What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (4 Viewers)

এখানে উত্তর কে দেন ?

কেউ না !
আসলে এখানে প্রশ্ন করার সুযোগই নেই।
বিষয়টা থ্রেডের শুরুতেই পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছিলো...
বড়জোর আপনার মনের ভিতরে থাকা কোনো প্রশ্নের সাথে এখানে দেয়া উত্তরগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন।
আর এখানে উপস্থাপন করা প্রশ্ন-উত্তর থেকে কিছু জেনে নিতে পারেন...
থ্রেড ভিজিট আর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
মসজিদ বা এই ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মানুষ কেনো দান খয়রাত করে ? নিশ্চয়ই সাওয়াবের আশায় ! সাওয়াবের আশায় মানেই হলো দানকারীর দানের বিনিময়ে মহান রাব্বুল আলামীন তাকে দুনিয়াবী কিংবা পারলৌকিক সুবিধা দিবেন। সেই সাথে দানকারী মহান রবের নৈকট্য অর্জন করবে। এখন দান করার পর যদি কোনো কারনে সে দান ফিরিয়ে নেয়া হয় তবে কি আল্লাহ প্রদত্ত সুবিধা তথা আল্লাহর নৈকট্য থেকেও সে সরে আসবে ? নিশ্চয় এরকম কোনো কিছু দানকারী কামনা করবে না। যদি না করে তবে কি করে তার করে যাওয়া দান আবার সে ফেরত চাইতে পারে ? আর সবথেকে বড় কথা যখন কোনো দানের সাথে কোনো শর্ত জড়িত থাকে না শুধু সাওয়াব পাওয়া ছাড়া তখন কোনো মতেই সে দানের অন্য কিছু প্রতিদান আশা করা যায় না। দান মানেই হলো স্বত্ব ত্যাগ করে নিঃস্বত্ববান হওয়া। সেক্ষেত্রে তার করা দানের পরবর্তী কি অবস্থা হয় সেটি দেখা কোনো মতেই দানকারীর শর্তের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা।
মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করা ভূমিতে যদি কোনো কারনে মসজিদ নির্মাণ নাও হয়, তথাপিও দানকারীর দানটি মসজিদ নির্মাণের দান হিসাবেই আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবে। আর সে কারনেই মসজিদ নির্মাণের পর যদি সে মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নেয়াও হয় তাতে দাতার সাওয়াব কমে যাবে না। বরং যেখানে মসজিদ পূণঃনির্মাণ হয়েছে সেখানেও তার সেই দান অক্ষত থাকবে। অন্তত সাওয়াবের তাতে কোনো তারতম্য হবে না !
 
QA-037

প্রশ্ন : দ্বীনে হানীফ কাকে বলে
? ইবরাহীম (আঃ )-এর দ্বীনের নাম কী ছিল? উম্মী বলে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে ?

উত্তর: যে ব্যক্তি অন্য সব দ্বীন থেকে বিমুখ হয়ে সত্য দ্বীনের দিকে অগ্রসর হয় তাকেই হানীফ বলে। আবার একনিষ্ঠ এবং এক আল্ল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে এমন ব্যক্তিকেও হানীফ বলে। এছাড়া আল্লাহর নির্দেশাবলী মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে যে নিজেকে সমর্পণ করে তাকেইও হানীফ বলা হয়। অতএব সহজ সরল সত্য দ্বীনই হচ্ছে দ্বীনে হানীফ। আল্ল্লাহ্ বলেন, 'তিনি (ইবরাহীম) ছিলেন হানীফ মুসলিম' (আলে ইমরান ৬৭)। অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও আত্মসমর্পিত। অতএব তাঁরও দ্বীনের নাম ছিল ইসলাম। তবে কুরাইশদের মধ্যে এটা 'দ্বীনে হানীফ' নামে পরিচিত ছিল। কুরাইশরা নিজেদেরকে 'বনু ইবরাহীম' বলত (আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃ: ৩৯)। 'উম্মী' অর্থ নিরক্ষর। এ শব্দের দ্বারা যদি উম্মী নবী উদ্দেশ্য হয়, তাহ'লে এর অর্থ হবে আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ )। কারণ তিনি লিখতে বা পড়তে পারতেন না। এ ছিল এক মু'জিযা। কারণ তাঁকেই আল্ল্লাহ্ আয়াত পাঠকারী এবং কুরআন ও সুন্নাহর শিক্ষা দানকারী বানিয়ে দেন (আলে ইমরান ১৬৪; জুম'আহ্ ২)। আর যদি 'উম্মীঈন' বুঝানো হয়, তাহ'লে এর দ্বারা তৎকালীন আরবদেরকে ও বিশেষ করে কুরায়েশদেরকে বুঝানো হয়েছে (জুম'আ ২ )।
 
অনেকেরই ধারনা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ ) কর্ত্তৃক প্রচারিত ধর্মের নাম "ইসলাম "। আর ইতিপূর্বে যেসকল নবী রাসুলগণ ধর্ম প্রচার করে গেছেন সেসব অন্য নামে তথা ইসলাম নামে ছিলো না। আসলে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান সম্বলীত পূর্বের ধর্মও ইসলাম নামেই পরিচিত ছিলো। বিশেষ করে নবী ইব্রাহীম (আঃ) কর্ত্তৃক প্রাচারীত ধর্মের নাম যে ইসলাম ছিলো সেটি তো আল্লাহ পাক পবিত্র ক্বোরআনে বলেই দিয়েছেন।
 
QA-038

প্রশ্ন
: ভাগ্য পরিবর্তনের দো'আ হিসাবে 'আল্লাহুম্মা ইন্নী আ'ঊযুবিকা মিন জাহদিল বালা-য়ে ওয়া দারকিশ শাক্বা-য়ে ওয়া সূইল ক্বাযা-য়ে' পড়া যাবে কি?

উত্তর: উক্ত দো'আটি ৪ প্রকার সংকট থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর নিকটে আশ্রয় ভিক্ষার জন্য বলা হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৪৫৭ )। তন্মধ্যে একটি হ'ল 'সূইল ক্বাযায়ে' যার অর্থ 'মন্দভাগ্য'। ভাগ্য বিধাতা আল্লাহ ইচ্ছা করলে ভাগ্যে যেকোন পরিবর্তন আনতে পারেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেন, ভাগ্য পরিবর্তন হয় না দো'আ ব্যতীত' (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪৯২৫ 'শিষ্টাচার' অধ্যায় ১৪ অনুচ্ছেদ )।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top