[HIDE]
কিচ্ছু হবে না আপনাদের দ্বারা, সবকটা অকর্মার ঢেঁকি" হাতের পেপারটা সজোরে টেবিলে ফেলে বললেন বীরেন ভট্টাচার্য, সামনে ধীরেন ভট্টাচার্য ও পুলিশের বড়কর্তা চুপ করে মাথা নিচু করে রইলেন।
বীরেন ভট্টাচার্য আবার চিৎকার করে উঠলেন "সেদিন ছজন আর কাল রাতে চারজনকে কারা মেরে ফেললো? কি করছে আপনার পুলিশ ফোর্স?
"আমরা পুরো দমে খোঁজ চালাচ্ছি" তোতলাতে তোতলাতে কোনোমতে উত্তর দিলেন পুলিশের বড়োকর্তা।
কি খোঁজ করছেন? খোঁজ করে কি পেলেন?
স্যার, আমাদের স্পাই একটা খবর দিয়েছে
খবর? কি খবর?
আপনার মিস্টার সরকার কে মনে আছে?
কোন মিস্টার সরকার? দাদার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি? বললেন ধীরেন বাবু।
"হ্যাঁ, স্যার তিনিই" বললেন পুলিশের বড়কর্তা একটা ঢোঁক গিলে আবার বললেন "ওনার উপর আমরা নজর রেখেছি, খবর পেয়েছি তার বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে রাতের দিকে কিছু লোকজনের যাতায়াত চলছে, গত পরশুও লোকগুলো এসেছিল।
"ওর কথা তো আমার মনেই আসেনি" চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন বীরেন ভট্টাচার্য, তারপর আবার বললেন "ঠিক আছে আপনি আসুন"
পুলিশের বড়কর্তা চলে গেলেন।
এতক্ষণে ধীরেন বাবু মুখ খুললেন "চিন্তা কোরো না দাদা ,ওই সরকারকে আজকেই.."
না, একদম না একটু অপেক্ষা করো ধীরেন এবার ওই সরকারকে এমন শিক্ষা দেবো যে ভবিষ্যতে ও আর আমার সাথে লাগতে আসবে না।
আচ্ছা দাদা এই চারজনেই তো তোমার ওই..
হ্যাঁ, ওকে আনছিল ওর সাথে নাকি একটা লোক দেখা করেছে, রেস্টুরেন্টে বসে কফি খেতে খেতে কথা বলছিল।
কে সে জানতে পেরেছো?
"সেটা জানার জন্যই তো নিয়ে আনছিলাম, কিন্তু এখন পাখি পালিয়েছে" তারপর কিছুটা স্বগোতোক্তির মতো বললেন "ভুলটা আমারই মাগীকে এতদিন বাঁচিয়ে রাখাই উচিত হয়নি"
সেটা ঠিক দাদা।
কিন্তু এবার একবার হাতে পেলে আর ভুল হবে না, পুরো শহরে নিজের লোক ছড়িয়ে দাও ধীরেন ওর খোঁজ করো
অলরেডি করে দিয়েছি দাদা।
"তোমার কি মনে হয় ওই শিউলী দেবী কোনো সাহায্য করতে পারবেন?" ড্রাইভারের সিটে বসা আমির তার পাশে বসা রয়কে প্রশ্নটা করলো।
পারবে, অবশ্য যদি ওনার বিশ্বাস জিততে পারি তবেই
কিন্তু বীরেন ভট্টাচার্যের সব খবরই তো আমরা পাচ্ছি তাহলে ওনাকে কেন দরকার?
একটা দরকার তো তুমিও জানো, নাম রোহিত।
ওকে নিয়ে তোমার কোনো প্ল্যান আছে মনে হচ্ছে।
আছে, তবে সেটা এখন নয়, আর সেটা নিতান্ত দরকার পরলেই ব্যবহার করবো নচেৎ নয়।
কিন্তু আর কিছু?
