তুমি কালকে একবার কাউকে আমার কাছে পাঠাতে পারবে।
কিসের ব্যাপারে বলুন।
তুমি ঝিমলিকে কিসের ব্যাপারে বলেছো।
ও হ্যাঁ সত্যি, আপনার বাড়িতে এলাম, আপনাকেই ব্যাপারটা বলতে ভুলে গেছি।
তাতে কি হয়েছে। আমার মনে আছে। তুমি কালকে বারোটার পর কাউকে পাঠাও আমি ছয়মাসের একটা ক্যাম্পেন পাঠিয়ে দেব।
ঠিক আছে।
দেখলাম আমার জায়গা এসে গেছে। আমি নেমে পরলাম। এখান থেকে মিনিট চারেক হাঁটলেই আমার অফিসের গেট। পকেট থেকে ফোনটা বার করে অন করলাম। মিস কলের ছড়া ছড়ি তেমনি ম্যাসেজ।
সিগারেটের দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে ধরালাম।
ফোনটা অন করেই দামিনী মাসিকে একটা ফোন করলাম।
কিরে কোথায় ছিলি! কখন উঠলি ? এখন কোথায় আছিস ? কতোবার ফোন করলাম তোর ফোনের স্যুইচ অফ।
কোন প্রশ্নের উত্তর আগে দেব বলো।
মাসি হাসছে।
বড়মার সঙ্গে কথা হয়নি।
হয়েছে।
তাহলে সব জেনে গেছ।
মাসি হাসছে।
এখন কোথায় আছো ?
নিজের ঘরে বসে আছি।
কতোক্ষণ থাকবে ?
আজ আর বেরতে ভালো লাগছে না।
রতন কোথায় ?
ওর কাজে।
তোমার কাছে যাবে ?
আসতে পারে, রাতের দিকে।
তোমার বৌমাকে নিয়ে যাচ্ছি।
এখানে!
তার ঘুরতে যাবার সখ হয়েছে। আমারও একটা কাজ আছে তোমার সঙ্গে।
কি হয়েছে বল।
গিয়ে বলবো।
সত্যি আসবি!
তাহলে কি মিথ্যে কথা বলছি। দেখো যেন ভড়কে না যায়। কোনদিন দেখে নি, সব গল্প উপন্যাসে পরেছে। এবার রিয়েল লাইফ স্টোরিতে।
ঠিক আছে, তুই কিছু ভাবিস না।
ফোনটা কেটেই বৌদিকে ফোনে ধরলাম।
সকাল থেকে কোথায় থাকিস বলতো ?
ঘুমোচ্ছিলাম।
এগারোটা পর্যন্ত। তারপর।
বাবা, কেন বিধানদাকে ফোন করো, সব খবর পেয়ে যাবে।
বৌদি হেসে ফেললো।
শোনো তোমার ওখানে যাব, আমার বৌ দেখাতে।
ধ্যাত। বাঁদর।
হ্যাঁগো সত্যি বলছি। এই ধরো সাতটা নাগাদ। তার আগেও যেতে পারি। তোমার আপত্তি আছে।
একেবারে না। খালি তুই সত্যি সত্যি আসবি কিনা বল।
তাহলে তোমায় ফোন করতাম না।
ঠিক আছে আয়।
দু-দশ মিনিট দেরি হলে একটু ক্ষমা ঘেন্না করে দিও।
বৌদি হাসছে।
সুরোকে একবার খবর দিয়ো। কোথাও যেন আড্ডা মারতে না যায়।
আচ্ছা।
রাখি তাহলে।
রাখ।
অফিসের একেবারে গেটের সামনে চলে এলাম। ইতি উতি সকলে দাঁড়িয়ে আছে। আমার একটাই সৌভাগ্য এখনো পর্যন্ত সকলে আমাকে চেনে না। গেটে পা রাখতেই সেই সিকুরিটির ছেলেটা মুখ টিপে হাসলো।
আজ তোমার ইভিনিং ডিউটি।
হ্যাঁ স্যার।
চেক করবে না।
ছেলেটি মাথা নীচু করে হাসছে।
আমি সোজা প্রেস রুমে চলে এলাম। আমাকে ঢুকতে দেখেই সুতনুবাবু এগিয়ে এলেন।
ছোটবাবু এখুনি এলেন।
জাস্ট ঢুকলাম।
সকালে আপনার বাড়িতে গেছিলাম আপনি ঘুমচ্ছিলেন।
তাই! এখন কি ছাপা হচ্ছে।
রবিবারের সাপ্লিমেন্ট। এরপর বাইরের কাগজটা ছেপে দেব।
রেডি হয়ে গেছে ?
