আপনি অদ্ভুত লোক তো! মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েকে নিয়ে মায়ের কাছে চলে যাই। বাবা নেই কিন্তু বউদির কথা ভেবে যেতে পারি না। ও হ্যাঁ। যে কথা বলছিলাম, আমি তো কথা না বলে থাকতে পারি না। মেয়ের বাবা বলত আমি নাকি বড় বেশি কথা বলি। কিন্তু একটা কথা কখনও বলিনি তাকে। অলকা হাসল।
ওঁকে যখন বলেননি তখন মনে রেখে দেওয়াই ভাল।
কিন্তু আমি যে সমস্যায় পড়েছি। বাবা বেঁচে থাকলে আমাকে ভাবতে হত না। দাদা-বউদিকেও বলা যাবে না। আপনি আমাকে সাহায্য করবেন?
দেখুন, আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার হলে আমাকে বলবেন না। আমার সঙ্গে আপনার মাত্র দুদিন কথা হয়েছে, কেউ কাউকে চিনি না–
শুনুন মশাই, অবিবাহিতা মেয়েরা অনেক সময় অন্ধ হয় কিন্তু যে বিবাহিতা মেয়েকে সব সামলাতে হয় সে মানুষ চিনতে ভুল করে না।
অলকার কথা বলার ধরনে হেসে ফেলল অর্ক, বেশ, বলুন।
বাবা মারা যাওয়ার আগে আমার নামে কিছু টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন কাউকে না জানাতে। অলকা বলল।
বাঃ, ভাল কথা।
কিন্তু সময়টা শেষ হয়ে গিয়েছে। টাকাটাও দ্বিগুণ হয়েছে। অলকা বলল, মেয়ের বাবা ব্যাপারটা জানেই না। আমি এখন বুঝতে পারছি না ওই টাকাটা নিয়ে কী করব?
আপনার বাবা বলেছিলেন কাউকে না জানাতে, আমাকে জানালেন কেন?
বললাম না সমস্যায় পড়েছি, মাথায় কিছু ঢুকছে না।
আপনি সমস্যা ভাবছেন তাই–আসলে কোনও সমস্যাই নেই। ব্যাঙ্কে গিয়ে আবার পুরো টাকাটাই এমন সময়ের জন্যে ফিক্সড করে দিন যাতে অঙ্কটা আরও বেড়ে যায়। আপনার মেয়ে যখন বড় হবে তখন ওর পড়াশোনার প্রয়োজনে খরচ করবেন। অর্ক বলল।
হাসি ফুটল অলকার মুখে। বলল, ঠিক বলেছেন, ওর দাদুর টাকা ওর পড়াশোনায় লাগুক। আর একটা কথা, বাবার কথা আমি পুরোটা অমান্য করিনি।
মানে?
উনি বলেছিলেন কাউকে না বলতে। আমি পুরোটা বলিনি। উনি কত টাকা আমার নামে রেখেছিলেন তা কি আপনি জানেন?
না।
ব্যস। কথা রাখা হয়ে গেল।
হেসে ফেলল অর্ক। তার মনে হল অলকা আদৌ জটিল নয়। চায়ের দাম দিয়ে অর্ক বলল, আপনি এখোন, আমি পরে যাব।
উঁহু। আপনি আগে যান, আমি বাজার করে বাসায় যাব। অলকা উঠে দাঁড়াল, মনে করে ফোন করবেন কিন্তু।
করব। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতেই বাস পেয়ে গেল অর্ক। খালি বাস। উঠেই বসে পড়ল সে। জানলার বাইরে তাকাতেই পাঁচ মাথার মোড়ে মানুষের চলাফেরা নজরে এল। এইসব মানুষ প্রত্যেকেই সমস্যা নিয়ে চলাফেরা করছে। আলাদা আলাদা সমস্যা। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।
ঈশ্বরপুকুর লেনে ঢোকার মুখে একটা ছোট বাজার প্রতি সকালে বসে। সেখান থেকে আলু পেঁয়াজ আদা রসুন আর ডিম কিনে নিল অর্ক। একদম টাটকা পাবদা মাছ চোখে পড়তে এক মুহূর্ত থমকে ছিল সে। তারপর মুখ ফিরিয়ে নিল। ঝামেলা বাড়িয়ে কী লাভ! মাছ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে যদি ফেলে দিতে হয়! তার চেয়ে যেটা পারে সেটা করাই ভাল।
ওঁকে যখন বলেননি তখন মনে রেখে দেওয়াই ভাল।
কিন্তু আমি যে সমস্যায় পড়েছি। বাবা বেঁচে থাকলে আমাকে ভাবতে হত না। দাদা-বউদিকেও বলা যাবে না। আপনি আমাকে সাহায্য করবেন?
