ঈদের দিন শেষ পাতে মিষ্টি লাগেই। সেটা হোক সকাল, দুপুর বা রাতের খাবার। ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্নের পাশাপাশি ভিন্ন কিছু বানাতে পারেন মন চাইলেই। রেসিপি দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস।
বানুফি পাই
বানুফি পাই
উপকরণ: কনডেনসড মিল্ক ১ কৌটা, সাগর বা সবরি কলা ৫-৬টি, তরল দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, ভারী ক্রিম ১ কাপ, ক্রিম ক্রেকার বিস্কুট ২০-২২টি ও আইসিং সুগার আধা কাপ।
প্রণালি: কলা টুকরা করে রাখতে হবে। প্রেশার কুকারে কনডেনসড মিল্ক কৌটা বন্ধ অবস্থায় রেখে সমপরিমাণ পানি দিয়ে, প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে ২০ মিনিট চুলায় রাখুন। প্রথমে বেশি জ্বালে, পরে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে প্রেশার কুকারের সিটি যেন না ওঠে। ১ ঘণ্টা পর প্রেশার কুকার থেকে কনডেনসড মিল্কের কৌটা বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৪-৫ ঘণ্টা রাখতে হবে। এভাবেই হবে টফি তৈরি। এবার কৌটা কেটে একটা বাটিতে কনডেনসড মিল্ক ঢেলে নিন। আধা কাপ ফ্রেশ ক্রিম মিলিয়ে বিট করে নিন। বিস্কুট গ্রাইন্ডারে গুঁড়া করে ৩ টেবিল চামচ মাখন মিলিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে বিস্কুটের গুঁড়া ঢেলে বসিয়ে নিন। ১০ মিনিট ফ্রিজে রাখতে হবে। ভারী ক্রিম বিট করে ২টি কলা ভর্তা (ম্যাশড) করে নিতে হবে। ক্রিমের সঙ্গে মেলান। ২ টেবিল চামচ টফি, আধা কাপ আইসিং সুগার দিয়ে বিট করে নিতে হবে। ফ্রিজ থেকে পরিবেশন পাত্র বের করে নিন। কিছুটা ক্রিম দিয়ে, স্লাইস করা কলা দিয়ে তার ওপর কিছুটা টফি ঢেলে আবার বিস্কুটের গুঁড়া, ক্রিম, কলা স্লাইস, টফি দিয়ে কয়েক স্তরে সাজিয়ে, ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন করতে হবে বানুফি পাই।
মাহালাবিয়া
মাহালাবিয়া
উপকরণ: দুধ ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, ভারী ক্রিম ১ কাপ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ক্রিম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। ক্রিম দিয়ে বিট করে পরিবেশন ডিশে ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে।
সিরাপের উপকরণ: চিনি আধা কাপ, পানি ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ ও লাল খাওয়ার রং আধা চা-চামচ।
প্রণালি: চিনি, পানি, লাল খাওয়ার রং, গোলাপজল একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ পানির সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিতে হবে। সিরাপের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে মাহালাবিয়ার ওপর ঢেলে দিন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে ড্রাই কোকোনাট, পেস্তাকুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ স্বাদের মাহালাবিয়া।
কাটায়েফ
কাটায়েফ
উপকরণ: কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, কাস্টার্ড পাউডার ২ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, ফ্রেশ ক্রিম ১ কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ক্রিম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে, চুলায় দিয়ে রান্না করতে হবে, ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে, ক্রিম দিয়ে বিট করে নিন।
সিরাপের উপকরণ: ১ কাপ চিনি ও ১ কাপ পানি চুলায় দিন। ফুটে উঠলে ১ টেবিল চামচ কেওড়াজল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে নামাতে হবে।
