What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (4 Viewers)

Status
Not open for further replies.
আমাদের দেশে সমস্যা হচ্ছে নানা মুনির নানা মত...এই কারনেই সহজ বিষয়গুলাও অনেক জটিল করে ফেলে সবাই। আমি যতদূর জানি যে ভ্যাক্সিনগুলো এসেছে, ভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী অন্যান্য কোম্পানি যে ন্যুনতম ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডটা মেনে তৈরী করছে সেটা মেনটেন করা হয়েছে। তাই যে যাই বলুক অন্তত অন্যান্য দেশের ভ্যাক্সিনগুলোর মতই এদের কার্যকরিতা হবে বলে আশা করি। তাই ভ্যাক্সিন না পাওয়া পর্যন্ত যতটা পারা যায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই আমাদের চলা উচিত।

ঠিকই বলেছেন মামা...
 
তাই যেনো হয়, মামা।
অনেকের মতে ভ্যাকসিন নেয়ার পরেও করোনা ঝুঁকি থেকে আগামী এক বৎসর পর্যন্ত নাকি মানুষ নিরাপদ নয়। ভ্যাকসিনের সঠিক কার্য্যকারীতা নিরুপনের জন্য নাকি এই সময়টুকু আবশ্যকীয় !

একটু বলি মামা...

কোন কিছুই, আলোচ্য ক্ষেত্রে ঔষধ বা ভ্যাকসিন কার্যকারিতার ব্যাপারে ১০০% নিশ্চয়তা দিতে পারে না...

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার কার্যকারিতা ৯৫%, মডার্নার টিকার কার্যকারিতা ৯৪.৫% এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯০%...

আশাপ্রদ, তাইনা...
 
সুপ্রভাত, আড্ডাবাজ মামা সকল !
কেমন আছেন সবাই ?

শুভ সন্ধ্যা মামা...
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি...
আপনি কেমন আছেন?...
 
আমাদের বাংলাদেশেই এখন যেরকম লজিস্টিক্স বা সুযোগ সুবিধা আছে। সঠিক ফান্ডিং আর ভালো কনসাল্টেন্ট আনা গেলে আমাদের এখানেই করোনার ভ্যাক্সিন তৈরী করা সম্ভব। আমার আইসিডিআরবির বন্ধুরাও একমত। তাই প্রতিবেশি ইন্ডিয়াতে যে ভালো ভ্যাক্সিন তৈরী হতে পারে সেটা আসলে অবাক হওয়ার মত বা অবিশ্বাসের কিছু নেই।

একমত মামা...
 
এটা এক হিসেবে আপনি সত্য বলতে পারেন, কারন সাধারনত বেশিরভাগ ভ্যাক্সিনেরই ৯০-৯৫% কার্জকারিতা প্রমান করে সেটা বাজারজাত করতে করতে অন্তত বছর দুয়েক সময় লেগে যায়। কিন্তু এই করোনার ব্যপারটা যে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে, তাই এই ভ্যাক্সিন ট্রায়াল আর রেজাল্ট ইভ্যালুয়েশন করে বাজারজাত করতে বাধ্য হয়েই কিছুটা তাড়াহুড়া করতে হয়েছে।

কিন্তু মূল যে বিষয়টা এখানে সবার জানার বিষয় সেটা হচ্ছে এই যে, ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা যদি কমও হয়, অন্তত ট্রায়ালে এটা কনফার্ম করা হয়েছে যে এগুলো নিলে কারোর কোন জীবনঘাতী ক্ষতি হয়ে যাবে না এবং কোন কোন মানুষকে জন্য এই ভ্যাক্সিন দেওয়া যাবে না (অ্যালার্জি জনিত কারনে)। সুতরাং এই ভ্যাক্সিনে আপনার উপকার যদি নাও হয়, ক্ষতি আশা করা যায় হবে না। নাই মামার চেয়ে কানা মামা সিচুয়েশন যাকে বলে।

সুন্দর করে বলেছেন...
 
