What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (7 Viewers)

Status
Not open for further replies.
এটা এক হিসেবে আপনি সত্য বলতে পারেন, কারন সাধারনত বেশিরভাগ ভ্যাক্সিনেরই ৯০-৯৫% কার্জকারিতা প্রমান করে সেটা বাজারজাত করতে করতে অন্তত বছর দুয়েক সময় লেগে যায়। কিন্তু এই করোনার ব্যপারটা যে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে, তাই এই ভ্যাক্সিন ট্রায়াল আর রেজাল্ট ইভ্যালুয়েশন করে বাজারজাত করতে বাধ্য হয়েই কিছুটা তাড়াহুড়া করতে হয়েছে।

কিন্তু মূল যে বিষয়টা এখানে সবার জানার বিষয় সেটা হচ্ছে এই যে, ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা যদি কমও হয়, অন্তত ট্রায়ালে এটা কনফার্ম করা হয়েছে যে এগুলো নিলে কারোর কোন জীবনঘাতী ক্ষতি হয়ে যাবে না এবং কোন কোন মানুষকে জন্য এই ভ্যাক্সিন দেওয়া যাবে না (অ্যালার্জি জনিত কারনে)। সুতরাং এই ভ্যাক্সিনে আপনার উপকার যদি নাও হয়, ক্ষতি আশা করা যায় হবে না। নাই মামার চেয়ে কানা মামা সিচুয়েশন যাকে বলে।

বুঝলাম অনেক কিছুই।
যদিও আমি অন্য কারনে বিষয়টার অবতারনা করেছিলাম।
কোভিট-১৯ যেভাবে তার রূপ পাল্টাচ্ছে তাতে করে এই ভ্যাকসিন দেয়ার পরেও তার কার্য্যকারিতা কতোটা আটকানো যাবে সে ব্যাপারে অনেকেরই সংশয় আছে। আমি সেই দিক বিবেচনায় কথাটা তুলেছিলাম, মামা !
 
আলহামদুলিল্লাহ ভালো...ডিউটি নেই আজ সকালে, তাই একটু আয়েশ করছিলাম, অনেক দিন পর...আপনার খবর কি মামা?

আলহামদুলিল্লাহ !
আমি ভালো আছি, মামা।
আপনাদের এরকম অবসর পাওয়া তো খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। বিশেষ করে এরকম একটা পরিস্থিতিতে...
মূল্যবান এই অবসর সময়টা যেনো ভালোভাবে কাটে সে প্রত্যাশা রাখছি...
 
অপু মামার কালকের ঠান্ডা বাতাস আজ আমাদের দিকে এসেছে।
বেশ উপভোগ করছি...
কিন্তু আজকের এইদিনে মামাকে এই ঘরে না দেখে বেশ কিছুটা হতাশ...
 
মামা, ইতিমধ্যেই আমাদের দ্যাশে আসা ভ্যাকসিন সম্মন্ধে যদি কিছু জানাতেন...
অনেকের কাছেই ব্যাপারটা ধুয়াশার মতো রয়ে গ্যাছে। তাদের মতে ভ্যাকসিনে আসলে তেমন একটা কাজ করবে না !

আমাদের দেশে আসা ভ্যাকসিন সম্পর্কে আগের মন্তব্যে কিছু বলেছি...

সংক্রামক রোগের টিকা উদ্ভাবন, পরীক্ষা ও উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাধারণত কয়েক বছর লেগে যায়। আবার সবসময় সব উদ্যোগ সফলতা পায় না়। গবেষণা থেকে সরবরাহ - একটা কার্যকর টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সচরাচর সময় লাগে ৫ থেকে ১০ বছর। সেটা এখন করার চেষ্টা হচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যে। এরই মাঝে উৎপাদনের কাজও তড়িৎ গতিতে চালানো হচ্ছে। বিনিয়োগকারী এবং ওষুধ প্রস্তুতকারকরা কার্যকর একটা টিকা তৈরি করতে কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থ খরচের বিশাল ঝুঁকি নিয়েছে...

গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ওষুধ প্রস্তুতকারকরা করোনাভাইরাসের একটা সফল টিকার উদ্ভাবন, পরীক্ষা এবং উৎপাদনের জন্য এখন তাই নতুন করে একটা বাস্তব সময়সূচি তৈরি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সারা বিশ্বে এই সফল টিকার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য নজিরবিহীন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তবে উদ্বেগ বাড়ছে যে করোনার ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোর প্রয়োজনকে আমলে না নিয়েই হয়ত এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে ধনী দেশগুলো...

বলা হচ্ছে বিজ্ঞানীরা কার্যকর টিকা উদ্ভাবনে সফল হলে এবং তার সফল উৎপাদন সম্ভব হলেও তা বিশ্বের সব মানুষকে সরবরাহের জন্য যথেষ্ট হবে না। ব্রিটেনের মেডিকেল জার্নালের এক নিবন্ধ অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য ১৯৪টি দেশে করোনার দুটি টিকার জন্য ১৫০০ কোটিরও বেশি ডোজের প্রয়োজন। এই হিসেবটা করা হয়েছে কে আগে কে পরে পাবে সেই বিবেচনা না করে...

বিশ্ব জুড়ে করোনার ২৭৩টি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চললেও মোট ১২টি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গবেষণার তৃতীয় ধাপ পার হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনে ৭০% থেকে ৯৫% কার্যকারিতা লক্ষ্য করা গেছে...

এর মধ্যে ছয়টি ভ্যাকসিনকে বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে । এগুলো হলো:
ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টোজিনামেরান, - কার্যকারিতা ৯৫%
মডার্না কোম্পানির এমআরএনএ-১২৭৩, - কার্যকারিতা ৯৫%
চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের দুটি ভ্যাকসিন,
রুশ কোম্পানি গামালিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের তৈরি একটি,
এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি একটি ভ্যাকসিন, - কার্যকারিতা ৯০%...

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকাটি 'কোভিশিল্ড' নামে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট তৈরি করছে। বাংলাদেশ ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে...
 
বুঝলাম অনেক কিছুই।
যদিও আমি অন্য কারনে বিষয়টার অবতারনা করেছিলাম।
কোভিট-১৯ যেভাবে তার রূপ পাল্টাচ্ছে তাতে করে এই ভ্যাকসিন দেয়ার পরেও তার কার্য্যকারিতা কতোটা আটকানো যাবে সে ব্যাপারে অনেকেরই সংশয় আছে। আমি সেই দিক বিবেচনায় কথাটা তুলেছিলাম, মামা !

ওই যে বললাম না...নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো! আর নতুন স্ট্রেইন গুলো নিয়ে গবেষনা তো চলছেই। দেখা যাক কি হয়...
 
শতোভাগ একমত, মামা।
আচ্ছা, আমাদের গ্লোব বায়োটিকের কি খবর, মামা ?
যতোটুকু জেনেছিলাম, তারা এই ব্যাপারে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলো।
যতদূর জানি ফান্ডিংয়ে সমস্যা ছিল...এখন কি অবস্থায় আছে সেটার আপডেট জানা নাই...
 
আপনি ভালো আছেন সেটা জেনে ভালোলাগছে, মামা।
জানি, সাবধানে থাকেন সব সময়। তারপরেও আরো সাবধানে যেনো থাকেন সেটা মনে করিয়ে দিই...

চমৎকার, প্রকৃত বন্ধুর কথা...
 
আগেও বলেছিলাম, আবারো বলছি...
আপনি আসলেই মহা বুদ্ধিমান !!

ক্যাংকা (মানে কেমন) করে...

মহা বুদ্ধিছামান কলেও (বললেও) তো ঠিক ছেলো...
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top