মিলে যাচ্ছে।
তাহলে আবার কি, ওইটাই হবে। এ্যামাউন্ট কি দেখছেন।
বিশাল।
আজ কিছু তোলা হয়েছে।
হ্যাঁ। কলকাতার সাতটা এটিএম থেকে।
কতো ?
এক।
কোকা না খোকা ?
কোকা।
এ্যামাউন্টগুলো একটু নোট ডাউন করে নিন। পারলে প্রিন্ট আউট।
ঠিক আছে।
কালকে সকালে কাগজ গুলো একটু পাঠিয়ে দেবেন। মুকে গালা আটকে দেবেন।
ঠিক আছে।
ফোনটা পকেটে রাখলাম।
দাদা ডাক্তারদা আমার মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে। আমার কতা শুনেছে। কিন্তু এতোক্ষণ কার সঙ্গে কথা বলছিলাম, বুঝতে পারে নি।
মল্লিকদা নীচু হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে।
কি দেখছো ?
তোকে।
সেতো দেখতেই পাচ্ছি।
তুই কি আজকাল কোড ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলছিস কেউ বুঝতে পারবোনা বলে।
ফিক করে হেসে ফেললাম।
হাসলেই সাতখুন মাপ। সারারাত জাগতে হয় জাগবো। কি ঘটনা ঘটালি বলবি। নাহলে উঠছিনা। তখন অনেক তোড়পেছিস আমার ওপর। একটা কথাও বলিনি।
ঘরটা ঘম গম করে উঠলো দাদার গলার শ্বরে। সকলে চমকে তাকালো। খাবার থালায় হাত থেমে গেছে সকলের।
হো হো করে আমি হেসে উঠলাম। সবাই গম্ভীর। আমি হাসছি।
তোকে আমি এবার কান ধরবো।
সেতো তুমি থাপ্পরও মেরেছো। হাসতে হাসতে।
অনেকদিন পরেনি। তাই ধরাকে সরা জ্ঞান করছিস।
চেঁচিয়োনা ছগনলাল ছুটে চলে আসবে।
বল আগে।
বললে সহ্য করতে পারবে ?
বলেই দেখ।
আবার চুপ চাপ। আমি খেতে শুরু করলাম। সবাই খাওয়া থামিয়ে আমার কথা বলার অপেক্ষায়।
রতন।
বলো দাদা।
তুই তখন ম্যাডামের পা ধরে কেঁদিছিলি কেনো।
তখন তোমার কথা না শুনলে তুমি ছট্টুর মতো আমাকে মেরে দিতে।
শুনলে কথাটা। এই ছট্টুকে একদিন আমি বুকে করে আগলে রেখেছি। সাক্ষাত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। আজ কুকুরের মতো চোখের সামনে গুলি খেয়ে মরতে দেখেছি। বলতে পারো আমার কথামতো গুলি করা হয়েছে।
কেনো। দাদা ঝাঁজিয়ে উঠলো।
আমার কথা শোনেনি। বেইমানি করেছে।
সবাই বসে আছে আমি খাচ্ছি।
ওকে কিন্তু আমি ভালোবাসতাম। আজ ওর একটা কথায় অবিশ্বাস করলাম। তুড়ন্ত ডিসিসান নিলাম ওর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আর আমি যদি বিচার বুদ্ধি দিয়ে একবার মনে করি আমি ঠিক কাজ করতে যাচ্ছি। তোমরা কেউ আমাকে আটকাতে পারবেনা। আমার কাছে ছয় থেকে সাত রকমের অপসন থাকে। একজন না বললে আর একজনকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবো।
কেনো তুই এই কাজ করলি। এখনো দাদার গলায় সেই ঝাঁজ।
নিরূপায় হয়ে।
আর কোনো পথ ছিলোনা।
না।