ফোনটা বেজে উঠলো। পকেট থেকে বার করে দেখলাম মিত্রা।
হ্যালো।
শেষ পর্যন্ত এলি।
হাসলাম।
ওপরে কখন আসছিস।
যাচ্ছি।
ফোনটা পকেটে রাখলাম।
ছোটবাবু আমরা হিমাংশু বাবুর সঙ্গে কথা বলেছি।
দেখলাম আরও দুচারজন প্রেসের স্টাফ পাশে এসে দাঁড়াল।
কি বললো হিমাংশু।
আপনার একটা কনসেন্ট প্রয়োজন।
ঠিক আছে আমি হিমাংশুর সঙ্গে কথা বলে নেব।
আপনি একটু প্রেস ম্যানেজারকে বলে দেবেন উনি ভীষণ বাড়াবাড়ি করছেন। আমরা ওনার কথা মানব না।
কেন আবার কি হলো ?
উনি স্ক্র্যাপ মাল ওনার পরিচিত লোককে বিক্রি করতে চাইছেন। আমরা বলেছি আপনার অনুমতি পেলে তবেই হবে।
ঠিক আছে আমি কথা বলে নেব।
পার্চেজের ব্যাপরটাও আপনি একটু দেখুন।
সোমবার থেকে টিনা ম্যাডাম দেখবেন। উনি আজকে জয়েন করেছেন। একটু বুঝে নিন।
তাহলে দারুণ হবে। আমরা জানি ম্যাডাম আগে কোথায় ছিলেন।
ঠিক আছে। আপনারা কাজ করুণ।
ছোটবাবু টাকাটা আমরা এখনো নিই নি। সার্কুলেসন ম্যানেজারের কাছে জমা রেখেছি।
ওটা আপনাদের ব্যাপার। আমার দেবার কর্তব্য দিয়ে দিয়েছি। মাঝে মাঝে এরকম টোকেন পাবেন। যদি দেখি আপনারা ঠিক আছেন। আর একটা কথা বলে রাখি আমার কাছে কোনদিন ডিমান্ড করবেন না। করলে পাবেন না। আর আপনাদের প্রয়োজনীয় যা কিছু কথা দাদা মল্লিকদাকে বলবেন।
ঠিক আছে ছোটবাবু।
আমি আর রিসেপসন ঘুরে ভেতরে ঢুকলাম না। প্রসেরুমের ভেতর দিয়েই সোজা লিফ্টের সামনে এলাম। দেখলাম বেশ ভিড়। সোজা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে শুরু করলাম। অনেকেই নামছে উঠছে। আমি সবাইকে চিনি এটা হলপ করে বলতে পারবনা। এরি মধ্যে কেউ গুড ইভিনিং স্যার বলছে। কেউ বলছেন স্যার এখুনি এলেন। আমি হাসি ছাড়া মুখ থেকে একটিও শব্দ উচ্চারণ করছিনা।
ওপরে উঠে এলাম। দেখলাম মিত্রার ঘরের সামনে হরিদার ছেলে বসে আছে। দাদার ঘরের সামনে হরিদা। আমাকে দেখেই বললো।
এখুনি আসা হচ্ছে ?
আমি মাথা দোলালাম।
সোজা নিউজরুমে চলে এলাম। দেখলাম সবাই ঘরের মধ্যে। গেটে পা রাখতেই মল্লিকদা দূর থেকে হাসতে আরম্ভ করলো। যাকে বলে একেবারে অর্থপূর্ণ হাসি। আমি এগিয়ে গিয়ে নিজের টেবিলে বসলাম।
সন্দীপ, ছোটবাবু এলেন। মল্লিকদা বলে উঠলো।
সন্দীপ কি লিখছিল মুখ তুলে একবার দেখল, হাসল। অর্ক একটা জলের বোতল নিয়ে এলো।
কিগো তুমি হাঁপাচ্ছ।
সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠলাম।
হেঁটে উঠলে!
