[HIDE]
পরদিন বিকেলে ফুটবল ম্যাচ দেখতে তাথৈ, বৃষ্টি, সুস্মিতা এবং আরো কয়েকজন মেয়ে খেলা দেখতে এসেছিল, মাঠে অনেক দর্শক হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আরো অনেক মেয়েও আছে যাদের কেউ সাম্যদের জন্য হাততালি দিচ্ছে তো কেউ অভয়দের জন্য, অভয় খেলছে। দুটো দলই ভালো খেলছে বৃষ্টি, সুস্মিতা সহ আরো অনেকেই সাম্যর জন্য চিয়ার করছে শুধু তাথৈ বাদে সে অভয়কে একদৃষ্টে লক্ষ্য করছে।
খেলায় কিন্তু সাম্যর দল হেরে গেল অভয়ের দল জিতলো বটে কিন্তু সাম্যর একটা ট্যাকেলে পায়ে চোট পেল অভয়, একটু খেলা শেষে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে লাগলো অভয়কে ওভাবে দেখে তাথৈএর যেন কি একটা হয়ে গেল কিন্তু কেন হচ্ছে বুঝতে পারছিল না তার ইচ্ছা করছিল অভয়ের কাছে যেতে অথচ অভয়ের কাছে যেতেও পারছে না কারন সে তখন তার দলের ছেলেদের সাথে আছে, এদিকে বৃষ্টি ক্রমাগত সাম্যকে টিটকারী দিয়ে যাচ্ছে সাম্য মাথা নীচু করে আছে, যদিও তাথৈএর ভীষণ রাগ হচ্ছিল অভয়কে ওভাবে মারার জন্য।
এমন সময় পাশ থেকে একজন অচেনা মেয়ে কাকে যেন বললো: আরিব্বাস ছেলেটাকে দেখ কি হ্যাণ্ডসাম রে।
তাথৈ ওদের দৃষ্টিকে অনুসরণ করে দেখলো ওরা অভয়কে দেখে কথাটা বলছে, সে এখন জার্সি খুলে ফেলেছে খালি গা বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পরছে, এবার একজন জলের বোতল এগিয়ে দিল অভয় সেটা উঁচু করে জল খেতে লাগলো কিছুটা জল মুখ থেকে বেরিয়ে গলা বেয়ে পরতে লাগলো, তাথৈ লক্ষ্য করলো শুধু সেই মেয়েটা না আরও কয়েকটা মেয়ে অভয়ের দিকে একদৃষ্টিতে হা করে তাকিয়ে আছে এমনকি সুস্মিতাও..
একটু পরে অভয় সাম্যর দিকে এগিয়ে এল হ্যাণ্ডশেকের জন্য হাতটা বাড়িয়ে বললো: তুইও ভালো খেলেছিস সাম্য, খেলায় হারজিত আছেই সো মাইণ্ড করিস না। সাম্য কিন্তু হাত মেলালো না রাগী চোখে অভয়কে যেন মাপতে লাগলো। অভয় এখনো খালি গায়ে, তাথৈ দেখলো আশেপাশের মেয়েগুলো তখনও অভয়ের দিকে তাকিয়ে আছে ,তাথৈএর মাথায় কেন যেন রাগ উঠে গেল সেটা সে নিজেও বুঝলো না অভয়কে বললো: তোমার মতো অসভ্য ছোটোলোকের সিমপ্যাথির দরকার নেই সাম্যর, ও নীচু মনের ছেলে নয় যে এরকম একটা ম্যাচে হেরে মনখারাপ করে বসে থাকবে।
এই অতর্কিত আক্রমণ এবং অপমানে অভয় হতভম্ব হয়ে গেল সে বললো: আমি তো জাস্ট...
তাথৈ: দরকার নেই বললাম তো, এখন এখান থেকে বিদায় হও।
অভয় আর কিছু না বলে মাথা নীচু করে যেতে যেতে শুনলো পিছনে তাথৈ বলছে: নির্লজ্জ ছোটোলোক ছেলে কোথাকার?