দেখুন, আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার হলে আমাকে বলবেন না। আমার সঙ্গে আপনার মাত্র দুদিন কথা হয়েছে, কেউ কাউকে চিনি না–
শুনুন মশাই, অবিবাহিতা মেয়েরা অনেক সময় অন্ধ হয় কিন্তু যে বিবাহিতা মেয়েকে সব সামলাতে হয় সে মানুষ চিনতে ভুল করে না।
অলকার কথা বলার ধরনে হেসে ফেলল অর্ক, বেশ, বলুন।
বাবা মারা যাওয়ার আগে আমার নামে কিছু টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন কাউকে না জানাতে। অলকা বলল।
বাঃ, ভাল কথা।
কিন্তু সময়টা শেষ হয়ে গিয়েছে। টাকাটাও দ্বিগুণ হয়েছে। অলকা বলল, মেয়ের বাবা ব্যাপারটা জানেই না। আমি এখন বুঝতে পারছি না ওই টাকাটা নিয়ে কী করব?
আপনার বাবা বলেছিলেন কাউকে না জানাতে, আমাকে জানালেন কেন?
বললাম না সমস্যায় পড়েছি, মাথায় কিছু ঢুকছে না।
আপনি সমস্যা ভাবছেন তাই–আসলে কোনও সমস্যাই নেই। ব্যাঙ্কে গিয়ে আবার পুরো টাকাটাই এমন সময়ের জন্যে ফিক্সড করে দিন যাতে অঙ্কটা আরও বেড়ে যায়। আপনার মেয়ে যখন বড় হবে তখন ওর পড়াশোনার প্রয়োজনে খরচ করবেন। অর্ক বলল।
হাসি ফুটল অলকার মুখে। বলল, ঠিক বলেছেন, ওর দাদুর টাকা ওর পড়াশোনায় লাগুক। আর একটা কথা, বাবার কথা আমি পুরোটা অমান্য করিনি।
মানে?
উনি বলেছিলেন কাউকে না বলতে। আমি পুরোটা বলিনি। উনি কত টাকা আমার নামে রেখেছিলেন তা কি আপনি জানেন?
না।
ব্যস। কথা রাখা হয়ে গেল।
হেসে ফেলল অর্ক। তার মনে হল অলকা আদৌ জটিল নয়। চায়ের দাম দিয়ে অর্ক বলল, আপনি এখোন, আমি পরে যাব।
উঁহু। আপনি আগে যান, আমি বাজার করে বাসায় যাব। অলকা উঠে দাঁড়াল, মনে করে ফোন করবেন কিন্তু।
করব। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতেই বাস পেয়ে গেল অর্ক। খালি বাস। উঠেই বসে পড়ল সে। জানলার বাইরে তাকাতেই পাঁচ মাথার মোড়ে মানুষের চলাফেরা নজরে এল। এইসব মানুষ প্রত্যেকেই সমস্যা নিয়ে চলাফেরা করছে। আলাদা আলাদা সমস্যা। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।
ঈশ্বরপুকুর লেনে ঢোকার মুখে একটা ছোট বাজার প্রতি সকালে বসে। সেখান থেকে আলু পেঁয়াজ আদা রসুন আর ডিম কিনে নিল অর্ক। একদম টাটকা পাবদা মাছ চোখে পড়তে এক মুহূর্ত থমকে ছিল সে। তারপর মুখ ফিরিয়ে নিল। ঝামেলা বাড়িয়ে কী লাভ! মাছ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে যদি ফেলে দিতে হয়! তার চেয়ে যেটা পারে সেটা করাই ভাল।