তারপর জানলাম, ব্যানার্জীর যে নার্সিংহোমটা গোয়াতে আছে সেটার ও মালিক। ডাক সাইটে ব্যানার্জীর স্ত্রী। অনি নাকি ওকে বলেছে তুমি নার্সিংহোম বেচে দিয়ে ইন্ডিয়া ছেড়ে চলে যাও। সে নার্সিংহোম বেচে কলকাতায় এসে এখান থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্লেনে লন্ডন চলে যাচ্ছে।
কথা শুনতে শুনতে অনিমেষদার চোখ দুটো ছোট হয়ে গেল। প্রবীরদা অনুপদার চোখ ঠেলে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।
আমি বললাম তাহলে তোমাকে বাঁচাব কি করে।
বললো ওর আরও সম্পত্তি আছে। অনি সব জানে। সে গুলো ও বেচতে পারে নি সময় লাগবে। ও আবার ফিরে আসছে। তখন যদি কোন বিপত্তি ঘটে। তবে ও এখানকার সমস্ত খোঁজ খবর রেখেছে। সব জানে। খুব বুদ্ধিমতী মহিলা। তারপর চলে গেল।
প্রবীরদা ফিক করে হেসে ফেললো।
হেসো না প্রবীর। ও কতোটা কুল তুমি বুঝতে পারছ। তুমি নিজে পারতে ? কতো নিস্তব্ধে কাজ করেছে বলো। কেউ ওর শরীরে একটা আঁচড় কাটতে পারবে ?
আমি ওর বাড়িতে গিয়ে ওর কাকাকে কাকীমাকে বলে এসেছি।
ইসলামভাই মুখে ওর্না চাপা দিয়ে হাসছে।
তুমি কি করে এতদিন তোমার দল চালাতে ইসলাম।
অনিমেষদা ইসলামভাই-এর দিকে তাকাল।
আমি অনেকদিন আগে হার স্বীকার করে নিয়েছি দাদা। ওর মাথায় সব ইনস্ট্যান্ট বুদ্ধি আসে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী ও বুদ্ধি এ্যাপ্লাই করে। মুহূর্তের মধ্যে প্ল্যান চেঞ্জ করে নেয়। দেখে মনে হবে ওর যেন সব মুখস্থ।
ঘটনাটা কি বলো অনিমেষ। সত্যি কি ডাক্তার স্যুইসাইড করে নি! দাদা বললো।
আইনের খাতায় এটা ছাড়া প্রমাণ করার কোন রাস্তা নেই। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে উনি প্রচুর পরিমানে ড্রিঙ্ক করেছিলেন। লাইন পার হতে গিয়ে বেসামাল হয়ে লাইনে কাটা পরেছেন। তা ছাড়া….
অনিমেষদা মিত্রার দিকে তাকাল, যা দাদার ঘরে গিয়ে বোস।
মিত্রা চলে গেল।
রিপোর্টে, উনি যে কিছুক্ষণ আগে মহিলা সঙ্গ করেছিলেন তারও প্রমাণ মিলেছে।
কোন জায়গায় ?
এর আগের বার যে জায়গা থেকে ওই ছেলেটাকে ও তুলে নিয়ে গেছিল।
স্ট্রেঞ্জ।
আমরা ভেতরের ব্যাপারটা সব জানি বলে বলতে পারছি এটা প্রি-প্ল্যান্ড, না হলে কারুর বোঝার ক্ষমতা নেই।
কারা করেছে।
ওর নতুন রিক্রুটের কিছু ছেলে। তাদেরকে ইসলাম পর্যন্ত চেনে না। তারা সব ভাইজ্যাকের ছেলে। ব্যানার্জী চিনতো তাদের।
ওরা এখানে এসে থাকলো কোথায়, করলো কি করে।
বড়মা আমার পেশে এসে দাঁড়াল। কাঁধে হাত রাখলো।
কিরে তোর কাছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পৌঁচেছে। অনিমেষদা আমার দিকে তাকাল।
আমি চুপ করে রইলাম।
আমি শুনলাম ডোমটা তিনকপি জেরক্স করেছে। সেগুলো গেল কোথায় ?
