গেঁজো দাঁতের মেয়ে
- রাখাল হাকিম
০১
মেয়েদের গেঁজো দাঁত এর প্রতি আমি অস্বাভাবিক ভাবে দুর্বল। তার কারন আমি নিজেও বুঝিনা।
পৃথিবীর অনেক কবি সাহিত্যিকরাই নারীর সুন্দর হাসির অনেক বর্ননাই তো দিয়ে গেছে। দাঁত নিয়ে কেউ খুব বেশী লিখেছে বলে আমার জানা নেই। তবে, অন্ততঃ গেঁজো দাঁত নিয়ে কেউ কোন গলপো কিংবা কবিতা লিখেছে বলে আমি মনে করি না।
আমার মায়ের দাঁতও গেঁজো ছিলো। যখন হাসতো, তখন মাঝ খানের দাঁত দুটোর দু পাশে ঈষৎ বড় দুটি খন্তির মতো দাঁতের মাঝে নীচ থেকে ছোট দুটি দাঁত এর অস্তিত্ব চোখে পরতো। আমার কাছে তখন খুব অপূর্ব লাগতো। আমার তখন খুবই ইচ্ছে হতো, মা যদি তার সেই দাঁতে খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে, পাখিদের মতো করে আমার মুখে খাবার তুলে দিতো, তাহলে কি অপূর্বই না লাগতো!
শৈশব থেকেই খাওয়া নিয়ে মাকে খুব জ্বালাতন করতাম। মা আমার খাবার গুলো নিজেই মুখে নিয়ে চিবিয়ে বলতো, কই স্বাদ তো! খাচ্ছো না কেনো?
মা যখন খাবার চিবুতো, তখন আমি তন্ময় হয়েই মায়ের মুখের দিকে তাঁকিয়ে থাকতাম। মা নিজে থেকেই বলতো, আমি কি মুখে করে তোমাকে খাইয়ে দেবো?
আমি মাথা নাড়তাম। মা মুচকি হাসতো। তারপর, আমার খাবারগুলো তার মুখে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে ঠিক পক্ষী শাবকের মতোই আমার মুখে ঢেলে দিতো। আমার কাছে তখন অপূর্ব লাগতো সে খাবার গুলো।
কিন্তু কেনো এমন লাগতো, নিজেও অনুমান করতে পারতাম না। মায়ের দাঁত গেঁজো বলেই কিনা কে জানে?
মাঝে মাঝে আমিও ভাবি, মায়ের দাঁত যদি গেঁজো না হতো, তাহলে কি হতো? এর উত্তর আমি খোঁজে পাইনা। মাঝে মাঝে এও ভাবি, যদি পৃথিবীর সব মেয়েদের দাঁত গেঁজো হতো? আমার মনে হয়, তখন খুব একটা ভালো আমারও লাগতো না। তবে, কুৎসিত চেহারার কোন মেয়ের গেঁজো দাঁত হলে কেমন লাগতো?
০২
আমার মেঝো বোন মৌসুমী। গোলগাল চেহারা। গায়ের রং ঈষৎ শ্যামলা। তবে সাংঘাতিক ধরনের মিষ্টি চেহারা। তার দাঁতও গেঁজো। তার গেঁজো দাঁত অসম্ভব পাগল করতো আমাকে।
আমার চাইতে তিন বছরের বড়। তার দাঁত দেখে আমি মাঝে মাঝে এমনও আব্দার করতাম, ছোট আপু, তোমার মুখের থুতু না জানি কত স্বাদ! একটু খেতে দেবে?
মৌসুমী খিল খিল করে হাসতো। বলতো, ছি ছি, থুতু কেউ খায় নাকি?
আমি বলতাম, কেউ খায় কিনা জানিনা। তবে, তোমার দাঁত গুলো এত অপূর্ব লাগে, মাঝে মাঝে ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে, দুপাশের কুড়ালের মতো দাঁত দুটি।
মৌসুমী গর্ব বোধই করতো। সে তার মুখে পাতলা থুতু বানিয়ে আমার মুখে ঢালতো। আমি বলতাম, খুবই পাতলা। আরেকটু ঘন।
মৌসুমী ঘন থুতু বানাতেই চেষ্টা করতো।
আমার সবচেয়ে ছোট বোন ইলা। আমার চাইতে ছয় বছরের ছোট। তার দাঁতও গেঁজো। ইলার গেঁজো দাঁতের হাসি দেখলে, রীতীমতো আমার লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যায়। কি আছে ইলার সেই গেঁজো দাঁতে?
ইলাকেও আমি কম জ্বালাতন করতাম না। যখন ইলা নিজেই মন খারাপ করে কিছু খেতো না, তখন আমি পাল্টা বলতাম, তুমি না খেলে না খাও। আমাকে খাইয়ে দাও। তবে, তোমার মুখ থেকে খাইয়ে দিতে হবে।
ইলার অভিমানটা একটু হলেও কমতো। সে তার মুখে করে কতবার যে খাইয়ে দিয়েছে হিসেব করে বলতে পারবো না। পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার বলে মনে হতো যখন ইলা আমাকে মুখে করে খাইয়ে দিতো।
শুধু তাই নয়, ইলা যখন খুব ছোট ছিলো, তখন থেকেই আদর করে ইলার ঠোটে চুমু দিতাম। শুধু মাত্র ইলার চমৎকার গেঁজো দাঁতের জন্যেই। খুব নেশার মতোই ব্যাপারটা ছিলো।
মায়ের মৃত্যুর পর ইলা আমার পাশেই ঘুমুতো। আমি প্রতি রাতে ইলার ঠোটে চুমু দিয়েই ঘুম পারিয়ে দিতাম। সেই সাথে তার গেঁজো দাঁতে জিভ ঠেকিয়ে খানিক চাটতামও।
আমার মতো এমন বিকৃত রূচির মানুষ কয়জন আছে পৃথিবীতে, তা আমি নিজেও জানিনা। সেই আমি মেয়েদের দেখলেই প্রথমে তার দাঁত দেখি। যদি দাঁতে গেঁজো ভাব চোখে পরে, তখন আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে যায়। ব্যাঘ্র যেমন শিকার এর সন্ধান পেলে কোন কিছু না ভেবে শিকার মুখে তুলে নেবার জন্যে হন্যে হয়ে থাকে, আমিও তেমনি দিশেহারা হয়ে পরি, কিভাবে সেই মেয়েটিকে নিজের হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব।
তখন ক্লাশ নাইনে উঠেছি মাত্র। বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য, বিষয়ের অনেক বিভাগ। বিভিন্ন স্কুল থেকে নবাগত নবাগতা ছাত্র ছাত্রীও অনেক।কাউকে চিনি, কাউকে চিনিনা।বাংলা, ইংরেজী, সাধারন গণিত, এসব কম্বাইণ্ড ক্লাশ। এর বাইরের বিষয় হলেই ক্লাশ বদল করতে হয়। প্রথম পিরিয়ড সাধারণ গণিত।দ্বিতীয় পিরিয়ড বাংলা। তারপরই বিজ্ঞানের রসায়ন।
- রাখাল হাকিম
০১
মেয়েদের গেঁজো দাঁত এর প্রতি আমি অস্বাভাবিক ভাবে দুর্বল। তার কারন আমি নিজেও বুঝিনা।
পৃথিবীর অনেক কবি সাহিত্যিকরাই নারীর সুন্দর হাসির অনেক বর্ননাই তো দিয়ে গেছে। দাঁত নিয়ে কেউ খুব বেশী লিখেছে বলে আমার জানা নেই। তবে, অন্ততঃ গেঁজো দাঁত নিয়ে কেউ কোন গলপো কিংবা কবিতা লিখেছে বলে আমি মনে করি না।
আমার মায়ের দাঁতও গেঁজো ছিলো। যখন হাসতো, তখন মাঝ খানের দাঁত দুটোর দু পাশে ঈষৎ বড় দুটি খন্তির মতো দাঁতের মাঝে নীচ থেকে ছোট দুটি দাঁত এর অস্তিত্ব চোখে পরতো। আমার কাছে তখন খুব অপূর্ব লাগতো। আমার তখন খুবই ইচ্ছে হতো, মা যদি তার সেই দাঁতে খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে, পাখিদের মতো করে আমার মুখে খাবার তুলে দিতো, তাহলে কি অপূর্বই না লাগতো!
শৈশব থেকেই খাওয়া নিয়ে মাকে খুব জ্বালাতন করতাম। মা আমার খাবার গুলো নিজেই মুখে নিয়ে চিবিয়ে বলতো, কই স্বাদ তো! খাচ্ছো না কেনো?
মা যখন খাবার চিবুতো, তখন আমি তন্ময় হয়েই মায়ের মুখের দিকে তাঁকিয়ে থাকতাম। মা নিজে থেকেই বলতো, আমি কি মুখে করে তোমাকে খাইয়ে দেবো?
আমি মাথা নাড়তাম। মা মুচকি হাসতো। তারপর, আমার খাবারগুলো তার মুখে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে ঠিক পক্ষী শাবকের মতোই আমার মুখে ঢেলে দিতো। আমার কাছে তখন অপূর্ব লাগতো সে খাবার গুলো।
কিন্তু কেনো এমন লাগতো, নিজেও অনুমান করতে পারতাম না। মায়ের দাঁত গেঁজো বলেই কিনা কে জানে?
মাঝে মাঝে আমিও ভাবি, মায়ের দাঁত যদি গেঁজো না হতো, তাহলে কি হতো? এর উত্তর আমি খোঁজে পাইনা। মাঝে মাঝে এও ভাবি, যদি পৃথিবীর সব মেয়েদের দাঁত গেঁজো হতো? আমার মনে হয়, তখন খুব একটা ভালো আমারও লাগতো না। তবে, কুৎসিত চেহারার কোন মেয়ের গেঁজো দাঁত হলে কেমন লাগতো?
০২
আমার মেঝো বোন মৌসুমী। গোলগাল চেহারা। গায়ের রং ঈষৎ শ্যামলা। তবে সাংঘাতিক ধরনের মিষ্টি চেহারা। তার দাঁতও গেঁজো। তার গেঁজো দাঁত অসম্ভব পাগল করতো আমাকে।
আমার চাইতে তিন বছরের বড়। তার দাঁত দেখে আমি মাঝে মাঝে এমনও আব্দার করতাম, ছোট আপু, তোমার মুখের থুতু না জানি কত স্বাদ! একটু খেতে দেবে?
মৌসুমী খিল খিল করে হাসতো। বলতো, ছি ছি, থুতু কেউ খায় নাকি?
আমি বলতাম, কেউ খায় কিনা জানিনা। তবে, তোমার দাঁত গুলো এত অপূর্ব লাগে, মাঝে মাঝে ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে, দুপাশের কুড়ালের মতো দাঁত দুটি।
মৌসুমী গর্ব বোধই করতো। সে তার মুখে পাতলা থুতু বানিয়ে আমার মুখে ঢালতো। আমি বলতাম, খুবই পাতলা। আরেকটু ঘন।
মৌসুমী ঘন থুতু বানাতেই চেষ্টা করতো।
আমার সবচেয়ে ছোট বোন ইলা। আমার চাইতে ছয় বছরের ছোট। তার দাঁতও গেঁজো। ইলার গেঁজো দাঁতের হাসি দেখলে, রীতীমতো আমার লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যায়। কি আছে ইলার সেই গেঁজো দাঁতে?
ইলাকেও আমি কম জ্বালাতন করতাম না। যখন ইলা নিজেই মন খারাপ করে কিছু খেতো না, তখন আমি পাল্টা বলতাম, তুমি না খেলে না খাও। আমাকে খাইয়ে দাও। তবে, তোমার মুখ থেকে খাইয়ে দিতে হবে।
ইলার অভিমানটা একটু হলেও কমতো। সে তার মুখে করে কতবার যে খাইয়ে দিয়েছে হিসেব করে বলতে পারবো না। পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার বলে মনে হতো যখন ইলা আমাকে মুখে করে খাইয়ে দিতো।
শুধু তাই নয়, ইলা যখন খুব ছোট ছিলো, তখন থেকেই আদর করে ইলার ঠোটে চুমু দিতাম। শুধু মাত্র ইলার চমৎকার গেঁজো দাঁতের জন্যেই। খুব নেশার মতোই ব্যাপারটা ছিলো।
মায়ের মৃত্যুর পর ইলা আমার পাশেই ঘুমুতো। আমি প্রতি রাতে ইলার ঠোটে চুমু দিয়েই ঘুম পারিয়ে দিতাম। সেই সাথে তার গেঁজো দাঁতে জিভ ঠেকিয়ে খানিক চাটতামও।
আমার মতো এমন বিকৃত রূচির মানুষ কয়জন আছে পৃথিবীতে, তা আমি নিজেও জানিনা। সেই আমি মেয়েদের দেখলেই প্রথমে তার দাঁত দেখি। যদি দাঁতে গেঁজো ভাব চোখে পরে, তখন আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে যায়। ব্যাঘ্র যেমন শিকার এর সন্ধান পেলে কোন কিছু না ভেবে শিকার মুখে তুলে নেবার জন্যে হন্যে হয়ে থাকে, আমিও তেমনি দিশেহারা হয়ে পরি, কিভাবে সেই মেয়েটিকে নিজের হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব।
তখন ক্লাশ নাইনে উঠেছি মাত্র। বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য, বিষয়ের অনেক বিভাগ। বিভিন্ন স্কুল থেকে নবাগত নবাগতা ছাত্র ছাত্রীও অনেক।কাউকে চিনি, কাউকে চিনিনা।বাংলা, ইংরেজী, সাধারন গণিত, এসব কম্বাইণ্ড ক্লাশ। এর বাইরের বিষয় হলেই ক্লাশ বদল করতে হয়। প্রথম পিরিয়ড সাধারণ গণিত।দ্বিতীয় পিরিয়ড বাংলা। তারপরই বিজ্ঞানের রসায়ন।
Last edited: