নাও মিষ্টি মুখ করো। আমি চিত্তরঞ্জন থেকে নিয়ে এসেছি।
চিত্তরঞ্জন কোয়ালিটি খারাপ করে ফেলেছে, নকু এখনো ধরে রেখেছে।
মিত্রা খিল খিল করে হেসে উঠলো।
ও হাসলো কেন। রথীন ডাক্তার বললো।
অনি নকুর দোকান থেকে নিয়ে এসেছে। আমি চিত্তরঞ্জন, তাই হাসি।
কোনটা নকুর রে ইসিতা। রথীন ডাক্তার বললো।
সব কটা।
খেয়ে দেখি আগে। তুমি খাবে না।
দুপুরে ভাতের পাতে খেয়েছি।
ও ইসি ওকে এনে দে না হলে আর এক ডাক্তারের ব্যামো হবে।
বড়মার কথায় ডাক্তারদাদা হাসছে।
আমি ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এদের রকম সকম দেখছি।
তুই বোস, দাঁড়িয়ে রইলি কেন। যাই বলো সামন্ত তোমার সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হলো।
তা বছর দশেক হবে।
তা হবে। রিলেসন বলতে আমার প্রেসকিপসন নিয়ে তোমার কাছে পেসেন্ট যায়, তোমার প্রেসকিপসন নিয়ে আমার কাছে পেসেন্ট আসে।
আমি গিয়ে খাটে বসলাম।
কিরে চা খাবি ?
ইসির দিকে তাকিয়ে হাসলাম।
প্রবীরদার ফোনটা বেজে উঠলো। বুঝলাম অনিমেষদা এসে গেছে।
হ্যাঁ দাদা….চলে এসেছেন ?….যাচ্ছি।
প্রবীরদা উঠে দাঁড়াল।
ডাক্তারদাদা আমি একটু ঘুরে আসি।
অনিমেষ চলে এসেছে।
হ্যাঁ।
যাও।
প্রবীরদা বেরিয়ে গেল সঙ্গে সেই দুই ভদ্রলোক।
অনিমেষবাবু এখানে আসবে মানে!
তোমায় বলছি না। একদিনে সব জানতে পারবে না। অনিমেষের মেয়ে আর অনি দুই ভাইবোন।
রথীন ডাক্তারের মিষ্টি খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
মিষ্টিটা গিলে নাও না হলে বিষম খাবে।
তুমি আজ খালি মেঘে মেঘে কথা বলছো।
লেখা লিখি করো নাকি।
কেন।
সাহিত্য ঘেঁষা কথা বলছো।
একটু আধটু করি।
ঠিক আছে আমি অমিতাভকে বলে দেব। তোমার লেখা ছেপে দেবে।
অনি তোদের কাগজে স্বাস্থ্যের ওপর কনো পাতা নেই।
আছে।
কবে বেরোয় বল।
মনে হয় বুধবার।
দাঁড়া আমি হার্টের ওপর একটা জব্বর লেখা দেব।
আমি চুপ করে থাকলাম।
সন্ধ্যে হয়ে এসেছে। বুঝলাম ওখানে আর যাওয়া হবে না। আজ কপালে আমার দুঃখ আছে। ডাক্তারদাদা কথাটা না বললে কিছুই হতো না। ভালোয় ভালোয় সব মিটে যেত। কেন যে ডাক্তারদাদা বলতে গেল।
কিরে খুব বোড় লাগছে না।
আমি ডাক্তারদাদার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলাম।
ইসি চা নিয়ে এলো। মিত্রা সকলকে হাতে হাতে এগিয়ে দিলো। বুঝতে পারছি আজ এ বাড়ির মানুষ গুলোর ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করা হয়ে যাচ্ছে। কি করা যাবে। বরুণদাকে দেখতে পেলাম না। বুঝলাম বরুণদা নীরু দুজনে কোথাও বেরিয়েছে। ছোটমাও ঘরে নেই।
চা খেয়ে ইসলামভাইকে বললাম, চলো একটু ছাদ থেকে ঘুরে আসি।
ইসলামভাই উঠে দাঁড়াল। বড়মা দামিনী মাসি আমার দিকে তাকিয়ে একবার মুচকি হাসল।
দুজনে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। ওপরে চলে এলাম। দেখলাম খোলা আকাশের তলায় পিকু ব্যাট করছে, আর ভজুরাম গড়িয়ে গড়িয়ে বল করছে। সন্ধ্যে হতে আর মিনিট পনেরো বাকি।
ভজু পিকুকে নিয়ে নীচে চলে যা, সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে।
আর একটু। পিকু আঙুল তুলে বললো।
না বাবা আবার পরে।
ভজু পিকুকে কোলে তুলে নীচে চলে গেল।
সিগারেট আছে।
এখন খাবি ?
