থ্রেডের শুরুতেই বিষয়টার নিষ্পত্তি করে নিয়েছিলাম। এটা কোনো ধর্মীয় প্রশ্নোত্তরের থ্রেড নয়। বরং ইতিমধ্যেই মীমাংসা হয়ে গেছে এমন কিছু প্রশ্নোত্তর আমার হাতে থাকায় সেগুলো এখানে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে মাত্র। অতএব আপনার করা প্রশ্নের জবাবটি এখানে দেয়া যাচ্ছে না, মামা। থ্রেড ভিজিট আর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।
এখন প্রায় সব মসজিদেই দেখা যায় মসজিদের সামনের দেয়ালে বিশেষ করে মিহরাবের উপরের অংশে বা পাশে কোরআনুল কারীমের বিভিন্ন আয়াতের ক্যালিওগ্রাফী কিংবা সরল আয়াত সম্বলীত টাইলস সংযোজন করা হয়। আয়াত না থাকলেও মিহরাবের একপাশে আল্লাহু ও অপর পাশে মুহাম্মদ লেখা আরবী নকশা লিপিবদ্ধ কিংবা ডিজাইন করা টাইলস লাগানো থাকে। যেটা অনেক কারনেই ঠিক নয়। তম্মধ্যে নামাযের একাগ্রতা বিনষ্ট হওয়া একটা অন্যতম কারন। তাছাড়া আল্লাহু আর মুহাম্মদ পাশাপাশি এভাবে লেখা যাবে কিনা সে ব্যাপারেও আলেমদের মাঝে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়ে গেছে। এমতাবস্থায় মসজিদের সামনের দেয়ালে কোনো কিছু লিপিবদ্ধ না করে সে দেয়ালটি সাদামাঠা রাখাই সব থেকে উত্তম।
উত্তরঃ সামাজিক স্বার্থে মসজিদে খাটিয়া রাখা যায়। এর দ্বারা মৃত্যুকে স্মরণ হয়। যেহেতু মসজিদে খাওয়া-দাওয়া, অবস্থান করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সেহেতু খাটিয়া রাখা যেতে পারে (ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৩০০; বুখারী হা/৪৪০ )। তবে মসজিদের পবিত্রতা ও মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মৃত ব্যাক্তি বহনকারী খাটিয়া মসজিদে থাকবে এটাই স্বাভাবিক বলে আমরা অনেকেই মনে করি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো কোনো মসজিদে এই খাটিয়া না দেখলে কি যেনো নেই বা কিসের যেনো বড় একটা অভাব বোধও হয়। যদিও মসজিদে খাটিয়া রাখা নাজায়েজ কোনো ব্যাপার নয়, তথাপিও এই খাটিয়া এমন কোনো জায়গায় রাখা উচিৎ জবে না, যেখানে কখনো নামায আদায় হয়েছে কিংবা প্রয়োজনে নামায আদায় করতে হয়। ভালো হয়, মসজিদের আদাব রক্ষা করে খাটিয়াটা এমন এক জায়গায় রাখা যেখানে সবার নজর পড়ে কিন্তু নামাযের কোন স্থান দখল না করে। যেমন দোতলা কিংবা পাকা মসজিদ হলে সিঁড়ির নিচের অংশে বা পাশে। আর কাঁচা মসজিদ হলে একপাশে টিনের চালার সাথে মাচার মতো করে বেঁধে রাখলে ভালো হয় !
প্রশ্ন : মসজিদ নির্মাণের জন্য জনৈক ব্যক্তি মসজিদে জমি দান করেছেন। কিন্তু জমির দলীলের শেষে লিখা আছে, আল্লাহ না করুন যদি মসজিদ ঘরটি ভেঙ্গে যায় বা অন্যত্রে স্থানান্তরিত করা হয় তাহ'লে উক্ত জমি মালিকের নামে বর্তাবে। এভাবে জমি দান করা কি শরী'আত সম্মত?
উত্তর: এভাবে জমি ওয়াকফ্ হবে না। ওয়াকফকারীর শুধু অভিভাকত্ব চলবে। এছাড়া আর কোন শর্ত চলবে না। বিশেষভাবে মসজিদের নামে যা ওয়াকফ্ করা হয় তা শুধু মসজিদের কাজেই ব্যয় করতে হবে। কোন মসজিদ অনাবাদ হলে বা মসজিদের সম্পদ ব্যয় করার খাত না থাকলে অন্য মসজিদে নিয়ে যেতে হবে (ফিক্হ সুন্নাহ 'ওয়াক্ফ' অধ্যায় ৩/৩৮৫ )। কাজেই ওয়াক্ফ কৃত সম্পদ মালিকের কাছে ফিরে যাবে না।