কেন, আজ প্রথম নাকি।
তুমি পারো। অফিসের প্রেস্টিজে একেবারে গ্যামকসিন মেরে দিচ্ছ।
ঢক ঢক করে জল খেলাম।
কিগো অনিদা খুব মাঞ্জা দিয়েছো আজকে।
কিরে অর্ক, অরিত্র কি বলে।
সত্যি অনিদা এতোক্ষণ খেয়াল করিনি।
হাসলাম।
কি লিখলি।
আজ কনো কাজ নেই, খালি ফলো আপ করেই কাটিয়ে দিলাম।
রেস্ট।
বড়ো বস বলেছে খালি ফলোআপ করে যা।
অর্ক তোর ক্লিয়ার।
সনাতনবাবু ট্রান্সফার করে দিয়েছেন।
কাজ মিটিয়ে দিয়েছিস।
হ্যাঁ।
হরিদা সামনে এলো। আমার দিকে তাকাল।
দাদা ডাকছেন, এইতো।
তাড়াতাড়ি। গম্ভীর হয়ে।
আমি যাবনা।
তাহলে তাই বলি গিয়ে।
যাও।
মল্লিকদা হাসছে। হাসির শব্দ এখানে বসে শুনতে পাচ্ছি।
দাদা সকাল থেকে খুব খোশ মেজাজে আছে। অর্ক বললো।
কেনরে ?
সব কাজ ঠিক ঠিক হয়ে যাচ্ছে।
ফোনটা বেজে উঠলো। পকেট থেকে বার করে দেখলাম মিত্রা। কেটে দিলাম।
আবার এখুনি আর একজন আসবে দেখ। এতক্ষণ কারুর প্রয়োজন পরে নি।
অরিত্র হাসছে। তোমার মোবাইল স্যুইচ অফ ছিল।
কেনরে, ফোন করেছিলি ?
বহুবার।
কেন! কোন গড়বড় হয়েছে নাকি ?
এইতো তোমার চোখের ভাষা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।
অরিত্র হাসছে।
সায়ন্তনকে দেখতে পাচ্ছি না।
দাদা কোথায় পাঠালেন।
কিগো অনিদা, অরিত্র আমার নামে লাগিয়েছে তোমার কাছে।
না।
তাহলে।
আমি হাসছি। অরিত্রও হাসছে।
একটা রিজাইন দিয়েছে, আর একটাকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করেছে।
মরুকগে যাক। আমাদের কি, আমাদের কাজ আমরা করেছি। নিউজ করেছিস ?
সে আর বলতে।
কিরে একবার গিয়ে মুখটা দেখিয়ে আয়না দুটো ঘরে, তাহলে ল্যাটা চুকে যায়।
সন্দীপ কাছে এসে বললো।
আমার হয়ে তুই দেখিয়ে আয়।
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে।
তোর খবর বল।
মল্লিকদা একটা হাফ সাইজ যা দিয়েছিল। সন্দীপ বললো।
আমি তাকালাম।
ওরকম ড্যাব ড্যাব করে তাকাসনা। এগারটা পর্যন্ত ঠেসে ঘুমিয়েছিস।
মল্লিকদা আছে, নাহলে তোকে চুপ করিয়ে দিতাম। সন্দীপ গড় গড় করছে।
দেখলে, কি কথার কি মানে করলো।
ছোটবাবু একবার দিদিমনি ডাকছেন।
মল্লিকদা হেসে ফেললো। দেখলাম হরিদার ছেলে।
উঠে দাঁড়ালাম।
তোর চিঠি পত্রগুলো একবার দেখ। কিলো দশেক হবে। আরও আছে।
ওগুলো সর্টিং করে দে, আবার বার করে দেব।
সন্দীপের দিকে তাকালাম।
কালকে একটা গড়বড়ি কাজ করেছিস, মাথায় রাখিস।
ম্যাডামকে বলে দিয়েছি, ম্যাডাম সামলে নেবে বলেছে।
ম্যাডাম বাঁচাবে না।
দেখা যাবে।
মল্লিকদা, আজ কি কনটিনিউ করছো ?
