What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (1 Viewer)

আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগছে মামা...
আপনার এই প্রচেষ্টা অনেকেরই উপকারে আসবে এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিশ্চয়ই এর প্রতিদান আপনাকে দিবেন, ইনশাআল্লাহ...
অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
আমাদের সমাজে অনেকেরই এমন ধারনা আছে যে কোনো মূমর্ষ রোগীর কাছে যদি দোয়া চাওয়া হয় আর ঐ রুগী যদি তার জন্য দোয়া করে তবে সেটা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যাবে। কেননা মূমর্ষ রুগী ফেরেস্তা সমতূল্য। ফেরেস্তাদের যেমন সব দোয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কবুল করে নেন, ঠিক একইভাবে সেই রোগীর দোয়াও কবুল করে নিবেন। কোনো কোনো তথাকথিত আলেমও এই কথার স্বপক্ষে মত দিয়ে থাকেন। কিংবা ঐ আলেমদের কেউ কেউ এটা হাদিস সম্মত বলেও রায় দিয়ে দেন। যার আসলে কোনো ভিত্তি নেই। খুব স্বাভাবিক কারনেই এই কথাটা সাব্যস্ত হবার পক্ষে শরীয়তের কোন ভিত্তি এমনকি ইঙ্গিতও কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এটা তো খুব সাধারন জ্ঞানের একটা বিষয় যে, একজন মূমর্ষ রোগী যেখানে নিজের জন্য দোয়া করার ফুরসৎই পাচ্ছেন না, সেখানে অন্যের জন্য কিভাবে দোয়া করতে পারেন !!
তবে হ্যাঁ, রোগীর যদি বাহ্যিক জ্ঞান ঠিক থাকে, তবে স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা যেমন একে অপরের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি সেভাবে তার কাছেও চাইতে পারি। সেক্ষেত্রে এই যাঞ্চাটা একজন মুসলমান অপর মুসলমানের কাছে দোয়া প্রার্থনারই শামিল হবে। এতে বাড়তি কোনো মর্যাদা বা বিশেষত্ব থাকবে না। মনে রাখতে হবে ইসলাম ধর্মকে আমাদের জন্য খুব সহজ করে দেয়া হয়েছে। এর প্রতিটি বিধান যাতে আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারি সে জন্যই এতো সহজ করে দেয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা (কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু কিছু আলেম) বিভিন্ন মতবাদকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে এই সহজ পদ্ধতিগুলো কঠিন করে তুলি...
 
QA-024

প্রশ্ন : বদ নযর থেকে বাঁচার জন্য সন্তানের কপালে কাল টিপ দেওয়া যাবে কি? এটা সন্তানের কোন উপকার করতে পারে কি?

উত্তর: বদ নযর থেকে রক্ষার জন্য উক্ত টিপ দিলে সেটা শিরকের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। বদ নযর লাগলে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ঝাড়-ফুঁক দিতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫২৬, ৪৫২৮)।
 
টাইটেল দেখে অনেকেই মনে করতে পারেন, এটা মনে হয় ইসলাম ধর্মবিষয়ক প্রশ্ন-উত্তরের কোনো লাইভ থ্রেড। আসলে ঠিক তা নয়। প্রশ্ন-উত্তরের থ্রেড এটা ঠিক আছে, কিন্তু এখানে প্রদত্ত সকল প্রশ্ন এবং উত্তর ইতিপূর্বেই মীমাংসা করা হয়ে গেছে। সুতরাং, এখান থেকে আমরা শুধু আমাদের মনে জাগা প্রশ্নের সাথে উত্তরগুলো মিলিয়ে নেবো। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশন ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের আপামর জনগণ কর্তৃক করা প্রশ্নের ক্বোরআন ও সহিহ হাদিস দ্ধারা দেয় জবাবের একটা সংকলন আমার হাতে থাকার প্রেক্ষিতে সেটা সবার সাথে ভাগ করার নিমিত্তেই এখানে এই থ্রেডটা পেশ করা হলো।
আমিও তাই ভেবেছিলাম। এখন ভুল ভাংলো। ধন্যবাদ এই ধরনের থ্রেড খোলাম জন্য
 
