What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (2 Viewers)

আমাদের দেশে ইদানিং এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করতে প্রায়শঃই দেখা যায়। বিশেষ করে যারা কীর্তিমান তাদের ক্ষেত্রে এটা এখন অনেকটা রীতি হয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয়ভাবে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা না থাকার প্রেক্ষিতে এই ধারা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। লেখক, নেতা, থেকে নিয়ে উচ্চবিত্ত অনেকেই এটাকে ভালোকাজের একটা অংশ হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ স্ত্রীর কবরে স্বামীকে, আবার স্বামীর কবরে স্ত্রীকে সমাহিত করে এটাকে ভালোবাসার নিদর্শন হিসাবেও প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাচ্ছেন। অথচ, একই কবরে তখনই একাধিক লাশ দাফন করার কথা যখন জরুরী প্রয়োজন দেখা দেয়। যেমন ইসলামের শুরুর দিকে ওহোদের যুদ্ধে জরুরী প্রয়োজনে সেটা করা হয়েছিলো। এখন সেই জরুরী অবস্থাটা যদি স্বাভাবিক অবস্থায়ও আমরা প্রয়োগ করি, তবে সেটা কতোটা যুক্তিযুক্ত হবে, কিংবা আদৌ যুক্তিসঙ্গত হবে কিনা সেটা অমীমাংসিত একটা বিষয় হিসাবেই আমাদের সামনে ঝুলে রয়েছে। এটা তো ঠিক যে, জরুরী অবস্থা আর স্বাভাবিক অবস্থা এক নয় !
বিশ্বনবী এমন কিছু কাজ করে গেছেন বা দেখিয়ে গেছেন যা মনেহয় আজকের বা আমাদের এই সময়ের জন্যই করেছেন। আমাদের দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে আজ ঢাকায় বা তার আশেপাশের কবরস্থান গুলো একবার, দুইবার বা তারো বেশি বার ভরাট করে কবর দেয়া হচ্ছে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না বলে। আমাদের গ্রামের মত জায়গাতেও দেখি কবরের উপর কবর দেয়া হয়ে গেছে। আমরা যতই বিগড়ে যাই না কেন, বিপদে যখন পড়ি তখন ঠিকই আল্লাহ আল্লাহ করি আর মহানবীর দেখানো পথ খুঁজি ফাক ফোকর বের করার জন্য। আজ যখন জমির মুল্য আকাশচুম্বী তখন ভালবাসা খুঁজি স্বামীর কবরে ঠাই নেবার কথা ভাবি। আর যখন পকেটে অঢেল পয়সা থাকে তখন গোরস্থান কমিটির বিধি নিষেধ অমান্য করে মুল্যবান পাথর দিয়ে স্ত্রীর কবর মোজাইক করি। যাহোক এসব কথা বলে বিভ্রান্ত না করি, বরং প্রত্যেকটি হাদিস অনুসরণ করি দুনিয়ার জীবন সহজ আর আখেরী বিচার থেকে নিস্তার লাভ করি। সুন্দর এই থ্রেডটি কন্টিনিউ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
 
বিশ্বনবী এমন কিছু কাজ করে গেছেন বা দেখিয়ে গেছেন যা মনেহয় আজকের বা আমাদের এই সময়ের জন্যই করেছেন। আমাদের দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে আজ ঢাকায় বা তার আশেপাশের কবরস্থান গুলো একবার, দুইবার বা তারো বেশি বার ভরাট করে কবর দেয়া হচ্ছে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না বলে। আমাদের গ্রামের মত জায়গাতেও দেখি কবরের উপর কবর দেয়া হয়ে গেছে। আমরা যতই বিগড়ে যাই না কেন, বিপদে যখন পড়ি তখন ঠিকই আল্লাহ আল্লাহ করি আর মহানবীর দেখানো পথ খুঁজি ফাক ফোকর বের করার জন্য। আজ যখন জমির মুল্য আকাশচুম্বী তখন ভালবাসা খুঁজি স্বামীর কবরে ঠাই নেবার কথা ভাবি। আর যখন পকেটে অঢেল পয়সা থাকে তখন গোরস্থান কমিটির বিধি নিষেধ অমান্য করে মুল্যবান পাথর দিয়ে স্ত্রীর কবর মোজাইক করি। যাহোক এসব কথা বলে বিভ্রান্ত না করি, বরং প্রত্যেকটি হাদিস অনুসরণ করি দুনিয়ার জীবন সহজ আর আখেরী বিচার থেকে নিস্তার লাভ করি। সুন্দর এই থ্রেডটি কন্টিনিউ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

কবরের জন্য স্থান সংকুলান না হওয়াটা একটা ওজর... আর ধর্মে ওজরের কোনো মাসআলা নেই। সুতরাং যদি ওজর থাকে তবে এক কবরের জায়গায় হাজারটাও কবর দেয়া যাবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। নেই কোনো ধর্মীয় বিধি-নিষেধও। কিন্তু কেউ যদি নিদর্শন স্থাপনের জন্য এই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে সেটা স্বাভাবিকের আওতায় কিছুতেই ফেলা যাবে না !
সুন্দর মন্তব্যের জন্য মামাকে অনেক ধন্যবাদ !
 