জি মামা, এই কথাটি বেশ ভালো বলেছেন। একটু তাড়াহুড়ো করা হয়েছে ঠিক, কিন্তু গুণগত মানে কোথাও কোনো তাড়াহুড়ো করা হয় নি।এখনো আমাদের দেশের কোনো ভ্যাকসিন কোনো ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায় নি। তাই আমার কোনো সন্দেহ নেই আমাদের দেশের ভ্যাকসিনের ওপর। আর অনলাইনে অনেক জায়গায় পড়াশোনা করে দেখলাম, পৃথিবীর বাকি সব করোনা ভ্যাকসিনের থেকে আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্ষেত্রে সমকক্ষ, কিন্তু দামের দিক থেকে অনেক সস্তা, ও রাখার বা পরিবহনে সবচে সুবিধাজনক।

একমত মামা...
 
কোনো সন্দেহ নেই, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে ভারত একটি বড় রাস্ট্র ! ১৩০ কোটিরও অধিক জনবহুল এই দেশটি যে নিজের দেশের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য দেশেও ভ্যাকসিন রপ্তানী করছে সেটি শুধু সাধুবাদের যোগ্য নয়, বরং তার চাইতেও বড় কিছু। তাছাড়া তারা যে ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে তার গুনগত মানও অন্যান্য দেশের চাইতে কোনো অংশেই কম নয়। চিকিৎসা শাস্ত্র ও চিকিৎসা বিদ্যায় ভারত আমাদের চাইতে অনেক বেশী এগিয়ে। বিশেষ করে চিকিৎসা সেবায় তারা এশিয়া শুধু নয়, বরং বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশগুলোর একটি। ভারতের এহেন উন্নতি দেখেও আমাদের দেশের নীতি নির্দ্ধারকদের যদি সঠিক বোধদয় না ঘটে তবে সেটা আমাদের জন্য দুঃখ করার মতো কারনই বটে। কারন আমাদের দেশে ট্যালেন্টের কোনো অভাব নেই। শুধু সঠিক পরিকল্পনা আর যথাযথ অর্থায়নের অভাব...

বাংলাদেশ গর্ব করার মত একটি দেশ...
স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পাঁচ দশকে বিশেষ করে বিগত এক দশকে অনেকদুর এগিয়েছে...
আরো অনেক অনেক এগিয়ে যেতে হবে...
 
শতোভাগ একমত, মামা।
আচ্ছা, আমাদের গ্লোব বায়োটিকের কি খবর, মামা ?
যতোটুকু জেনেছিলাম, তারা এই ব্যাপারে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলো।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা উৎপাদন করার অনুমোদন পেয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক...

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় যে ১৫৬টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পূর্বাবস্থায় আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকা আছে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রাণীর ওপর তাদের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রি-ক্লিনিক্যাল ইভালুয়েশনের তালিকায় গ্লোবের যে তিনটি ভ্যাকসিন স্থান পেয়েছে সেগুলো হলো ডি৬১৪ ভেরিয়েন্ট এমআরএনএ, ডিএনএ প্লাজমিড ও এডিনোভাইরাস টাইপ-৫ ভেক্টর...

(সূত্রঃ প্রথম আলো)...
 
বুঝলাম অনেক কিছুই।
যদিও আমি অন্য কারনে বিষয়টার অবতারনা করেছিলাম।
কোভিট-১৯ যেভাবে তার রূপ পাল্টাচ্ছে তাতে করে এই ভ্যাকসিন দেয়ার পরেও তার কার্য্যকারিতা কতোটা আটকানো যাবে সে ব্যাপারে অনেকেরই সংশয় আছে। আমি সেই দিক বিবেচনায় কথাটা তুলেছিলাম, মামা !

ঠিক, কোভিড ১৯ এর নানা ভ্যারিয়েন্টের কথা শোনা যাচ্ছে...
সংশয় থাকাও অস্বাভাবিক নয়...
কিন্তু মানব সভ্যতা নানা দুর্ভোগ আর দুর্যোগ পেরিয়েই তো এগিয়ে যাচ্ছে...
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top