What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made কাব্য মাল্য (1 Viewer)

জল কন্যা
১০/০৫/২০১৮ (রাত্রি ৯:২০)


জল কন্যা জল কন্যা
জলের পাশে বসো,
সবুজ পাতা ভালোবেসে
তোমায় দেবে চুমো.

জল কন্যা তোমায় বলি
মুচকি কেন হাসো!!
পাতার ছোঁয়ায় দেহে তোমার
হাসছে সুর্যের আলো.

জল কন্যা চেয়ে দেখো
গাছের শাখায় পাখি,
লজ্জা পেয়ে গান থামিয়ে
খেলছে লুকোচুরি.

জল কন্যা জলের হাওয়ায়
উড়ছে তোমার কেশ,
কবির হৃদয় থমকে গেছে
চলছে কলম বেশ.

জল কন্যা তোমায় দেখে
গাছের শাখায় ফুল,
ঘ্রাণ ছড়িয়ে উতলা করছে
শত প্রেমিকের বুক.

জল কন্যা দোহাই লাগে
জলে ডুব দাও,
নয়লে যে আজ পথ হারাবে
মাঝির ছোট্ট নাও.
 
Last edited:
উপলব্ধি - ৩


সলতে দেওয়া কুপির ক্ষীণ অগ্নিশিখা
হালকা বাতাসে করছে নৃত্য, যেন কোন জলসা;
মাঝে মাঝেই নর্তকীর ন্যায় আছড়ে পড়তে চাচ্ছে
কুপির দেহের উপর ...

ছোট্ট একটু অগ্নিশিখা, অথচ আলোকিত করেছে
সিড়ি ঘরের পুরোটাই.
কুপির অগ্নিশিখার সাথেই তাল মিলিয়ে নৃত্য করছে
দেওয়ালে ভেসে উঠা দেহের অবয়ব,
সেই সাথে আন্দোলিত হচ্ছে
হৃদয়ে ভাসমান স্মৃতির পালক.

একটু জোরে ফু দিলেই নিভে যাবে
জ্বলতে থাকা সলতের আগুন,
কিন্তু শত চেষ্টা করেও দুর করা যায়না
হৃদয়ে ভাসতে থাকা স্মৃতির পালক.
 
Last edited:
"দে দৌড় "
১০/০৬/২০১৮ (দুপুর ২:৩০)

দে দৌড়, দে দৌড়
কর্মকাঠি, হুটোপুটি
টাকা পয়সা, গয়নাগাটি
উর্ধ্বপানে করছি সবাই ছুটোছুটি;
বাঁধতে ঘর, দে দৌড়
গড়তে জীবন, দে দৌড়
দে দৌড়, দে দৌড়।

সম্মুখ পানে ছুটছি শুধুই ছুটছি
কত প্রহর কেটে গেছে দেখিনি, শুধুই ছুটছি
পেছন পানে তাকিয়ে দেখি,
ঘরটা দুরে ফেলে এসেছি;
কপাল চাপড়ে দুশছি মোরে
ছুটছি তবু ছুটছি।

করবি কি আর, হারিয়ে দুয়ার
উর্ধ্বপানে এগিয়ে থাকতে
দে দৌড়, দে দৌড়।

উর্ধ্বপানে ছুটছি শুধুই ছুটছি
কত সঙ্গী হারিয়ে গেছে দেখিনি, শুধুই ছুটছি
পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি,
জীবনটাকে ফেলে এসেছি;
কপাল চাপড়ে দুশছি মোরে,
ছুটছি তবু ছুটছি।

করবি কি আর, হারিয়ে প্রহর
সম্মুখপানে এগিয়ে থাকতে
দে দৌড়, দে দৌড়।
 
Last edited:
স্বপ্ন
১৯/১০/২০১৮; ০১:৩০ (প্রথম প্রহর)


তুমি আমার মাঝরাতের দীর্ঘশ্বাস,
তাই তোমার মাঝে করছে
আমার স্বপ্নেরা বসবাস।

তোমার মাঝে দেখি আমার
ভবিষ্যতের প্লাবন,
একটু যদি সুযোগ দাও
দেখিতে চাই স্বপন।


তুমি আমার দিবালোকের নির্যাস,
তাই তোমার মাঝেই করছে
আমার স্বপ্নেরা বসবাস।

তোমার চোখে দেখি আমি
রঙ্গিন দিনের স্বপ্ন,
একটু যদি সুযোগ দাও
করিব তাহারে যত্ন।


তুমি আমার গোধূলির আকাশ,
তাই তোমার মাঝেই গড়েছি
আমার সুখ পাখিদের নিবাস.

