[HIDE]
ঘুমন্ত অবস্থায় তাথৈএর মুখ আরও সুন্দর আরও নিষ্পাপ লাগে অভয়ের সে একদৃষ্টিতে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে হটাৎ তার নজর পরে তাথৈএর গলায় একটা চেন আর লকেটের উপর, সোনার চেন এবং লকেটটাও সোনার। লকেটটা দেখে একটা সম্ভাবনা মাথায় আসে অভয়ের সে একবার কামরায় আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নেয়, যদিও লোক বেশি নেই এবং তাদের দিকে কারোরই নজর নেই তবুও সে সোয়াস্তি পায় না।
অভয় ভাবতে থাকে যে কি করা যায়?, যে লোকগুলো তাদের পিছনে ধাওয়া করছে তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বীরেন ভট্টাচার্যকে বলে দিয়েছে তার কথা অতএব তাদের ঝেড়ে ফেলতেই হবে কিন্তু কিভাবে? ট্রেনের কামরায় কাজটা একটু মুশকিল, আবার প্ল্যাটফর্মে নেমে ওদের মোকাবেলা করাও যাবে না সেখানেও লোক থাকবে তাছাড়া তাথৈকে একা ছাড়তে মন চাইছে না, শেষপর্যন্ত অভয় ঠিক করলো সে কিছুক্ষণের জন্য প্ল্যাটফর্মে নেমে যাবে এছাড়া উপায় নেই।
কয়েকটা স্টেশন বেরিয়ে গেল, অভয় জানে পরের স্টেশনটা একটা জংশন, সেখানে ট্রেন বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়াবে ওখানেই যা করার করতে হবে, অভয় আস্তে আস্তে তাথৈএর গলা থেকে চেনটা খুলে নিজের পকেটে রাখে তারপর অপেক্ষা করতে থাকে, কিছুক্ষণ পরে জংশনে ঢোকার একটু আগে তাথৈএর মাথাটা ধরে নিজের কাঁধ থেকে সরিয়ে সিটের পিছনে হেলান দিয়ে রেখে দিলকাজটা খুবই আস্তে আর সাবধানে করলো যাতে তাথৈ জেগে না যায় তারপর উঠে সামনে এগিয়ে গেটের কাছে এল এবং ট্রেনটা গতি কমিয়ে প্লাটফর্মে ঢুকতেই সে রানিং ট্রেন থেকে নেমে গেল,আস্তে আস্তে হেঁটে টয়লেটে ঢুকলো তারপর একটা ইউরিনালে দাঁড়িয়ে পকেট থেকে চেনটা বার করে ভালো করে লকেটটাকে দেখতে শুরু করলো লকেটটা হার্ট আকৃতির, হাতের বুড়ো আঙুলের থেকে একটু ছোটো সাইজের কিন্তু মোটা, ভালো করে দেখে বুঝলো লকেটটা নীরেট নয় ওর দুটো আলাদা পার্ট একসাথে লাগানো যেন একটা ছোটো বাক্স, অভয় খোলার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না তারপর চোখের আরও কাছে এনে দেখতে শুরু করতেই একটা জিনিস দেখলো, লকেটটার পিছনে একটা ছোট্ট বোতামের মতো কিছু আছে, সেটাতে একটু জোরে চাপ দিতেই লকেটটা দুভাগে ভাগ হয়ে খুলে গেল আসলে ওটা লকেটের আকারে একটা ছোট্ট বাক্স।
অভয় দেখলো ওর সন্দেহ ঠিক লকেটের ভিতরে আধুনিক মাইক্রো সিমকার্ডের সাইজের একটা ছোট্ট ওয়্যারলেস্ ডিভাইস, অভয় ডিভাইসটা বার করে নিয়ে সেটা বুক পকেটে রেখে আবার লকেটটা বন্ধ করে চেনটা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে নিল। টয়লেট থেকে বেরিয়ে আসতে যাবে কিন্তু বাধা পেল সামনে দরজার সামনে তিনজন লোক দাঁড়িয়ে আছে এরাই ওদের পিছনে ধাওয়া করছিল, টয়লেটে আরও দুজন ছিল ওরা সাধারণ প্যাসেঞ্জার, ওরা বেরিয়ে যেতেই লোকগুলো দরজা ছেড়ে এগিয়ে এল।