প্যানকেকের উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, সুজি আধা কাপ, ইস্ট আধা চা-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, পানি পরিমাণমতো ও ডিম ১টি, দুধ আধা কাপ।
প্রণালি: ডিম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। ডিম দিয়ে আবার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ননস্টিক ফ্রাই প্যান গরম করে সিকি কাপ মাখন দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে প্যানকেক বানাতে হবে। এভাবে সব কটি প্যানকেক বানিয়ে রাখুন। ১টি প্যানকেকের ওপর ২ টেবিল চামচ কাস্টার্ড রেখে পেস্তা, কাঠবাদামকুচি দিয়ে ভাঁজ করে পরিবেশন করুন।
উম-আলি
উম-আলি
উপকরণ: তরল দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, কনডেনসড মিল্ক আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ, শুকনা নারকেল ৪ টেবিল চামচ, এলাচিগুঁড়ো ১ চা-চামচ, পেস্তাকুচি ৪ টেবিল চামচ, কাঠবাদামকুচি ৪ টেবিল চামচ, বড় পাউরুটি ৬ স্লাইস, চিনি ১ কাপ, ফ্রেশ ক্রিম ১ কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: দুধ জ্বাল দিয়ে ফুটে উঠলে ১ কাপ দুধের সঙ্গে জাফরান, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে রাখতে হবে। বাকি দুধের সঙ্গে গুঁড়া দুধ, কনডেনসড মিল্ক, এলাচিগুঁড়া দিয়ে রান্না করতে হবে। ফুটে উঠলে কর্নফ্লাওয়ার মেশানো দুধ জ্বাল দিতে হবে, ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ক্রিম মেশান। ১ কাপ চিনির সঙ্গে ১ কাপ পানি, গোলাপজল দিয়ে জ্বাল দিয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন। পাউরুটির পাশ বাদ দিয়ে দিন। বাটার অয়েলে গরম করে বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে চিনির শিরা দিতে হবে। কিছু শুকনা নারকেল ও বাদামকুচি ছিটিয়ে দিন। ঘন দুধ ঢেলে চারদিক সমান করে ওপরে আবার শুকনা নারকেল ও বাদামকুচি ছিটিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।
নবাবি জর্দা
নবাবি জর্দা
উপকরণ: বাসমতী চাল ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, কমলার রস ৪ টেবিল চামচ, মালাই আধা কাপ, ড্রাই ফ্রুটস ১ কাপ, দারুচিনি ৪ টুকরা, এলাচি ৪টি, জাফরান আধা চা- চামচ, গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ, মোরব্বা আধা কাপ ও জর্দার মিষ্টি আধা কাপ।
প্রণালি: চাল ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে দিন। ফুটন্ত গরম পানিতে চাল দিয়ে দিন। আধা সেদ্ধ হলে ভাতের মাড় ঝরিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। ৪ টেবিল চামচ পনিতে চিনি গলিয়ে ঘি, গরমমসলা, কমলার রস, জর্দার রং দিয়ে দিন। তার ওপর ভাত দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে। জাফরান গোলাপজলে ভিজিয়ে দিতে হবে। ড্রাই ফ্রুটস, মোরব্বা দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রেখে, পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিন। এবার বাকি ড্রাই ফ্রুটস, মোরব্বা, মালাই, মাওয়া, জর্দার মিষ্টি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আমের মিষ্টান্ন
আমের মিষ্টান্ন
উপকরণ: পাকা আম কিউব করে কাটা ৪ কাপ, হুইপিং ক্রিম ২ কাপ, কনডেনসড মিল্ক আধা কাপ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ কাপ।
প্রণালি: হুইপিং ক্রিম বিট করে নিতে হবে। ২ কাপ আম, ১ কাপ হুইপিং ক্রিম, কনডেনসড মিল্ক একসঙ্গে বিট করে নিতে হবে। এবার বড় আইসক্রিম কাপ বা গুবলেটে কিছু আমের মণ্ড, হুইপিং ক্রিম, আমের কিউব, আইসক্রিম দিয়ে সাজিয়ে নিন। আবার একইভাবে তার ওপর আরেক সারি আমের মণ্ড, হুইপিং ক্রিম, আমের কিউব, আইসক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ঠান্ডা আমের মিষ্টান্ন।
