেদিন যাবি তার আগে আমাকে ফোন করবি। সকালের দিকে আয়, দুপুরে একসঙ্গে ভাত খাব।
সঙ্গে যদি মাধবীলতা যায়?
কুছ পরোয়া নেই। আমরা তো ডাল ভাত তরকারি খাই। হয়ে যাবে।
দেবেশ, তুই বেশ ভাল আছিস। না?
হো হো করে হাসল দেবেশ। তারপর সাইকেলে উঠে চলে গেল।
.
বাড়িতে ফেরামাত্র মাধবীলতা বলল, শোনো, জগদীশবাবু ফোন করেছিলেন।
কী বললেন?
উনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে একজনকে নিয়ে আসছেন বাড়ি দেখাতে।
বেশ করিতকর্মা লোক তো!
কিন্তু ওঁর সঙ্গে তোমার কথা বলে নেওয়া উচিত। মাধবীলতা বলল।
কী ব্যাপারে?
আশ্চর্য মানুষ তুমি! ওঁকে পারিশ্রমিক দেবে না?
ওহো! অনিমেষ হেসে ফেলল।
হাসছ যে!
তুমি দালালি না বলে পারিশ্রমিক বললে, তাই। তা ওঁদের নিশ্চয়ই ফিক্সড রেট থাকে। বাড়িভাড়া পেতে গেলে দালালকে একমাসের ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু ওঁকে এত কিছু জিজ্ঞাসা করব কী করে? দেখি, রামদা কী বলেন, উনি নিশ্চয়ই জানেন। অনিমেষ বলল।
কেন? তুমি ওঁকেই জিজ্ঞাসা করো কত দিতে হবে? মাধবীলতা বলল, তুমি যদি না পারো আমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করতে পারি।
.
জগদীশবাবু যাঁকে সঙ্গে নিয়ে এলেন তার বয়স বেশি নয়। পঞ্চাশের এপাশেই। সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরনে। নমস্কার করে বললেন, আমি স্বপ্নেন্দু দত্ত। জগদীশবাবু বললেন, আপনারা বাড়ি বিক্রি করবেন!
হ্যাঁ।
বাড়ির মালিক কে?
আমার ঠাকুরদা বাড়িটা বানিয়েছেন। তার কাছ থেকে আমার বাবা বাড়িটা পেয়েছিলেন। এখন আমার মা এখানে থাকেন। তিনিই মালিক বলতে পারেন।
কেন? ছেলে হিসেবে আপনারও তত অর্ধেক পাওয়ার কথা। কোর্টে গিয়ে আইনসম্মত করে নেননি? স্বপ্নেন্দু জিজ্ঞাসা করলেন।
জগদীশবাবু বললেন, অনিমেষবাবু কলকাতায় থাকেন বলে ওসব করা হয়নি। এখন হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।
আপনার আর কোনও ভাইবোন নেই?
জগদীশবাবু মাথা নাড়েন, না, উনিই একমাত্র ছেলে।
গুড। চলুন, দেখা যাক। স্বপ্নেন্দু বললেন।
প্রায় আধঘণ্টা ধরে স্বপ্নেন্দু দত্ত জগদীশবাবুকে নিয়ে পুরো বাড়িটা ঘুরে দেখলেন। এমনকী ভাড়াটের দিকটাও।
জগদীশবাবু অনিমেষকে বলেছিলেন, আপনি বসুন। আমিই ওঁর সঙ্গে আছি।
সঙ্গে যদি মাধবীলতা যায়?
কুছ পরোয়া নেই। আমরা তো ডাল ভাত তরকারি খাই। হয়ে যাবে।
দেবেশ, তুই বেশ ভাল আছিস। না?
হো হো করে হাসল দেবেশ। তারপর সাইকেলে উঠে চলে গেল।
.
বাড়িতে ফেরামাত্র মাধবীলতা বলল, শোনো, জগদীশবাবু ফোন করেছিলেন।
কী বললেন?
উনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে একজনকে নিয়ে আসছেন বাড়ি দেখাতে।
বেশ করিতকর্মা লোক তো!
কিন্তু ওঁর সঙ্গে তোমার কথা বলে নেওয়া উচিত। মাধবীলতা বলল।
কী ব্যাপারে?
আশ্চর্য মানুষ তুমি! ওঁকে পারিশ্রমিক দেবে না?
ওহো! অনিমেষ হেসে ফেলল।
হাসছ যে!
তুমি দালালি না বলে পারিশ্রমিক বললে, তাই। তা ওঁদের নিশ্চয়ই ফিক্সড রেট থাকে। বাড়িভাড়া পেতে গেলে দালালকে একমাসের ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু ওঁকে এত কিছু জিজ্ঞাসা করব কী করে? দেখি, রামদা কী বলেন, উনি নিশ্চয়ই জানেন। অনিমেষ বলল।
কেন? তুমি ওঁকেই জিজ্ঞাসা করো কত দিতে হবে? মাধবীলতা বলল, তুমি যদি না পারো আমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করতে পারি।
.
জগদীশবাবু যাঁকে সঙ্গে নিয়ে এলেন তার বয়স বেশি নয়। পঞ্চাশের এপাশেই। সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরনে। নমস্কার করে বললেন, আমি স্বপ্নেন্দু দত্ত। জগদীশবাবু বললেন, আপনারা বাড়ি বিক্রি করবেন!
হ্যাঁ।
বাড়ির মালিক কে?
আমার ঠাকুরদা বাড়িটা বানিয়েছেন। তার কাছ থেকে আমার বাবা বাড়িটা পেয়েছিলেন। এখন আমার মা এখানে থাকেন। তিনিই মালিক বলতে পারেন।
কেন? ছেলে হিসেবে আপনারও তত অর্ধেক পাওয়ার কথা। কোর্টে গিয়ে আইনসম্মত করে নেননি? স্বপ্নেন্দু জিজ্ঞাসা করলেন।
জগদীশবাবু বললেন, অনিমেষবাবু কলকাতায় থাকেন বলে ওসব করা হয়নি। এখন হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।
আপনার আর কোনও ভাইবোন নেই?
জগদীশবাবু মাথা নাড়েন, না, উনিই একমাত্র ছেলে।
গুড। চলুন, দেখা যাক। স্বপ্নেন্দু বললেন।
প্রায় আধঘণ্টা ধরে স্বপ্নেন্দু দত্ত জগদীশবাবুকে নিয়ে পুরো বাড়িটা ঘুরে দেখলেন। এমনকী ভাড়াটের দিকটাও।
জগদীশবাবু অনিমেষকে বলেছিলেন, আপনি বসুন। আমিই ওঁর সঙ্গে আছি।