What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রশ্নোত্তরে ইসলাম (3 Viewers)

জী জনাব, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
জানি এই থ্রেডে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু,আপনি চাইলে ইনডাইরেক্টলি জবাব দিতে পারতেন। কারণ আপনি আডমিন, আপনার হাতে অনেক ক্ষমতা।

আপনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগছে। আপনি ঠিকই বলেছেন ইনডিরেক্টলী আমি হয়তো উত্তরটা দিতে পারতাম। তবে সেটা ফোরাম স্টাফ হিসাবে নয়, থ্রেড স্টার্টার হিসেবে...
আপনার প্রশ্নের জবাবে বলছি- আপনি যেটা শুনেছেন, ঠিকই শুনেছেন !
রিপ্লাইয়ের জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ !


Balo post upokare asbe sobar

Thanks a lots brother for your post

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
মা'নত ইসলাম ধর্মে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কেউ যদি আল্লাহর নামে শপথ করে ধর্মীয় বিধি মোতাবেক কোনো কিছু মা'নত করে, তবে সেটা পুরো করা তার জন্য আবশ্যক হয়ে যায়। না হলে সে ফাসেক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে নিবে। এমন অনেক সময়ই হয়ে যায়, যে বিষয়ের ব্যাপারে মা'নত করা হয়েছে ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে তার গুরুত্ব কম, কিন্তু একই সাথে এর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের ব্যাপক অভাব সামাজিক ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় মা'নতকারী ইচ্ছা করলে তার সেই মা'নত পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে- প্রথম যে মা'নতটি করেছিলেন, সেটির গুরুত্ব কি কারনে হারাচ্ছে...
উপরের উত্তরের প্রেক্ষিতে আমরা এটাই জানতে পেরেছি।
 
QA-014

প্রশ্ন : ইক্বামতের উত্তর দিতে হবে কি?

উত্তর: ইক্বামতের উত্তর দিতে হবে। কারণ আযান ও ইক্বামত দু’টিকেই হাদীছে আযান বলা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৬২)।রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেন, ‘মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও অনুরূপ বল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭; আলোচনা দ্র: আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা)। অতএব মুওয়াযযিন ইক্বামতের সময় যা বলবেন, মুক্তাদীগণ তাই বলবেন। উল্লেখ্য, ইক্বামতের সময় ‘ক্বাদ ক্বা-মাতিছ ছালাহ’-এর জবাবে ‘আক্বা-মাহাল্লা-হু ওয়া আদা-মাহা’ বলা সংক্রান্ত হাদীছটি যঈফ। সুতরাং তা বলা যাবে না; বরং ‘ক্বাদ-ক্বা-মাতিছ ছালা-হ’ বলতে হবে (আবুদাঊদ, আলবানী, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা দ্রঃ । )
 