আমিও তাই ভেবেছিলাম। এখন ভুল ভাংলো। ধন্যবাদ এই ধরনের থ্রেড খোলাম জন্য
থ্রেডটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
আমাদের সমাজে এটা খুব নিয়মিতই দেখা যায়। ছোট বাচ্চাদের কপালে কালো রংয়ের টিপ পড়িয়ে দিচ্ছে তাদের মা বা অভিবাবকরা। কেনো টিপ পড়িয়ে দিচ্ছে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে বেশীরভাগ লোকই বলে বাচ্চাকে বদ নজর থেকে রক্ষা করার জন্য এই প্রয়াস। খুব সাধারনভাবে ভাবলেও এই কথার কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না, কুসংস্কার কিংবা পূর্বে থেকে প্রচলীত রীতি ছাড়া। আর গভীর ভাবে ভাবলে কিংবা এই ব্যাপারে তাত্বিক বিশ্লেষণ করলে তো এর কোনো মানেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। একটা কালো টিপ কোনোভাবেই কারোর রক্ষাকবচ হতে পারে না। না আছে এতে কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আর না আছে ধর্মীয় ভিত্তি। অথচ তারপরেও দিনের পর দিন আমরা এই ধরনের একটা কুসংস্কার নিজেদের সমাজে চর্চ্চা করে যাচ্ছি। গ্রামের অশিক্ষীত লোকেদের মাঝে এর প্রচলন বেশী বলে গ্রামে এর বিস্তারও বেশী। অধুনা শহরে এর প্রচলন তুলনামূলক কম হলেও কেউ কেউ সেই পুরনো ধ্যান ধারনার এই প্রচলিত রীতি থেকে নিজেদের মুক্ত করতে চান না। তাদের ধারনা টিপের কারনে শিশুদের ভালো কিছু না হলেই কি পুর্বপুরুষরা এটা চর্চ্চা করে গেছেন ? আবার কেউ কেউ মনে করেন, জগতে এমন কিছু ঘটনা আছে যার কোনো বৈজ্ঞানিক কিংবা ধর্মীয় ব্যাখ্যা নেই। ব্যাখ্যা না থাকলেও তাতে উপকার আছে। আর টিপ হলো সেই ধরনের একটা বিষয়। যার কোনো ব্যাখ্যা নেই, কিন্তু উপকার আছে। আর সে জন্যই শিশুদের কপালে টিপ পড়িয়ে দেবার পক্ষপাতি তারা। অতি সম্প্রতি এই ধরনের কুসংস্কারের বিপক্ষে ধর্মীয়ভাবে জোড়ালো বক্তব্য থাকার প্রেক্ষিতে অনেকেই আবার কপালের সেই টিপ শিশুদের কানের পিছনে কিংবা পায়ের তলায়ও দিয়ে থাকেন। এযেনো লোক দেখানো ভয়েরই একটা বহিঃপ্রকাশ। শিশুর কপালে কালো টিপ দেয়া আছে এটা কেউ দেখলে যদি শিশুর বাবা-মা কিংবা সেই ফ্যামিলীকে গেঁয়ো না ভাবে সে জন্যও এই ধরনের চাতুরির আশ্রয় নেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু তাদের মনের ভিতরে বদ্ধমুল ধারনা থাকে যে এই কালো টিপ তাদের সন্তানকে সুরক্ষা দিবে। এটা মারাত্নক একটা ভুল ধারনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে যে শিরকের মতো অমার্জনীয় অপরাধ বা পাপ হচ্ছে সেটা খেয়ালই করছে না।
হিন্দু রীতির সাথে এর একটা সামঞ্জস্যতা লক্ষ করা যায়। পূর্বে সব হিন্দু রমণীরা বিয়ের পর মাথার সিঁথিতে সিঁদুর ব্যবহার করতেন ও কপালে সিঁদুরের লা টিপ দিতেন। ইদানিং অনেকেই সেই সিঁথীর সিঁদুর লাল টিপে পরিবর্তন করে কপালের মাঝখানেই শুধু দিয়ে থাকেন কিংবা মাথার মাঝ বরাবর চুলের ভিতর ছোট্ট করে সিঁদুর ব্যবহার করে থাকেন। সেই লাল টিপের অংশ হিসাবে শিশুদের কালো টিপের একটা প্রচলন হিন্দু সমাজে আগে থেকেই প্রচলীত ছিলো। কালক্রমে যেটা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের একটা অংশ হয়ে গেছে। যদিও এই ব্যাপারে হিন্দু ধর্মীয় কোনো বিধানও পাওয়া যায় না। শুধু লোকমুখে শুনে শুনে এটাকে তারা ধর্মীয় বিশ্বাসে রূপান্তরিত করে নিয়েছে মাত্র...
শিশু সন্তানদের সুরক্ষার জন্য নবী (সাঃ) থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হলো শিশুদের নানাবিধ কুদৃস্টি আর জাগতিক বিভিন্ন ব্যাপারে সুরক্ষার জন্য নির্দিস্ট কিছু দোয়া পড়ে শিশুদের ফুঁ দিতে হবে। নবী (সাঃ) তাঁর প্রিয় দৌহিত্র হাসান (রাঃ) ও হোসাইন (রাঃ) কে এই أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ. (সকল শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর হতে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি।) (বুখারী/হাঃ ৩৩৭১) দোয়াটি পড়ে ফুঁক দিতেন। শিশুদের বদ নজর থেকে বাঁচানোর এর থেকে ভালো কোনো উপায় নেই...
আমরা যেনো যাবতীয় কুসংস্কার থেকে নিজেদের রক্ষা করে ধর্মীয় বিধান মতো জীবন পরিচালনা করতে পারি, মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট এটাই প্রার্থনা !
 
QA-025

প্রশ্ন : মা হাওয়া নাকের কোন্ দিকে নাকফুল ব্যবহার করতেন? আমরা নাকের ডান দিকে নাকফুল ব্যবহার করি। কারণ রাসূল (সাঃ) সব কাজ ডান দিক থেকে করা ভালবাসতেন। আমাদের একাজ কি শরী‘আত সম্মত হচ্ছে?
উত্তর: মা হাওয়া নাকে নাকফুল ব্যবহার করেছেন কিনা তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। রাসূল (সাঃ) সব কাজ ডান দিক থেকে করতেন বলতে এই অর্থ নয় যে, নাকের ডান দিকে নাকফুল দিতে হবে; বরং সুবিধা অনুযায়ী দিবে। রাসূল (সাঃ) ডান হাতে আংটি পরতেন। প্রয়োজনে কখনো বাম হাতেও পরতেন
(আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৯১-৪৩৯২; ইরওয়া ৩/৩০১)।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top