বানুফি পাই
বানুফি পাই
উপকরণ: কনডেনসড মিল্ক ১ কৌটা, সাগর বা সবরি কলা ৫-৬টি, তরল দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, ভারী ক্রিম ১ কাপ, ক্রিম ক্রেকার বিস্কুট ২০-২২টি ও আইসিং সুগার আধা কাপ।
প্রণালি: কলা টুকরা করে রাখতে হবে। প্রেশার কুকারে কনডেনসড মিল্ক কৌটা বন্ধ অবস্থায় রেখে সমপরিমাণ পানি দিয়ে, প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে ২০ মিনিট চুলায় রাখুন। প্রথমে বেশি জ্বালে, পরে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে প্রেশার কুকারের সিটি যেন না ওঠে। ১ ঘণ্টা পর প্রেশার কুকার থেকে কনডেনসড মিল্কের কৌটা বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৪-৫ ঘণ্টা রাখতে হবে। এভাবেই হবে টফি তৈরি। এবার কৌটা কেটে একটা বাটিতে কনডেনসড মিল্ক ঢেলে নিন। আধা কাপ ফ্রেশ ক্রিম মিলিয়ে বিট করে নিন। বিস্কুট গ্রাইন্ডারে গুঁড়া করে ৩ টেবিল চামচ মাখন মিলিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে বিস্কুটের গুঁড়া ঢেলে বসিয়ে নিন। ১০ মিনিট ফ্রিজে রাখতে হবে। ভারী ক্রিম বিট করে ২টি কলা ভর্তা (ম্যাশড) করে নিতে হবে। ক্রিমের সঙ্গে মেলান। ২ টেবিল চামচ টফি, আধা কাপ আইসিং সুগার দিয়ে বিট করে নিতে হবে। ফ্রিজ থেকে পরিবেশন পাত্র বের করে নিন। কিছুটা ক্রিম দিয়ে, স্লাইস করা কলা দিয়ে তার ওপর কিছুটা টফি ঢেলে আবার বিস্কুটের গুঁড়া, ক্রিম, কলা স্লাইস, টফি দিয়ে কয়েক স্তরে সাজিয়ে, ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন করতে হবে বানুফি পাই।
মাহালাবিয়া
মাহালাবিয়া
উপকরণ: দুধ ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, ভারী ক্রিম ১ কাপ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ক্রিম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। ক্রিম দিয়ে বিট করে পরিবেশন ডিশে ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে।
সিরাপের উপকরণ: চিনি আধা কাপ, পানি ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ ও লাল খাওয়ার রং আধা চা-চামচ।
প্রণালি: চিনি, পানি, লাল খাওয়ার রং, গোলাপজল একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ পানির সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে নিতে হবে। সিরাপের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে মাহালাবিয়ার ওপর ঢেলে দিন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে ড্রাই কোকোনাট, পেস্তাকুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ স্বাদের মাহালাবিয়া।
কাটায়েফ
কাটায়েফ
উপকরণ: কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, কাস্টার্ড পাউডার ২ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, ফ্রেশ ক্রিম ১ কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ক্রিম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে, চুলায় দিয়ে রান্না করতে হবে, ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে, ক্রিম দিয়ে বিট করে নিন।
সিরাপের উপকরণ: ১ কাপ চিনি ও ১ কাপ পানি চুলায় দিন। ফুটে উঠলে ১ টেবিল চামচ কেওড়াজল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে নামাতে হবে।
প্যানকেকের উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, সুজি আধা কাপ, ইস্ট আধা চা-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, পানি পরিমাণমতো ও ডিম ১টি, দুধ আধা কাপ।
