আমাদের দেশে ইদানিং এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করতে প্রায়শঃই দেখা যায়। বিশেষ করে যারা কীর্তিমান তাদের ক্ষেত্রে এটা এখন অনেকটা রীতি হয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয়ভাবে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা না থাকার প্রেক্ষিতে এই ধারা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। লেখক, নেতা, থেকে নিয়ে উচ্চবিত্ত অনেকেই এটাকে ভালোকাজের একটা অংশ হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ স্ত্রীর কবরে স্বামীকে, আবার স্বামীর কবরে স্ত্রীকে সমাহিত করে এটাকে ভালোবাসার নিদর্শন হিসাবেও প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাচ্ছেন। অথচ, একই কবরে তখনই একাধিক লাশ দাফন করার কথা যখন জরুরী প্রয়োজন দেখা দেয়। যেমন ইসলামের শুরুর দিকে ওহোদের যুদ্ধে জরুরী প্রয়োজনে সেটা করা হয়েছিলো। এখন সেই জরুরী অবস্থাটা যদি স্বাভাবিক অবস্থায়ও আমরা প্রয়োগ করি, তবে সেটা কতোটা যুক্তিযুক্ত হবে, কিংবা আদৌ যুক্তিসঙ্গত হবে কিনা সেটা অমীমাংসিত একটা বিষয় হিসাবেই আমাদের সামনে ঝুলে রয়েছে। এটা তো ঠিক যে, জরুরী অবস্থা আর স্বাভাবিক অবস্থা এক নয় !
বিশ্বনবী এমন কিছু কাজ করে গেছেন বা দেখিয়ে গেছেন যা মনেহয় আজকের বা আমাদের এই সময়ের জন্যই করেছেন। আমাদের দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে আজ ঢাকায় বা তার আশেপাশের কবরস্থান গুলো একবার, দুইবার বা তারো বেশি বার ভরাট করে কবর দেয়া হচ্ছে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না বলে। আমাদের গ্রামের মত জায়গাতেও দেখি কবরের উপর কবর দেয়া হয়ে গেছে। আমরা যতই বিগড়ে যাই না কেন, বিপদে যখন পড়ি তখন ঠিকই আল্লাহ আল্লাহ করি আর মহানবীর দেখানো পথ খুঁজি ফাক ফোকর বের করার জন্য। আজ যখন জমির মুল্য আকাশচুম্বী তখন ভালবাসা খুঁজি স্বামীর কবরে ঠাই নেবার কথা ভাবি। আর যখন পকেটে অঢেল পয়সা থাকে তখন গোরস্থান কমিটির বিধি নিষেধ অমান্য করে মুল্যবান পাথর দিয়ে স্ত্রীর কবর মোজাইক করি। যাহোক এসব কথা বলে বিভ্রান্ত না করি, বরং প্রত্যেকটি হাদিস অনুসরণ করি দুনিয়ার জীবন সহজ আর আখেরী বিচার থেকে নিস্তার লাভ করি। সুন্দর এই থ্রেডটি কন্টিনিউ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।