পরদিন স্কুলে যথারীতি তাথৈ ক্লাসের প্রথমদিকে ওর গ্ৰুপের সাথে বসেছে, একটু পরেই অভয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এসে পিছনের দিকে চলে গেল বোঝাই যাচ্ছে ওর পায়ের ব্যাথাটা এখনো কমেনি। ছুটির পরে কিন্তু তাথৈ অভয়কে খুঁজতে লাগলো, অভয়ের বন্ধুদের জিজ্ঞেস করে জানলো যে ওকে স্কুলের মাঠের দিকে যেতে দেখা গেছে তাথৈ ওইদিকে দ্রুত পায়ে চলে গেল।
মাঠে গিয়ে একটু এদিক ওদিক খুঁজতেই অভয়কে দেখতে পেল তাথৈ, অভয় তখন কাছেই একটা বড়ো গাছের ছায়ায় বসে আঘাত প্রাপ্ত পা থেকে বুট মোজা খুলে তাতে বরফ ঘষছে, ওর ব্যথাটা যে এখনো বেশ ভালো মতোই আছে সেটা মাঝে মাঝে ওর চোখ-মুখ কুঁচকে যাওয়া থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
তাথৈ জানতো স্কুলের পাশের এক দোকানে ছোটো পাউচে করে ঠান্ডা জল কিনতে পাওয়া যায় সে তাড়াতাড়ি ওই দোকানের দিকে গেল।
পায়ের ব্যাথাটা যে এত সহজে কমবে না বুঝতে পারছিল অভয়, সাম্য যে ওকে কাল ইচ্ছা করে মেরেছে সেটাও বুঝেছিল কিন্তু সবথেকে যেটা খারাপ লাগছিল সেটা তাথৈএর ব্যবহার কিন্তু কেন খারাপ লাগছিল সেটা বুঝতে পারছিল না। আজ স্কুলে ঢোকার আগে পাশের দোকানে বরফের কথা বলে রেখেছিল ছুটির পর ওখান থেকেই বরফ নিয়ে গাছের ছায়ায় বসে পায়ে ঘষছিল আর তাথৈএর খারাপ ব্যবহারের কথা ভাবতে লাগলো কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পরেছিল এমন সময় পায়ে একটা নতুন স্পর্শ পেয়ে চমকে তাকিয়ে দেখে তাথৈ ওর সামনে বসে ওর পায়ে বরফ ঘষছে।
তাড়াতাড়ি বলে উঠলো: কি করছো পা ছাড়ো।
তাথৈ উত্তর না দিয়ে অভয়ের পায়ে বরফ ঘষতে লাগলো অভয় এবার একটু রাগের সঙ্গেই বললো: দেখো আমার আর অপমানিত হবার শখ নেই, প্লিজ তুমি এখান থেকে যাও... ছাড়ো আমিই চলে যাচ্ছি। বলে উঠতে যেতেই তাথৈ ধমকে উঠলো: চুপচাপ বসো এখানে, ওঠার চেষ্টা করলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।
অভয়: পা থেকে হাত সরাও। অভয় তাথৈএর হাত সরাতে গেল, তাতে তাথৈ যেন আরো রেগে গেল আবার ধমক দিল: চুপ করে বসতে পারছো না?
তারপর আবার নিজে নিজেই গজরাতে লাগলো: অসভ্য অভদ্র ছেলে..
এবার অভয়ও রেগে গেল বললো; তুমি ছাড়ো, যা করেছো তারজন্য ধন্যবাদ। বলে আবার উঠতে গেল অমনি তাথৈ বললো: প্লিজ বসো। কিন্তু এবারে তাথৈএর গলায় ধমক নেই উল্টে তার গলা কাঁপছে অভয় অবাক হয়ে দেখলো তাথৈ হাতের উল্টোপিঠে নিজের চোখদুটো মুছে নিল, তাথৈ কাঁদছে..
অভয় বললো: বাঃ চোট লেগেছে আমার, আবার আমাকেই বারবার অপমান করছো সেটাও মেনে নিলাম কিন্তু তুমি কাঁদছো কেন?? কেউ দেখলে ভাববে আমি তোমাকে কাঁদিয়েছি। তাথৈ আবার নিজের চোখ মুছলো, অভয় তাথৈএর হাত থেকে বরফ নিতে গেল কিন্তু তাথৈ দিল না নিজেই চেপে ধরে থাকলো, অভয় বললো: তুমি কাঁদছো কেন সেটা তো বলবে?
তাথৈ: তোমার খুব ব্যথা করছে না?
