What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (2 Viewers)

QA-022

প্রশ্ন : রেডিও-টিভিতে সম্প্রচারিত ফরয ছালাতের ইমামের অনুসরণে বাড়ীতে ছালাত আদায় করা বৈধ হবে কি?

উত্তর: বৈধ হবে না। ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয হওয়ার শর্ত হচ্ছে স্থান এক হতে হবে, কাতারগুলোকে মিলিতভাবে হ’তে হবে এবং ইমাম সম্মুখে থাকবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৩৬-৩৮)।
 
উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে প্রধানত তিনটি খটকা আছে। স্থান, কাতার আর ইমাম সামনে হওয়া। এখন এমন যদি হয় স্থান একই আছে কিন্তু মাঝে একটা রাস্তা কিংবা সরু খাল বা নালা আছে তবে কি হবে ? কাতারের ক্ষেত্রেও যদি এমন হয় কাতারের মাঝে পিলার কিংবা দেয়াল আছে তবে কি হবে ? আর ইমামের বেলায় ইমাম সামনে আছে কিনা সেটা যখন পরিস্কার না, যেমন দোতলা কিংবা ইমামের উপরে যারা অবস্থান করছে তারা নিশ্চিত না যে ইমাম সামনে আছে নাকি সমানে সমান আছে না পিছনে আছে ? সেক্ষেত্রেই বা কি বিধান ?
প্রশ্নে যদিও এই বিষয়গুলো ছিলো না, তথাপিও কারো কারো মনে এই ধরনের খটকা লাগতেই পারে। প্রশ্নে উল্লেখ না থাকার প্রেক্ষিতে স্বাভাবিক কারনেই উত্তরে তা বলা হয়নি।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর উল্লেখিত হাদিসের আলোকে আমাদের বুঝে নিতে হবে।
* স্থানের ক্ষেত্রে কখনো দুই কাতারের মাঝে বড় কোনো ফাঁক বা গ্যাপ রাখা চলবে না। যদি গ্যাপ বড় হবার কারনে মনে হয় এটা মূল অংশের সাথে বিচ্ছিন্ন কোনো জামাত, তবে সেটা বর্জনীয়... এটা কাতারের মিলের ব্যাপারে তাগিদের একটা বিষয় ধরে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে দুই কাতারের মাঝে রাস্তা কিংবা নালা থাকলে তো অবশ্যই সেটা জামাতের অংশ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
* কাতারের ব্যাপারে অন্য হাদিসে এসেছে জামাতে নামায আদায়ের সময় মুসল্লিগন যেনো একে অপরের পায়ের সাথে পা আর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ায়। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী এক মুসল্লির পা অন্য মুসল্লির পায়ের সাথে এমনভাবে লাগিয়ে দাঁড়াতে হবে যেমন ইমারত তৈরীর সময় একটা ইট আরেকটা ইটের সাথে লাগানো হয়ে থাকে। কাতারের মাঝে ফাঁক না রাখার ব্যাপারে সাবধানবাণী উচ্চারন করতে যেয়ে নবী (সাঃ) বলেছেন, কাতারবন্দি মুসল্লীদের মাঝে যদি কোন ফাঁক থেকে যায় তবে সে ফাঁকে শয়তান দাঁড়ায় আর মুসল্লির মনে ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে... অতএব, কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও আমাদের দুইজনের মাঝে কোন ফাঁক রাখা উচিৎ হবে না। সেক্ষেত্রে মাঝে যদি কোনো পিলার বা দেয়াল থাকে তবে কাতারে দাঁড়ানর সময়ই বিষয়টা মনে রাখতে হবে যেনো পিলার বা দেয়াল কাতারের কোনো বিঘ্নতা সৃস্টি করতে না পারে।

* ইমামের সামনে থাকা নিশ্চিতের ব্যাপারেও একই কথা বলা যেতে পারে। যারা দোতলা কিংবা উপরে নামায আদায় করে থাকেন, তাদের উচিৎ হবে সামনের দিক থেকে একটা কাতার ছেড়ে দিয়ে কাতার শুরু করা। কেননা অনেক সময় ইমাম সাহেব তাঁর নির্দ্ধারিত স্থানের কিছুটা পিছনে ইমামতের জন্য দাঁড়িয়ে যান। সেক্ষেত্রে হাদিসের শর্তানুযায়ী উপরের মুসল্লীদের নামায শুদ্ধ হবে না। কারন জামাতের শর্ত হচ্ছে মুসল্লীগন সব সময় ইমামের পিছনে অবস্থান করবে আগে নয় !!
 