তার মানে! এইবার দাদার গলাটা বুঁজে এলো।
সড়াসরি দাদার চোখে চোখ রাখলাম। তাহলে তোমাদের সকলকে আমাকে হারাতে হতো। মিত্রা পর্যন্ত বাদ যেতোনা।
আমি খাচ্ছি, সকলের হাত থেমে গেছে। পিন পরলে ঘরে শব্দ হবে। বুঝতে পারছি সকলে আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে।
কিহলো বসে রইলে কেনো, খাও। আর শুনবে, না এখানে থামিয়ে দেবো।
দাদা আমার দিকে তাকিয়ে। চোখের পলক পরছেনা।
তুমি যাকে ফোন করে আমার জন্য সাহায্য চাইবে মনে করেছিলে, তার হাতপা বাঁধা। সে কিছু করতে পারবেনা।
দাদা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
আবার সবাই চুপচাপ। নিস্তব্ধে খেয়ে যাচ্ছে।
যে ছেলেটা আমার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করতে পারে, তাকে কোন সাহসে বাঁচিয়ে রাখবো বলো।
দাদার পিঠো কে যেনো চাবুকের বাড়ি মারলো। আমার দিকে সড়াসরি তাকালো।
তুই কি করে জানলি।
পরিদা।
পরিদা! ইসলামভাই আমার দিকে তাকালো।
হ্যাঁ। পরিদা। চকে দাঁড়িয়ে তোমরা যখন সবাই চা খাচ্ছিলে। পরিদা আমাকে আলাদা ডেকে নিয়ে গিয়ে বললো। তোকে একজন খুঁজতে এসেছিলো। তাকে দেখতে এই রকম। সব খোঁজ খবর নিলো। লোকটাকে দেখে আমার তেমন শুবিধার মনে হলোনা। তাই বাড়িতে ঢুকেই সময় নষ্ট করতে চাই নি।
আবার চুপচাপ।
রতনকে জিজ্ঞাসা করো, ওর পেট থেকে আমি কথা বের করেছিলাম কিনা। কিরে রতন আমি ঠিক বলছি।
রতন হ্যাঁ বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললো।
খেতে বসে কাঁদতে নেই রতন। আমি বলতে চাইনি, তোরা সবাই শুনতে চেয়েছিস।
দামিনীমাসি বড়মা নিজেদের পাত ছেড়ে উঠে এসে, এঁঠো হাতে আমার সামনে এসে বসলো। বাঁহাতে কাপরের খোঁট দিয়ে চোখ মুছছে।
কিহলো! তোমরা উঠে এলে কেনো। যাও আমি বলছিতো।
তোর মুখটা একটু দেখবো।
দেখে লাভ নেই।
ঠিক আছে, বল।
আবার খাওয়া শুরু করলাম।
তখন আমার মধ্যে একটা হিংস্র পশু কাজ করছিলো। তোমরা কেউ সামনে এসে দাঁড়ালে, তারও অবস্থা ছট্টুর মতো হতো।
একটু থেমে।
রতন চাক্ষুষ দেখেছে, লাইভ দেখেছে অর্ক সায়ন্তন। তুমিতো সায়ন্তনের মুখ থেকে সব শুনেছো।
ফোনটায় ম্যাসেজ এলো। পকেট থেকে বার করলাম। দেখলাম অর্ক ম্যাসেজ করেছে।
দাদা লাটবাগানের বাড়িতে একটা কালো গাড়ি ঢুকলো। নম্বর এই। ব্যাপারটা বুঝতে পারছিনা। আমি বাড়িতে, আমার চেলুয়ারা খবর দিলো।
নম্বরটা দেখেই বুঝলাম স্পেশাল নম্বর।
সঙ্গে সঙ্গে মুখার্জীকে ফোন করলাম। ইচ্ছে করে লাউড স্পিকারে দিলাম।
মিঃ মুখার্জীর গলা ভেসে এলো। আপনাকে নিয়ে আর পারা যাবে না।
কেনো।
এই কানা রাতে ওখানে আপনার লোক আছে!