ইদানিং চারিদিকে দরুদের বেশ রমরমা অবস্থা ! বিভিন্ন ধরনের দরুদে দ্যাশ সয়লাব। আর সেই সব দরুদের কতো রকম সূর যে আছে তার কোনো ইয়াত্তা নেই। আমাদের ধর্মে দরুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। যখনই নবী (সাঃ) এর নাম উচ্চারিত হবে তখনই যেনো দরুদ পাঠ করা হয় সেই ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া দরুদ পাঠের জন্য বিশেষ আবশ্যকীয় সময়ও নির্দ্ধারন করে দেয়া আছে। যদিও দরুদ যেকোনো সময়ই পাঠ করা যায়, তথাপিও ঐ বিশেষ সময়ে দরুদ পাঠ করার ব্যাপারে নির্দেশ করা হয়েছে। যেমন আযানের পর যেনো দরুদ পাঠ করা হয় সেই ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া আছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন কিছু মসজিদ দেখা যায় যারা আযান শেষের সেই দরুদ পাঠের বিষয়টি নিজেদের মনগড়া ভাবে আযানের পূর্বে টেনে এনেছে। আমি তো মনে করি এটা একটা ধৃষ্ঠতা ছাড়া আর কিছুই না।
প্রাত্যহিক জীবনে দরুদের যেমন গুরুত্ব আছে তেমনি আছে কোন দরুদ পাঠ করতে হবে তার বিবরণ। অনেক প্রকার দরুদের কথা হাদিসে উল্লেখ থাকলেও বর্তমানে বেশী প্রচলীত "ইয়া নবী সালামাইকা" , "আল্লাহুম্মা সাইয়্যেদেনা মাওলানা মুহাম্মদ" এই ধরনের দরুদের কথা হাদিসে উল্লেখ নেই। পরবর্তী সময়ে এই দরুদগুলো তৈরী করা হয়েছে। যা ধর্মে নব আবিস্কৃত হিসাবেই এই দরুদের স্থান। আর যেহেতু ধর্মে নব আবিস্কৃত কোন বিষয়ে আমল না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, তাই আমাদের উচিৎ- শুধুমাত্র যে সমস্ত দরুদ হাদিস সম্মত কিংবা হাদিস দ্ধারা স্বীকৃত সেই দরুদগুলোই যেনো পাঠ করি।
 
QA-019

প্রশ্ন : সরকারী খরচে হজ্জ করলে তার ফরযিয়াত আদায় হবে কি?

উত্তর : তার ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। কেননা হজ্জের জন্য সক্ষমতা শর্ত (আলে ইমরান ৯৭)। হজ্জের যাবতীয় খরচ সরকারের পক্ষ থেকে তার নামে বরাদ্দ করা হয়। আর তখন তিনি সেই সম্পদের মালিক হয়ে যান। অবশ্য সক্ষম মুসলিম ব্যক্তির জন্য নিজের উপার্জিত পবিত্র সম্পদ দ্বারা হজ্জ করাই উত্তম।
 
QA-020

প্রশ্নঃ যাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে, তার সাথে কি বিবাহ বৈধ?

উত্তরঃ কাউকে রক্ত দিলেই তার সাথে রক্তের সম্পর্ক কায়েম হয় না। সুতরাং তার সাথে বিবাহ বৈধ। ৫৪১ (লাজনাহে দায়েমাহ)
 