জানিনা।
যথা সময়ে পৌঁছে যাবে তাই না।
আমি কনো উত্তর দিলাম না।
তোর বৌদিকে তোর গুণের কথা সব বলে এসেছি। খবরটা আমি কাল রাতেই পেয়েছি।
সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে।
রাজনাথের কোন ক্ষতি যেন না হয়।
দপ করে মাথাটা কেমন গরম হয়ে গেল।
ওকে কলকাতা ছেড়ে ওর দেশে চলে যেতে বলো। গলাটা সবার কাছেই কর্কশ শোনাল।
তাহলে তোর আরও সুবিধা।
অনুপদা হেসে ফেললো।
হেসো না অনুপ ওর মুখ চোখ দেখে বুঝতে পারছো।
আমার দিকে তাকিয়ে।
ওর কিছু হলে আমি সামলাতে পারব না।
তোমাকে সামলাতে হবে না।
তার মানে!
ওর ঘুঁটি সাজান হয়ে গেছে। ইসলামভাই বললো।
আমি কিছু করিনি।
তাহলে ?
ও প্রবীরদা আর তোমাকে টার্গেট করেছে। কাল রাতে প্রবীরদার বাড়ির আশে পাশে ওর লোক ঘুরে এসেছে।
তুই কি দিবা স্বপ্ন দেখছিস।
যা সত্যি তাই বললাম।
কোথায় আছে তুই জানিস।
জানি।
প্রবীর একবার ফোন করো।
কাল থেকে ওর ফোন ওর কাছে নেই। ওকে ফোন করে পাবে না। আমার কথা বিশ্বাস না হয় ফোন করে দেখতে পার।
সেই জন্য তুই মিত্রাকে ঘুম পাড়িয়ে সারারাত জেগেছিস। ছোটমা ফড় ফড় করে উঠলো।
কালকে তুই খেতে বসে কাকে বললি, হয়েগেছে….ঠিক আছে চলে যা। দাদা বললো।
কটায় বলুনতো দাদা। অনুপদা বললো।
ধরো পৌনে বারোটা নাগাদ। তারপর ও না খেয়ে উঠে চলে গেল।
প্রবীর ওর ফোন থেকে নম্বরটা দেখো তো।
সেকিগো তোমরা জান না। বড়মা বলে উঠলো।
আবার কি হলো।
ও একটা নতুন ফোন নিয়েছে। সেটা আবার পাসওয়ার্ড দিয়ে রেখেছে। আমরা কেউ জানি না। ও ছাড়া কেউ খুলতেও পারবে না।
অনিমেষদা আমার দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে আছে।
মিত্রা।
মিত্রা বড়মার ঘর থেকে বলে উঠলো যাচ্ছি।
কালকে এগারোটা পঁয়ত্রিশ চল্লিশ নাগাদ ঘটনাটা ঘটেছে। লাস্ট ট্রেন ছিলো শিয়ালদা থেকে।
মিত্রা কাছে এসে দাঁড়াল।
তোর কাছে ওর নতুন ফোন নম্বরটা আছে।
আমাকে দিলে তো।
তোকে দেয় নি!