আরও দুটো দেবো।
কিছু বুঝছো।
কি বুঝবো, অজস্র ফোন আসছে।
দাঁড়াও একটু মুখ দেখিয়ে আসি।
মল্লিকদা হাসছে।
তুই কি আর আসবি।
কেন।
তোর সেইরকম প্রোগ্রাম আছে কিনা।
এরি মধ্যে খবর হয়ে গেছে।
কি করবো বল, তুই গেটে ঢোকার পর থেকেই খবর চলে আসছে।
আরে বাবা, আমি এখনো এতোটা ভিআইপি হয়ে যাই নি।
কিসের ব্যাপারে বলুন।
তুমি ঝিমলিকে কিসের ব্যাপারে বলেছো।
ও হ্যাঁ সত্যি, আপনার বাড়িতে এলাম, আপনাকেই ব্যাপারটা বলতে ভুলে গেছি।
তাতে কি হয়েছে। আমার মনে আছে। তুমি কালকে বারোটার পর কাউকে পাঠাও আমি ছয়মাসের একটা ক্যাম্পেন পাঠিয়ে দেব।
ঠিক আছে।
দেখলাম আমার জায়গা এসে গেছে। আমি নেমে পরলাম। এখান থেকে মিনিট চারেক হাঁটলেই আমার অফিসের গেট। পকেট থেকে ফোনটা বার করে অন করলাম। মিস কলের ছড়া ছড়ি তেমনি ম্যাসেজ।
সিগারেটের দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে ধরালাম।
ফোনটা অন করেই দামিনী মাসিকে একটা ফোন করলাম।
কিরে কোথায় ছিলি! কখন উঠলি ? এখন কোথায় আছিস ? কতোবার ফোন করলাম তোর ফোনের স্যুইচ অফ।
কোন প্রশ্নের উত্তর আগে দেব বলো।
মাসি হাসছে।
বড়মার সঙ্গে কথা হয়নি।
হয়েছে।
তাহলে সব জেনে গেছ।
মাসি হাসছে।
এখন কোথায় আছো ?
নিজের ঘরে বসে আছি।
কতোক্ষণ থাকবে ?
আজ আর বেরতে ভালো লাগছে না।
রতন কোথায় ?
ওর কাজে।
তোমার কাছে যাবে ?
আসতে পারে, রাতের দিকে।
তোমার বৌমাকে নিয়ে যাচ্ছি।
এখানে!
তার ঘুরতে যাবার সখ হয়েছে। আমারও একটা কাজ আছে তোমার সঙ্গে।
কি হয়েছে বল।
গিয়ে বলবো।
সত্যি আসবি!
তাহলে কি মিথ্যে কথা বলছি। দেখো যেন ভড়কে না যায়। কোনদিন দেখে নি, সব গল্প উপন্যাসে পরেছে। এবার রিয়েল লাইফ স্টোরিতে।
ঠিক আছে, তুই কিছু ভাবিস না।
ফোনটা কেটেই বৌদিকে ফোনে ধরলাম।
সকাল থেকে কোথায় থাকিস বলতো ?
ঘুমোচ্ছিলাম।
এগারোটা পর্যন্ত। তারপর।
বাবা, কেন বিধানদাকে ফোন করো, সব খবর পেয়ে যাবে।
বৌদি হেসে ফেললো।
শোনো তোমার ওখানে যাব, আমার বৌ দেখাতে।
ধ্যাত। বাঁদর।
হ্যাঁগো সত্যি বলছি। এই ধরো সাতটা নাগাদ। তার আগেও যেতে পারি। তোমার আপত্তি আছে।
একেবারে না। খালি তুই সত্যি সত্যি আসবি কিনা বল।
তাহলে তোমায় ফোন করতাম না।
ঠিক আছে আয়।
দু-দশ মিনিট দেরি হলে একটু ক্ষমা ঘেন্না করে দিও।
বৌদি হাসছে।
সুরোকে একবার খবর দিয়ো। কোথাও যেন আড্ডা মারতে না যায়।
আচ্ছা।
রাখি তাহলে।
রাখ।
অফিসের একেবারে গেটের সামনে চলে এলাম। ইতি উতি সকলে দাঁড়িয়ে আছে। আমার একটাই সৌভাগ্য এখনো পর্যন্ত সকলে আমাকে চেনে না। গেটে পা রাখতেই সেই সিকুরিটির ছেলেটা মুখ টিপে হাসলো।
আজ তোমার ইভিনিং ডিউটি।
হ্যাঁ স্যার।
চেক করবে না।
ছেলেটি মাথা নীচু করে হাসছে।
আমি সোজা প্রেস রুমে চলে এলাম। আমাকে ঢুকতে দেখেই সুতনুবাবু এগিয়ে এলেন।
ছোটবাবু এখুনি এলেন।
জাস্ট ঢুকলাম।
সকালে আপনার বাড়িতে গেছিলাম আপনি ঘুমচ্ছিলেন।
তাই! এখন কি ছাপা হচ্ছে।
রবিবারের সাপ্লিমেন্ট। এরপর বাইরের কাগজটা ছেপে দেব।
রেডি হয়ে গেছে ?