কেন।
অনিমেষদা এখুনি চলে আসবে।
আসুক।
ইসলামভাই পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বার করে নিজে একটা নিল আমাকে একটা দিল। বুঝতে পারছি ইসলামভাই আমার চোখে চোখ রেখে বোঝার চেষ্টা করছে কেন আমি এখানে ডেকে নিয়ে এলাম।
সত্যি তুই রাজনাথকে টার্গেট করেছিলি।
না।
তাহলে প্রবীরদা বললো।
সঠিক খবর পায় নি। প্রবীরদার খুব কাছের লোক এটা করেছে।
তুই বুঝলি কি করে।
পর্শুদিন বুঝতে পেরেছি।
যেদিন অনিমেষদার সঙ্গে মিটিং করছিলি।
হ্যাঁ।
ইসলামভাই আমার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে ঘন ঘন সিগারেটে টান দিল। আমার সিগারেটটা খেতে ভালো লাগলো না। ছুঁড়ে ফেল দিলাম।
তোমার চোখে আজকাল ছানি পড়ে যাচ্ছে। পরিষ্কার করো।
একথা বলছিস কেন।
বুঝতে পারছি তাই। তুমি এরকম ছিলে না।
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
বোঝার চেষ্টা করো। তোমার পুরনো শত্রুরা হাত মিলিয়েছে। যদিও কিছু করতে পারবে না।
কি করে বুঝলি।
খোঁজ খবর নাও।
রতন আবিদ আমাকে কিছু বলেনি।
বলতে চেয়েছে, তুমি বোঝ নি। আমি বুঝলাম কি করে।
খোঁজ নিতে হবে।
তোমাকে আর খোঁজ নিতে হবে না। তুমি তোমার কাজ করো। অনিমেষদার কাজ কি করলে।
অনাদি সব দেখে এসেছে। আমি এই সপ্তাহে যাব।
কবে যাবে।
তোর এই কাজটা বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাব।
তুমি যাও, পরে আমি যাচ্ছি। ওখানে কাকে নিয়ে যাবে।
রতনকে বলেছি।
কি বললো রতন।
জায়গাটা দেখতে চাইল।
নিয়ে যাবে ওকে।
হ্যাঁ।
বেশিদিন আটকে রাখবে না। ছেড়ে দেবে। একবারে নতুন ছেলেদের নিয়ে কাজটা করো। যাদের গায়ে এখনো দাগ পরে নি।
এ কথা বলছিস কেন।
তুমি ভাবছো কি করে অপনেন্ট ঘুঁটি সাজাচ্ছে না।
তুই ঠিক কি বলতে চাইছিস খোলসা করে বল।
যা বলার তা তো বললাম। তাছাড়া অনাদিকে আমি কিছু দায়িত্ব দিয়েছি। গেলে জানতে পারবে। পারলে চিকনাকে বেশি করে কাজে লাগাবে। গ্রামের ব্যাপারটা চিকনা ভালো বোঝে।
আমি ওকে মাইনাস করে রেখেছিলাম।
মনে রাখবে ওইই হবে তোমার ট্রাম্প কার্ড।
কি বলছিস!
ঠিক বলছি। মিলিয়ে নেবে।
কিরে নীচে চল দাদা ডাকছে। মিত্রা পেছনে এসে দাঁড়াল।
এসে গেছে ?
অনেকক্ষণ। নতুন ডাক্তারের সঙ্গে বেশ জমপেশ করে গল্প করছে।
তুই এলি কি করতে।
খাওয়া দাওয়া হলো, বললো মিত্রা যা এবার অনিকে ডেকে আন।
কিছু বিশেষণ প্রয়োগ করে নি।
তোকে বলা যাবে না।
ইসলামভাই হাসছে।
আমি ইসলামভাই মিত্রার পেছন পেছন নিচে নেমে এলাম।
ইসির ঘরে তখন জোড় আড্ডা চলছে। সবাই আড্ডার অংশীদার এমনকি জ্যেঠিমনি পর্যন্ত বেশ টকাটক কথা বলছে অনিমেষদার সঙ্গে। সবার হাতেই চায়ের কাপ। বুঝলাম আতিথেয়তার কোন ত্রুটি রাখে নি ইসি ছোটমা। আমি ঘরে ঢুকতেই অনিমেষদা হেসে উঠলো।
আয় তোর কথাই হচ্ছিল।
আমি তাকালাম।
দিদিকে বলছিলাম, তোর বিয়ে করে কোন উপকার হয় নি।
আমি অনিমেষদার মুখের দিকে তাকালাম।।
তুই যে তিমিরে থাকার সেই তিমিরেই আছিস।
আমি মুখ টিপে হাসলাম।
বোনের সঙ্গে কথা বলেছিস।
তিনদিন কথা বলিনি।
সেইজন্য ওর মেজাজ সপ্তমে।
কেন।
ফোন করে জান।
ওতো একবার ফোন করতে পারতো।
তোর ফোন বন্ধ থাকে।
চুপ করে গেলাম।
তুই নিজের প্রয়োজন ছাড়া ফোনটা ব্যবহার করিস না।
ঘরের সবাই হাসছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই তোমাদের এখানে নিয়ে চলে এলো। অনিমেষদা বড়মার দিকে তাকিয়ে বললো।
ঘুম থেকে ওঠার পর দেখলাম মুখটা ভার ভার। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে রে। কিছু বললো না। ভাবলাম রাতে হয়তো মিত্রার সঙ্গে ঝগড়া করেছে। তারপর কচুরি খেয়ে ওপরে চলে গেল। বেশ কিছুক্ষণ পর নিচে নেমে এসে বললো রেডি হও ও বাড়ি যাব।
আমি বড়মার দিকে তাকিয়ে একবার হাসলাম।
মিত্রাকে ফোন করে বললো তুই অফিস থেকে চলে আয়। অনিমেষদা বললো।
মিত্রাকে ছোট ফোন করেছিল। বড়মা বললো।
অনিমেষদা হাসছে।
তোর জন্য সুরোই ঠিক। ও-ই তোকে শাসন করতে পারবে। মিত্রার দ্বারা কিছু হবে না।
মিত্রা হাসছে।
তোর এদিককার কাজ শেষ।
এদিকে কোন কাজ ছিলো না। এমনি এলাম।
তুই কি আজকাল এমনি এমনি যাওয়া আসা করছিস নাকি। সেটা জানতাম না।
সবাই অনিমেষদার দিকে তাকিয়ে। বুঝতে পারছে কি ভাবে অনিমেষদা অনিকে বাঁধছে।
আমি চুপ করে আছি।
একটু সময় হবে। দুটো কথা বলতাম।
এবার সবাই জোরে হেসে ফেললো।
ডাক্তারবাবু আপনি একবারে হাসবেন না। অনিবাবু এখন ভিভিআইপি। দেখলেন না প্রবীরের এক ফোনে আমি এসে হাজির হয়ে গেলাম। কত কাজ নষ্ট হলো।
চিত্তরঞ্জন কোয়ালিটি খারাপ করে ফেলেছে, নকু এখনো ধরে রেখেছে।
মিত্রা খিল খিল করে হেসে উঠলো।
ও হাসলো কেন। রথীন ডাক্তার বললো।
অনি নকুর দোকান থেকে নিয়ে এসেছে। আমি চিত্তরঞ্জন, তাই হাসি।
কোনটা নকুর রে ইসিতা। রথীন ডাক্তার বললো।
সব কটা।
খেয়ে দেখি আগে। তুমি খাবে না।
দুপুরে ভাতের পাতে খেয়েছি।
ও ইসি ওকে এনে দে না হলে আর এক ডাক্তারের ব্যামো হবে।
বড়মার কথায় ডাক্তারদাদা হাসছে।
আমি ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এদের রকম সকম দেখছি।
তুই বোস, দাঁড়িয়ে রইলি কেন। যাই বলো সামন্ত তোমার সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হলো।
তা বছর দশেক হবে।
তা হবে। রিলেসন বলতে আমার প্রেসকিপসন নিয়ে তোমার কাছে পেসেন্ট যায়, তোমার প্রেসকিপসন নিয়ে আমার কাছে পেসেন্ট আসে।
আমি গিয়ে খাটে বসলাম।
কিরে চা খাবি ?
ইসির দিকে তাকিয়ে হাসলাম।
প্রবীরদার ফোনটা বেজে উঠলো। বুঝলাম অনিমেষদা এসে গেছে।
হ্যাঁ দাদা….চলে এসেছেন ?….যাচ্ছি।
প্রবীরদা উঠে দাঁড়াল।
ডাক্তারদাদা আমি একটু ঘুরে আসি।
অনিমেষ চলে এসেছে।
হ্যাঁ।
যাও।
প্রবীরদা বেরিয়ে গেল সঙ্গে সেই দুই ভদ্রলোক।
অনিমেষবাবু এখানে আসবে মানে!
তোমায় বলছি না। একদিনে সব জানতে পারবে না। অনিমেষের মেয়ে আর অনি দুই ভাইবোন।
রথীন ডাক্তারের মিষ্টি খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
মিষ্টিটা গিলে নাও না হলে বিষম খাবে।
তুমি আজ খালি মেঘে মেঘে কথা বলছো।
লেখা লিখি করো নাকি।
কেন।
সাহিত্য ঘেঁষা কথা বলছো।
একটু আধটু করি।
ঠিক আছে আমি অমিতাভকে বলে দেব। তোমার লেখা ছেপে দেবে।
অনি তোদের কাগজে স্বাস্থ্যের ওপর কনো পাতা নেই।
আছে।
কবে বেরোয় বল।
মনে হয় বুধবার।
দাঁড়া আমি হার্টের ওপর একটা জব্বর লেখা দেব।
আমি চুপ করে থাকলাম।
সন্ধ্যে হয়ে এসেছে। বুঝলাম ওখানে আর যাওয়া হবে না। আজ কপালে আমার দুঃখ আছে। ডাক্তারদাদা কথাটা না বললে কিছুই হতো না। ভালোয় ভালোয় সব মিটে যেত। কেন যে ডাক্তারদাদা বলতে গেল।
কিরে খুব বোড় লাগছে না।
আমি ডাক্তারদাদার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলাম।
ইসি চা নিয়ে এলো। মিত্রা সকলকে হাতে হাতে এগিয়ে দিলো। বুঝতে পারছি আজ এ বাড়ির মানুষ গুলোর ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করা হয়ে যাচ্ছে। কি করা যাবে। বরুণদাকে দেখতে পেলাম না। বুঝলাম বরুণদা নীরু দুজনে কোথাও বেরিয়েছে। ছোটমাও ঘরে নেই।
চা খেয়ে ইসলামভাইকে বললাম, চলো একটু ছাদ থেকে ঘুরে আসি।
ইসলামভাই উঠে দাঁড়াল। বড়মা দামিনী মাসি আমার দিকে তাকিয়ে একবার মুচকি হাসল।
দুজনে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। ওপরে চলে এলাম। দেখলাম খোলা আকাশের তলায় পিকু ব্যাট করছে, আর ভজুরাম গড়িয়ে গড়িয়ে বল করছে। সন্ধ্যে হতে আর মিনিট পনেরো বাকি।
ভজু পিকুকে নিয়ে নীচে চলে যা, সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে।
আর একটু। পিকু আঙুল তুলে বললো।
না বাবা আবার পরে।
ভজু পিকুকে কোলে তুলে নীচে চলে গেল।
সিগারেট আছে।
এখন খাবি ?
কেন।
অনিমেষদা এখুনি চলে আসবে।
আসুক।
ইসলামভাই পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বার করে নিজে একটা নিল আমাকে একটা দিল। বুঝতে পারছি ইসলামভাই আমার চোখে চোখ রেখে বোঝার চেষ্টা করছে কেন আমি এখানে ডেকে নিয়ে এলাম।
সত্যি তুই রাজনাথকে টার্গেট করেছিলি।
না।
তাহলে প্রবীরদা বললো।
সঠিক খবর পায় নি। প্রবীরদার খুব কাছের লোক এটা করেছে।
তুই বুঝলি কি করে।
পর্শুদিন বুঝতে পেরেছি।
যেদিন অনিমেষদার সঙ্গে মিটিং করছিলি।
হ্যাঁ।
ইসলামভাই আমার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে ঘন ঘন সিগারেটে টান দিল। আমার সিগারেটটা খেতে ভালো লাগলো না। ছুঁড়ে ফেল দিলাম।
তোমার চোখে আজকাল ছানি পড়ে যাচ্ছে। পরিষ্কার করো।
একথা বলছিস কেন।
বুঝতে পারছি তাই। তুমি এরকম ছিলে না।
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
বোঝার চেষ্টা করো। তোমার পুরনো শত্রুরা হাত মিলিয়েছে। যদিও কিছু করতে পারবে না।
কি করে বুঝলি।
খোঁজ খবর নাও।
রতন আবিদ আমাকে কিছু বলেনি।
বলতে চেয়েছে, তুমি বোঝ নি। আমি বুঝলাম কি করে।
খোঁজ নিতে হবে।
তোমাকে আর খোঁজ নিতে হবে না। তুমি তোমার কাজ করো। অনিমেষদার কাজ কি করলে।
অনাদি সব দেখে এসেছে। আমি এই সপ্তাহে যাব।
কবে যাবে।
তোর এই কাজটা বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাব।
তুমি যাও, পরে আমি যাচ্ছি। ওখানে কাকে নিয়ে যাবে।
রতনকে বলেছি।
কি বললো রতন।
জায়গাটা দেখতে চাইল।
নিয়ে যাবে ওকে।
হ্যাঁ।
বেশিদিন আটকে রাখবে না। ছেড়ে দেবে। একবারে নতুন ছেলেদের নিয়ে কাজটা করো। যাদের গায়ে এখনো দাগ পরে নি।
এ কথা বলছিস কেন।
তুমি ভাবছো কি করে অপনেন্ট ঘুঁটি সাজাচ্ছে না।
তুই ঠিক কি বলতে চাইছিস খোলসা করে বল।
যা বলার তা তো বললাম। তাছাড়া অনাদিকে আমি কিছু দায়িত্ব দিয়েছি। গেলে জানতে পারবে। পারলে চিকনাকে বেশি করে কাজে লাগাবে। গ্রামের ব্যাপারটা চিকনা ভালো বোঝে।
আমি ওকে মাইনাস করে রেখেছিলাম।
মনে রাখবে ওইই হবে তোমার ট্রাম্প কার্ড।
কি বলছিস!