অভয় একটু অবাক হলো এই মেয়েটার হয়েছে টা কি? কাল এত অপমান করলো আজ আবার নিজে এসে বরফ লাগাচ্ছে, একটু পরে তাথৈ বললো: তুমি বসো আমি আরেকটু বরফ নিয়ে আসি। বলে তাথৈ উঠতে যেতেই অভয় বাধা দিল "এই না তার দরকার নেই আমি ক্রেপ বেধে নিচ্ছি, কিন্তু তুমি কাঁদছিলে কেন?"
তাথৈ আবার বসে বললো: দাও আমি বেধে দিচ্ছি। বলে অভয়ের হাত থেকে ক্রেপটা নিয়ে নিল, অভয় বললো: সত্যি বলোতো কি হয়েছে তোমার? কাল আমাকে কত অপমান করলে আর আজ আমার চোটে বরফ লাগালে এখন ক্রেপ বাঁধছো, ব্যাপারটা কি?
তাথৈ এবার আবার ঝাঁঝিয়ে উঠলো: বেশ করেছি, পায়ে চোট লেগেছে হাঁটতে পারছে না সেদিকে হুঁশ নেই উনি জার্সি খুলে বডি দেখাচ্ছেন.. আর ওদেরও লজ্জা নেই একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
অভয়: আমি জার্সি খুলেছি বলে তুমি রেগে যাচ্ছো কেন? আমার গরম লাগছিল তাই খুলেছি আর কারা দেখছিল?
দেখোনি? ওই মেয়েগুলো।
তাতে তুমি রেগে যাচ্ছো কেন?
না দেখবে না।
অভয় কিছুটা বুঝতে পারলো মনে মনে হাসলো তারপর বললো: কেন? দেখবে না কেন?
অভয়ের পায়ে ক্রেপ বাঁধা হয়ে গিয়েছিল, তাথৈ এবার অভয়ের পাশে ওর গা ঘেঁষে বসে বললো: না দেখবে না আমার ভালো লাগে না।
অভয় হেসে উঠলো সেটা দেখে তাথৈ একটু রেগে গেল বললো: তুমি হাসছো কেন?
কিছুনা, এমনি।
[/HIDE]
পরদিন বিকেলে ফুটবল ম্যাচ দেখতে তাথৈ, বৃষ্টি, সুস্মিতা এবং আরো কয়েকজন মেয়ে খেলা দেখতে এসেছিল, মাঠে অনেক দর্শক হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আরো অনেক মেয়েও আছে যাদের কেউ সাম্যদের জন্য হাততালি দিচ্ছে তো কেউ অভয়দের জন্য, অভয় খেলছে। দুটো দলই ভালো খেলছে বৃষ্টি, সুস্মিতা সহ আরো অনেকেই সাম্যর জন্য চিয়ার করছে শুধু তাথৈ বাদে সে অভয়কে একদৃষ্টে লক্ষ্য করছে।
খেলায় কিন্তু সাম্যর দল হেরে গেল অভয়ের দল জিতলো বটে কিন্তু সাম্যর একটা ট্যাকেলে পায়ে চোট পেল অভয়, একটু খেলা শেষে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে লাগলো অভয়কে ওভাবে দেখে তাথৈএর যেন কি একটা হয়ে গেল কিন্তু কেন হচ্ছে বুঝতে পারছিল না তার ইচ্ছা করছিল অভয়ের কাছে যেতে অথচ অভয়ের কাছে যেতেও পারছে না কারন সে তখন তার দলের ছেলেদের সাথে আছে, এদিকে বৃষ্টি ক্রমাগত সাম্যকে টিটকারী দিয়ে যাচ্ছে সাম্য মাথা নীচু করে আছে, যদিও তাথৈএর ভীষণ রাগ হচ্ছিল অভয়কে ওভাবে মারার জন্য।
এমন সময় পাশ থেকে একজন অচেনা মেয়ে কাকে যেন বললো: আরিব্বাস ছেলেটাকে দেখ কি হ্যাণ্ডসাম রে।
তাথৈ ওদের দৃষ্টিকে অনুসরণ করে দেখলো ওরা অভয়কে দেখে কথাটা বলছে, সে এখন জার্সি খুলে ফেলেছে খালি গা বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পরছে, এবার একজন জলের বোতল এগিয়ে দিল অভয় সেটা উঁচু করে জল খেতে লাগলো কিছুটা জল মুখ থেকে বেরিয়ে গলা বেয়ে পরতে লাগলো, তাথৈ লক্ষ্য করলো শুধু সেই মেয়েটা না আরও কয়েকটা মেয়ে অভয়ের দিকে একদৃষ্টিতে হা করে তাকিয়ে আছে এমনকি সুস্মিতাও..
