মানুষ মরণশীল! শুধু মানুষ নয়, বরং প্রত্যেকটা সৃস্টিকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীতে যতো ধর্ম আছে, তাদের প্রায় সবারই মৃত্যুর পর লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলা বা কবর দেয়ার রেয়াজ বিদ্যমান। যদিও কোনো কোনো ধর্মের লোকেরা মৃত্যুর পর লাশ অন্যভাবে সৎকার করে থাকে। তথাপিও আদি ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, তাদেরও অতীত ঐতিহ্য হচ্ছে লাশ দাফন করে ফেলা বা মাটির নিচে রেখে দেয়া। ইসলাম ধর্মে মানুষের শেষ ঠিকানা এই কবরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। ইবাদতের জন্য এই কবরের স্থানকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। কবরস্থানে কোনোভাবেই ইবাদত করা যাবে না। শুধু তাই নয়, উল্লেখিত প্রশ্নের জবাবে আমরা নবী (সাঃ) এর হাদিস দ্ধারা জানতে পারি, ওখানে স্বাভাবিক অবস্থায় বসাও ঠিক নয়। আমাদের সমাজে অনেক কবরের পাশেই বসে ক্বোরআন তেলোয়াত করতে দেখা যায়। যেটা হাদিস মোতাবেক বৈধ নয়। এছাড়া কবর যেখানে বিদ্যমান আছে সেখানে কোন ইবাদতখানা নির্মান করাও বৈধ নয়। আমরা খুব ভালভাবেই জানি, মসজিদের চাইতে পবিত্র কনো ইবাদতখানা দুনিয়াতে নেই। সুতরাং সে হিসাবে কোনভাবেই কবরের উপরে (কবর বিদ্যমান থাকুক আর না থাকুক) মসজিদ নির্মান করা যাবে না। আমাদের দেশে বেশ কিছু মসজিদ আছে যেটার অভ্যন্তরে কবর বিদ্যমান আছে কিংবা এমন অনেক মসজিদ খুঁজলে পাওয়া যাবে, যেখানে কোনো এক সময় কবর ছিল এমন জায়গায় মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে। অথচ হাদিস দ্ধারা এমন জায়গায় কোন মতেই মসজিদ বা কনো ধরনের ইবাদতখানা তৈরী করা জায়েয নয়। যেখানে নবী (সাঃ) এর নির্দেশ ছিলো- কবরের সমস্ত চিহ্ন মুছে দেবার, সেখানে আমরা কবরকে দৃশ্যমান করার জন্য শুধু কবর উঁচুই করছি না, বরং সেই উঁচু কবরে দৃস্টি আঁটকে যায়, এমন উজ্জ্বল রঙয়ের কভারও দিয়ে দিচ্ছি। এটা স্পস্টতঃ ইসলামের বাইরের একটা চর্চ্চা। যা হিন্দু আর খৃস্টানদের মাঝে বেশ প্রচলন আছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ইসলামকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন!