What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখতে চাই পর্যাপ্ত ঘুম (1 Viewer)

4bAiIo9.jpg


হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম, সঠিক ওজন ও ধূমপানকে না বলার পাশাপাশি দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুমেরও প্রয়োজন। সুস্থ হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন (প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ বার), স্বাভাবিক রক্তচাপ ও স্বাভাবিক দেহঘড়ি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমান, তাঁদের চেয়ে যাঁরা প্রতি রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। যাঁরা কম ঘুমান, তাঁদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার হারও বেশি। সুতরাং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাভাবিক ও পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই দরকার। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, হৃদ্‌যন্ত্রের সুস্থতায় একজন মানুষের দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা, অর্থাৎ গড়ে সাত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

হৃদ্‌যন্ত্রের ওপর ঘুমের প্রভাব

দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের ক্ষুধা দমনকারী হরমোনগুলোর নিঃসরণ কমে যায়, যা ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ্‌যন্ত্রের ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমতে ভূমিকা রাখে। ধমনিতে দীর্ঘদিন এভাবে ক্যালসিয়াম জমতে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি রাতে মাত্র এক ঘণ্টার কম ঘুমে ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমার হার বাড়ে ৩৩ শতাংশ।

স্বাভাবিক ঘুমের সময় আমাদের রক্তচাপ দিনের তুলনায় গড়ে ১০ শতাংশ কম থাকে। পর্যাপ্ত ঘুমে রক্তচাপের এই স্বাভাবিক ছন্দ বজায় থাকে। ঘুমের সমস্যা হওয়ার অর্থ রক্তচাপ দীর্ঘ সময়ের জন্য বেশি থাকা। বাড়তি রক্তচাপ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।।

ডায়াবেটিস হৃদ্‌যন্ত্রসহ শরীরের অন্যান্য রক্তনালির ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ভালো ঘুম রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। ভালো ঘুমের ইতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরের 'স্ট্রেস হরমোন'-এর ওপর। এতে অত্যধিক মানসিক চাপ, আবেগ ও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃৎস্পন্দন থাকে স্বাভাবিক। স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন এবং মানসিক প্রশান্তি হৃদ্‌যন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিদ্রাহীনতা থেকে তৈরি হয় বিষণ্নতা। বিষণ্নতাও হৃদ্‌রোগের একটি কারণ। এ ছাড়া ভালো ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সক্রিয় রাখে।

স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য

স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে—

  • প্রতি রাতে একই সময় বিছানায় যাওয়া এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ প্রতি সকালে একই সময় ঘুম থেকে ওঠা।
  • শোয়ার ঘর শীতল, অন্ধকার ও শান্ত রাখা।
  • ঘুমানোর আগে চা-কফি ও কোমল পানীয় পান না করা।
  • দিনের বেলা ব্যায়াম করার জন্য সময় বের করতে হবে। হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রমের জুড়ি নেই।
  • ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে কম্পিউটার, মুঠোফোন ও টিভি বন্ধ করতে হবে। এই ডিভাইসগুলো থেকে মানসিক উদ্দীপনা তৈরি করে এবং এগুলোর নীল আলো ঘুমকে বাধাগ্রস্ত করে

* ডা. শরদিন্দু শেখর রায়, হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ
 

Users who are viewing this thread

Back
Top