What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made আমার দেখা প্রচীন মঠ সমগ্র (1 Viewer)

০১৪ : বুদ্ধদেব বসু বাড়ির মঠ
ZSxJgZkh.jpg

সপ্তদশ শতকে মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের অত্যাচার থেকে রক্ষার জন্য ১৬৬৪ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব সেনাধ্যক্ষ শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করেন। শায়েস্তা খান সুবেদার নিযুক্ত হওয়ার পরপরই ৫৫টি পরগণা নিয়ে গঠিত নাওয়ারা মহালের কানুনগো নিযুক্ত করেন দেবীদাস বসু ঠাকুরকে। দেবীদাস বসু ঠাকুর মূলত মালখানগরের গোড়াপত্তনকারী। দেবীদাস বসু ঠাকুর ধলেশ্বরী নদীর দু’মাইল দক্ষিণে নাওয়ারা মহালের কাচারি বাড়ি নির্মাণ করেন। কাচারি বাড়িটি স্থানীয়দের কাছে “মালখানা” নামে পরিচিত ছিল। “মালখানা” হতে এ গ্রামের নাম হয় “মালখানা নগর”। সময়ের পরিক্রমায় স্থানীয় মানুষদের মুখে মুখে এটি “মালখানগর” হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে অতীত দলিলপত্রে আঠারশো শতকে এ গ্রামের নাম “বসুরনগর” নামেও দেখা যায়।

অতিবৃদ্ধ রামরাজা বসু ঠাকুরের ছিল তিন ছেলে - মহেশচন্দ্র বসু ঠাকুর, ভারত চন্দ্র বসু ঠাকুর ও ঈশ্বরচন্দ্র বসু ঠাকুর। ভারতচন্দ্র বসু ঠাকুরের একমাত্র ছেলে ছিল শরত্চন্দ্র বসু ঠাকুর। শরত্চন্দ্র বসু ঠাকুরের দুই সন্তান ছিল - বঙ্কিমচন্দ্র বসু ঠাকুর ও ভূদেবচন্দ্র বসু ঠাকুর। ভূদেবচন্দ্র বসু ঠাকুরের ঘরে জন্মনেন বুদ্ধদেব বসু। বুদ্ধদেব তাঁর বংশীয় পদবি থেকে “ঠাকুর” ছেঁটে ফেলেন।

বুদ্ধদেব বসুদের পারিবারিক আদি বাড়ির সামনেই রয়েছে এই মঠটি।

ছবি তোলার স্থান : মালখানগর, সিরাজদিখান, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°33'07.9"N 90°25'32.7"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
 
০১৫ : ফেগুনাসার মঠ

9TUWR8th.jpg

মঠটি সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা নেই আমার। কারা কখন এই মঠটি তৈরি করেছেন তা সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা নেই। শীর্ষভাগে রয়েছে লৌহশলাকা। মঠটির চূড়ায় আশ্রয় নিয়েছে বটের চারা, একদিন হয়তো গ্রাস করে নিবে। তবে মঠটিতে একটি শিবলিঙ্গ স্থাপিত হয়েছে এবং নিয়োমিত পূজা হয়। মঠটির একটিমাত্র প্রবেশপথ রয়েছে। মঠের উপরের অংশে ছোট ছোট প্রকষ্ঠে পাখিরা বাস করে।

ছবি তোলার স্থান : সিরাজদিখান, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°32'50.8"N 90°26'12.8"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
 
০১৬ : আউটশাহী মঠ
CEH9Ok7h.jpg


আউটশাহী গ্রামে মঠটির অবস্থান। আট কোণাকার এ মঠটি দক্ষিণমুখী। এর দেয়ালের পুরুত্ব ১/১০ মিটার। এর প্রতি পাশ বাইরের দিক দিয়ে ২.৫৫ মিটার। মঠটি প্রথম ৩.৬০ মিটার আটকোনে সমানভাবে উঠে গিয়ে এর পরের উচ্চতা থেকে ক্রমেই সরু হয়ে ১৯ মিটার উঁচুতে উঠে শীর্ষভাগে গিয়ে পিরামিডের মতো মিলেছে। এর চারপাশেই খিলান আকৃতির নকশা। দক্ষিণমুখীএকমাত্র প্রবেশপথটিতে খাঁজকাটা নকশা আছে। ধারনা করা হয় এটি অষ্টাদশ শতকে তৈরি।

ছবি তোলার স্থান : আউটশাহী, টঙ্গীবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°31'14.3"N 90°26'09.0"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
 