QA-022

প্রশ্ন : ফজরের ছালাতের সময়ের এক ঘণ্টা আগে ভুলবশত: আযান দিয়ে জামা‘আত সহ ছালাত আদায় করে ভুল বুঝা যায়। ঐ ছালাত কি পুনরায় পড়তে হবে?

উত্তর: ঐ ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ উক্ত ছালাত ওয়াক্তের অনেক পূর্বেই আদায় করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করতে বলেছেন
(নিসা ১০৩)। রাসূল (সাঃ)ও নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন (মুসলিম হা/২৩৯)।
 
অনেক কিছুই আমার জানা ছিলো না, জানা হলো, শোকরিয়া...
বিষয় গুলি ভাল ভাবে বোঝার জন্য আবারো পড়তে হবে...
থ্রেডটি আরো সমৃদ্ধ হবে, এই কামনা করছি...
 
অনেক কিছুই আমার জানা ছিলো না, জানা হলো, শোকরিয়া...
বিষয় গুলি ভাল ভাবে বোঝার জন্য আবারো পড়তে হবে...
থ্রেডটি আরো সমৃদ্ধ হবে, এই কামনা করছি...

থ্রেডটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। আসলে আমাদের জীবন চলার পথে মাঝে মধ্যেই ধর্মীয় বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে এমন কিছু প্রশ্ন এসে সামনে উদয় হয় যে, এর সঠিক সমাধান তথা ক্বোরআন হাদিস ভিত্তিক সঠিক মাসয়ালা কি হবে সেটি আমাদের অনেকেরই জানা থাকে না। এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য পেতে হলে ভাল কোনো মুফতি কিংবা ইসলামী চিন্তাবিদদের স্মরনাপন্ন হতে হয়। সেক্ষেত্রেও নানা সংশয় মনে এসে ভীর করে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তরদাতা তার দেয়া মাসয়ালার উৎস উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন কিংবা আদৌ সে মাসয়ালা শরীয়তের বিধি-বিধান মোতাবেক দিতে পারেন না। বেশীরভাগ আলেমরাই ফতোয়া বা মাসয়ালার বিপরীতে রেফারেন্স চাইলে বিরক্ত হন। কেউ কেউ মনে করেন রেফারেন্স দেখতে চাবার কারনে তাদেরকে অবিশ্বাস কিংবা অপমান করা হচ্ছে। যার কারনে রেফারেন্স দিতে তারা বরাবরই অনীহা প্রকাশ করে থাকেন। ফলে খুব স্বাভাবিক কারনেই মনে একটা খটকা থেকে যায়। আমি এখানে বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া কিছু প্রশ্ন-উত্তরের সংগ্রহ থেকে স্বাভাবিক জীবনে প্রয়োগ হয় এমন কিছু প্রশ্ন-উত্তর উপস্থাপন করার প্রয়াস পেয়েছি। যেটিতে প্রকৃত রেফারেন্স সন্নিবেশিত আছে। যার প্রেক্ষিতে কারো মনে এই ধরনের সংশয় দেখা দিলে যেনো তিনি মূল গ্রন্থ থেকে বিষয়টি আরো ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন কিংবা এই ব্যাপারে সংশয় নিরসন করে নিতে পারেন।
আমার এই প্রয়াস যদি কারো ন্যুনতম কোনো উপকারে আসে তবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে এর প্রতিফল নিশ্চয়ই আমি পাবো...
থ্রেডটি নিয়মিত চালিয়ে যাবার ইচ্ছা আমার আছে। তবে সেক্ষেত্রে থ্রেডটি কারো কোনো আগ্রহের সৃস্টি করছে কিনা সেটার প্রতিও আমার দৃস্টি থাকবে।
রিপ্লাইয়ের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
উপরোল্লেখিত বিষয়টি আমাদের সমাজে আগে প্রায়ই ঘটতো। বিশেষ করে গ্রামের মসজিদ গুলোতে কিংবা বাড়িতে যারা জামাতে নাময পড়ায় অভ্যস্ত তাদের ক্ষেত্রেই বেশী ঘটতো। গ্রামের অনেকের বাড়িতেই ঘড়ি না থাকার দরুন আযান দিলেই মুসল্লীরা মসজিদ পানে ছুটে যেতো। কিন্তু মুয়াজ্জিন আসলে ভুলক্রমে ওয়াক্ত হবার আগেই আযান দিয়ে ফেলেছিলো। সেই আযানকে কেন্দ্র করে ফজরের জামাতও করে ফেলতো অনেক সময়। কিংবা বাড়ির মুরব্বী ঘুম থেকে উঠার পর ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে ভেবে অন্যান্যদের ডেকে তুলে ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে নিতো। পরবর্তীতে দেখা যেতো যে ফজরের নামায ওয়াক্ত শুরু হবার বেশ আগেই আদায় করা হয়ে গেছে। এহেন অবস্থায় সঠিক মাসয়ালা না জানার প্রেক্ষিতে অনেকেই ভেবে নিতো, নামায যেহেতু আদায় করে ফেলেছি সেহেতু সেই নামাজ আর দ্বিতীয়বার আদায় করা লাগবে না। কোনো কোনো সময় এমনও হতো, নামাজান্তে মুসল্লীরা আবার শুয়ে পড়ার ফলে আসল ওয়াক্ত শুরু হলেও তখন উঠে আবার নামাজ আদায় করা সম্ভবপর হতো না। উপরের প্রশ্ন-উত্তর থেকে এটা আমরা পরিষ্কারভাবে জানতে পারলাম যে, এরকম অবস্থায় আমাদের কি করনীয়। যেহেতু ওয়াক্ত উপস্থিত না হলে কোনো ঐ ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা হলেও সেটি ঐ ওয়াক্তের নামাজ বলে গণ্য হবে না, তাই মায়ালা হলো নামাজটি পূনঃরায় আদায় করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে পূর্বে আদায় করা নামাজটি নফল নামাজ হিসাবে গণ্য হবে।
 