এতক্ষণ ধরে আমাদের পিছনে ধাওয়া করছো কেন? অভয় জিজ্ঞেস করলো
দাদা বলেছে ভালো ভাবে যেতে চাইলে ঠিক আছে নাহলে মেরে ফেলে দিতে। ওদের একজন বললো।
কিন্তু তোমাদের পক্ষে দুটোর একটাও সম্ভব নয়।
তাই নাকি? কথার সাথে ওদের দুজনের হাতে একটা পিস্তল চলে এল।
অভয়ের মুখে একটা ব্যাঙ্গের হাসি দেখা গেল, তিনজন এগিয়ে এল একজন অভয়ের কলার চেপে ধরতেই চোখের পলকে অভয় ওর হাতটা ধরে মুড়িয়ে ঘুরে ওর পিছনে চলে গেল তারপর ঠেলে একজনের গায়ের উপর ফেললো ফলে দুজনেই অপ্রস্তুত হয়ে গেল আর তৃতীয় জন একটু অন্যমনস্ক এই সুযোগে অভয় সোজা একটা পা ভূমি থেকে সমকোণে এবং লাথিটা মারলো সোজা লোকটার মাথায় কিছু বোঝার আগেই লোকটার পিস্তল ছিটকে পরে গেল আর লোকটা নিজেও নীচে পরে গেল এবার বাকি দুজন এগিয়ে আসতেই পিস্তলধারীর কবজি ধরে ঘুরে আবার পা তুলে অপরজনের চোয়ালে লাথি মারলো সে ছিটকে পরলো আর পিস্তলধারীর কবজিতে জোরে চাপ দিল "আঃ" করে লোকটা পিস্তল ফেলে দিল এবার হাতটা মুড়িয়ে পিছনে নিয়ে গিয়ে মাথায় পিছন দিকটা ধরে সোজা একটা ইউরিনালে ঠুকে দিল পরপর দুবার ফলে লোকটার মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে তারপর লোকটাকে একটু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে একটু জায়গা করে একটু লাফিয়ে একটা লাথি কষালো তলপেটে ওক্ করে লোকটা নীচে পরে গেল আর উঠতে পারলো না, এবার তৃতীয় লোকটা যদিও সে উঠলো না অবাক এবং ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে রইলো যেন বিশ্বাস করতে পারছে না যে এক্ষুনি এখানে কি হলো।
অভয় ওর কাছে এল বললো: বলেছিলাম না আমাকে মারা তোদের দ্বারা সম্ভব নয়, যাইহোক ইচ্ছা থাকলেও তোদের এখানে মারতে পারবো না কারণ এটা পাবলিক টয়লেট ওরা দুজন অজ্ঞান হয়ে গেছে তোকেও তাই করে রেখে যাবো যদি তোর জ্ঞান আগে ফেরে তো ওদের নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাস।
কথাটা বলেই লোকটার মাথার পিছন দিকে একটা মোক্ষম আঘাত করলো হাতের চাড় দিয়ে লোকটা অজ্ঞান হয়ে পরে গেল, এবার শার্টের পকেট থেকে ডিভাইসটা বার করে টয়লেটে ফেলে বাইরে বেরিয়ে এল, তবে এই সময়ের মধ্যে টয়লেটে কেউ ঢোকেনি তার মানে বাইরে কেউ আছে যারা ঢুকতে দেয়নি অতএব সাবধান হতে হবে। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে এল অভয় একটা দোকানে গিয়ে একটা জলের বোতল নিল আর দুজনের খাবার জন্য স্যান্ডউইচ সকাল থেকে দুজনেরই পেটে কিছু পরেনি, বেলা অনেক হয়ে গেছে, দোকানের পাশেই দেখে একজন আমড়া মাখা বিক্রি করছে মনে পরলো তাথৈ খুব পছন্দ করে খেতে।
