হ্যাঁ।
কাল কখন আসছিস।
ছটা নাগাদ।
রেবাকে নিয়ে আসবি।
বলেছি। তোকে আর নেমন্তন্ন করতে হবে না। দাদাও ফোন করেছিলেন। তুই কি বলতো।
কি করবো বল। আমার গার্জন বলতে এখন দাদা ছাড়া কেউ নেই।
তা বলে দাদাকে দিয়ে আমাকে ফোন করাতে হবে।
বিশ্বাস কর আমি বলিনি। বলেছি তুমি যাকে যাকে মনে করবে বলবে।
আমার খুব খারাপ লাগছিল।
শোন একটা কথা আছে।
বল।
কাল অনিমেষদার বাড়িতে গেছিলাম।
কেনরে।
বৌদিকে নেমন্তন্ন করতে। আর মিত্রাকে দেখাতে।
কেন সেদিন বৌদির দেখে আশ মেটে নি।
শোন না।
বল।
অনিমেষদা টাকা চেয়েছে। দেড়কোটি দেব বলেছি। ওদের চেক নিতে অসুবিধে নেই কি করবো।
পুরটাই ট্যাক্সের আওতায় চলে আসবে। তুই বরং ক্যাশ দে।
আমি মিত্রাকে অফিসে পাঠাচ্ছি। ওর হাত দিয়েই নিয়ে আসব। প্রয়োজন পরলে তুই একবার সনাতন বাবুর সঙ্গে কথা বলে নিবি।
ঠিক আছে।
ফোনটা কেটেই অনাদিকে ফোন করলাম। বাইরে গাড়ির হর্ন বেজে উঠলো।
বুঝলাম সবাই এসে পরলো।
কিরে কোথায় তুই।
নিজের ঘরে বসে আছি।
ঘরে বসে আছিস মানে, শরীর খারাপ নাকি!
কাজ করছি।
ম্যাডামরা কোথায়।
সকালে বেরিয়েছিল এই ফিরছে।
গাড়ির হর্ণের আওয়াজ পেলাম।
এখনো ওপরে আসে নি।
বল।
রবিবারের প্রোগ্রাম কি করেছিস।
আমরা চারজন যাব।
কে কে আসবি।
আমি চিকনা বাসু সঞ্জীব।
এক কাজ কর।
বল।
গোরাকে একটু বল দুটো গাড়ির ব্যবস্থা করতে। সবাই চলে আয় কাঞ্চন কে নিবি লতাকে নিবি উনা মাস্টারকে বলবি আসার জন্য সঙ্গে মিনতিকে নিয়ে নিবি। স্যারকে বলবি আমি বলেছি। আর শোন সেদিন অনিমেষদারা সবাই আসবে।
সেদিন সকালে চলে এলাম। তোর সঙ্গে দেখা হলো না। কি হলো শেষ পর্যন্ত শোনা হলো না।
পরে শুনিস।
কিরে কিরকম দিলাম বল। মিত্রা গেটের সামনে।
ওমা তুই কার সঙ্গে একা একা প্রেম করছিস। মিত্রা হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকলো।
ম্যাডম ঢুকলো, তাই না। অনাদি বললো।
হ্যাঁ।
মিত্রা ছুটে এসে আমার হাত থেকে ফোনটা কেরে নিল। কাকে চাই।
অনাদি মনে হয় হেসে ফেলেছে।
ও তুমি। কেমন আছো। দাঁড়াও একটু পরে তোমাকে ফোন করছি।
ফোনটা কেটেই আমাদের দিকে হাসি হাসি মুখে তাকাল।
চল চল নিচে চল।
কেন বলবি তো।
জানি না। বড়মা বললো ওটাকে ধরে আনবি।
মাথায় লাল টিপ্পা লাগিয়েছিস। ব্যাপারটা কি বলতো।
আগামীকাল বিয়ে না।
বিয়ের আর বাকি কি রেখেছিস।
সেতো তুই। তোর জন্যই সব গন্ডগোল। চল চল।
আমাকে টেনে খাট থেকে নামাল।
তোকে কিন্তু পাঞ্জাবীটা পরে দারুণ মানিয়েছে।
তুই কিনেছিস ?
