মাথা ঘামাচ্ছি কারণ আপনারা নিজের ইচ্ছে মতন সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে কিছু করতে বাধ্য করতে পারেন না। পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টার আপনারাই করেছিলেন। ওদের খুঁচিয়ে দিয়ে য়ুনিভার্সিটিতে এসে লুকিয়েছেন যাতে আমরাও জড়িয়ে পড়ি। বাইরের গুন্ডা দিয়ে ট্রাম পুড়িয়েছেন নিজের বীরত্ব প্রমাণ করতে। কি ইস্যু নিয়ে এত কান্ড হল? সাধারণ ছাত্রের সঙ্গে কী সম্পর্ক? গতকাল কেবলে তিনজন কমুনিস্ট পুলিশের গুলীতে মারা গেছে এতএব আজ এখানে ধর্মঘট করো। অথচ সেকথা আপনারা বলছেন না ধর্মঘটের কারণ দেখাতে। কিন্তু ছেলেমেয়েরা বহুদূর থেকে কষ্টের পয়সা খরচ করে এখানে এসে দেখবে ক্লাস হচ্ছে না–এই হয়রানি এবং অপচয় কেন করালেন? আর সবশেষে একটা কথা, নিজের নাক কেটে কি অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা যায়? একদিনের ধর্মঘট করা মানে একটা দিনের পড়াশুনো নষ্ট করা। এতে আপনাদের কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে?
আমি এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক নই। আপনার যদি আপত্তি থাকে তাহলে আপনি ধর্মঘটে যোগ দেবেন না। ব্যাস। অনিমেষ চায়ের দাম দিল।
সে তো একশবার। আপনারা যা ইচ্ছে করবেন আর আমরা তা মুখ বুজে সহ্য করব এটা ভাববেন । আমরা ধর্মঘটের প্রতিবাদ করব। আমরা ছাত্রদের বলব ক্লাস করতে। শচীন কথা শেষ করা মাত্রই অনিমেষ ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে এল । কি পরিস্থিতিতে বিমানদা আজকের ধর্মঘট ডেকেছে সে জানে না কিন্তু সেদিন যে পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছিল সেটা তো সত্যি।
য়ুনিয়ন রুম জমজমাট। কার্যনির্বাহক কমিটির সবাই এসগেছে। অনিমেষকে দরজায় দেখে সুদীপ চুরুট নামালো, এই যে অনিমেষবাবু আসুন।
কথাটায় ব্যঙ্গ মেশানো, অনিমেষ অবাক হল। এভাবে কথা বলার কী কারণ আছে তা বুঝতে পারল না সে।
একটা চেয়ার টেনে বসতেই বিমান বলল, কাল কি হয়েছিল তোমার?
অনিমেষ বলল, একটু পারিবারিক কাজে জড়িয়ে গিয়েছিলাম।
বিমান বলল, যাই হোক না কেন, একবার তোমার ঘুরে যাওয়া উচিত ছিল। পার্টির কাজ করতে গেলে ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলোকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া চলবে না অনিমেষ। তাছাড়া তোমার কাছ থেকে আমরা তেমন কোন কাজও পাই না।
সুদীপ বেঁকানো গলায় বলল, দেখে তো মনে হচ্ছে স্নান-খাওয়া করো নি। তা এখানে আসতে পরামর্শ দিল কে?
এবার বিরক্তি চাপতে পারল না অনিমেষ, আমি কি এসে অন্যায় করেছি?
বিমান বলল, তুমি হোস্টেলে ছিলে না সকালে, খবর পেলে কি করে?
অনিমেষ বলল, আমাকে খবর দেওয়া হয়েছিল?
হ্যাঁ কিন্তু তোমাকে পাওয়া যায় নি।
আমি স্টেশনে গিয়েছিলাম । ফেরার পথে কোন কিছু না ভেবেই এখানে এসেছি।
আর এসেই সোজা ছাত্র পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় বসে গেলে! সুদীপ বলল।
এবার অনিমেষ উঠে দাঁড়াল, আপনারা কি বলতে চাইছেন খুলে বলুন!