আমড়া মাখা কিনছে, এমন সময় অভয় খেয়াল করে সামনের লোকটা ওর পিছনে কিছু দেখে ভয় পায়, হটাৎ পিছনে একটু অস্বাভাবিক কয়েকজনের গুঞ্জনের মতো কথাবার্তা কানে আসতেই চকিতে পিছনে ঘুরতেই দেখে একটা ছুরি ধরা হাত তার গলা লক্ষ্য করে এগিয়ে আসছে মুহূর্তে অভয় মাথাটা সরিয়ে আঘাতটা এড়িয়ে যায়, লোকটা প্রথমবারে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দ্বিতীয়বার আঘাত করতে উদ্যত হয় কিন্তু অভয় এবারও আঘাতটা এড়িয়ে যায় এবং এবার লোকটার পেটে একটা লাথি মারে লোকটা ছিটকে কয়েকহাত পিছনে পরে যায় তারপর আবার উঠে আঘাত করতে এলে অভয়লোকটার একটা পায়ের পাতার উপর পা দিয়ে প্লাটফর্মে ভূমিতে চেপে ধরে একটা জোরে ধাক্কা মারে ফলে লোকটা পিছনে হেলে যায় কিন্তু একটা পা অভয় আটকে রাখায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পরে যায় এবং একটা আর্তনাদে বোঝা যায় লোকটার পায়ের পাতার জয়েন্ট ভেঙে গেছে, এটা অভয়ের কমন টেকনিক, এটা সে প্রায়শই ব্যবহার করে এতে প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুব সহজেই ঘায়েল করা যায় যেমন আজ করলো, এদিকে লোকটাকে পকেটমার বা চোর ভেবে প্ল্যাটফর্মের অন্য যাত্রীরা লোকটাকে ঘিরে মারতে শুরু করে, লোকটা পিস্তল বার করতে যাবে কিন্তু পারে না, খুব সম্ভবত প্লাটফর্মে লোকের ভিড়ের জন্য সে অভয়ের উপর পিস্তলের বদলে ছুরি বার করেছে কিন্তু এখন আত্মরক্ষার জন্য পিস্তল বার করে ফলে যাত্রীরা আরো ক্ষেপে গিয়ে ওকে আরো মারতে থেকে। অভয় যখন আমড়া মাখা নিয়ে দাম মেটাচ্ছে তখনই ট্রেন ছাড়ার হুইসেল দিল, চমকে উঠে অভয় তাড়াতাড়ি ছুট লাগায়।
[/HIDE]
ঘুমন্ত অবস্থায় তাথৈএর মুখ আরও সুন্দর আরও নিষ্পাপ লাগে অভয়ের সে একদৃষ্টিতে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে হটাৎ তার নজর পরে তাথৈএর গলায় একটা চেন আর লকেটের উপর, সোনার চেন এবং লকেটটাও সোনার। লকেটটা দেখে একটা সম্ভাবনা মাথায় আসে অভয়ের সে একবার কামরায় আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নেয়, যদিও লোক বেশি নেই এবং তাদের দিকে কারোরই নজর নেই তবুও সে সোয়াস্তি পায় না।
অভয় ভাবতে থাকে যে কি করা যায়?, যে লোকগুলো তাদের পিছনে ধাওয়া করছে তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বীরেন ভট্টাচার্যকে বলে দিয়েছে তার কথা অতএব তাদের ঝেড়ে ফেলতেই হবে কিন্তু কিভাবে? ট্রেনের কামরায় কাজটা একটু মুশকিল, আবার প্ল্যাটফর্মে নেমে ওদের মোকাবেলা করাও যাবে না সেখানেও লোক থাকবে তাছাড়া তাথৈকে একা ছাড়তে মন চাইছে না, শেষপর্যন্ত অভয় ঠিক করলো সে কিছুক্ষণের জন্য প্ল্যাটফর্মে নেমে যাবে এছাড়া উপায় নেই।