আমি না, বড়মা। নিজে হাতে।
কোথায় গেছিলি।
দক্ষিণেশ্বর।
হঠাৎ।
বড়মা কাল রাতে বললো মানত করেছি। আমি বললাম তাহলে চলো। প্রোগ্রাম বানিয়ে নিলাম।
ভালো করেছিস। কটা বাজে দেখেছিস।
আমি তোর কাজ করে এসেছি।
তোকে এই বাসন্তী কালারের শাড়িটা কে দিল।
ছোটমা। যা পরেছি, সব ছোটমা।
ভেতরেরটাও।
এক থাপ্পর।
দু’জনে নিচে নেমে এলাম। দেখলাম একপাশে ডাক্তারদা, দামিনীমাসি এবং ইসলামভাই বসে আছে। আর একদিকে দেবা, নির্মাল্য।
আমাকে দেখেই দেবা বললো, আমাকে কিছু বলবি না। সব বড়মা, যা কিছু বড়মাকে বল।
তাহলে বড়মা তোর হয়ে কাজ করে দেবে।
বড়মা দেখছো। অনি কি আরম্ভ করেছে।
দামিনী মাসির দিকে তাকালাম। কিগো সব একসঙ্গে, কোথায় দেখা হলো।
এই এলাম।
মিত্রা তোমায় খাতাটা দিয়ে এসেছে ?
নিয়ে গেছিল, বলেছি কয়েকদিন রেখে দে।
বড়মা পূজোর প্রসাদ আর ফুল নিয়ে এলো। আমার মাথায় পূজোর ফুল ঠেকাল। একটা পেঁড়া দিল। আমি মাথায় ঠেকিয়ে খেয়ে নিলাম। তাহলে পূজো ভালই দিলে বলো।
হ্যাঁ।
গঙ্গার স্নানটাও জমিয়ে করলে।
তা করেছি।
মন পুরো শুদ্ধ।
তোকে আর পাকাম করতে হবে না।
দামিনী মাসির ঘরটা কেমন দেখলে য
বড়মা আমার দিকে সন্দেহের চোখে তাকাল।
মিত্রা বলে নি। এটা তোমায় নিশ্চিত করে বলতে পারি।
দামিনী মাসির দিকে তাকাল।
দামিনী মাসি অবাক হয়ে বড়মার দিকে তাকিয়ে।
ওরা কেউ বলে নি, আমার কিছু লোকজোন আছে।
দাঁড়া ওই দুটো মক্কেল আসুক ঝেঁটিয়ে আজ বাড়ি পাঠাব।
ডাক্তারদাদা জোড়ে হেসে উঠলো।
তুমি হাসছো কেন।
তোমার কথা শুনে। ও যতোটা না শিওর ছিল এখন পুরো পুরি শিওর হয়ে গেল।
মানে!
ওর কোন লোকজন ছিল না, পুরটা ভাঁওতা।
অ্যাঁ!
হ্যাঁ।
ও এখুনি ছিপ ফেলেছিল। মাছটা খেল। ও একটু খেলিয়ে মাছটাকে তুলে নিল।
বড়মা আমার কানটা সজোরে মুলে দিল। তোর পেটে পেটে এতো বুদ্ধি।
বুদ্ধি আছে বলেই ও মুখার্জীর মতো লোককে পকেটে পুরে রেখেছে।
তুমি কি করে জানলে।
ও ঢোকার পর থেকে ওকে ফলো করলাম।
ওর চাল চলন কথাবার্তা।
বড়মা ডাক্তারদার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে।
ও একটা জাল বিস্তার করলো। বলতে পার চাড় ফেললো। তারপর ঝুপ করে বড়শি ফেললো। মাছ খেল। ও মাছটাকে খেলিয়ে তুলে নিল।
বড়মা টেবিলের ওপর প্রসাদের থালাটা রেখে আমার পাশে বসলো।
ছোটমা আমার আর এক পাশে এসে বসলো। মিত্রা আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।
বলো ডাক্তার, তুমি বেশ ভলো বুঝতে পেরেছ, ওই জন্য ও চুপ করে আছে।
আমি মুচকি মুচকি হাসছি।
ডাক্তারদাদা তুমি বলবে না। আগে কচুরি আসুক। মাসি তুমি ওরকম ভেটকে গেলে কেন।
তোকে দেখছি।
দেখে কোন লাভ নেই বুঝলে মাসি। একসময় তুমি আমাকে যা বলেছ আমি চোখ কান বুঁজে শুনেছি। এখন তোমার বয়স হয়ে গেছে। আমি যা বলবো তোমাকে শুনতে হবে।
আমি কি শুনি না।
শোন, মাঝে মাঝে বেগড়-বাই করো।
ছোটমার দিকে তাকালাম।
সকাল থেকে এককাপ চা পেটে পরেছে আর কিছু পরে নি। তোমরা বেশ ফুলকো ফুলকো লুচি সাঁটিয়ে এলে।
তোর জন্য নিয়ে এসেছি।
বড়মা, দাদা-মল্লিকদা কোথায় ?
