What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (3 Viewers)

যেখানে মুসলমান হিসাবে আমাদের ক্বোরআন গবেষণা করে এমন কিছু তত্ব আবিস্কার করার কথা ছিলো যা যুগান্তকারী আবিস্কার হিসাবে প্রতীয়মান হয়। সেখানে আমরা খুব সাধারন কিছু মাসয়ালা নিয়ে পড়ে আছি। অথচ, আমরা অনেকেই জানি না যে, এসব মাসয়ালার ক্ষেত্রে ইসলাম খুবই উদার। অর্থাত শরীয়তের সংবিধিবদ্ধ বিধানের বাইরে যে সকল ক্রিয়া কর্ম দ্ধারা আমাদের জীবন পরিচালিত হয়ে থাকে সেসব ক্ষেত্রে শরীয়ত একটা নির্দিস্ট ছক এঁকে দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। যেহেতু ঐসব ক্রিয়া কর্মের ব্যাপারে শরীয়তে সরাসরি কোনো বিধান নেই, তাই ছক অনুযায়ী সুবিধা মতো যেকোনো একটা বেছে নিলেই হবে। সাধারন ক্রিয়া কর্ম প্রতিপালনের জন্য বান্দাকে কোনো বাধ্য বাধকতার ভিতর দিয়ে যেতে হবে না। বরং সামাজিকভাবে অনহীতকর না হলে সেসব ক্রিয়া কর্মের ব্যাপারে ইসলামের অনুসারীগন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে।
এই নাকফুল পরিধানের বিষয়টাও অনেকটা ঐরকমই। এর জন্য শরীয়তের কোনো বিধি বিধান বিধিবদ্ধ নেই। এক্ষেত্রে সামাজিকতা কিংবা পছন্দ যে কোনোভাবেই যেটা সুবিধাজনক হবে সেটাই গ্রহণ করতে পারবে। তবে ছক অনুযায়ী মাসয়ালার ব্যাপারটা হলো, এক্ষেত্রে বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে তার স্বামীর পছন্দের ব্যাপারটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা একজন পুরুষ যেমন কখনো আল্লাহর প্রিয় হতে পারবে না, যদি না সে স্বীয় স্ত্রীর কাছে পছন্দনীয় না হয়। ঠিক একইভাবে একজন মহিলা কখনো আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় হতে পারবে না, যতোক্ষন না তার স্বামীর কাছে নিজে পছন্দনীয় না হতে পারবে। সেদিক বিবেচনা করে একজন স্ত্রীর জন্য সেটাই উত্তম যা তার স্বামী উত্তম হিসাবে গ্রহণ করে। প্রকারন্তরে একজন ভালো স্ত্রীর তাই করা উচিৎ, যা তার স্বামী পছন্দ করে কিংবা স্বামীর অনুমোদন থাকে। স্বামী যদি নাকফুল ডান নাকে দেয়া পছন্দ করে তবে সেটা ডান নাকেই দিতে হবে, আবার বাম নাকে পছন্দ করলে বাম নাকে।
 
QA-026

প্রশ্ন : আল-আক্বাইদ ফাযিল গাইডে লেখা হয়েছে যে, ইমাম আবু হানীফা (রহ ৪০ বছর ঘুমাননি। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
উত্তর: উক্ত বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়া ইমাম ছাহেব এক ওযূতে ফজর পড়েছেন ৪০ বছর যাবৎ (২) তিনি প্রতি রাক‘আতে এক খতম কুরআন পড়তেন (৩) প্রতি রাতে এশার হাযার রাক‘আত ছালাত পড়তেন (৪) যে স্থানে তাঁর মৃত্যু হয়, সে স্থানে তিনি সাত হাযার বার কুরআন খতম করেন ইত্যাদি বিষয়ে আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌভী হানাফী (রহ বলেন, ইবাদতে বাড়াবাড়ি স্রেফ বিদ‘আত। যারা এসব কথা বলে, তারা সবচেয়ে বড় বিদ‘আতী ও বড় জাহিল (দ্র: মুক্বাদ্দামা শরহে বেক্বায়াহ (দেউবন্দ ছাপা) পৃ: ৩৬-৩৭)।
 