তোমার লোকজন বীরেন ভট্টাচার্যের বাইরের সব খবর জোগাড় করছে কিন্তু কিছু কিছু খবর সবসময়ই থাকে যেটা এতটাই গভীরে থাকে যে আত্মীয়-পরিজন ছাড়া কেউ জানেনা, আর তাদের মধ্যে কেউ যদি রক্ষিতা হন তাহলে তো কথাই নেই।
কিন্তু শিউলী দেবী এখন ভট্টাচার্য পরিবারের বাইরে তাহলে?
কিন্তু উনি ভট্টাচার্য পরিবারের ভিতরের সবাইকে চেনেন, সবার নারী নক্ষত্র জানেন, তিনি যদি মুখ খোলেন তাহলে তার খবর আমাদের লোকেদের খবরের থেকে আরো পোক্ত হবে, কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
কি সেটা?
বীরেন ভট্টাচার্যের মতো লোক এতদিন ওনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন কেন?
শিউলী দেবীকে জিজ্ঞেস করেছিলে? কি বললেন?
উনি যা বললেন সেটা সত্যি হতে পারে কিন্তু পুরো সত্যি নয়, কিছু একটা লুকিয়ে যাচ্ছেন উনি।
কি হতে পারে
খুব সম্ভবত উনি এমন কিছু জানেন যেটা বীরেন ভট্টাচার্য জানে না অথচ জানতে চায়, আর সেটাই শিউলী দেবীকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে।
কিন্তু কথাটা বীরেন ভট্টাচার্য জেনে গেলে..
ওর কাছে শিউলী দেবীকে বাঁচিয়ে রাখার দরকার পরবে না।
উনি কি তোমাকে বলবেন?
বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে বলতেও পারেন, তবে না বললেও ওনাকে দেওয়া কথা আমি রাখবো ওনাকে আর ওনার ছেলেকে প্রোটেক্ট করবো।
আমির আর কোনো কথা না বলে গাড়ি চালাতে থাকে, একবার পাশে তাকিয়ে দেখে রয় জানালা দিয়ে গাড়ির বাইরে দেখছে, এই ছেলেটাকে মাঝে মাঝে বড়ো অদ্ভুত লাগে আমিরের বয়সে আমির ১-২ বছরের বড়ো হয়তো কিন্তু ক্ষমতায়, প্রতিপত্তিতে সে এই রয়ের ধারেকাছেও আসে না অথচ এই দূরত্ব কে রয়ই ঘুচিয়ে দিয়েছে শুধু আমির নয় ওর মতো বহু লোক আছে যাদের এই ছেলেটা নির্দিধায় কাছে টেনে নিয়েছে কোনো স্বার্থ ছাড়াই এ তার নিজের চোখে দেখা আজ থেকে তো দেখছে না তাকে সেই কবে থেকে চেনে, আজও প্রথম পরিচয়ের দিনটার কথা মনে পরলে লজ্জায় এতটুকু হয়ে যায় আমির।
[/HIDE]
[HIDE]
কিছু বছর আগে....
দেশের একটা শহর যার রাতের অন্ধকার আরো ভয়ানক কালো আর সেই কালো অন্ধকারে বাস করে অজস্র অন্ধকারের বাসিন্দা তাদের কারো কারো কাজকর্ম কালো আবার কারো ভাগ্যটাও কালো।
এই দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক ছিল আমির, এক বস্তি সংলগ্ন এলাকায় থাকতো আমিরের ঘরে সে এবং তার অসুস্থ আম্মি, পড়াশোনা বেশীদূর হয়নি ফলে অনেক চেষ্টা করেও কোনো ভালো চাকরি জোগাড় করতে পারেনি তখন বাধ্য হয়ে নাম লেখায় অপরাধ জগতে, কখনো রাজনৈতিক নেতাদের হয়ে আবার কখনো কোনো বড়লোক ব্যাবসায়ীর হয়ে কাজ করতো, আমিরের সাথেই থাকতো সেই বস্তির আরো কিছু ছেলে, তাদের নিয়ে একটা দল গড়েছিল আমির সেই দল নিয়েই কাজ করতো, কিন্তু তারা জানতো না যে দরকার ফুরিয়ে গেলে এইসব বড়োলোকেরা আমিরদের মতো লোকদের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিতে দু-বার ভাবে না, ঠিক যেমন আমিরকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল দরকার ফুরোনোর পরে, তখন তার আম্মির ভীষণ অসুখ কিন্তু চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে যেটা আমিরের ছিল না এতদিন যাদের হয়ে কাজ করেছে যাদের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখেছে তারা আর তাকে চিনলোই না। শেষে আমির আর ওর দলের কয়েকজন ঠিক করলো শহরের রাতের দিকে একা চলাফেরা করে এমন লোকদের লুঠ করবে, রাতের দিকে অনেক বড়োলোক মহিলা আর পুরুষেরাই নাইট ক্লাব থেকে পার্টি করে বাড়ি ফেরে আর বেশিরভাগই মাতাল অবস্থায় থাকে সুতরাং সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পরে কাজ হাসিল করতে খুব একটা কষ্ট হবে না অনেক সময় এইসব লোক বা মহিলাদের কাছে টাকা ছাড়াও বিভিন্ন দামী জিনিস থাকে যেগুলো চোর বাজারে বিক্রি করে কিছু এক্সট্রা টাকা হাতে আসে।
সেইমতো সব ঠিক করে এক রাতে এক নাইট ক্লাবের বাইরে ওঁত পেতে ছিল আমিররা, একটু রাতের দিকে লক্ষ্য করলো একটা ইয়ং ছেলে নাইট ক্লাব থেকে বেরিয়ে পার্কিং এরিয়ার দিকে যাচ্ছে, আমিররা নিঃশব্দে পিছু নিল কিন্তু পার্কিং এরিয়ায় গিয়ে আর দেখতে পেলো না, আমিররা এদিক ওদিক দেখতে লাগলো একজন বললো "ভাইজান মালটা পালিয়েছে মনে হচ্ছে?"
"তোমাদের আমার পিছনে কে লাগিয়েছে?" অপ্রত্যাশিত প্রশ্নটা শুনে আমির ও বাকীরা চমকে উঠলো তারপর একটু এদিক সেদিক তাকাতেই দেখতে পেলো একটু দূরে অন্ধকারে একটা মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে, মূর্তিটা একটু এগিয়ে আলোর গণ্ডির মধ্যে এলে ওরা দেখলো এটা সেই ছেলেটা যার পিছু নিয়েছিল ওরা, "কি হলো তোমাদের আমার পিছনে কে লাগিয়েছে?" প্রশ্নটা আবার করে ছেলেটা, উত্তর দেওয়ার বদলে আমিরের একজন সঙ্গী বললো "এর তো হেব্বি সাহস, যাইহোক আমাদের কাজ হয়ে যাবে"। আমিরের দলের সবাই এগিয়ে গিয়ে ছেলেটাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে, আর আমির ছেলেটার সামনে এসে একটা কাট্টা নামক বন্দুক উঁচিয়ে ধরে বলে "আমাদের কেউ পাঠায়নি, নিজেরাই এসেছি"
ছেলেটা: কেন?