কয়েকটা স্টেশন বেরিয়ে গেল, অভয় জানে পরের স্টেশনটা একটা জংশন, সেখানে ট্রেন বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়াবে ওখানেই যা করার করতে হবে, অভয় আস্তে আস্তে তাথৈএর গলা থেকে চেনটা খুলে নিজের পকেটে রাখে তারপর অপেক্ষা করতে থাকে, কিছুক্ষণ পরে জংশনে ঢোকার একটু আগে তাথৈএর মাথাটা ধরে নিজের কাঁধ থেকে সরিয়ে সিটের পিছনে হেলান দিয়ে রেখে দিলকাজটা খুবই আস্তে আর সাবধানে করলো যাতে তাথৈ জেগে না যায় তারপর উঠে সামনে এগিয়ে গেটের কাছে এল এবং ট্রেনটা গতি কমিয়ে প্লাটফর্মে ঢুকতেই সে রানিং ট্রেন থেকে নেমে গেল,আস্তে আস্তে হেঁটে টয়লেটে ঢুকলো তারপর একটা ইউরিনালে দাঁড়িয়ে পকেট থেকে চেনটা বার করে ভালো করে লকেটটাকে দেখতে শুরু করলো লকেটটা হার্ট আকৃতির, হাতের বুড়ো আঙুলের থেকে একটু ছোটো সাইজের কিন্তু মোটা, ভালো করে দেখে বুঝলো লকেটটা নীরেট নয় ওর দুটো আলাদা পার্ট একসাথে লাগানো যেন একটা ছোটো বাক্স, অভয় খোলার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না তারপর চোখের আরও কাছে এনে দেখতে শুরু করতেই একটা জিনিস দেখলো, লকেটটার পিছনে একটা ছোট্ট বোতামের মতো কিছু আছে, সেটাতে একটু জোরে চাপ দিতেই লকেটটা দুভাগে ভাগ হয়ে খুলে গেল আসলে ওটা লকেটের আকারে একটা ছোট্ট বাক্স।
অভয় দেখলো ওর সন্দেহ ঠিক লকেটের ভিতরে আধুনিক মাইক্রো সিমকার্ডের সাইজের একটা ছোট্ট ওয়্যারলেস্ ডিভাইস, অভয় ডিভাইসটা বার করে নিয়ে সেটা বুক পকেটে রেখে আবার লকেটটা বন্ধ করে চেনটা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে নিল। টয়লেট থেকে বেরিয়ে আসতে যাবে কিন্তু বাধা পেল সামনে দরজার সামনে তিনজন লোক দাঁড়িয়ে আছে এরাই ওদের পিছনে ধাওয়া করছিল, টয়লেটে আরও দুজন ছিল ওরা সাধারণ প্যাসেঞ্জার, ওরা বেরিয়ে যেতেই লোকগুলো দরজা ছেড়ে এগিয়ে এল।
এতক্ষণ ধরে আমাদের পিছনে ধাওয়া করছো কেন? অভয় জিজ্ঞেস করলো
দাদা বলেছে ভালো ভাবে যেতে চাইলে ঠিক আছে নাহলে মেরে ফেলে দিতে। ওদের একজন বললো।
কিন্তু তোমাদের পক্ষে দুটোর একটাও সম্ভব নয়।
তাই নাকি? কথার সাথে ওদের দুজনের হাতে একটা পিস্তল চলে এল।
অভয়ের মুখে একটা ব্যাঙ্গের হাসি দেখা গেল, তিনজন এগিয়ে এল একজন অভয়ের কলার চেপে ধরতেই চোখের পলকে অভয় ওর হাতটা ধরে মুড়িয়ে ঘুরে ওর পিছনে চলে গেল তারপর ঠেলে একজনের গায়ের উপর ফেললো ফলে দুজনেই অপ্রস্তুত হয়ে গেল আর তৃতীয় জন একটু অন্যমনস্ক এই সুযোগে অভয় সোজা একটা পা ভূমি থেকে সমকোণে এবং লাথিটা মারলো সোজা লোকটার মাথায় কিছু বোঝার আগেই লোকটার পিস্তল ছিটকে পরে গেল আর লোকটা নিজেও নীচে পরে গেল এবার বাকি দুজন এগিয়ে আসতেই পিস্তলধারীর কবজি ধরে ঘুরে আবার পা তুলে অপরজনের চোয়ালে লাথি মারলো সে ছিটকে পরলো আর পিস্তলধারীর কবজিতে জোরে চাপ দিল "আঃ" করে লোকটা পিস্তল ফেলে দিল এবার হাতটা মুড়িয়ে পিছনে নিয়ে গিয়ে মাথায় পিছন দিকটা ধরে সোজা একটা ইউরিনালে ঠুকে দিল পরপর দুবার ফলে লোকটার মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে তারপর লোকটাকে একটু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে একটু জায়গা করে একটু লাফিয়ে একটা লাথি কষালো তলপেটে ওক্ করে লোকটা নীচে পরে গেল আর উঠতে পারলো না, এবার তৃতীয় লোকটা যদিও সে উঠলো না অবাক এবং ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে রইলো যেন বিশ্বাস করতে পারছে না যে এক্ষুনি এখানে কি হলো।