০১৭ : মাইজ পাড়া মঠ - ১ / ভাঙ্গা মঠ

lLOBC5xh.jpg


মাইজ পাড়ায় যে মঠ আমরা দেখতে যাচ্ছিলাম সেখানে এক সাথে কয়েকটি মঠ আছে। যাওয়ার পথে মাইজ পাড়া মাঠের ঠিক আগেই রাস্তার পূর্ব পাশে ঝোপ-ঝারের আড়ালে একটি বেশ বড় আকারের মঠ আছে। আট কোণাকার এ মঠটির চূড়ার অংশটুকু কোনো ভাবে ভেঙ্গে গেছে। তাই অনেকেই একে ভাঙ্গা মঠ নামে চেনে।

মঠটি কে কখন কার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য আমার জানা নাই।

ছবি তোলার স্থান : মাইজ পাড়া, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°31'25.4"N 90°15'06.6"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
 
আমার দেখা পুরনো মঠ - ০১৮
মাইজ পাড়া মঠ


bPQyvv9h.jpg

মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাড়িখাল ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে একটি সুউচ্চ কারুকাজময় মঠ রয়েছে। মঠটি মাইজপাড়া মঠ নামে পরিচিত।

বাংলা ১২১৯ সনে দেওয়ান মুর্শিদকুলী খান জমিদার প্রথা চালু করে মাইজপাড়া পরগণার জমিদাড়িদেন গোবিন্দ্র প্রসাদ রায়কে। গোবিন্দ্র প্রসাদ রায়ের মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে বৈদ্রনাথ রায় ও তারা প্রসাদ রায় জমিদারির হাল ধরেন। জানা যায় আনুমানিক প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে জমিদার তারাপ্রসাদ রায়ের মৃত্যুর পর তার স্মৃতি মন্দির হিসেবে ১২০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট মাইজপাড়া মঠটি তৈরী করা হয়। তারাপ্রসাদ রায়ের দুই সহ ধর্মীনি সুধামণি দেবী ও নবদূর্গা দেবীর মৃত্যু হলে মড় মঠটির দুই পাশে ছোট আকারের আরোও দুটি মঠ তৈরী করা হয়। জানা যায়, তারাপ্রসাদ রায়ের পূর্নচন্দ্র রায়, বিলাশ চন্দ্র রায় ও অজিত চন্দ্র রায় নামে তিন ছেলে ছিল। যায়গাটি জমিদার পরিবারের শ্মশাণখোলা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

বাংলা ১২৯২ সনের ৩১ আষাঢ় ভূমিকম্পে মঠগুলি ক্ষতিগ্রস্থ বা ভেঙ্গে যায়। এক বছর পর বাংলা ১২৯৩ সনের বৈশাখ মাসে তারাপ্রসাদ রায়ের মঠটি পূনরায় নির্মান করা হয়। রাজনারায়ণ নামে একজন নির্মাণ কারিগর মঠটি তৈরি করেন। মঠটির সারা গায়ে অসংখ্য ছোট ছোট খোপ আছে। অত্যন্ত চমৎকার নির্মাণশৈলী এবং কারুকার্যময় খোপগুলোতে প্রচুর টিয়াপাখি বসবাস করে।

মঠটির চুড়ায় লোহার রডের সাথে পিতলের কলস ও তামার ছোট একটি ঘট আটকানো ছিল। দুস্কৃতিকারিরা ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে কলস ভাঙ্গার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে ২০০৮ সালের মার্চ মাসে রাতের অন্ধকারে মঠের উপরে উঠে কলসটি চুরির চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত গত ২০১২ সালের ১৮ জুলাই কয়েক দিনের ভারি বর্ষনে মঠটির উপরিভাগ কলস ও ঘট সহ ধ্বসে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জিনিসগুলি থানায় নিয়ে জব্দ করে রাখে।


ছবি তোলার স্থান : শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinate : 23°31'35.3"N 90°15'00.3"E
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং
 
You bring out the best in other people

This perfectly-timed photo looks like it took a lot of patience and skill – definitely the work of a pro!
 
চমৎকার বেশ কিছু ছবি দেখলাম।
প্রায় প্রতিটা ছবির সাথে মঠগুলোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পড়তে খুবই ভালো লেগেছে।
আপনি আপনার মতো করেই এই ছবি আর কথাগুলো লিখেছেন। সেজন্যই আপনার তুলনা শুধু আপনার সাথেই চলে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
ভীষণ তথ্যবহুল পোস্ট। বিস্ময়কর স্থাপত্যশৈলী। সবচেয়ে অবাক হলাম এটা জেনে যে সোনারং মঠটি কুতুবমিনারের থেকেও উ৺চু। অথচ কোন ইতিহাস বইতে এর উল্লেখ পাওয়া যায় না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top