QA-023

প্রশ্ন : জনৈক আলেম বলেন, কেউ যখন রোগীর নিকট যাবে তখন সে তার কাছে দো‘আ চাইবে। কারণ তার দো‘আ ফেরেশতাগণের দো‘আর ন্যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?

উত্তর: উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১০০৪; ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৫৮৮)।
 
থ্রেডটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। আসলে আমাদের জীবন চলার পথে মাঝে মধ্যেই ধর্মীয় বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে এমন কিছু প্রশ্ন এসে সামনে উদয় হয় যে, এর সঠিক সমাধান তথা ক্বোরআন হাদিস ভিত্তিক সঠিক মাসয়ালা কি হবে সেটি আমাদের অনেকেরই জানা থাকে না। এই ব্যাপারে সঠিক তথ্য পেতে হলে ভাল কোনো মুফতি কিংবা ইসলামী চিন্তাবিদদের স্মরনাপন্ন হতে হয়। সেক্ষেত্রেও নানা সংশয় মনে এসে ভীর করে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তরদাতা তার দেয়া মাসয়ালার উৎস উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন কিংবা আদৌ সে মাসয়ালা শরীয়তের বিধি-বিধান মোতাবেক দিতে পারেন না। বেশীরভাগ আলেমরাই ফতোয়া বা মাসয়ালার বিপরীতে রেফারেন্স চাইলে বিরক্ত হন। কেউ কেউ মনে করেন রেফারেন্স দেখতে চাবার কারনে তাদেরকে অবিশ্বাস কিংবা অপমান করা হচ্ছে। যার কারনে রেফারেন্স দিতে তারা বরাবরই অনীহা প্রকাশ করে থাকেন। ফলে খুব স্বাভাবিক কারনেই মনে একটা খটকা থেকে যায়। আমি এখানে বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া কিছু প্রশ্ন-উত্তরের সংগ্রহ থেকে স্বাভাবিক জীবনে প্রয়োগ হয় এমন কিছু প্রশ্ন-উত্তর উপস্থাপন করার প্রয়াস পেয়েছি। যেটিতে প্রকৃত রেফারেন্স সন্নিবেশিত আছে। যার প্রেক্ষিতে কারো মনে এই ধরনের সংশয় দেখা দিলে যেনো তিনি মূল গ্রন্থ থেকে বিষয়টি আরো ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন কিংবা এই ব্যাপারে সংশয় নিরসন করে নিতে পারেন।
আমার এই প্রয়াস যদি কারো ন্যুনতম কোনো উপকারে আসে তবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে এর প্রতিফল নিশ্চয়ই আমি পাবো...
থ্রেডটি নিয়মিত চালিয়ে যাবার ইচ্ছা আমার আছে। তবে সেক্ষেত্রে থ্রেডটি কারো কোনো আগ্রহের সৃস্টি করছে কিনা সেটার প্রতিও আমার দৃস্টি থাকবে।
রিপ্লাইয়ের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।

আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগছে মামা...
আপনার এই প্রচেষ্টা অনেকেরই উপকারে আসবে এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিশ্চয়ই এর প্রতিদান আপনাকে দিবেন, ইনশাআল্লাহ...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top