বলেছে তোদের জন্য একটা নম্বর আছে। ওটায় করবি, ওটা আমার কাজের ফোন।
ওদের হাতেও একটা করে নতুন ফোন দেখলাম।
ইসলামভাই অনিমেষদার দিকে তাকিয়ে বললো।
সেই জন্য প্রবীর তোমরা কেউ ট্রেস করতে পার নি।
জানেন সামন্তদা আমি খবর পাই বারটা নাগাদ। ওখানকার থানা আমাকে খবর দেয়। তারপর অনুপকে ফোন করি। অনুপ সব ব্যবস্থা করে। প্রত্যক্ষ দর্শীদের কথায় ডাক্তার পরি কি মরি করে দৌড়ে লাইন পার হচ্ছিল। রান ওভার হয়। কেন ডাক্তার দৌড়চ্ছিল আপনি বুঝে নিন।
ঘরের সবাই চুপ চাপ, নিস্তব্ধ ঘর।
আমার ফোনটা বেজে উঠলো। সবাই উৎসুক হয়ে আমার দিকে তাকাল। আমি ফোনটা বার করে দেখলাম, তারপর মিত্রার হাতে দিয়ে বললাম, কথা বল। বলবি একটু পরে বেরবো।
মিত্রা আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল।
আমি এবার বেরবো। তোমাদের আর কি জানার আছে।
কোথায় যাবি।
বড়মা ছোটমাকে নিয়ে এক জায়গায় যাব। সেখানে আগে থেকে বলা আছে।
ফিরবি কখন।
ফিরতে রাত হয়ে যাবে।
রাজনাথকে ছেড়ে দে।
দায়িত্ব তোমার, এরপর আমার কানে যদি কোন খবর আসে ও বেঁচে থাকবে না।
অনিমেষদা আমার মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকল।
তাকিয়ে লাভ নেই। আমি যা বলছি খোঁজ নিয়ে দেখ ওর লোক জন এগুলো করেছে কিনা।
আমি খোঁজ নিয়েছি। ওরা তোর ভয়ে সেল্টার নিতে গেছিল প্রবীরের কাছে।
উইথ ওয়েপনস।
বলতে পারব না।
প্রবীরদা।
আমার সঙ্গে কাল রাতে শেষ কথা হয়েছে। ঘটনাটা ঘটার পর থেকে আর কথা হয় নি।
অবতার সাগির কোথায় ? ইসলামভাই বললো।
তোমার জেনে লাভ।
ইসলামভাই হেসে উঠলো।
ওরা বাচ্চা ছেলে কোথায় কি করে বসবে।
তোমার থেকে বেশি বুদ্ধি রাখে।
সেতো এখন টের পাচ্ছি।
দামিনী মাসি মুখে কাপর চাপা দিয়ে হাসছে।
আমি উঠে দাঁড়ালাম। মোবাইলটা পকেট থেকে বার করলাম স্যুইচ অন করে পাসওয়ার্ড দিলাম। তারপর ডায়াল করলাম।
ওরা আমাকে স্থির চোখে সবাই লক্ষ করছে।
কথা শুনতে শুনতে অনিমেষদার চোখ দুটো ছোট হয়ে গেল। প্রবীরদা অনুপদার চোখ ঠেলে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।
আমি বললাম তাহলে তোমাকে বাঁচাব কি করে।
বললো ওর আরও সম্পত্তি আছে। অনি সব জানে। সে গুলো ও বেচতে পারে নি সময় লাগবে। ও আবার ফিরে আসছে। তখন যদি কোন বিপত্তি ঘটে। তবে ও এখানকার সমস্ত খোঁজ খবর রেখেছে। সব জানে। খুব বুদ্ধিমতী মহিলা। তারপর চলে গেল।
প্রবীরদা ফিক করে হেসে ফেললো।
হেসো না প্রবীর। ও কতোটা কুল তুমি বুঝতে পারছ। তুমি নিজে পারতে ? কতো নিস্তব্ধে কাজ করেছে বলো। কেউ ওর শরীরে একটা আঁচড় কাটতে পারবে ?
আমি ওর বাড়িতে গিয়ে ওর কাকাকে কাকীমাকে বলে এসেছি।
ইসলামভাই মুখে ওর্না চাপা দিয়ে হাসছে।
তুমি কি করে এতদিন তোমার দল চালাতে ইসলাম।
অনিমেষদা ইসলামভাই-এর দিকে তাকাল।
আমি অনেকদিন আগে হার স্বীকার করে নিয়েছি দাদা। ওর মাথায় সব ইনস্ট্যান্ট বুদ্ধি আসে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী ও বুদ্ধি এ্যাপ্লাই করে। মুহূর্তের মধ্যে প্ল্যান চেঞ্জ করে নেয়। দেখে মনে হবে ওর যেন সব মুখস্থ।
ঘটনাটা কি বলো অনিমেষ। সত্যি কি ডাক্তার স্যুইসাইড করে নি! দাদা বললো।
আইনের খাতায় এটা ছাড়া প্রমাণ করার কোন রাস্তা নেই। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে উনি প্রচুর পরিমানে ড্রিঙ্ক করেছিলেন। লাইন পার হতে গিয়ে বেসামাল হয়ে লাইনে কাটা পরেছেন। তা ছাড়া….