গাড়ি কেনো বাড়িতে ঢুকলো।
আমাকে বাঁচতে হবেতো।
আমার প্রতি বিশ্বাস নেই।
এ আপনি কি বলছেন অনিবাবু।
আমার খাবারে আপনি ভাগ বসাবেন না। আপনারটা আপনাকে দিয়েছি। ওটা আমার।
না না আমি খালি খবরটা পৌঁছে দিচ্ছি। ওখানে থেকে বেরোবার চেষ্টা করলে, এনকাউন্টার করতে বাধ্য হবো।
আপনি অর্কর পেট থেকে কথা বার করেছেন।
ঠিক।
আপনার সঙ্গে অর্ককে আলাপ করিয়ে দেবার পরই অর্ককে এই কাজ থেকে অফ করে দিয়েছি।
সত্যি।
ফোন করে দেখতে পারেন।
ব্যাটা নম্বরটা ভুল দিয়েছে।
মাথায় রাখবেন ওই পাড়ায় সাত বছরের একটা ভিখারীর ছেলে আমার ইনফর্মার হিসাবে কাজ করছে।
সত্যি! এক কাজ করুণ, আপনি আমাদের দপ্তরে জয়েন করুন।
টাকা দিতে পারবেনা।
ফোনটা কেটেই অর্ককে ফোন করলাম।
বলো।
ঘুমিয়ে পরেছিস।
দূর ঘুম আসে। মাথার মধ্যে যা ঢুকিয়ে দিয়েছো। তারপর যা লাইভ দেখালে।
ঘুমের ট্যাবলেট খা, একটাকে হাফ করে।
দু’একদিন না ঘুমোলে কিছু হবে না।
তুই মুখার্জীকে তোর নম্বর দিয়েছিলি।
দিয়েছি। শ্যামবাজারের একটা এসটিডি বুথের।
সকলে মুখে হাত চাপা দিলো।
নে ঘুমিয়ে পর।
শুধু এটুকু মশলা নেবার জন্য ফোন।
হ্যাঁ।
অনিদা।
বল।
বড়মা ছোটমা দামিনী মাসি ঠিক আছে।
আছে।
ম্যাডাম।
ঠিক আছে।
নেক্সট ভেঞ্চার বলো। এটাতো কাল খতম করবে।
কয়েকদিন রেস্ট নে, তারপর।
আচ্ছা। গুড নাইট।
এটা অর্ক। দাদা চোখ বড়ো বড়ো করে বললো।
হ্যাঁ।
মল্লিক শুনলি।
দাদা হো হো করে হেসে ফেললো।
এর জন্য আজ তোমরা বেঁচে আছো। গত চারদিন ধরে ও দামিনী মাসির বাড়ির দালাল হিসাবে কাজ করেছে। আমাকে ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট দিয়েগেছে। দামিনী মাসি জানে না ?
তুই কি বলছিস! দামিনী মাসি বললো।
তোমার বউমাকে জিজ্ঞাসা করো। এক বর্ণও মিথ্যে নয়।
বড়মা মিত্রার দিকে তাকালো।
মিত্রা মাথা নীচু করে রয়েছে।
তাহলে আবার কি, ওইটাই হবে। এ্যামাউন্ট কি দেখছেন।
বিশাল।
আজ কিছু তোলা হয়েছে।
হ্যাঁ। কলকাতার সাতটা এটিএম থেকে।
কতো ?
এক।
কোকা না খোকা ?
কোকা।
এ্যামাউন্টগুলো একটু নোট ডাউন করে নিন। পারলে প্রিন্ট আউট।
ঠিক আছে।
কালকে সকালে কাগজ গুলো একটু পাঠিয়ে দেবেন। মুকে গালা আটকে দেবেন।
ঠিক আছে।
ফোনটা পকেটে রাখলাম।
দাদা ডাক্তারদা আমার মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে। আমার কতা শুনেছে। কিন্তু এতোক্ষণ কার সঙ্গে কথা বলছিলাম, বুঝতে পারে নি।
মল্লিকদা নীচু হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে।
কি দেখছো ?
তোকে।
সেতো দেখতেই পাচ্ছি।
তুই কি আজকাল কোড ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলছিস কেউ বুঝতে পারবোনা বলে।
ফিক করে হেসে ফেললাম।
হাসলেই সাতখুন মাপ। সারারাত জাগতে হয় জাগবো। কি ঘটনা ঘটালি বলবি। নাহলে উঠছিনা। তখন অনেক তোড়পেছিস আমার ওপর। একটা কথাও বলিনি।
ঘরটা ঘম গম করে উঠলো দাদার গলার শ্বরে। সকলে চমকে তাকালো। খাবার থালায় হাত থেমে গেছে সকলের।
হো হো করে আমি হেসে উঠলাম। সবাই গম্ভীর। আমি হাসছি।
তোকে আমি এবার কান ধরবো।
সেতো তুমি থাপ্পরও মেরেছো। হাসতে হাসতে।
অনেকদিন পরেনি। তাই ধরাকে সরা জ্ঞান করছিস।
চেঁচিয়োনা ছগনলাল ছুটে চলে আসবে।
বল আগে।
বললে সহ্য করতে পারবে ?