বিমান একটা হাত উপরে তুলে বলল, উত্তেজিত হবার মত কিছু হয় নি। বসো।
তারপর অন্য সবার দিকে তাকিয়ে বলল, কমরেডস, আমাদের অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। আপনাদের কাছে আমার আবেদন যে, এ সময়ে কোন রকম আচরণ করবেন না যাতে পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এক সক্রিয় ষঢ়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। আমরা যেন কেউ সেই ফাঁদে পা না দিই। আমাদের ছাত্র সংগঠনগুলো পার্টির এক একটা হাতের মত। অতএব, এই সংগঠনের গুরুত্ব অনেক। পুলিশ, কংগ্রেস সরকারে পুলিশ প্রকাশ্যে জঘন্য অত্যাচার করে ছাত্রসমাজকে কলুষিত করেছে। আমার এত তীব্র প্রতিবাদ করেছি। এই প্রতিবাদের প্রকাশ আজকের ছাত্র ধর্মঘট। আমরা জানি সাধারণ ছাত্ররা আমাদের পাশে আছেন। যদি কেউ বিরোধিতা করতে চান সেই দালালদের আমরা বাধা দেব। গতকাল কেবলে পুলিশ তিন জন কমরেডকে হত্যা করেছে। এই সুযোগে আমরা তারও প্রতিবাদ করব। আপনাদের কারো কিছু বলার আছে? বিমানের দৃষ্টি সবার মুখের ওপর বুলিয়ে এসে অনিমেষের ওপর স্থির হল। উত্তেজিত হলে মানুষের নার্ভ বিক্ষত হয়।
আমি এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক নই। আপনার যদি আপত্তি থাকে তাহলে আপনি ধর্মঘটে যোগ দেবেন না। ব্যাস। অনিমেষ চায়ের দাম দিল।
সে তো একশবার। আপনারা যা ইচ্ছে করবেন আর আমরা তা মুখ বুজে সহ্য করব এটা ভাববেন । আমরা ধর্মঘটের প্রতিবাদ করব। আমরা ছাত্রদের বলব ক্লাস করতে। শচীন কথা শেষ করা মাত্রই অনিমেষ ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে এল । কি পরিস্থিতিতে বিমানদা আজকের ধর্মঘট ডেকেছে সে জানে না কিন্তু সেদিন যে পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছিল সেটা তো সত্যি।
য়ুনিয়ন রুম জমজমাট। কার্যনির্বাহক কমিটির সবাই এসগেছে। অনিমেষকে দরজায় দেখে সুদীপ চুরুট নামালো, এই যে অনিমেষবাবু আসুন।
কথাটায় ব্যঙ্গ মেশানো, অনিমেষ অবাক হল। এভাবে কথা বলার কী কারণ আছে তা বুঝতে পারল না সে।
একটা চেয়ার টেনে বসতেই বিমান বলল, কাল কি হয়েছিল তোমার?
অনিমেষ বলল, একটু পারিবারিক কাজে জড়িয়ে গিয়েছিলাম।
বিমান বলল, যাই হোক না কেন, একবার তোমার ঘুরে যাওয়া উচিত ছিল। পার্টির কাজ করতে গেলে ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলোকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া চলবে না অনিমেষ। তাছাড়া তোমার কাছ থেকে আমরা তেমন কোন কাজও পাই না।
সুদীপ বেঁকানো গলায় বলল, দেখে তো মনে হচ্ছে স্নান-খাওয়া করো নি। তা এখানে আসতে পরামর্শ দিল কে?
এবার বিরক্তি চাপতে পারল না অনিমেষ, আমি কি এসে অন্যায় করেছি?
বিমান বলল, তুমি হোস্টেলে ছিলে না সকালে, খবর পেলে কি করে?
অনিমেষ বলল, আমাকে খবর দেওয়া হয়েছিল?
হ্যাঁ কিন্তু তোমাকে পাওয়া যায় নি।
আমি স্টেশনে গিয়েছিলাম । ফেরার পথে কোন কিছু না ভেবেই এখানে এসেছি।
আর এসেই সোজা ছাত্র পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় বসে গেলে! সুদীপ বলল।
এবার অনিমেষ উঠে দাঁড়াল, আপনারা কি বলতে চাইছেন খুলে বলুন!
বিমান একটা হাত উপরে তুলে বলল, উত্তেজিত হবার মত কিছু হয় নি। বসো।
তারপর অন্য সবার দিকে তাকিয়ে বলল, কমরেডস, আমাদের অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। আপনাদের কাছে আমার আবেদন যে, এ সময়ে কোন রকম আচরণ করবেন না যাতে পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এক সক্রিয় ষঢ়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। আমরা যেন কেউ সেই ফাঁদে পা না দিই। আমাদের ছাত্র সংগঠনগুলো পার্টির এক একটা হাতের মত। অতএব, এই সংগঠনের গুরুত্ব অনেক। পুলিশ, কংগ্রেস সরকারে পুলিশ প্রকাশ্যে জঘন্য অত্যাচার করে ছাত্রসমাজকে কলুষিত করেছে। আমার এত তীব্র প্রতিবাদ করেছি। এই প্রতিবাদের প্রকাশ আজকের ছাত্র ধর্মঘট। আমরা জানি সাধারণ ছাত্ররা আমাদের পাশে আছেন। যদি কেউ বিরোধিতা করতে চান সেই দালালদের আমরা বাধা দেব। গতকাল কেবলে পুলিশ তিন জন কমরেডকে হত্যা করেছে। এই সুযোগে আমরা তারও প্রতিবাদ করব। আপনাদের কারো কিছু বলার আছে? বিমানের দৃষ্টি সবার মুখের ওপর বুলিয়ে এসে অনিমেষের ওপর স্থির হল। উত্তেজিত হলে মানুষের নার্ভ বিক্ষত হয়।