তোমার আকাশে দেখি আমার
সাতরঙ্গা রংধনু,
তুমিই আমার জীবন তত্বের
একমাত্র অনু।
 
Last edited:
আকুতি
০৭/০৩/২০১৯ (অপরাহ্ন)

তোমার ঐ সাদাকালো ভূবনে
আমায় একটু রং ছিটাতে দিবে?
কথা দিচ্ছি, বিনিময়ে কিছুই চাইবনা
শুধু দূর হতে অবলোকন করব
তোমার রঙ্গিন জীবনের উচ্ছাস,
আর স্মৃতি হাতড়ে তুলে আনব
সুখের নির্যাস।

আমি কিন্তু সুখেই আছি,
হয়তো তোমার বিশ্বাস হচ্ছেনা
কিন্তু সত্যই আমি সুখে আছি,
তুমিহীন মরু প্রান্তরে
বুনেছি সুখের চারা।
এক এক করে উপড়ে ফেলেছি
দুঃখের আগাছাগুলো।

আমি সুখেই আছি।

তবে মাঝে মাঝে দুঃখের আগাছাগুলো
মাথাচাড়া দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব
জানান দিতে চায়।
বিশ্বাস কর,
আমি তাদেরকে একটুও প্রশ্রয় দেইনা।
নিরদয় ভাবে খামচে ধরি বুক্কের পাঁজর
আর এক নিঃশ্বাসে উপড়ে ফেলি।

তবে আমার কষ্ট হয়,
দূর থেকে যখন তোমার কষ্টের জীবন দেখি
ভীষণ কষ্ট হয়।
তুমি তো সুখি হওয়ার জন্যই
আমাকে ছেড়ে ধরেছলে অন্য হাত,
আমার পাঁজরে গেঁথে দিয়েছিলে
বেদনার ত্রিশুল।

আমার না বিঃশ্বাস করতে কষ্ট হয়
সেই তুমি আজ সুখে নাই।

সেই থেকে আমার জীবনের সব রং
নিংড়ে নিংড়ে জমিয়ে রেখেছি,
যদি কখনো তোমার জীবনে রঙের ঘাটতি হয়
তবে আমার সবটুকু রং
তোমায় উজাড় করে দিবন বলে।
আজ সেই সুযোগ এসেছে
দোহাই লাগে, আমাকে বঞ্চিত করোনা।
 
Last edited:
অবচেতন
২৬/০৩/২০১৯ (প্রথম প্রহর)

আমি মাতাল হয়ে বসে আছি।
সেই যে এক মুঠো চুল আছড়ে পড়েছিল আমার ললাটে,
সেই থেকে আমি মাতাল হয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরছি।
তুমি আমার মাতলামি থামানোর জন্য
এক গ্লাস তেঁতুলের সরবত খাইয়ে দিয়েছিলে,
তোমার তেঁতুলের সরবতে যেন মেশানো ছিল
বিলিতি ভোদকা,
যা নেশা কাটার পরিবর্তে আরো নেশাগ্রস্ত করে দিয়েছিল।
আমি আরেকটু তেঁতুলের সরবতের অপেক্ষায়
বসে ছিলাম তোমার বারান্দার শীক ধরে,
দেবে আমায় আরেকটু সুধা!!
কথা দিচ্ছি আর মাতলামি করবোনা,
সে আমি যতো মাতালই হইনা কেন।
হঠাৎ দেখি তোমার ঘরে বারান্দাই নেই,
নেই তোমার ঘরটিও!!
কোথা থেকে যেন তুমি চিৎকার দিয়ে বলছো,
এবার বাস্তবে ফিরে এসো।
আমি বাস্তবে ফিরে এলাম, দেখলাম
আমার চারিপাশে কোথাও তুমি নেই
শুধু কয়েকটি অনাথ কুকুর বিস্ময় দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে আমার পানে,
আর আমি তাদেরই মাঝে সুখ খুঁজছি
প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
 
Last edited:
বোধহীন অপেক্ষা
০২/০৪/২০১৯ (রাত্রি ০৮ঃ৪০)

অপেক্ষার প্রহর এখন আর আমাকে ভাবায় না
আমি বুঝে গেছি তুমি আর আসবেনা,
তাইতো অপেক্ষা করতে করতে
ঘড়ির কাটাটিও আজ থেমে গেছে,
থেমে গেছে রিক্সা চালকের প্যাডেল।
শুধু চালু রয়েছে আমার হৃদস্পন্দন
এখনো অবুঝের মতো অপেক্ষার প্রহর গুনে চলেছে,
শুধু তোমার জন্য সঞ্চয় করে যাচ্ছে
ভালোবাসার রক্ত বিন্দু।
বেয়াড়া হৃদযন্ত্রটা কিছুতেই বুঝতে চায়না
তুমি আর আসবেনা,
ভালোবেসে পাশে বসে বলবেনা
আমার সত্বা জুড়ে শুধুই তোমার নিবাস।
অনেক বুঝিয়েছি, এবার থেমে যা বাপু।
দেখ বিরক্ত হয়ে থেমে গেছে হকারের হাক
গাছের মগডালে বসে আর ডাকেনা বিরহী কাক,
পার্কের ঝালমুড়ি বিক্রেতাও পার্কে আসা বন্ধ করেছে
শুধু তুই এখনো পড়ে আছিস অপেক্ষার প্রহরে।
এবার আমায় মুক্তি দে, ওপারে গিয়ে
তার তরে দুটো ভালোবাসার কাব্য লিখি,
নাহলে হয়তো ওপারেও অভিমানে
আমাকে দিবে ফাঁকি।
 
Last edited:

Users who are viewing this thread

Back
Top