ফোনটা বেজে উঠলো। পকেট থেকে বার করে দেখলাম মিত্রা।
হ্যালো।
শেষ পর্যন্ত এলি।
হাসলাম।
ওপরে কখন আসছিস।
যাচ্ছি।
ফোনটা পকেটে রাখলাম।
ছোটবাবু আমরা হিমাংশু বাবুর সঙ্গে কথা বলেছি।
দেখলাম আরও দুচারজন প্রেসের স্টাফ পাশে এসে দাঁড়াল।
কি বললো হিমাংশু।
আপনার একটা কনসেন্ট প্রয়োজন।
ঠিক আছে আমি হিমাংশুর সঙ্গে কথা বলে নেব।
আপনি একটু প্রেস ম্যানেজারকে বলে দেবেন উনি ভীষণ বাড়াবাড়ি করছেন। আমরা ওনার কথা মানব না।
কেন আবার কি হলো ?
উনি স্ক্র্যাপ মাল ওনার পরিচিত লোককে বিক্রি করতে চাইছেন। আমরা বলেছি আপনার অনুমতি পেলে তবেই হবে।
ঠিক আছে আমি কথা বলে নেব।
পার্চেজের ব্যাপরটাও আপনি একটু দেখুন।
সোমবার থেকে টিনা ম্যাডাম দেখবেন। উনি আজকে জয়েন করেছেন। একটু বুঝে নিন।
তাহলে দারুণ হবে। আমরা জানি ম্যাডাম আগে কোথায় ছিলেন।
ঠিক আছে। আপনারা কাজ করুণ।
ছোটবাবু টাকাটা আমরা এখনো নিই নি। সার্কুলেসন ম্যানেজারের কাছে জমা রেখেছি।
ওটা আপনাদের ব্যাপার। আমার দেবার কর্তব্য দিয়ে দিয়েছি। মাঝে মাঝে এরকম টোকেন পাবেন। যদি দেখি আপনারা ঠিক আছেন। আর একটা কথা বলে রাখি আমার কাছে কোনদিন ডিমান্ড করবেন না। করলে পাবেন না। আর আপনাদের প্রয়োজনীয় যা কিছু কথা দাদা মল্লিকদাকে বলবেন।
ঠিক আছে ছোটবাবু।
আমি আর রিসেপসন ঘুরে ভেতরে ঢুকলাম না। প্রসেরুমের ভেতর দিয়েই সোজা লিফ্টের সামনে এলাম। দেখলাম বেশ ভিড়। সোজা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে শুরু করলাম। অনেকেই নামছে উঠছে। আমি সবাইকে চিনি এটা হলপ করে বলতে পারবনা। এরি মধ্যে কেউ গুড ইভিনিং স্যার বলছে। কেউ বলছেন স্যার এখুনি এলেন। আমি হাসি ছাড়া মুখ থেকে একটিও শব্দ উচ্চারণ করছিনা।
ওপরে উঠে এলাম। দেখলাম মিত্রার ঘরের সামনে হরিদার ছেলে বসে আছে। দাদার ঘরের সামনে হরিদা। আমাকে দেখেই বললো।
এখুনি আসা হচ্ছে ?
আমি মাথা দোলালাম।
সোজা নিউজরুমে চলে এলাম। দেখলাম সবাই ঘরের মধ্যে। গেটে পা রাখতেই মল্লিকদা দূর থেকে হাসতে আরম্ভ করলো। যাকে বলে একেবারে অর্থপূর্ণ হাসি। আমি এগিয়ে গিয়ে নিজের টেবিলে বসলাম।
সন্দীপ, ছোটবাবু এলেন। মল্লিকদা বলে উঠলো।
সন্দীপ কি লিখছিল মুখ তুলে একবার দেখল, হাসল। অর্ক একটা জলের বোতল নিয়ে এলো।
কিগো তুমি হাঁপাচ্ছ।
সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠলাম।
হেঁটে উঠলে!