Last edited by a moderator:
উপরোক্ত আলোচনায় দুটো বিষয় আমাদের কাছে পরিষ্কার হলো।
০১. হজ্বের জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে সক্ষমতা।
এই সক্ষমতা বলতে শারীরিক এবং আর্থিক দুটোর কথাই বুঝানো হয়েছে। শুধু আর্থিক সক্ষমতা থাকলেই হবে না, যদি না হজ্বকারী ব্যাক্তির শারীরিক সক্ষমতা না থাকে। তার শারীরিক অবস্থা যদি এমন হয় যে, হজ্বকালীন সময়ে শারীরিক ত্রুটি কিংবা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারনে হজ্বের নিয়ম পদ্ধতি পালন করা তার পক্ষে সম্ভব না হয় তবে তার জন্য নিজে সশরীরে হজ্ব পালন করা আবশ্যক নয়।
আবার যদি শারীরিক পূর্ণ সক্ষমতা থাকা সত্বেও আর্থিক সঙ্গতি না থাকে, অর্থাত নিজের এই পরিমাণ অর্থ না থাকে যেটুকু হজ্বের জন্য প্রয়োজন তবে সেক্ষেত্রেও তার জন্য হজ্ব আবশ্যক নয়। সেক্ষেত্রে হজ্ব করার জন্য নিজের কাছে যদি সিংহভাগ অর্থ থাকে আর কিছু অর্হের জন্য হজ্ব করার উপায় না হয় তবে বেশীরভাগ অর্থের সাথে অন্যের কিছু অর্থ মিলিয়েও হজ্ব করা উচিৎ হবে না, যদি না অন্যের দেয়া অর্থের মালিকানা হজ্বকারী ব্যক্তির নামে করে দেয়া হয়।
এখানে সরকারী খরচে হজ্বের বৈধতা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তাতে শুধুমাত্র তখনই হজ্বকারীর হজ্ব সঠিক হবে যখন সরকার প্রদত্ত অর্থ হজ্বকারীকে নিঃশর্তভাবে দিয়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ সে অর্থে হজ্বকারী পূর্ণ মালিকানা আরোপিত হবে...

০২. হজ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো সমাধান হচ্ছে হজ্বের যাবতীয় ব্যয়ভার নিজের হালাল উপায়ে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে সমাধা করা। হজ্বের যাবতীয় ব্যয়ভার যদি নিজের উপার্জিত অর্থের মাধ্যমে নির্বাহ করা যায় সেটির কোনো বিকল্প নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেক্ষেত্রে যেনো কোনো মতেই সে অর্থের সাথে হারাম উপায়ে অর্জিত কোনো অর্থ মিশে না যায়।
 
QA-021

প্রশ্ন : পিতা-মাতাকে তুই বা তুমি বলে ডাকা যাবে কি?

উত্তর: হীনকর কোন শব্দে পিতা-মাতাকে ডাকা যাবে না। উক্ত শব্দ দু’টি সাধারণত: অসম্মানজনক সম্বোধনে ব্যবহার করা হয়। অতএব এ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। তবে ঐসব সম্বোধনে যদি পিতা-মাতা খুশী হন, তবে বলা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা পিতা-মাতার সাথে সুন্দর কথা ও উত্তম আচরণ করতে বলেছেন (লোকমান ১৫; বণী ইসরাঈল ২৩)।
 
অনেক এলাকায় পিতা-মাতাকে বিশেষ করে মাকে " তুই " বলে সম্বোধন করতে দেখা যায়। সেটা এলাকার একটা রেওয়াজ বলেই আমরা ধরে নেই। আবার এরকমও দেখা যায় যে পুরো এলাকার লোকেরা পিতা-মাতাকে আপনি বা তুমি বলে সম্বোধন করে থাকলেও কোনো পরিবারের রেওয়জ মাকে তুই বলে সম্বোধন করা। সেটাও ঐ পরিবারের জন্য ঠিক আছে, যেহেতু রেওয়াজের কারনে ঐ পরিবারের লোকেরা ছোটবেলা থেকেই এভাবে সম্বোধন করে অভ্যস্ত, তাই এটা দোষনীয় নয়। কিন্তু এমন যদি হয়, কেউ সব সময় পিতা-মাতাকে আপনি কিংবা তুমি বলে সম্বোধন করে আসছে কিন্তু কোনো এক ঘটনার প্রেক্ষিতে হঠাত করেই কিংবা মাঝে মধ্যেই তুই সম্বোধনটি চলে আসছে, তবে সেটা অবশ্যই দোষনীয় হবে। বিশেষ করে যদি পিতা-মাতা এতে মনোক্ষুন্ন হন, তবে তো বটেই। এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে, এই দুনিয়ায় আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের পর সব থেকে পূজনীয় ব্যাক্তি হচ্ছেন পিতা-মাতা। তাঁরা যেনো সন্তানদের কোনো কথা বা আচরণে কখনো কস্ট না পান। আর একজন পিতা বা মাতা সন্তানদের মুখ থেকে শ্রদ্ধা ভালোবাসা মিশ্রিত " মা " বা " বাবা " ডাক শুনতে চান। তাদের কাছ থেকে উত্তম সম্বোধন প্রত্যাশা করেন। হয়তো সামাজিকতা কিংবা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় সে কথাটি তাঁরা মুখ ফোটে বলেন না। তথাপিও একজন ভালো সন্তান হিসাবে কখনো পিতা-মাতাকে এমন সম্বোধন করা উচিৎ হবে না, যেটা তারা আশা করেন না কিংবা মনে মনে হলেও কষ্ট পান বা অসূখী হন...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top