অনিমেষদা মিত্রার দিকে তাকাল, যা দাদার ঘরে গিয়ে বোস।
মিত্রা চলে গেল।
রিপোর্টে, উনি যে কিছুক্ষণ আগে মহিলা সঙ্গ করেছিলেন তারও প্রমাণ মিলেছে।
কোন জায়গায় ?
এর আগের বার যে জায়গা থেকে ওই ছেলেটাকে ও তুলে নিয়ে গেছিল।
স্ট্রেঞ্জ।
আমরা ভেতরের ব্যাপারটা সব জানি বলে বলতে পারছি এটা প্রি-প্ল্যান্ড, না হলে কারুর বোঝার ক্ষমতা নেই।
কারা করেছে।
ওর নতুন রিক্রুটের কিছু ছেলে। তাদেরকে ইসলাম পর্যন্ত চেনে না। তারা সব ভাইজ্যাকের ছেলে। ব্যানার্জী চিনতো তাদের।
ওরা এখানে এসে থাকলো কোথায়, করলো কি করে।
বড়মা আমার পেশে এসে দাঁড়াল। কাঁধে হাত রাখলো।
কিরে তোর কাছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পৌঁচেছে। অনিমেষদা আমার দিকে তাকাল।
আমি চুপ করে রইলাম।
আমি শুনলাম ডোমটা তিনকপি জেরক্স করেছে। সেগুলো গেল কোথায় ?
জানিনা।
যথা সময়ে পৌঁছে যাবে তাই না।
আমি কনো উত্তর দিলাম না।
তোর বৌদিকে তোর গুণের কথা সব বলে এসেছি। খবরটা আমি কাল রাতেই পেয়েছি।
সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে।
রাজনাথের কোন ক্ষতি যেন না হয়।
দপ করে মাথাটা কেমন গরম হয়ে গেল।
ওকে কলকাতা ছেড়ে ওর দেশে চলে যেতে বলো। গলাটা সবার কাছেই কর্কশ শোনাল।
তাহলে তোর আরও সুবিধা।
অনুপদা হেসে ফেললো।
হেসো না অনুপ ওর মুখ চোখ দেখে বুঝতে পারছো।
আমার দিকে তাকিয়ে।
ওর কিছু হলে আমি সামলাতে পারব না।
তোমাকে সামলাতে হবে না।
তার মানে!
ওর ঘুঁটি সাজান হয়ে গেছে। ইসলামভাই বললো।
আমি কিছু করিনি।
তাহলে ?
ও প্রবীরদা আর তোমাকে টার্গেট করেছে। কাল রাতে প্রবীরদার বাড়ির আশে পাশে ওর লোক ঘুরে এসেছে।
তুই কি দিবা স্বপ্ন দেখছিস।
যা সত্যি তাই বললাম।
কোথায় আছে তুই জানিস।
জানি।
প্রবীর একবার ফোন করো।
কাল থেকে ওর ফোন ওর কাছে নেই। ওকে ফোন করে পাবে না। আমার কথা বিশ্বাস না হয় ফোন করে দেখতে পার।
সেই জন্য তুই মিত্রাকে ঘুম পাড়িয়ে সারারাত জেগেছিস। ছোটমা ফড় ফড় করে উঠলো।
কালকে তুই খেতে বসে কাকে বললি, হয়েগেছে….ঠিক আছে চলে যা। দাদা বললো।
কটায় বলুনতো দাদা। অনুপদা বললো।
ধরো পৌনে বারোটা নাগাদ। তারপর ও না খেয়ে উঠে চলে গেল।
প্রবীর ওর ফোন থেকে নম্বরটা দেখো তো।
সেকিগো তোমরা জান না। বড়মা বলে উঠলো।
আবার কি হলো।
ও একটা নতুন ফোন নিয়েছে। সেটা আবার পাসওয়ার্ড দিয়ে রেখেছে। আমরা কেউ জানি না। ও ছাড়া কেউ খুলতেও পারবে না।
অনিমেষদা আমার দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে আছে।
মিত্রা।
মিত্রা বড়মার ঘর থেকে বলে উঠলো যাচ্ছি।
কালকে এগারোটা পঁয়ত্রিশ চল্লিশ নাগাদ ঘটনাটা ঘটেছে। লাস্ট ট্রেন ছিলো শিয়ালদা থেকে।
মিত্রা কাছে এসে দাঁড়াল।
তোর কাছে ওর নতুন ফোন নম্বরটা আছে।
আমাকে দিলে তো।
তোকে দেয় নি!