একটু পরে অভয় সাম্যর দিকে এগিয়ে এল হ্যাণ্ডশেকের জন্য হাতটা বাড়িয়ে বললো: তুইও ভালো খেলেছিস সাম্য, খেলায় হারজিত আছেই সো মাইণ্ড করিস না। সাম্য কিন্তু হাত মেলালো না রাগী চোখে অভয়কে যেন মাপতে লাগলো। অভয় এখনো খালি গায়ে, তাথৈ দেখলো আশেপাশের মেয়েগুলো তখনও অভয়ের দিকে তাকিয়ে আছে ,তাথৈএর মাথায় কেন যেন রাগ উঠে গেল সেটা সে নিজেও বুঝলো না অভয়কে বললো: তোমার মতো অসভ্য ছোটোলোকের সিমপ্যাথির দরকার নেই সাম্যর, ও নীচু মনের ছেলে নয় যে এরকম একটা ম্যাচে হেরে মনখারাপ করে বসে থাকবে।
এই অতর্কিত আক্রমণ এবং অপমানে অভয় হতভম্ব হয়ে গেল সে বললো: আমি তো জাস্ট...
তাথৈ: দরকার নেই বললাম তো, এখন এখান থেকে বিদায় হও।
অভয় আর কিছু না বলে মাথা নীচু করে যেতে যেতে শুনলো পিছনে তাথৈ বলছে: নির্লজ্জ ছোটোলোক ছেলে কোথাকার?
পরদিন স্কুলে যথারীতি তাথৈ ক্লাসের প্রথমদিকে ওর গ্ৰুপের সাথে বসেছে, একটু পরেই অভয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এসে পিছনের দিকে চলে গেল বোঝাই যাচ্ছে ওর পায়ের ব্যাথাটা এখনো কমেনি। ছুটির পরে কিন্তু তাথৈ অভয়কে খুঁজতে লাগলো, অভয়ের বন্ধুদের জিজ্ঞেস করে জানলো যে ওকে স্কুলের মাঠের দিকে যেতে দেখা গেছে তাথৈ ওইদিকে দ্রুত পায়ে চলে গেল।
মাঠে গিয়ে একটু এদিক ওদিক খুঁজতেই অভয়কে দেখতে পেল তাথৈ, অভয় তখন কাছেই একটা বড়ো গাছের ছায়ায় বসে আঘাত প্রাপ্ত পা থেকে বুট মোজা খুলে তাতে বরফ ঘষছে, ওর ব্যথাটা যে এখনো বেশ ভালো মতোই আছে সেটা মাঝে মাঝে ওর চোখ-মুখ কুঁচকে যাওয়া থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
তাথৈ জানতো স্কুলের পাশের এক দোকানে ছোটো পাউচে করে ঠান্ডা জল কিনতে পাওয়া যায় সে তাড়াতাড়ি ওই দোকানের দিকে গেল।
পায়ের ব্যাথাটা যে এত সহজে কমবে না বুঝতে পারছিল অভয়, সাম্য যে ওকে কাল ইচ্ছা করে মেরেছে সেটাও বুঝেছিল কিন্তু সবথেকে যেটা খারাপ লাগছিল সেটা তাথৈএর ব্যবহার কিন্তু কেন খারাপ লাগছিল সেটা বুঝতে পারছিল না। আজ স্কুলে ঢোকার আগে পাশের দোকানে বরফের কথা বলে রেখেছিল ছুটির পর ওখান থেকেই বরফ নিয়ে গাছের ছায়ায় বসে পায়ে ঘষছিল আর তাথৈএর খারাপ ব্যবহারের কথা ভাবতে লাগলো কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পরেছিল এমন সময় পায়ে একটা নতুন স্পর্শ পেয়ে চমকে তাকিয়ে দেখে তাথৈ ওর সামনে বসে ওর পায়ে বরফ ঘষছে।
তাড়াতাড়ি বলে উঠলো: কি করছো পা ছাড়ো।
তাথৈ উত্তর না দিয়ে অভয়ের পায়ে বরফ ঘষতে লাগলো অভয় এবার একটু রাগের সঙ্গেই বললো: দেখো আমার আর অপমানিত হবার শখ নেই, প্লিজ তুমি এখান থেকে যাও... ছাড়ো আমিই চলে যাচ্ছি। বলে উঠতে যেতেই তাথৈ ধমকে উঠলো: চুপচাপ বসো এখানে, ওঠার চেষ্টা করলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।
অভয়: পা থেকে হাত সরাও। অভয় তাথৈএর হাত সরাতে গেল, তাতে তাথৈ যেন আরো রেগে গেল আবার ধমক দিল: চুপ করে বসতে পারছো না?
