What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made আমার দেখা প্রচীন মসজিদ সমগ্র (2 Viewers)

১। ষাট গম্বুজ মসজিদ

tLnGc9ih.jpg

অবস্থান : বাগেরহাট

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 22°40'28.2"N 89°44'30.6"E

নির্মাতা : হযরত খানজাহান আলি (র.) এটি নির্মান করেছেন বলে ধারনা করা হয়।

[মসজিদে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কে নির্মাণ করেছিলেন সেটার সঠিক তথ্য নেই।]

নির্মাণকাল : ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
[মসজিদে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কে নির্মাণ করেছিলেন সেটার সঠিক তথ্য নেই।]


ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৪ইং


পথের হদিস : ঢাকা থেকে সরাসরি বাগেরহাটে বাস যায়। ভাড়া নন এসি ৪৫০ টাকার মত। বাসের হেলপারকে বলে রাখলে ষাট গম্বুজ মসজিদের সামনে নামিয়ে দিবে। বাস স্টেশন থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদ প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে, ইজিবাইক নিয়ে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায়।
Amar Khub iccha ei moshjid e jabar.
 
২। হযরত শাহজালালের দরগাহ মসজিদ

OkmgViih.jpg

অবস্থান : সিলেট

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 24°54'07.5"N 91°51'57.6"E

ছবি তোলার তারিখ : ২০/১০/২০১৪ ইং


পথের হদিস : বাস, ট্রেন বা প্লেনে সহজেই সিলেট চলে যাওয়া যায়। সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্রেই হযরত শাহজালালের দরগাহ মসজিদটির অবস্থান।
কোঅর্ডিনেশন টা কি বুঝিয়ে দিবে। এর অক্ষাংশ কোন টা আর দ্রাঘ্রিমা অংশ কোনটা।
 
কোঅর্ডিনেশন টা কি বুঝিয়ে দিবে। এর অক্ষাংশ কোন টা আর দ্রাঘ্রিমা অংশ কোনটা।
না, বুঝিয়ে দিবো না। কারণ আমি নিজেই ভালো বুঝি না।
সাধারণ ম্যাপে এটা কি করে খুঁজে বের করতে হয় তার একটা ধারণা আমার আছে, তবে কখনো তা প্রয়োগ করে দেখিনি।
গুগল ম্যাপ বের করে (24°54'07.5"N 91°51'57.6"E) জিপিএস কোঅর্ডিনেশন কপি-পেস্ট করি। তাতেইচোখের নিমিশে পেয়ে যাই সঠিক অবস্থান।
 
১১ : অসমাপ্ত মসজিদ

ZB0dPB0h.jpg


GPS coordinates : 24°11'06.1"N 89°54'39.4"E
অসস্থান : আতিয়া মসজিদের কাছে, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল
ছবি তোলার তারিখ : ২৩/০৫/২০১৪ইং

পথের হদিস : ঢাকা > টাঙ্গাইল / দেলদুয়ার > আতিয়া মসজিদ > অসমাপ্ত মসজিদ।
 
১২ : দেওয়ান বাড়ি মসজিদ
ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি মসজিদ


EGki7uwh.jpg


অবস্থান : ভাগলপুর, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ।
GPS coordinates : 24°12'03.0"N 90°55'25.8"E
নির্মাতা : দেওয়ান গৌউস খান
নির্মাণকাল : ১১০৫ হিজরী সনে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
আকার : মসজিদটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৪৬ ফুট এবং প্রস্থে প্রায় ৩০ ফুট। ২২ ফুট প্রশস্ত একটি বারান্দা রয়েছে।
গম্বুজ : মসজিদের ছাদে এক সারিতে ৩ টি গম্বুজ রয়েছে। মাঝের গম্বুজটি পাশের দুটির তুলনা সামান্য বড়।
মিনার : মসজিদের ৪ কোণে ৪ টি বড় কোণিক মিনার রয়েছে।
মেহরাব : পশ্চিম দেয়ালে ৩ টি মেহরাব রয়েছে।
কারুকাজ : মোঘল ও সেন বংশীয় স্থাপত্যের স্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে।
প্রবেশ পথ : মসজিদের মোট ৫ টি দরজা রয়েছে। যাদের মধ্যে মসজিদের পূর্বের দেয়ালে ৩ টি, উত্তর দেয়ালে ১ টি ও দক্ষিণের দেয়ালে ১ টি দরজা রয়েছে। সেই সাথে ২টি জানালাও আছে।
অন্যান্য তথ্য : দেওয়ান গৌউস খান মোঘল আমলে এখানকার গভর্ণর ছিলেন। বৃটিশ আমলে ভূমিকম্পে মসজিদটির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে ছিলো। পরবর্তীতে এটিকে পুনঃ সংস্কার কর হয়। মসজিদে আরবী ও ফার্সী ভাষায় ২ টি শিলালিপি রয়েছে। মসজিদটি এখনও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় আসেনি।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/০২/২০১৭ ইং

