What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

স্বাদে ও সুস্বাস্থ্যে ওটমিল (1 Viewer)

nyIpdK8.jpg


প্রাচীন রোমানরা একসময় ঘোড়ার সস্তা খাবার হিসেবে ওটমিল ব্যবহার করত। পরবর্তী সময়ে মানুষ ওটমিলের পুষ্টি সম্পর্কে জানতে পারে এবং ওটমিল খেতে শুরু করে। বিদেশি খাবার হিসেবে অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় ওটস। এ দেশেও খাবার হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

ওটস হচ্ছে গমজাতীয় একধরনের শস্য। এর মধ্যে থাকা ফাইবার যেকোনো শস্যের চেয়ে বেশি দ্রবণীয়, তাই এটি সহজেই হজম হয়। এতে বিটাগুকান উচ্চ মাত্রায় থাকায় খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখতে; গ্লুকোমা, প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিহত করতে এবং ইনসুলিন ডোজ হ্রাস করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ওটমিল গ্যাসের কারণ হতে পারে। উচ্চ মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকার কারণে অতিরিক্ত গ্যাস হতে পারে।

ওটস এমন একটি খাবার, যা দুশ্চিন্তা দূর করতে, ঘুম ও রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। যেকোনো খাদ্যশস্যের তুলনায় ওটস বেশিক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা প্রতিদিন সকালে এক বাটি ওটমিল খেতে পারেন। ওটসের সঙ্গে মেশাতে পারেন তরল দুধ কিংবা টক দই, মধু আর পছন্দমতো ফল।

স্বাস্থ্যসম্মত এই ওটমিল সুস্বাস্থে৵র জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি খাবার। তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ওটস রাখতে পারেন। চাইলে প্রতিদিন সকালে ও রাতে—দুই বেলাই ওটস খেতে পারেন।

ওটস মধুর পায়েস

kvzkCm7.jpg


ওটস মধুর পায়েস

উপকরণ: ওটস ১ কাপ, তরল দুধ ২ কাপ, পেস্তাবাদাম ১ টেবিল চামচ, কাঠবাদাম ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, লবণ ১ চিমটি, মধু ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: ওটস তরল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ওটস ভিজে গেলে চুলায় জ্বাল দিন। নরম হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে পছন্দমতো বাদাম, কিশমিশ ও মধু মিলিয়ে নিন। ইচ্ছা হলে পাকা কলার টুকরা কিংবা শুকনা প্যানে ভাজা ওটস ওপরে দিয়েও খেতে পারেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top