অফিসে গেছে এখুনি চলে আসবে। ও ডাক্তার বলো। না হলে আবার ভুলে যাব।
ছোট একটু চা।
আগে বলো। বড়মা বললো।
অনির লুচি খাওয়া হোক তারপর।
ছোটমা রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে উঠলো।
দাদা এখন না আমি যাই আগে।
দেখছিস তোর ডায়গনসিসের কি ভ্যালু।
আমি হাসছি।
মিত্রার ফোনটা বেজে উঠলো।
কিরে বল, কাজ হয়েছে।
মিত্রা ভয়েজ অন করে দিল। মিলির গলা।
দারুণ একটা সুখবর আছে মিত্রাদি।
তোর কথা সবাই শুনছে।
অফিসে যেতে আর ভালো লাগছে না।
চলে আয়। সুখবরটা কি বল।
কালকে আমরা অনিদার ওপর রাগ করছিলাম না।
হ্যাঁ।
সত্যি অনিদা কখনো চুপচাপ বসে থাকে না বুঝলে। ঠিক একটা কাজ বার করে নিয়ে চলে এসেছে। আমরা খালি কাগজটা নিতে এসে ছিলাম, কয়েকটা বড় বড় রসোগোল্লা খেলাম।
আমার জন্য নিলি না।
দুর চাওয়া যায়। আমরা মিনিট পনেরোর মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছি।
চলে আয়।
বড়মা আমার দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকাল।
কিরে কাল এখান থেকে বেরিয়ে কোথায় গেছিলি।
ওই যে সুখবর আনতে, শুনলে না। আজও বেরবো।
আজ তুই একপাও বেরবি না।
ছোটমা লুচি তরকারি নিয়ে এলো।
আজ বেরবার নাম করলেই ঠ্যাং ভাঙবো।
আমি লুচির প্লেট নিলাম।
কাল কখন আসছিস।
ছটা নাগাদ।
রেবাকে নিয়ে আসবি।
বলেছি। তোকে আর নেমন্তন্ন করতে হবে না। দাদাও ফোন করেছিলেন। তুই কি বলতো।
কি করবো বল। আমার গার্জন বলতে এখন দাদা ছাড়া কেউ নেই।
তা বলে দাদাকে দিয়ে আমাকে ফোন করাতে হবে।
বিশ্বাস কর আমি বলিনি। বলেছি তুমি যাকে যাকে মনে করবে বলবে।
আমার খুব খারাপ লাগছিল।
শোন একটা কথা আছে।
বল।
কাল অনিমেষদার বাড়িতে গেছিলাম।
কেনরে।
বৌদিকে নেমন্তন্ন করতে। আর মিত্রাকে দেখাতে।
কেন সেদিন বৌদির দেখে আশ মেটে নি।
শোন না।
বল।
অনিমেষদা টাকা চেয়েছে। দেড়কোটি দেব বলেছি। ওদের চেক নিতে অসুবিধে নেই কি করবো।
পুরটাই ট্যাক্সের আওতায় চলে আসবে। তুই বরং ক্যাশ দে।
আমি মিত্রাকে অফিসে পাঠাচ্ছি। ওর হাত দিয়েই নিয়ে আসব। প্রয়োজন পরলে তুই একবার সনাতন বাবুর সঙ্গে কথা বলে নিবি।
ঠিক আছে।
ফোনটা কেটেই অনাদিকে ফোন করলাম। বাইরে গাড়ির হর্ন বেজে উঠলো।
বুঝলাম সবাই এসে পরলো।
কিরে কোথায় তুই।
নিজের ঘরে বসে আছি।
ঘরে বসে আছিস মানে, শরীর খারাপ নাকি!