পথের হদিস : ঢাকার মহাখালি বা সায়েদাবাদ থেকে বাসে বাজিতপুর। বাজিদপুর থেকে প্রায় ৪ কিলমিটার দূরে ভাগলপুরে যেতে পারেন লোকাল যানবাহনে।
Save the Heritages of Bangladesh এর ২৯তম ইভেন্টে গিয়ে ছিলাম এখানে।
 
০১৩ : বন্দর শাহী মসজিদ

9FdImP0h.jpg
অবস্থান : বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।
GPS coordinates : 23°36'45.9"N 90°31'00.7"E
নির্মাতা : মালিক আল-মুয়াজ্জম বাবা সালেহ
নির্মাণকাল : ১৪৮২ খ্রিস্টাব্দ (৮৮৬ হিজরি)
আকার : বর্গাকার এ মসজিদের পরিমাপ অভ্যন্তরভাগে ৬.২০ মিটার এবং বহির্ভাগে ৯.৭০ মিটার।
গম্বুজ : ছাদে রয়েছে একটি বৃহৎ গম্বুজ।
মিনার : চার কোণে রয়েছে অষ্টভুজাকৃতি চারটি মিনার।
মেহরাব : মসজিদটিতে তিনটি অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব আছে। এদের মধ্যবর্তীটি সবচেয়ে বড়।
কারুকাজ : গম্বুজের গোড়ার দিকে চারপাশ ঘিরে রয়েছে পদ্মফুল ও কলসের নকশা-বেষ্টনী।
প্রবেশ পথ : মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথের মধ্যবর্তীটি প্রশস্ততর এবং এটির উচ্চতা ২.২০ মিটার ও চওড়া ১.৩৭ মিটার। দক্ষিণ ও উত্তর দিকে অপর দুটি প্রবেশপথ ২ মিটার উঁচু ও ১ মিটার প্রশস্ত। পার্শ্বের প্রবেশপথগুলো সম্মুখের মধ্যবর্তী প্রবেশপথের সমান আকৃতির।
অন্যান্য তথ্য : মসজিদটি পুনর্নির্মিত হয়েছে এবং পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তর দিকে বারান্দা সংযোজন করে এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এর দুই দিকে এমন ভাবে নতুন দালান করা হয়েছে যে পুরনো মসজিদটি আর দেখাই যায় না।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/০২/২০১৭ ইং

পথের হদিস : পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে নবীগঞ্জ। নবীগঞ্জ থেকে রিকসায় “বন্দর শাহী মসজিদ”। তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে রিকসা নিয়ে চলে আসা যায় “বন্দর শাহী মসজিদ”।
 
০১৪ : শাহ মাহমুদ মসজিদ

uDgMscph.jpg

অবস্থান : কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে।
GPS coordinates : 24°15'41.0"N 90°39'49.8"E
নির্মাতা : শেখ মাহমুদ
নির্মাণকাল : ১৬৮০ সালে
আকার : বর্গাকৃতি এই মসজিদের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট।
গম্বুজ : ছাদে রয়েছে একটি বৃহৎ গম্বুজ।
মিনার : চার কোণায় আট কোণাকৃতির বুরুজ রয়েছে।
কারুকাজ : মোঘল স্থাপত্যরীতি নির্মিত এই মসজিদের ভিতর ও বাইরের রয়েছে পোড়ামাটির চিত্রফলক
প্রবেশ পথ : মসজিদের পূর্বের দেয়ালে ৩টি দরজা। তবে মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রবেশের মূল দরজাটি ছনের কুটীরের ন্যায় অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি পাকা দোচালা ভবন মধ্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

অন্যান্য তথ্য : মসজিদটির নির্মাতা বণিক শেখ মাহমুদ এবং তার নামেই মসজিদটির পরিচিতি। কিন্তু ইউনেস্কো থেকে প্রকাশিত মুসলিম স্থ্যাপত্যের ক্যাটালগে একে "শাহ মোহাম্মদ মসজিদ" হিসাবে নির্দেশ করা হয়েছে। মসজিদের চার কোণায় চারটি মূল্যবান প্রস্তর ফলক ছিল যা চুরি হয়ে গেছে।

ছবি তোলার তারিখ : ০৮/১০/২০১৮ ইং
পথের হদিস : ঢাকা থেকে প্রথমে আপনাকে চলে যেতে হবে টোকের থানার ঘাট বাস স্টপ। সেখান থেকে রিকসা বা হেঁটেই চলে যেতে পারেন।
তথ্য সূত্র : উইকি
 

Users who are viewing this thread

Back
Top