তারপর আবার নিজে নিজেই গজরাতে লাগলো: অসভ্য অভদ্র ছেলে..
এবার অভয়ও রেগে গেল বললো; তুমি ছাড়ো, যা করেছো তারজন্য ধন্যবাদ। বলে আবার উঠতে গেল অমনি তাথৈ বললো: প্লিজ বসো। কিন্তু এবারে তাথৈএর গলায় ধমক নেই উল্টে তার গলা কাঁপছে অভয় অবাক হয়ে দেখলো তাথৈ হাতের উল্টোপিঠে নিজের চোখদুটো মুছে নিল, তাথৈ কাঁদছে..
অভয় বললো: বাঃ চোট লেগেছে আমার, আবার আমাকেই বারবার অপমান করছো সেটাও মেনে নিলাম কিন্তু তুমি কাঁদছো কেন?? কেউ দেখলে ভাববে আমি তোমাকে কাঁদিয়েছি। তাথৈ আবার নিজের চোখ মুছলো, অভয় তাথৈএর হাত থেকে বরফ নিতে গেল কিন্তু তাথৈ দিল না নিজেই চেপে ধরে থাকলো, অভয় বললো: তুমি কাঁদছো কেন সেটা তো বলবে?
তাথৈ: তোমার খুব ব্যথা করছে না?
অভয় একটু অবাক হলো এই মেয়েটার হয়েছে টা কি? কাল এত অপমান করলো আজ আবার নিজে এসে বরফ লাগাচ্ছে, একটু পরে তাথৈ বললো: তুমি বসো আমি আরেকটু বরফ নিয়ে আসি। বলে তাথৈ উঠতে যেতেই অভয় বাধা দিল "এই না তার দরকার নেই আমি ক্রেপ বেধে নিচ্ছি, কিন্তু তুমি কাঁদছিলে কেন?"
তাথৈ আবার বসে বললো: দাও আমি বেধে দিচ্ছি। বলে অভয়ের হাত থেকে ক্রেপটা নিয়ে নিল, অভয় বললো: সত্যি বলোতো কি হয়েছে তোমার? কাল আমাকে কত অপমান করলে আর আজ আমার চোটে বরফ লাগালে এখন ক্রেপ বাঁধছো, ব্যাপারটা কি?
তাথৈ এবার আবার ঝাঁঝিয়ে উঠলো: বেশ করেছি, পায়ে চোট লেগেছে হাঁটতে পারছে না সেদিকে হুঁশ নেই উনি জার্সি খুলে বডি দেখাচ্ছেন.. আর ওদেরও লজ্জা নেই একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।
অভয়: আমি জার্সি খুলেছি বলে তুমি রেগে যাচ্ছো কেন? আমার গরম লাগছিল তাই খুলেছি আর কারা দেখছিল?
দেখোনি? ওই মেয়েগুলো।
তাতে তুমি রেগে যাচ্ছো কেন?
না দেখবে না।
অভয় কিছুটা বুঝতে পারলো মনে মনে হাসলো তারপর বললো: কেন? দেখবে না কেন?
অভয়ের পায়ে ক্রেপ বাঁধা হয়ে গিয়েছিল, তাথৈ এবার অভয়ের পাশে ওর গা ঘেঁষে বসে বললো: না দেখবে না আমার ভালো লাগে না।
অভয় হেসে উঠলো সেটা দেখে তাথৈ একটু রেগে গেল বললো: তুমি হাসছো কেন?
কিছুনা, এমনি।
[/HIDE]