২৭ নাম্বার প্রশ্ন-উত্তরটি ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সাওয়াল জওয়াব। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু জুম'আর খুতবা শোনানোর প্রেক্ষিতেই নয়, বরং বর্তমান সময়ে ওয়াজ নসীহতের নামে যেভাবে যত্রতত্র মাইকের ব্যবহার হচ্ছে সে ব্যাপারে একটি সুনির্দিস্ট গাইডলাইন হিসাবেও হাদিসটিকে আমরা দলীল হিসাবে গ্রহণ করতে পারি। ধর্মীয় বাণী তথা ওয়াজ নসীহত কোন অবস্থায় কার কাছে কোন মাত্রায় দিতে হবে তারও একটা সুন্দর ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এই হাদিসের মাধ্যমে। আমরা প্রায়শই দেখি, এক এলাকায় ওয়াজ হলে সেটা মাইকের মাধ্যমে সমস্ত এলাকায় সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোনো কোনো সময় তার পরিধি মাইলের পর মাইল বিস্তৃত হয়ে যায়। অথচ এই বিস্তৃত এলাকায় এমন অনেক লোকই থাকতে পারে যাদের এই শব্দের কারনে অসূস্থ্যতা বেড়ে যেতে পারে। এরকম হলে এটা সাওয়াবের কাজ না হয়ে বরং গুনাহের কাজ হিসাবে গন্য হবে। তাছাড়া যতোটুকু এলাকায় এই মাইকের শব্দ যাচ্ছে সে এলাকার কতোজন লোকই বা ওয়াজ শুনছে ? যদি না শুনে তবে এতে তো বরং তাদের বিরক্তি উৎপাদন হচ্ছে। যেটা কোনো মতেই ঠিক নয়।
সুরমা লাগালে চোখের জ্যোতি বাড়ে। কথাটা আমি যখন খুব ছোট তখন থেকেই জেনে এসেছিলাম। আমার এক মামা তখন নিয়মিত চোখে সুরমা লাগাতেন। শুধু শোবার সময়েই না, বরং সব সময়ই ওনি চোখে সুরমা লাগাতেন। ইদানিং এই রীতিটা আর তেমন একটা দেখা যায় না। অবশ্য দেখা না যাবার অন্যতম একটা কারন হলো, খাঁটি সুরমা এখন আর বাজারে তেমন একটা দেখাও যায় না। যাও কিছু পাওয়া যায় অনেক বেশী দাম দিতে হয় তার জন্য। তাছাড়া ভালো মানের সুরমা না থাকায় নিন্ম মানের সুরমা ব্যবহারে অনেকেরই চোখের পাতায় সমস্যা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। মোট কথা সুরমা ব্যবহারে চোখের উপকার হয়। চোখের জ্যোতি শুধু বাড়ায়ই না, বরং এটি একটি সুন্নত হিসাবেও পরিগনিত !!