আমরা অনেকেই তুলনা করতে যেয়ে কিংবা প্রশংসা করতে যেয়ে এমন অবস্থার সৃস্টি করে ফেলি যার ফলে সেটি তখন আর প্রশংসা থাকে না। হয়ে যায় দোষ ! এটি অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এই অজ্ঞতা বা মূর্খ্যতাকে কেন্দ্র করে বাড়াবাড়িও কম হয় না। অথচ যাকে নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি করছি এতে তার কিছু বাড়ে বলে আমার মনে হয় না। যেমন ধরুন, কারো রূপের প্রশংসা করতে যেয়ে কেউ বললো, তুমি চাঁদের চেয়েও সুন্দর। এখন এই তুলনাটা সে যার সাথে করেছে তার সম্পর্কে কতোটুকু জেনে বুঝে করেছে সেটা কিন্তু তুলনাকারীর জানা নেই। বরং যেখানে আল্লাহ নিজেই ঘোষনা দিয়েছেন যে আল্লাহ মানুষকে উত্তম অবয়ব দিয়ে সৃস্টি করেছেন। তার মানে হলো, সব থেকে উত্তম অবয়বকে আমরা না বুঝে তার চাইতেও নিন্ম মানের কোনো কিছুর সাথে তুলনা করে উপরে উঠাতে চাচ্ছি। এটা কি মূর্খ্যতা নয় ?
একই কায়দায় ইমাম আবু হানিফাকে বড় করার উদ্দেশ্যে এমন একেক তুলনা করে ফেলি যেটির কারনে এরকম একজন মহান ব্যাক্তিকে একেবারে সাধারন মানে নামিয়ে নিয়ে আসি। যেমন উল্লেখিত প্রশ্ন-উত্তর থেকে আমরা ইমাম আবু হানিফার যেসব গুনের কথা আলোচনা করে তাঁকে উপরে উঠাতে চাই সে সকল গুন যদি ইমাম আবু হানিফার সত্যিকারেই থাকতো, তবে তিনি আর মানুষ থাকতেন না। হয়ে যেতেন ফেরেস্তাদের অন্তর্গত। আর আল্লাহ মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে তৈরী করেছেন। আর সে কারনেই মানুষ সৃস্টির পর সমস্ত ফেরাস্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে তারা মানুষকে সম্মান জানিয়ে সিজদা করে। আর ফেরেস্তারাও সেটি নির্দ্ধিধায় পালন করেছিলো। শুধু ইবলিশ ব্যাতীত। আর এই কারনেই ইবলিশ লা'নত প্রাপ্ত হয়ে বেহেস্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে হয়েছিলো..
সুতরাং, এখানে আলী (রাঃ) এর সেই কথাটিই সব থেকে প্রযোজ্য, "কেউ যদি কারো প্রাপ্য থেকে কম দেয়, তবে সে কৃপণ। আর যদি বেশী দেয়, তবে সে চাটুকার "

আমাদের সবারই উচিৎ চাটুকার আর কৃপণ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। যার যে উপাধী বা তুলনা প্রাপ্য আমরা যেনো তাকে সেটাই দেই। এতেই তাঁর সম্মান বৃদ্ধি পায়, অন্যথায় তাঁকে শুধু অপমানই করা হয়...
 
QA-027

প্রশ্ন : কুরআন হেফয করার পর মুখস্থ না রাখতে পারলে গোনাহগার হবে। একথা কি ঠিক?
উত্তর: কুরআন ভুলে যাওয়া বড়ই মন্দ কাজ। চেষ্টা সত্ত্বেও যদি ভুলে যায়, তবে সে গুনাহগার হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছা বলেন, ‘তোমরা কুরআনের প্রতি যথাযথ দৃষ্টি রাখ। আল্লাহর কসম! উট যেমন বাঁধন হ’তে ছুটে চলে যায়, ‘কুরআন তার চেয়ে বেশী দ্রুত চলে যায়’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১৮৭)। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কষ্টকরভাবে কুরআন পাঠ করে, সে দ্বিগুণ ছওয়াব পায়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২১১২)। তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন ছাহেবুল কুরআনকে বলা হবে, তুমি কুরআন পড়তে থাক এবং জান্নাতে তোমার সম্মানের স্তর বৃদ্ধি করতে থাক’ (আহমাদ, মিশকাত হা/২১৩৪)। উল্লেখ্য, যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে ভুলে যাবে সে ক্বিয়ামতের দিন অঙ্গহানী অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/১৪৭৪; মিশকাত হা/২২০০)।
 