অভয় ওর কাছে এল বললো: বলেছিলাম না আমাকে মারা তোদের দ্বারা সম্ভব নয়, যাইহোক ইচ্ছা থাকলেও তোদের এখানে মারতে পারবো না কারণ এটা পাবলিক টয়লেট ওরা দুজন অজ্ঞান হয়ে গেছে তোকেও তাই করে রেখে যাবো যদি তোর জ্ঞান আগে ফেরে তো ওদের নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাস।
কথাটা বলেই লোকটার মাথার পিছন দিকে একটা মোক্ষম আঘাত করলো হাতের চাড় দিয়ে লোকটা অজ্ঞান হয়ে পরে গেল, এবার শার্টের পকেট থেকে ডিভাইসটা বার করে টয়লেটে ফেলে বাইরে বেরিয়ে এল, তবে এই সময়ের মধ্যে টয়লেটে কেউ ঢোকেনি তার মানে বাইরে কেউ আছে যারা ঢুকতে দেয়নি অতএব সাবধান হতে হবে। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে এল অভয় একটা দোকানে গিয়ে একটা জলের বোতল নিল আর দুজনের খাবার জন্য স্যান্ডউইচ সকাল থেকে দুজনেরই পেটে কিছু পরেনি, বেলা অনেক হয়ে গেছে, দোকানের পাশেই দেখে একজন আমড়া মাখা বিক্রি করছে মনে পরলো তাথৈ খুব পছন্দ করে খেতে।
আমড়া মাখা কিনছে, এমন সময় অভয় খেয়াল করে সামনের লোকটা ওর পিছনে কিছু দেখে ভয় পায়, হটাৎ পিছনে একটু অস্বাভাবিক কয়েকজনের গুঞ্জনের মতো কথাবার্তা কানে আসতেই চকিতে পিছনে ঘুরতেই দেখে একটা ছুরি ধরা হাত তার গলা লক্ষ্য করে এগিয়ে আসছে মুহূর্তে অভয় মাথাটা সরিয়ে আঘাতটা এড়িয়ে যায়, লোকটা প্রথমবারে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দ্বিতীয়বার আঘাত করতে উদ্যত হয় কিন্তু অভয় এবারও আঘাতটা এড়িয়ে যায় এবং এবার লোকটার পেটে একটা লাথি মারে লোকটা ছিটকে কয়েকহাত পিছনে পরে যায় তারপর আবার উঠে আঘাত করতে এলে অভয়লোকটার একটা পায়ের পাতার উপর পা দিয়ে প্লাটফর্মে ভূমিতে চেপে ধরে একটা জোরে ধাক্কা মারে ফলে লোকটা পিছনে হেলে যায় কিন্তু একটা পা অভয় আটকে রাখায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পরে যায় এবং একটা আর্তনাদে বোঝা যায় লোকটার পায়ের পাতার জয়েন্ট ভেঙে গেছে, এটা অভয়ের কমন টেকনিক, এটা সে প্রায়শই ব্যবহার করে এতে প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুব সহজেই ঘায়েল করা যায় যেমন আজ করলো, এদিকে লোকটাকে পকেটমার বা চোর ভেবে প্ল্যাটফর্মের অন্য যাত্রীরা লোকটাকে ঘিরে মারতে শুরু করে, লোকটা পিস্তল বার করতে যাবে কিন্তু পারে না, খুব সম্ভবত প্লাটফর্মে লোকের ভিড়ের জন্য সে অভয়ের উপর পিস্তলের বদলে ছুরি বার করেছে কিন্তু এখন আত্মরক্ষার জন্য পিস্তল বার করে ফলে যাত্রীরা আরো ক্ষেপে গিয়ে ওকে আরো মারতে থেকে। অভয় যখন আমড়া মাখা নিয়ে দাম মেটাচ্ছে তখনই ট্রেন ছাড়ার হুইসেল দিল, চমকে উঠে অভয় তাড়াতাড়ি ছুট লাগায়।
[/HIDE]