আমির: মাল্লু কামাতে, এখন পকেট খালি কর তাড়াতাড়ি পকেটে যা মালকড়ি আছে সব দিয়ে দে।
আর না দিলে? বেপরোয়া উত্তর দেয় ছেলেটা। ছেলেটার পিছন থেকে একজন একটু হেসে উত্তর দেয় "না দিলে ভাইজানের কাট্টা তোর ভেজা উড়িয়ে দেবে"।
[/HIDE]
কিচ্ছু হবে না আপনাদের দ্বারা, সবকটা অকর্মার ঢেঁকি" হাতের পেপারটা সজোরে টেবিলে ফেলে বললেন বীরেন ভট্টাচার্য, সামনে ধীরেন ভট্টাচার্য ও পুলিশের বড়কর্তা চুপ করে মাথা নিচু করে রইলেন।
বীরেন ভট্টাচার্য আবার চিৎকার করে উঠলেন "সেদিন ছজন আর কাল রাতে চারজনকে কারা মেরে ফেললো? কি করছে আপনার পুলিশ ফোর্স?
"আমরা পুরো দমে খোঁজ চালাচ্ছি" তোতলাতে তোতলাতে কোনোমতে উত্তর দিলেন পুলিশের বড়োকর্তা।
কি খোঁজ করছেন? খোঁজ করে কি পেলেন?
স্যার, আমাদের স্পাই একটা খবর দিয়েছে
খবর? কি খবর?
আপনার মিস্টার সরকার কে মনে আছে?
কোন মিস্টার সরকার? দাদার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি? বললেন ধীরেন বাবু।
"হ্যাঁ, স্যার তিনিই" বললেন পুলিশের বড়কর্তা একটা ঢোঁক গিলে আবার বললেন "ওনার উপর আমরা নজর রেখেছি, খবর পেয়েছি তার বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরে রাতের দিকে কিছু লোকজনের যাতায়াত চলছে, গত পরশুও লোকগুলো এসেছিল।
"ওর কথা তো আমার মনেই আসেনি" চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন বীরেন ভট্টাচার্য, তারপর আবার বললেন "ঠিক আছে আপনি আসুন"
পুলিশের বড়কর্তা চলে গেলেন।
এতক্ষণে ধীরেন বাবু মুখ খুললেন "চিন্তা কোরো না দাদা ,ওই সরকারকে আজকেই.."
না, একদম না একটু অপেক্ষা করো ধীরেন এবার ওই সরকারকে এমন শিক্ষা দেবো যে ভবিষ্যতে ও আর আমার সাথে লাগতে আসবে না।
আচ্ছা দাদা এই চারজনেই তো তোমার ওই..
হ্যাঁ, ওকে আনছিল ওর সাথে নাকি একটা লোক দেখা করেছে, রেস্টুরেন্টে বসে কফি খেতে খেতে কথা বলছিল।
কে সে জানতে পেরেছো?
"সেটা জানার জন্যই তো নিয়ে আনছিলাম, কিন্তু এখন পাখি পালিয়েছে" তারপর কিছুটা স্বগোতোক্তির মতো বললেন "ভুলটা আমারই মাগীকে এতদিন বাঁচিয়ে রাখাই উচিত হয়নি"
সেটা ঠিক দাদা।
কিন্তু এবার একবার হাতে পেলে আর ভুল হবে না, পুরো শহরে নিজের লোক ছড়িয়ে দাও ধীরেন ওর খোঁজ করো
অলরেডি করে দিয়েছি দাদা।
"তোমার কি মনে হয় ওই শিউলী দেবী কোনো সাহায্য করতে পারবেন?" ড্রাইভারের সিটে বসা আমির তার পাশে বসা রয়কে প্রশ্নটা করলো।
পারবে, অবশ্য যদি ওনার বিশ্বাস জিততে পারি তবেই
কিন্তু বীরেন ভট্টাচার্যের সব খবরই তো আমরা পাচ্ছি তাহলে ওনাকে কেন দরকার?
একটা দরকার তো তুমিও জানো, নাম রোহিত।
ওকে নিয়ে তোমার কোনো প্ল্যান আছে মনে হচ্ছে।
আছে, তবে সেটা এখন নয়, আর সেটা নিতান্ত দরকার পরলেই ব্যবহার করবো নচেৎ নয়।
কিন্তু আর কিছু?