বলেছে তোদের জন্য একটা নম্বর আছে। ওটায় করবি, ওটা আমার কাজের ফোন।
ওদের হাতেও একটা করে নতুন ফোন দেখলাম।
ইসলামভাই অনিমেষদার দিকে তাকিয়ে বললো।
সেই জন্য প্রবীর তোমরা কেউ ট্রেস করতে পার নি।
জানেন সামন্তদা আমি খবর পাই বারটা নাগাদ। ওখানকার থানা আমাকে খবর দেয়। তারপর অনুপকে ফোন করি। অনুপ সব ব্যবস্থা করে। প্রত্যক্ষ দর্শীদের কথায় ডাক্তার পরি কি মরি করে দৌড়ে লাইন পার হচ্ছিল। রান ওভার হয়। কেন ডাক্তার দৌড়চ্ছিল আপনি বুঝে নিন।
ঘরের সবাই চুপ চাপ, নিস্তব্ধ ঘর।
আমার ফোনটা বেজে উঠলো। সবাই উৎসুক হয়ে আমার দিকে তাকাল। আমি ফোনটা বার করে দেখলাম, তারপর মিত্রার হাতে দিয়ে বললাম, কথা বল। বলবি একটু পরে বেরবো।
মিত্রা আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল।
আমি এবার বেরবো। তোমাদের আর কি জানার আছে।
কোথায় যাবি।
বড়মা ছোটমাকে নিয়ে এক জায়গায় যাব। সেখানে আগে থেকে বলা আছে।
ফিরবি কখন।
ফিরতে রাত হয়ে যাবে।
রাজনাথকে ছেড়ে দে।
দায়িত্ব তোমার, এরপর আমার কানে যদি কোন খবর আসে ও বেঁচে থাকবে না।
অনিমেষদা আমার মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকল।
তাকিয়ে লাভ নেই। আমি যা বলছি খোঁজ নিয়ে দেখ ওর লোক জন এগুলো করেছে কিনা।
আমি খোঁজ নিয়েছি। ওরা তোর ভয়ে সেল্টার নিতে গেছিল প্রবীরের কাছে।
উইথ ওয়েপনস।
বলতে পারব না।
প্রবীরদা।
আমার সঙ্গে কাল রাতে শেষ কথা হয়েছে। ঘটনাটা ঘটার পর থেকে আর কথা হয় নি।
অবতার সাগির কোথায় ? ইসলামভাই বললো।
তোমার জেনে লাভ।
ইসলামভাই হেসে উঠলো।
ওরা বাচ্চা ছেলে কোথায় কি করে বসবে।
তোমার থেকে বেশি বুদ্ধি রাখে।
সেতো এখন টের পাচ্ছি।
দামিনী মাসি মুখে কাপর চাপা দিয়ে হাসছে।
আমি উঠে দাঁড়ালাম। মোবাইলটা পকেট থেকে বার করলাম স্যুইচ অন করে পাসওয়ার্ড দিলাম। তারপর ডায়াল করলাম।
ওরা আমাকে স্থির চোখে সবাই লক্ষ করছে।