বলেই দেখ।
আবার চুপ চাপ। আমি খেতে শুরু করলাম। সবাই খাওয়া থামিয়ে আমার কথা বলার অপেক্ষায়।
রতন।
বলো দাদা।
তুই তখন ম্যাডামের পা ধরে কেঁদিছিলি কেনো।
তখন তোমার কথা না শুনলে তুমি ছট্টুর মতো আমাকে মেরে দিতে।
শুনলে কথাটা। এই ছট্টুকে একদিন আমি বুকে করে আগলে রেখেছি। সাক্ষাত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। আজ কুকুরের মতো চোখের সামনে গুলি খেয়ে মরতে দেখেছি। বলতে পারো আমার কথামতো গুলি করা হয়েছে।
কেনো। দাদা ঝাঁজিয়ে উঠলো।
আমার কথা শোনেনি। বেইমানি করেছে।
সবাই বসে আছে আমি খাচ্ছি।
ওকে কিন্তু আমি ভালোবাসতাম। আজ ওর একটা কথায় অবিশ্বাস করলাম। তুড়ন্ত ডিসিসান নিলাম ওর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। আর আমি যদি বিচার বুদ্ধি দিয়ে একবার মনে করি আমি ঠিক কাজ করতে যাচ্ছি। তোমরা কেউ আমাকে আটকাতে পারবেনা। আমার কাছে ছয় থেকে সাত রকমের অপসন থাকে। একজন না বললে আর একজনকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবো।
কেনো তুই এই কাজ করলি। এখনো দাদার গলায় সেই ঝাঁজ।
নিরূপায় হয়ে।
আর কোনো পথ ছিলোনা।
না।
তার মানে! এইবার দাদার গলাটা বুঁজে এলো।
সড়াসরি দাদার চোখে চোখ রাখলাম। তাহলে তোমাদের সকলকে আমাকে হারাতে হতো। মিত্রা পর্যন্ত বাদ যেতোনা।
আমি খাচ্ছি, সকলের হাত থেমে গেছে। পিন পরলে ঘরে শব্দ হবে। বুঝতে পারছি সকলে আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে।
কিহলো বসে রইলে কেনো, খাও। আর শুনবে, না এখানে থামিয়ে দেবো।
দাদা আমার দিকে তাকিয়ে। চোখের পলক পরছেনা।
তুমি যাকে ফোন করে আমার জন্য সাহায্য চাইবে মনে করেছিলে, তার হাতপা বাঁধা। সে কিছু করতে পারবেনা।
দাদা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
আবার সবাই চুপচাপ। নিস্তব্ধে খেয়ে যাচ্ছে।
যে ছেলেটা আমার গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করতে পারে, তাকে কোন সাহসে বাঁচিয়ে রাখবো বলো।
দাদার পিঠো কে যেনো চাবুকের বাড়ি মারলো। আমার দিকে সড়াসরি তাকালো।
তুই কি করে জানলি।
পরিদা।
পরিদা! ইসলামভাই আমার দিকে তাকালো।
হ্যাঁ। পরিদা। চকে দাঁড়িয়ে তোমরা যখন সবাই চা খাচ্ছিলে। পরিদা আমাকে আলাদা ডেকে নিয়ে গিয়ে বললো। তোকে একজন খুঁজতে এসেছিলো। তাকে দেখতে এই রকম। সব খোঁজ খবর নিলো। লোকটাকে দেখে আমার তেমন শুবিধার মনে হলোনা। তাই বাড়িতে ঢুকেই সময় নষ্ট করতে চাই নি।
আবার চুপচাপ।
রতনকে জিজ্ঞাসা করো, ওর পেট থেকে আমি কথা বের করেছিলাম কিনা। কিরে রতন আমি ঠিক বলছি।
রতন হ্যাঁ বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললো।
খেতে বসে কাঁদতে নেই রতন। আমি বলতে চাইনি, তোরা সবাই শুনতে চেয়েছিস।
দামিনীমাসি বড়মা নিজেদের পাত ছেড়ে উঠে এসে, এঁঠো হাতে আমার সামনে এসে বসলো। বাঁহাতে কাপরের খোঁট দিয়ে চোখ মুছছে।
কিহলো! তোমরা উঠে এলে কেনো। যাও আমি বলছিতো।
তোর মুখটা একটু দেখবো।
দেখে লাভ নেই।
ঠিক আছে, বল।
আবার খাওয়া শুরু করলাম।
তখন আমার মধ্যে একটা হিংস্র পশু কাজ করছিলো। তোমরা কেউ সামনে এসে দাঁড়ালে, তারও অবস্থা ছট্টুর মতো হতো।
একটু থেমে।
রতন চাক্ষুষ দেখেছে, লাইভ দেখেছে অর্ক সায়ন্তন। তুমিতো সায়ন্তনের মুখ থেকে সব শুনেছো।
ফোনটায় ম্যাসেজ এলো। পকেট থেকে বার করলাম। দেখলাম অর্ক ম্যাসেজ করেছে।
দাদা লাটবাগানের বাড়িতে একটা কালো গাড়ি ঢুকলো। নম্বর এই। ব্যাপারটা বুঝতে পারছিনা। আমি বাড়িতে, আমার চেলুয়ারা খবর দিলো।
নম্বরটা দেখেই বুঝলাম স্পেশাল নম্বর।
সঙ্গে সঙ্গে মুখার্জীকে ফোন করলাম। ইচ্ছে করে লাউড স্পিকারে দিলাম।
মিঃ মুখার্জীর গলা ভেসে এলো। আপনাকে নিয়ে আর পারা যাবে না।
কেনো।
এই কানা রাতে ওখানে আপনার লোক আছে!