মানুষ মরণশীল! শুধু মানুষ নয়, বরং প্রত্যেকটা সৃস্টিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীতে যতো ধর্ম আছে, তাদের প্রায় সবারই মৃত্যুর পর লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলা বা কবর দেয়ার রেয়াজ বিদ্যমান। যদিও কোনো কোনো ধর্মের লোকেরা মৃত্যুর পর লাশ অন্যভাবে সৎকার করে থাকে। তথাপিও আদি ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, তাদেরও অতীত ঐতিহ্য হচ্ছে লাশ দাফন করে ফেলা বা মাটির নিচে রেখে দেয়া। ইসলাম ধর্মে মানুষের শেষ ঠিকানা এই কবরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। ইবাদতের জন্য এই কবরের স্থানকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। কবরস্থানে কোনোভাবেই ইবাদত করা যাবে না। শুধু তাই নয়, উল্লেখিত প্রশ্নের জবাবে আমরা নবী (সাঃ) এর হাদিস দ্ধারা জানতে পারি, ওখানে স্বাভাবিক অবস্থায় বসাও ঠিক নয়। আমাদের সমাজে অনেক কবরের পাশেই বসে ক্বোরআন তেলোয়াত করতে দেখা যায়। যেটা হাদিস মোতাবেক বৈধ নয়। এছাড়া কবর যেখানে বিদ্যমান আছে সেখানে কোন ইবাদতখানা নির্মান করাও বৈধ নয়। আমরা খুব ভালভাবেই জানি, মসজিদের চাইতে পবিত্র কনো ইবাদতখানা দুনিয়াতে নেই। সুতরাং সে হিসাবে কোনভাবেই কবরের উপরে (কবর বিদ্যমান থাকুক আর না থাকুক) মসজিদ নির্মান করা যাবে না। আমাদের দেশে বেশ কিছু মসজিদ আছে যেটার অভ্যন্তরে কবর বিদ্যমান আছে কিংবা এমন অনেক মসজিদ খুঁজলে পাওয়া যাবে, যেখানে কোনো এক সময় কবর ছিল এমন জায়গায় মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে। অথচ হাদিস দ্ধারা এমন জায়গায় কোন মতেই মসজিদ বা কনো ধরনের ইবাদতখানা তৈরী করা জায়েয নয়। যেখানে নবী (সাঃ) এর নির্দেশ ছিলো- কবরের সমস্ত চিহ্ন মুছে দেবার, সেখানে আমরা কবরকে দৃশ্যমান করার জন্য শুধু কবর উঁচুই করছি না, বরং সেই উঁচু কবরে দৃস্টি আঁটকে যায়, এমন উজ্জ্বল রঙয়ের কভারও দিয়ে দিচ্ছি। এটা স্পস্টতঃ ইসলামের বাইরের একটা চর্চ্চা। যা হিন্দু আর খৃস্টানদের মাঝে বেশ প্রচলন আছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ইসলামকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন!
যদি কবরের চিহ্ন না থাকে তাইলে পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে জানবে কোথায় কবর আছে কোথায় নাই?



অনেক গুলা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম এই পোস্ট থেকে
 
Last edited by a moderator:
যদি কবরের চিহ্ন না থাকে তাইলে পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে জানবে কোথায় কবর আছে কোথায় নাই?



অনেক গুলা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম এই পোস্ট থেকে

সেটা জানার দরকারও নেই। জমিনে যদি কবরের অস্তিত্ব না পাওয়া যায়, তবে সেটা সাধারন জমীন হিসাবেই বিবেচিত হবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
আযান এবং ইকামতের জাওয়াব দেয়া সুন্নত। এটি যে সুন্নত তা আমরা অনেকে জানার পরও এই আমলটি পালন করি না। খুব সহজে অনেক সাওয়াবের এরকম একটা সুযোগ আমরা শুধুমাত্র অবহেলায় দূরে ঠেলে দেই। যদিওবা আমাদের কারো কারো আযানের জওয়াব দেয়ার অভ্যাস থেকেও থাকে, কিন্তু ইকামতের জওয়াবও যে আযানের মতো একইভাবে দিতে হয়, সেটা হয় জানি না, কিংবা জানলেও সেটা পালন করি না।
 
QA-015

প্রশ্ন : গরু ও ছাগল খাসী করার শারঈ কোন বিধি-নিষেধ আছে কি?

উত্তর: খাসী করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খাসী করা ছাগল কুরবানী করেছেন (ছহীহ্ ইবনু মাজাহ্ হা/৩১২২; মিশকাত হা/১৪৬১)। যে হাদীছে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে (বায়হাক্বী, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৬০) সে সম্পর্কে ইমাম নববী বলেন, সেগুলি হারাম পশুর বেলায় প্রযোজ্য (দ্র: মাছাবীহুত তানভীর ‘আলা ছহীহিল জামে‘ ২/১৫ পৃঃ)
 
আমাদের সমাজে এরকম কথার প্রচলন আছে যে, কোনো পশু যদি খাশী করা হয় তবে তা দিয়ে কোরবানী কিংবা এজাতীয় জবেহের কাজে ব্যবহার করা যায় না। যা একটা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই না। কোনো পশু খাশী করা ইসলামে যে অবৈধ নয় সেটা আমরা উপরোক্ত হাদিস দ্ধারা প্রমান করতে পারি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top