কাজ করছি।
ম্যাডামরা কোথায়।
সকালে বেরিয়েছিল এই ফিরছে।
গাড়ির হর্ণের আওয়াজ পেলাম।
এখনো ওপরে আসে নি।
বল।
রবিবারের প্রোগ্রাম কি করেছিস।
আমরা চারজন যাব।
কে কে আসবি।
আমি চিকনা বাসু সঞ্জীব।
এক কাজ কর।
বল।
গোরাকে একটু বল দুটো গাড়ির ব্যবস্থা করতে। সবাই চলে আয় কাঞ্চন কে নিবি লতাকে নিবি উনা মাস্টারকে বলবি আসার জন্য সঙ্গে মিনতিকে নিয়ে নিবি। স্যারকে বলবি আমি বলেছি। আর শোন সেদিন অনিমেষদারা সবাই আসবে।
সেদিন সকালে চলে এলাম। তোর সঙ্গে দেখা হলো না। কি হলো শেষ পর্যন্ত শোনা হলো না।
পরে শুনিস।
কিরে কিরকম দিলাম বল। মিত্রা গেটের সামনে।
ওমা তুই কার সঙ্গে একা একা প্রেম করছিস। মিত্রা হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকলো।
ম্যাডম ঢুকলো, তাই না। অনাদি বললো।
হ্যাঁ।
মিত্রা ছুটে এসে আমার হাত থেকে ফোনটা কেরে নিল। কাকে চাই।
অনাদি মনে হয় হেসে ফেলেছে।
ও তুমি। কেমন আছো। দাঁড়াও একটু পরে তোমাকে ফোন করছি।
ফোনটা কেটেই আমাদের দিকে হাসি হাসি মুখে তাকাল।
চল চল নিচে চল।
কেন বলবি তো।
জানি না। বড়মা বললো ওটাকে ধরে আনবি।
মাথায় লাল টিপ্পা লাগিয়েছিস। ব্যাপারটা কি বলতো।
আগামীকাল বিয়ে না।
বিয়ের আর বাকি কি রেখেছিস।
সেতো তুই। তোর জন্যই সব গন্ডগোল। চল চল।
আমাকে টেনে খাট থেকে নামাল।
তোকে কিন্তু পাঞ্জাবীটা পরে দারুণ মানিয়েছে।
তুই কিনেছিস ?
আমি না, বড়মা। নিজে হাতে।
কোথায় গেছিলি।
দক্ষিণেশ্বর।
হঠাৎ।
বড়মা কাল রাতে বললো মানত করেছি। আমি বললাম তাহলে চলো। প্রোগ্রাম বানিয়ে নিলাম।
ভালো করেছিস। কটা বাজে দেখেছিস।
আমি তোর কাজ করে এসেছি।
তোকে এই বাসন্তী কালারের শাড়িটা কে দিল।
ছোটমা। যা পরেছি, সব ছোটমা।
ভেতরেরটাও।
এক থাপ্পর।
দু’জনে নিচে নেমে এলাম। দেখলাম একপাশে ডাক্তারদা, দামিনীমাসি এবং ইসলামভাই বসে আছে। আর একদিকে দেবা, নির্মাল্য।
আমাকে দেখেই দেবা বললো, আমাকে কিছু বলবি না। সব বড়মা, যা কিছু বড়মাকে বল।
তাহলে বড়মা তোর হয়ে কাজ করে দেবে।
বড়মা দেখছো। অনি কি আরম্ভ করেছে।
দামিনী মাসির দিকে তাকালাম। কিগো সব একসঙ্গে, কোথায় দেখা হলো।
এই এলাম।
মিত্রা তোমায় খাতাটা দিয়ে এসেছে ?
নিয়ে গেছিল, বলেছি কয়েকদিন রেখে দে।
বড়মা পূজোর প্রসাদ আর ফুল নিয়ে এলো। আমার মাথায় পূজোর ফুল ঠেকাল। একটা পেঁড়া দিল। আমি মাথায় ঠেকিয়ে খেয়ে নিলাম। তাহলে পূজো ভালই দিলে বলো।
হ্যাঁ।
গঙ্গার স্নানটাও জমিয়ে করলে।
তা করেছি।
মন পুরো শুদ্ধ।
তোকে আর পাকাম করতে হবে না।
দামিনী মাসির ঘরটা কেমন দেখলে য
বড়মা আমার দিকে সন্দেহের চোখে তাকাল।
মিত্রা বলে নি। এটা তোমায় নিশ্চিত করে বলতে পারি।
দামিনী মাসির দিকে তাকাল।
দামিনী মাসি অবাক হয়ে বড়মার দিকে তাকিয়ে।
ওরা কেউ বলে নি, আমার কিছু লোকজোন আছে।
দাঁড়া ওই দুটো মক্কেল আসুক ঝেঁটিয়ে আজ বাড়ি পাঠাব।
ডাক্তারদাদা জোড়ে হেসে উঠলো।
তুমি হাসছো কেন।
তোমার কথা শুনে। ও যতোটা না শিওর ছিল এখন পুরো পুরি শিওর হয়ে গেল।
মানে!
