What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (1 Viewer)

QA-041


প্রশ্ন : ছালাতরত অবস্থায় উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করলে ছালাতের কোন ক্ষতি হয় কি?

উত্তর :
উচ্চৈঃস্বরে নয়, অনুচ্চ শব্দে অথবা মধ্যম স্বরে কাঁদবে
(আ'রাফ ৭/২০৫; ইসরা ১৭/১১০)। আর ছালাতে ক্রন্দন করা অধিক আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল লোকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, 'আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরও বৃদ্ধি পায়' (ইসরা ১৭/১০৯)। মুত্বাররিফ ইবনে শিখখীর স্বীয় পিতা হ'তে বর্ণনা করেন, আমি একদা নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট আসলাম। এমতাবস্থায় তিনি ছালাত আদায় করছিলেন এবং ফুটন্ত পানির ডেগের শব্দের ন্যায় কাঁদছিলেন। অন্য বর্ণনায় আছে, চাক্কীর শব্দের ন্যায় শব্দ করে কাঁদছিলেন (আহমাদ, আবুদাঊদ, নাসাঈ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১০০০)।
 
QA-005

প্রশ্ন: মৃত বা জীবিত কোন ব্যক্তির নামে গরু-ছাগল ছাদাক্বা করলে দাতা উক্ত গোশত খেতে পারবে কি?

উত্তর:দাতা খেতে পারবে না। কারণ ছাদাক্বা গরীব-মিসকীনদের হক্ব। তাদের মাঝেই তা বণ্টন করে দিতে হবে। (তওবা ৬০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৪)
কুরবানীর সময় তো খাওয়া হয় দেওয়া হয়। সেটা কি জায়েয?
 
কুরবানীর সময় তো খাওয়া হয় দেওয়া হয়। সেটা কি জায়েয?

ক্বুরবানী আর ছদক্বা এক জিনিষ নয়।
ক্বুরবানীর গোশত খাওয়াতে নিষেধ নেই। কিন্তু মৃত ব্যাক্তির নামে যদি ছদক্বা করা হয় তবে সে গোস্ত খাওয়া জায়েজ নেই।
 
ইদানিং কিছু কিছু লোককে নামাযে উচ্চস্বরে কাঁদতে দেখা যায়। বিশেষ করে কোনো এক পীরের মুরিদদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বেশ পরিলক্ষিত হয়। এমনও হয় যে মাঝে মধ্যে নামাযে বেশ উচ্চস্বরে চিতকার দিয়ে উঠেন। অনেকেই এটাকে খোদাভীরুতা হিসাবে মূল্যায়ন করেন। আদতে এরকম করা কোনোভাবেই খোদাভীরুতার প্রকাশ নয়। বরং নামাযে নিচুস্বরে ক্রন্দন করাকে খোদাভীরুতা বলে। নবী (সাঃ) ও সাহাবীদের আমল দ্বারা এটাই প্রমানীত। নামাযে উচ্চস্বরে চিৎকার করা কিংবা বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি করা নামাযের সম্মান বিনষ্ঠ করারই নামান্তর।
 
QA-042

প্রশ্ন : অনেক ইসলামী সঙ্গীত সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন গানের সুর ও ছন্দ নকল করে গাওয়া হয়। এরূপ নকলে কোন বাধা আছে কি? –

উত্তর :
নিজস্ব সুরে ইসলামী গান গাওয়াই বাঞ্ছনীয়। এছাড়া পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ধর্মীয় কথা বা অশ্লীলতামুক্ত যে কোন কথা ছন্দাকারে গাওয়া জায়েয। এতে যদি কারু সুরের সাদৃশ্য হয়ে যায়, তাতে কোন দোষ নেই। দেখার বিষয় হ’ল গানের কথা ও মর্ম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘এটি হ’ল কথা। এর সুন্দরটি সুন্দর এবং মন্দটি মন্দ’ (দারাকুৎনী হা/৪৩৫৯ সনদ হাসান; মিশকাত হা/৪৮০৭)। বনু কুরায়যার যুদ্ধের দিন নবী করীম (ছাঃ) কবি হাস্সান বিন ছাবিত (রাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘হাস্সান! তুমি আমার পক্ষ থেকে কাফেরদের প্রতি ব্যঙ্গ কবিতা বল’। তিনি আরো বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি হাস্সানকে কাফেরদের জবাব দেওয়ার জন্য জিবরীল-এর মাধ্যমে তাকে শক্তিশালী কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৭৮৯, ‘বক্তৃতা প্রদান ও কবিতা বলা’ অনুচ্ছেদ)। হাস্সান বিন ছাবিতের কবিতা আবৃত্তির জন্য মসজিদে নববীতে একটি মিম্বর রাখা হয়েছিল যার উপর দাঁড়িয়ে তিনি কবিতা বলতেন’ (বুখারী, মিশকাত হা/৪৮০৫; ‘মসজিদে কবিতা আবৃত্তি’)।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top