ঠিক বলছি। মিলিয়ে নেবে।
কিরে নীচে চল দাদা ডাকছে। মিত্রা পেছনে এসে দাঁড়াল।
এসে গেছে ?
অনেকক্ষণ। নতুন ডাক্তারের সঙ্গে বেশ জমপেশ করে গল্প করছে।
তুই এলি কি করতে।
খাওয়া দাওয়া হলো, বললো মিত্রা যা এবার অনিকে ডেকে আন।
কিছু বিশেষণ প্রয়োগ করে নি।
তোকে বলা যাবে না।
ইসলামভাই হাসছে।
আমি ইসলামভাই মিত্রার পেছন পেছন নিচে নেমে এলাম।
ইসির ঘরে তখন জোড় আড্ডা চলছে। সবাই আড্ডার অংশীদার এমনকি জ্যেঠিমনি পর্যন্ত বেশ টকাটক কথা বলছে অনিমেষদার সঙ্গে। সবার হাতেই চায়ের কাপ। বুঝলাম আতিথেয়তার কোন ত্রুটি রাখে নি ইসি ছোটমা। আমি ঘরে ঢুকতেই অনিমেষদা হেসে উঠলো।
আয় তোর কথাই হচ্ছিল।
আমি তাকালাম।
দিদিকে বলছিলাম, তোর বিয়ে করে কোন উপকার হয় নি।
আমি অনিমেষদার মুখের দিকে তাকালাম।।
তুই যে তিমিরে থাকার সেই তিমিরেই আছিস।
আমি মুখ টিপে হাসলাম।
বোনের সঙ্গে কথা বলেছিস।
তিনদিন কথা বলিনি।
সেইজন্য ওর মেজাজ সপ্তমে।
কেন।
ফোন করে জান।
ওতো একবার ফোন করতে পারতো।
তোর ফোন বন্ধ থাকে।
চুপ করে গেলাম।
তুই নিজের প্রয়োজন ছাড়া ফোনটা ব্যবহার করিস না।
ঘরের সবাই হাসছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই তোমাদের এখানে নিয়ে চলে এলো। অনিমেষদা বড়মার দিকে তাকিয়ে বললো।
ঘুম থেকে ওঠার পর দেখলাম মুখটা ভার ভার। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে রে। কিছু বললো না। ভাবলাম রাতে হয়তো মিত্রার সঙ্গে ঝগড়া করেছে। তারপর কচুরি খেয়ে ওপরে চলে গেল। বেশ কিছুক্ষণ পর নিচে নেমে এসে বললো রেডি হও ও বাড়ি যাব।
আমি বড়মার দিকে তাকিয়ে একবার হাসলাম।
মিত্রাকে ফোন করে বললো তুই অফিস থেকে চলে আয়। অনিমেষদা বললো।
মিত্রাকে ছোট ফোন করেছিল। বড়মা বললো।
অনিমেষদা হাসছে।
তোর জন্য সুরোই ঠিক। ও-ই তোকে শাসন করতে পারবে। মিত্রার দ্বারা কিছু হবে না।
মিত্রা হাসছে।
তোর এদিককার কাজ শেষ।
এদিকে কোন কাজ ছিলো না। এমনি এলাম।
তুই কি আজকাল এমনি এমনি যাওয়া আসা করছিস নাকি। সেটা জানতাম না।
সবাই অনিমেষদার দিকে তাকিয়ে। বুঝতে পারছে কি ভাবে অনিমেষদা অনিকে বাঁধছে।
আমি চুপ করে আছি।
একটু সময় হবে। দুটো কথা বলতাম।
এবার সবাই জোরে হেসে ফেললো।
ডাক্তারবাবু আপনি একবারে হাসবেন না। অনিবাবু এখন ভিভিআইপি। দেখলেন না প্রবীরের এক ফোনে আমি এসে হাজির হয়ে গেলাম। কত কাজ নষ্ট হলো।