ওর কোন লোকজন ছিল না, পুরটা ভাঁওতা।
অ্যাঁ!
হ্যাঁ।
ও এখুনি ছিপ ফেলেছিল। মাছটা খেল। ও একটু খেলিয়ে মাছটাকে তুলে নিল।
বড়মা আমার কানটা সজোরে মুলে দিল। তোর পেটে পেটে এতো বুদ্ধি।
বুদ্ধি আছে বলেই ও মুখার্জীর মতো লোককে পকেটে পুরে রেখেছে।
তুমি কি করে জানলে।
ও ঢোকার পর থেকে ওকে ফলো করলাম।
ওর চাল চলন কথাবার্তা।
বড়মা ডাক্তারদার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে।
ও একটা জাল বিস্তার করলো। বলতে পার চাড় ফেললো। তারপর ঝুপ করে বড়শি ফেললো। মাছ খেল। ও মাছটাকে খেলিয়ে তুলে নিল।
বড়মা টেবিলের ওপর প্রসাদের থালাটা রেখে আমার পাশে বসলো।
ছোটমা আমার আর এক পাশে এসে বসলো। মিত্রা আমার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।
বলো ডাক্তার, তুমি বেশ ভলো বুঝতে পেরেছ, ওই জন্য ও চুপ করে আছে।
আমি মুচকি মুচকি হাসছি।
ডাক্তারদাদা তুমি বলবে না। আগে কচুরি আসুক। মাসি তুমি ওরকম ভেটকে গেলে কেন।
তোকে দেখছি।
দেখে কোন লাভ নেই বুঝলে মাসি। একসময় তুমি আমাকে যা বলেছ আমি চোখ কান বুঁজে শুনেছি। এখন তোমার বয়স হয়ে গেছে। আমি যা বলবো তোমাকে শুনতে হবে।
আমি কি শুনি না।
শোন, মাঝে মাঝে বেগড়-বাই করো।
ছোটমার দিকে তাকালাম।
সকাল থেকে এককাপ চা পেটে পরেছে আর কিছু পরে নি। তোমরা বেশ ফুলকো ফুলকো লুচি সাঁটিয়ে এলে।
তোর জন্য নিয়ে এসেছি।
বড়মা, দাদা-মল্লিকদা কোথায় ?
অফিসে গেছে এখুনি চলে আসবে। ও ডাক্তার বলো। না হলে আবার ভুলে যাব।
ছোট একটু চা।
আগে বলো। বড়মা বললো।
অনির লুচি খাওয়া হোক তারপর।
ছোটমা রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে উঠলো।
দাদা এখন না আমি যাই আগে।
দেখছিস তোর ডায়গনসিসের কি ভ্যালু।
আমি হাসছি।
মিত্রার ফোনটা বেজে উঠলো।
কিরে বল, কাজ হয়েছে।
মিত্রা ভয়েজ অন করে দিল। মিলির গলা।
দারুণ একটা সুখবর আছে মিত্রাদি।
তোর কথা সবাই শুনছে।
অফিসে যেতে আর ভালো লাগছে না।
চলে আয়। সুখবরটা কি বল।
কালকে আমরা অনিদার ওপর রাগ করছিলাম না।
হ্যাঁ।
সত্যি অনিদা কখনো চুপচাপ বসে থাকে না বুঝলে। ঠিক একটা কাজ বার করে নিয়ে চলে এসেছে। আমরা খালি কাগজটা নিতে এসে ছিলাম, কয়েকটা বড় বড় রসোগোল্লা খেলাম।
আমার জন্য নিলি না।
দুর চাওয়া যায়। আমরা মিনিট পনেরোর মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছি।
চলে আয়।
বড়মা আমার দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকাল।
কিরে কাল এখান থেকে বেরিয়ে কোথায় গেছিলি।
ওই যে সুখবর আনতে, শুনলে না। আজও বেরবো।
আজ তুই একপাও বেরবি না।
ছোটমা লুচি তরকারি নিয়ে এলো।
আজ বেরবার নাম করলেই ঠ্যাং ভাঙবো।
আমি লুচির প্লেট নিলাম।