তোমার লোকজন বীরেন ভট্টাচার্যের বাইরের সব খবর জোগাড় করছে কিন্তু কিছু কিছু খবর সবসময়ই থাকে যেটা এতটাই গভীরে থাকে যে আত্মীয়-পরিজন ছাড়া কেউ জানেনা, আর তাদের মধ্যে কেউ যদি রক্ষিতা হন তাহলে তো কথাই নেই।
কিন্তু শিউলী দেবী এখন ভট্টাচার্য পরিবারের বাইরে তাহলে?
কিন্তু উনি ভট্টাচার্য পরিবারের ভিতরের সবাইকে চেনেন, সবার নারী নক্ষত্র জানেন, তিনি যদি মুখ খোলেন তাহলে তার খবর আমাদের লোকেদের খবরের থেকে আরো পোক্ত হবে, কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
কি সেটা?
বীরেন ভট্টাচার্যের মতো লোক এতদিন ওনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন কেন?
শিউলী দেবীকে জিজ্ঞেস করেছিলে? কি বললেন?
উনি যা বললেন সেটা সত্যি হতে পারে কিন্তু পুরো সত্যি নয়, কিছু একটা লুকিয়ে যাচ্ছেন উনি।
কি হতে পারে
খুব সম্ভবত উনি এমন কিছু জানেন যেটা বীরেন ভট্টাচার্য জানে না অথচ জানতে চায়, আর সেটাই শিউলী দেবীকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে।
কিন্তু কথাটা বীরেন ভট্টাচার্য জেনে গেলে..
ওর কাছে শিউলী দেবীকে বাঁচিয়ে রাখার দরকার পরবে না।
উনি কি তোমাকে বলবেন?
বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে বলতেও পারেন, তবে না বললেও ওনাকে দেওয়া কথা আমি রাখবো ওনাকে আর ওনার ছেলেকে প্রোটেক্ট করবো।
আমির আর কোনো কথা না বলে গাড়ি চালাতে থাকে, একবার পাশে তাকিয়ে দেখে রয় জানালা দিয়ে গাড়ির বাইরে দেখছে, এই ছেলেটাকে মাঝে মাঝে বড়ো অদ্ভুত লাগে আমিরের বয়সে আমির ১-২ বছরের বড়ো হয়তো কিন্তু ক্ষমতায়, প্রতিপত্তিতে সে এই রয়ের ধারেকাছেও আসে না অথচ এই দূরত্ব কে রয়ই ঘুচিয়ে দিয়েছে শুধু আমির নয় ওর মতো বহু লোক আছে যাদের এই ছেলেটা নির্দিধায় কাছে টেনে নিয়েছে কোনো স্বার্থ ছাড়াই এ তার নিজের চোখে দেখা আজ থেকে তো দেখছে না তাকে সেই কবে থেকে চেনে, আজও প্রথম পরিচয়ের দিনটার কথা মনে পরলে লজ্জায় এতটুকু হয়ে যায় আমির।
[/HIDE]
[HIDE]
কিছু বছর আগে....