কেন, আজ প্রথম নাকি।
তুমি পারো। অফিসের প্রেস্টিজে একেবারে গ্যামকসিন মেরে দিচ্ছ।
ঢক ঢক করে জল খেলাম।
কিগো অনিদা খুব মাঞ্জা দিয়েছো আজকে।
কিরে অর্ক, অরিত্র কি বলে।
সত্যি অনিদা এতোক্ষণ খেয়াল করিনি।
হাসলাম।
কি লিখলি।
আজ কনো কাজ নেই, খালি ফলো আপ করেই কাটিয়ে দিলাম।
রেস্ট।
বড়ো বস বলেছে খালি ফলোআপ করে যা।
অর্ক তোর ক্লিয়ার।
সনাতনবাবু ট্রান্সফার করে দিয়েছেন।
কাজ মিটিয়ে দিয়েছিস।
হ্যাঁ।
হরিদা সামনে এলো। আমার দিকে তাকাল।
দাদা ডাকছেন, এইতো।
তাড়াতাড়ি। গম্ভীর হয়ে।
আমি যাবনা।
তাহলে তাই বলি গিয়ে।
যাও।
মল্লিকদা হাসছে। হাসির শব্দ এখানে বসে শুনতে পাচ্ছি।
দাদা সকাল থেকে খুব খোশ মেজাজে আছে। অর্ক বললো।
কেনরে ?
সব কাজ ঠিক ঠিক হয়ে যাচ্ছে।
ফোনটা বেজে উঠলো। পকেট থেকে বার করে দেখলাম মিত্রা। কেটে দিলাম।
আবার এখুনি আর একজন আসবে দেখ। এতক্ষণ কারুর প্রয়োজন পরে নি।
অরিত্র হাসছে। তোমার মোবাইল স্যুইচ অফ ছিল।
কেনরে, ফোন করেছিলি ?
বহুবার।
কেন! কোন গড়বড় হয়েছে নাকি ?
এইতো তোমার চোখের ভাষা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।
অরিত্র হাসছে।
সায়ন্তনকে দেখতে পাচ্ছি না।
দাদা কোথায় পাঠালেন।
কিগো অনিদা, অরিত্র আমার নামে লাগিয়েছে তোমার কাছে।
না।
তাহলে।
আমি হাসছি। অরিত্রও হাসছে।
একটা রিজাইন দিয়েছে, আর একটাকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করেছে।
মরুকগে যাক। আমাদের কি, আমাদের কাজ আমরা করেছি। নিউজ করেছিস ?
সে আর বলতে।
কিরে একবার গিয়ে মুখটা দেখিয়ে আয়না দুটো ঘরে, তাহলে ল্যাটা চুকে যায়।
সন্দীপ কাছে এসে বললো।
আমার হয়ে তুই দেখিয়ে আয়।
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে।
তোর খবর বল।
মল্লিকদা একটা হাফ সাইজ যা দিয়েছিল। সন্দীপ বললো।
আমি তাকালাম।
ওরকম ড্যাব ড্যাব করে তাকাসনা। এগারটা পর্যন্ত ঠেসে ঘুমিয়েছিস।
মল্লিকদা আছে, নাহলে তোকে চুপ করিয়ে দিতাম। সন্দীপ গড় গড় করছে।
দেখলে, কি কথার কি মানে করলো।
ছোটবাবু একবার দিদিমনি ডাকছেন।
মল্লিকদা হেসে ফেললো। দেখলাম হরিদার ছেলে।
উঠে দাঁড়ালাম।
তোর চিঠি পত্রগুলো একবার দেখ। কিলো দশেক হবে। আরও আছে।
ওগুলো সর্টিং করে দে, আবার বার করে দেব।
সন্দীপের দিকে তাকালাম।
কালকে একটা গড়বড়ি কাজ করেছিস, মাথায় রাখিস।
ম্যাডামকে বলে দিয়েছি, ম্যাডাম সামলে নেবে বলেছে।
ম্যাডাম বাঁচাবে না।
দেখা যাবে।
মল্লিকদা, আজ কি কনটিনিউ করছো ?
আরও দুটো দেবো।
কিছু বুঝছো।
কি বুঝবো, অজস্র ফোন আসছে।
দাঁড়াও একটু মুখ দেখিয়ে আসি।
মল্লিকদা হাসছে।
তুই কি আর আসবি।
কেন।
তোর সেইরকম প্রোগ্রাম আছে কিনা।
এরি মধ্যে খবর হয়ে গেছে।
কি করবো বল, তুই গেটে ঢোকার পর থেকেই খবর চলে আসছে।
আরে বাবা, আমি এখনো এতোটা ভিআইপি হয়ে যাই নি।