What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (3 Viewers)

QA-032

প্রশ্ন : কুরআন পড়ে অন্যের নামে বখশাতে পারে কি?

উত্তর: উক্ত আমল শরী‘আত সম্মত নয়। দৈহিক ইবাদত অন্যকে বখশানো যায় না। যেমন একজনের ছালাত অন্যজনের হয় না। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘একজনের ছওম অন্যজনে বা একজনের ছালাত অন্যজনে আদায় করতে পারে না’ (মুওয়াত্ত্বা, বায়হাক্বী সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২০৩৫ ‘ছওম’ অধ্যায় ৫ অনুচ্ছেদ )। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘মানুষ ততটুকুই পাবে যার জন্য সে চেষ্টা করবে’ (নাজম ৩৯ )।
 
এখনো অনেক মসজিদের ইমাম বা এই জাতীয় কিছু হুজুর মৃত ব্যাক্তির কবরে ক্বোরআন পাঠ করে সাওয়াব বখশে দেয়ার দায়ীত্ব কাঁধে নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ান। অথচ এটা কোনোভাবেই শরীয়ত সম্মত কোনো কাজ নয়।
 
QA-033

প্রশ্ন : মরণোত্তর চক্ষুদান বা দেহ দান করা যাবে কি?


উত্তর: ইসলামে মুমিন ব্যক্তির মৃত দেহকে অতীব সম্মান দান করা হয়েছে (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭০৩ )। তার মৃত দেহকে সযত্নে সাবান-পানি দিয়ে গোসল করিয়ে সুগন্ধি মাখিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে কাফন পরিয়ে তার পরকালীন মুক্তির জন্য সমবেত ভাবে জানাযার ছালাতের মাধ্যমে আল্লাহর নামে সসম্মানে কবরে শুইয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার কবরকে ও তার দেহকে অসম্মান করতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে 'মৃতের হাড্ডি ভাঙ্গা জীবিতের হাড্ডি ভাঙ্গার ন্যায়' (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৭১৪ )। এমতাবস্থায় মৃত্যুর তিন ঘণ্টার মধ্যে তার চোখ তুলে নেওয়া, ছয় ঘণ্টার মধ্যে কিডনী কেটে নেওয়া বা এমনিভাবে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটা-ছেঁড়া করা মৃতের প্রতি সম্মানের পরিপন্থী। তাছাড়া মানবদেহের মূল মালিক আল্লাহ। অতএব কোন ব্যক্তির অধিকার নেই যে, আল্লাহর তৈরী দেহকে সে যথেচ্ছ ব্যবহারে দান করে দেবে। এক্ষণে যরূরী কোন রোগজীবাণু পরীক্ষা বা মানবতার কল্যাণে শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের স্বার্থে যথাযথ দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সীমিত ক্ষেত্রে এটা করা যেতে পারে (লাজনা দায়েমা )। ঢালাওভাবে কখনোই নয়। নইলে মানবদেহ এক সময় ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হবে। তখন জীবন্ত মানুষকে হত্যা করে এই নিকৃষ্ট ব্যবসা চালানো হবে। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন!
 
মরোনোত্তর চক্ষু দান বা কোনো বিশেষ অঙ্গ দান করা ধর্মীয়ভাবে সরাসরি নিষিদ্ধ নয়। আবার এই ধরনের কর্মকান্ডকে উৎসাহিতও করা হয়নি। এখানে যেটা সবার আগে বিবেচনা করতে হবে সেটা হলো, এই দানে যদি মৃত ব্যাক্তি তার জীবদ্দশায় কোনো প্রকার আপত্তি কিংবা অনাস্থা না করে থাকেন এবং পাশাপাশি নিজের কোনো একটা অঙ্গ কিংবা একাধিক অঙ্গ এমন কোনো কাজে দান করার অনুমতি বা ইচ্ছা পোষণ করেন যাতে পুরো মানব সমাজ উপকৃত হয়, তবেই সেক্ষেত্রে মৃত ব্যাক্তির অঙ্গ দান বৈধ হবে। অন্যথায় কোনোভাবেই মৃত ব্যাক্তির কোনো একটি অঙ্গও কখনো দান করা যাবে না। সেটি কোনো মহৎ কাজের জন্য হলেও সেটা বৈধ হবে না। ইসলামে মৃত ব্যাক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের যে নির্দেশনা রয়েছে তাতে ব্যত্যয় ঘটে এমন কোনো কার্য্যক্রমে কেউ উৎসাহ প্রদান করলে বরং সেটি ধর্মীয়ভাবে অন্যায় কাজ হিসাবে বিবেচিত হবে।
 

QA-034

প্রশ্ন : মসজিদের সামনে আরবীতে 'লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' লেখা এবং মিম্বরে টাইল্স বসানো যাবে কি?

উত্তর: মসজিদের মেহরাব বা দেওয়ালে উক্ত বাক্য কিংবা পবিত্র কুরআনের কোন আয়াত লেখা যাবে না। অনুরূপভাবে কারুকার্য খচিত টাইল্সও বসানো যাবে না। এগুলো ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/'৭৫৭-৫৯ )।
 
নিজের বিকাশ যথেষ্ঠ হয়েছে তাই নীতি নৈতিকতা শিখার জন্য ১৪০০ বছর আগে ফিরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন দেখিনা
 

Users who are viewing this thread

Back
Top