প্রণালি: ডিম ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিলিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। ডিম দিয়ে আবার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ননস্টিক ফ্রাই প্যান গরম করে সিকি কাপ মাখন দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে প্যানকেক বানাতে হবে। এভাবে সব কটি প্যানকেক বানিয়ে রাখুন। ১টি প্যানকেকের ওপর ২ টেবিল চামচ কাস্টার্ড রেখে পেস্তা, কাঠবাদামকুচি দিয়ে ভাঁজ করে পরিবেশন করুন।
উম-আলি
উম-আলি
উপকরণ: তরল দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, কনডেনসড মিল্ক আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ, শুকনা নারকেল ৪ টেবিল চামচ, এলাচিগুঁড়ো ১ চা-চামচ, পেস্তাকুচি ৪ টেবিল চামচ, কাঠবাদামকুচি ৪ টেবিল চামচ, বড় পাউরুটি ৬ স্লাইস, চিনি ১ কাপ, ফ্রেশ ক্রিম ১ কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ ও গোলাপজল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: দুধ জ্বাল দিয়ে ফুটে উঠলে ১ কাপ দুধের সঙ্গে জাফরান, গোলাপজল দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে রাখতে হবে। বাকি দুধের সঙ্গে গুঁড়া দুধ, কনডেনসড মিল্ক, এলাচিগুঁড়া দিয়ে রান্না করতে হবে। ফুটে উঠলে কর্নফ্লাওয়ার মেশানো দুধ জ্বাল দিতে হবে, ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ক্রিম মেশান। ১ কাপ চিনির সঙ্গে ১ কাপ পানি, গোলাপজল দিয়ে জ্বাল দিয়ে ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন। পাউরুটির পাশ বাদ দিয়ে দিন। বাটার অয়েলে গরম করে বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে চিনির শিরা দিতে হবে। কিছু শুকনা নারকেল ও বাদামকুচি ছিটিয়ে দিন। ঘন দুধ ঢেলে চারদিক সমান করে ওপরে আবার শুকনা নারকেল ও বাদামকুচি ছিটিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।
নবাবি জর্দা
নবাবি জর্দা
উপকরণ: বাসমতী চাল ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, কমলার রস ৪ টেবিল চামচ, মালাই আধা কাপ, ড্রাই ফ্রুটস ১ কাপ, দারুচিনি ৪ টুকরা, এলাচি ৪টি, জাফরান আধা চা- চামচ, গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ, মোরব্বা আধা কাপ ও জর্দার মিষ্টি আধা কাপ।
প্রণালি: চাল ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে দিন। ফুটন্ত গরম পানিতে চাল দিয়ে দিন। আধা সেদ্ধ হলে ভাতের মাড় ঝরিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। ৪ টেবিল চামচ পনিতে চিনি গলিয়ে ঘি, গরমমসলা, কমলার রস, জর্দার রং দিয়ে দিন। তার ওপর ভাত দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে। জাফরান গোলাপজলে ভিজিয়ে দিতে হবে। ড্রাই ফ্রুটস, মোরব্বা দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রেখে, পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিন। এবার বাকি ড্রাই ফ্রুটস, মোরব্বা, মালাই, মাওয়া, জর্দার মিষ্টি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আমের মিষ্টান্ন
আমের মিষ্টান্ন
উপকরণ: পাকা আম কিউব করে কাটা ৪ কাপ, হুইপিং ক্রিম ২ কাপ, কনডেনসড মিল্ক আধা কাপ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ কাপ।
প্রণালি: হুইপিং ক্রিম বিট করে নিতে হবে। ২ কাপ আম, ১ কাপ হুইপিং ক্রিম, কনডেনসড মিল্ক একসঙ্গে বিট করে নিতে হবে। এবার বড় আইসক্রিম কাপ বা গুবলেটে কিছু আমের মণ্ড, হুইপিং ক্রিম, আমের কিউব, আইসক্রিম দিয়ে সাজিয়ে নিন। আবার একইভাবে তার ওপর আরেক সারি আমের মণ্ড, হুইপিং ক্রিম, আমের কিউব, আইসক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ঠান্ডা আমের মিষ্টান্ন।