দেশের একটা শহর যার রাতের অন্ধকার আরো ভয়ানক কালো আর সেই কালো অন্ধকারে বাস করে অজস্র অন্ধকারের বাসিন্দা তাদের কারো কারো কাজকর্ম কালো আবার কারো ভাগ্যটাও কালো।
এই দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক ছিল আমির, এক বস্তি সংলগ্ন এলাকায় থাকতো আমিরের ঘরে সে এবং তার অসুস্থ আম্মি, পড়াশোনা বেশীদূর হয়নি ফলে অনেক চেষ্টা করেও কোনো ভালো চাকরি জোগাড় করতে পারেনি তখন বাধ্য হয়ে নাম লেখায় অপরাধ জগতে, কখনো রাজনৈতিক নেতাদের হয়ে আবার কখনো কোনো বড়লোক ব্যাবসায়ীর হয়ে কাজ করতো, আমিরের সাথেই থাকতো সেই বস্তির আরো কিছু ছেলে, তাদের নিয়ে একটা দল গড়েছিল আমির সেই দল নিয়েই কাজ করতো, কিন্তু তারা জানতো না যে দরকার ফুরিয়ে গেলে এইসব বড়োলোকেরা আমিরদের মতো লোকদের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিতে দু-বার ভাবে না, ঠিক যেমন আমিরকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল দরকার ফুরোনোর পরে, তখন তার আম্মির ভীষণ অসুখ কিন্তু চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে যেটা আমিরের ছিল না এতদিন যাদের হয়ে কাজ করেছে যাদের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখেছে তারা আর তাকে চিনলোই না। শেষে আমির আর ওর দলের কয়েকজন ঠিক করলো শহরের রাতের দিকে একা চলাফেরা করে এমন লোকদের লুঠ করবে, রাতের দিকে অনেক বড়োলোক মহিলা আর পুরুষেরাই নাইট ক্লাব থেকে পার্টি করে বাড়ি ফেরে আর বেশিরভাগই মাতাল অবস্থায় থাকে সুতরাং সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পরে কাজ হাসিল করতে খুব একটা কষ্ট হবে না অনেক সময় এইসব লোক বা মহিলাদের কাছে টাকা ছাড়াও বিভিন্ন দামী জিনিস থাকে যেগুলো চোর বাজারে বিক্রি করে কিছু এক্সট্রা টাকা হাতে আসে।
সেইমতো সব ঠিক করে এক রাতে এক নাইট ক্লাবের বাইরে ওঁত পেতে ছিল আমিররা, একটু রাতের দিকে লক্ষ্য করলো একটা ইয়ং ছেলে নাইট ক্লাব থেকে বেরিয়ে পার্কিং এরিয়ার দিকে যাচ্ছে, আমিররা নিঃশব্দে পিছু নিল কিন্তু পার্কিং এরিয়ায় গিয়ে আর দেখতে পেলো না, আমিররা এদিক ওদিক দেখতে লাগলো একজন বললো "ভাইজান মালটা পালিয়েছে মনে হচ্ছে?"
"তোমাদের আমার পিছনে কে লাগিয়েছে?" অপ্রত্যাশিত প্রশ্নটা শুনে আমির ও বাকীরা চমকে উঠলো তারপর একটু এদিক সেদিক তাকাতেই দেখতে পেলো একটু দূরে অন্ধকারে একটা মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে, মূর্তিটা একটু এগিয়ে আলোর গণ্ডির মধ্যে এলে ওরা দেখলো এটা সেই ছেলেটা যার পিছু নিয়েছিল ওরা, "কি হলো তোমাদের আমার পিছনে কে লাগিয়েছে?" প্রশ্নটা আবার করে ছেলেটা, উত্তর দেওয়ার বদলে আমিরের একজন সঙ্গী বললো "এর তো হেব্বি সাহস, যাইহোক আমাদের কাজ হয়ে যাবে"। আমিরের দলের সবাই এগিয়ে গিয়ে ছেলেটাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে, আর আমির ছেলেটার সামনে এসে একটা কাট্টা নামক বন্দুক উঁচিয়ে ধরে বলে "আমাদের কেউ পাঠায়নি, নিজেরাই এসেছি"
ছেলেটা: কেন?
আমির: মাল্লু কামাতে, এখন পকেট খালি কর তাড়াতাড়ি পকেটে যা মালকড়ি আছে সব দিয়ে দে।
আর না দিলে? বেপরোয়া উত্তর দেয় ছেলেটা। ছেলেটার পিছন থেকে একজন একটু হেসে উত্তর দেয় "না দিলে ভাইজানের কাট্টা তোর ভেজা উড়িয়ে দেবে"।
[/HIDE]