গাড়ি কেনো বাড়িতে ঢুকলো।
আমাকে বাঁচতে হবেতো।
আমার প্রতি বিশ্বাস নেই।
এ আপনি কি বলছেন অনিবাবু।
আমার খাবারে আপনি ভাগ বসাবেন না। আপনারটা আপনাকে দিয়েছি। ওটা আমার।
না না আমি খালি খবরটা পৌঁছে দিচ্ছি। ওখানে থেকে বেরোবার চেষ্টা করলে, এনকাউন্টার করতে বাধ্য হবো।
আপনি অর্কর পেট থেকে কথা বার করেছেন।
ঠিক।
আপনার সঙ্গে অর্ককে আলাপ করিয়ে দেবার পরই অর্ককে এই কাজ থেকে অফ করে দিয়েছি।
সত্যি।
ফোন করে দেখতে পারেন।
ব্যাটা নম্বরটা ভুল দিয়েছে।
মাথায় রাখবেন ওই পাড়ায় সাত বছরের একটা ভিখারীর ছেলে আমার ইনফর্মার হিসাবে কাজ করছে।
সত্যি! এক কাজ করুণ, আপনি আমাদের দপ্তরে জয়েন করুন।
টাকা দিতে পারবেনা।
ফোনটা কেটেই অর্ককে ফোন করলাম।
বলো।
ঘুমিয়ে পরেছিস।
দূর ঘুম আসে। মাথার মধ্যে যা ঢুকিয়ে দিয়েছো। তারপর যা লাইভ দেখালে।
ঘুমের ট্যাবলেট খা, একটাকে হাফ করে।
দু’একদিন না ঘুমোলে কিছু হবে না।
তুই মুখার্জীকে তোর নম্বর দিয়েছিলি।
দিয়েছি। শ্যামবাজারের একটা এসটিডি বুথের।
সকলে মুখে হাত চাপা দিলো।
নে ঘুমিয়ে পর।
শুধু এটুকু মশলা নেবার জন্য ফোন।
হ্যাঁ।
অনিদা।
বল।
বড়মা ছোটমা দামিনী মাসি ঠিক আছে।
আছে।
ম্যাডাম।
ঠিক আছে।
নেক্সট ভেঞ্চার বলো। এটাতো কাল খতম করবে।
কয়েকদিন রেস্ট নে, তারপর।
আচ্ছা। গুড নাইট।
এটা অর্ক। দাদা চোখ বড়ো বড়ো করে বললো।
হ্যাঁ।
মল্লিক শুনলি।
দাদা হো হো করে হেসে ফেললো।
এর জন্য আজ তোমরা বেঁচে আছো। গত চারদিন ধরে ও দামিনী মাসির বাড়ির দালাল হিসাবে কাজ করেছে। আমাকে ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট দিয়েগেছে। দামিনী মাসি জানে না ?
তুই কি বলছিস! দামিনী মাসি বললো।
তোমার বউমাকে জিজ্ঞাসা করো। এক বর্ণও মিথ্যে নয়।
বড়মা মিত্রার দিকে তাকালো।
মিত্রা মাথা নীচু করে রয়েছে।