thanks for islamic solution
থ্রেড ভিজিট ও মূল্যবান রিপ্লাইয়ের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
সম্ভবত সে দিনটি খুব সন্নিকটে, যেদিন পৃথিবীতে ক্বোরআনুল কারীমের ছাপার হরফগুলো আর থাকবে না। ক্বিয়ামতের যে সকল পূর্বাভাস নবী (সাঃ) করে গেছেন তার মধ্যে ক্বোরআনুল কারীমের পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাওয়াটা অন্যতম। ইতিমধ্যেই ক্বিয়ামতের যেসকল পূর্বাভাস প্রকাশ হয়ে পড়েছে তাতে ক্বিয়ামত যে খুব বেশী দূরে নয় সেটা বলা যেতেই পারে। আর ক্বিয়ামত সন্নিকটে মানেই হলো যেকোনোদিন পৃথিবী থেকে ক্বোরআনুল কারীমের বিদায় হয়ে যাওয়া। এর সাথে সাথে অবশ্য তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়াও একটা বড় লক্ষন। যখন পৃথিবীতে আর কোনো ছাপার হরফের ক্বোরআনুল কারীমের অস্তিত্ব থাকবে না, তখন শুধু হাফেজদের সিনাতেই এর অবস্থান থাকবে। সেই হিসাবে হাফেজদের মর্যাদা বিশাল...
যদি কেউ ক্বোরানুল কারীমের হাফেজ হবার পর সেটা ইচ্ছাকৃত তথা অবহেলার কারনে ভুলে যায় তবে সেটা অনেক বড় গর্হিত কাজ বলে যে বিবেচিত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে অনিচ্ছাকৃত যদি কেউ ভুলে যায়, মানে চেস্টা থাকা সত্ত্বেও যদি একান্তই সেটা মনে না রাখতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে হয়তো সে হাফেজ এর জন্য বড় ধরনের কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। তবে যত্নশীল না হবার কারনে নিশ্চয়ই এর জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশে যারা হিফজ বিভাগে পড়ে তাদের অনেকেই পূর্ণাংগ হাফেজ হবার আগেই তাদের পড়ার আগ্রহ কিংবা মনোসংযোগের বিচ্যুতি ঘটে। যার ফলে বেশীরভাগ ছাত্রেরই শেষ পর্যন্ত হাফেজ হয়ে উঠা সম্ভব হয় না। এরপর যখন পূর্নাংগ হাফেজ হয়ে যায় তখন আরেকবার শয়তানের প্ররোচনায় অবহেলার মুখোমুখি হতে হয়। সেটা কাটিয়ে উঠার পর নিয়মিত চর্চ্চা করলে আস্তে আস্তে শয়তান পিছু হটতে শুরু করে। সেই চর্চাটা যদি কোনো হাফেজ ধরে রাখতে পারে, তবেই শেষ পর্যন্ত সে সফলকাম হয়। যদিও এর সাথে নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় তথা চারিত্রিক পদস্খলন জনিত সাবধানতা অবলম্বন করা অতীব জরুরী...
 
QA-027

প্রশ্ন : মহিলাদেরকে জুম‘আর খুৎবা শুনানোর জন্য মসজিদের ছাদে মাইক দেয়া যাবে কি?
উত্তর: মহিলারা মসজিদের ছাদে থাকলে ছাদে মাইক ব্যবহার করতে পারে। তবে পাড়া-প্রতিবেশী মহিলাদেরকে জুম‘আর খুৎবা শুনানোর জন্য মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ তারা অমনোযোগী থাকে। আর এমন অবস্থায় কাউকে কুরআন-হাদীছ শুনানো ঠিক নয়। ইকরিমা থেকে বর্ণিত, ইবনু আববাস (রাঃ ) বলেন, প্রত্যেক জুম‘আর দিন মানুষকে নছীহত কর। যদি তারা বেশী আগ্রহী হয় তাহলে সপ্তাহে দু’বার। এর অধিক চাইলে তিনবার। কুরআনকে মানুষের বিরক্তির মাধ্যম কর না। মানুষের ব্যস্ততার সময় মানুষকে নছীহত কর না। এতে তাদের কথার বিঘ্ন ঘটে ও তাদের বিরক্তি আসে। বরং চুপ থাক। অত:পর যখন তারা আগ্রহ প্রকাশ করবে তখন তাদের নছীহত শুনাবে (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২)।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top