ঠিক আছে।
আর নিউজরুমের বুড়ো গুলোকে সামলাবার দায়িত্ব আমি নেবো তোকে কিছু ভাবতে হবে না।
সবাই হেসে ফেললো।
আপনি ভালো কথা বলেছেন। যত সমস্যা ঐ এডিটর পদটাকে নিয়ে। অরিন্দমবাবু বললেন।
মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে মাথা দোলালো।
আমি মিঃ ঘরুইএর দিকে তাকিয়ে বললাম, ঘরুইবাবু অফিসে আপনার সঙ্গে আমার বিশেষ একটা কথা হয় না, কিন্তু আপনি আমার সম্বন্ধে অনেক খোঁজ খবর রাখেন।
ঘরুইবাবু আমার মুখের দিকে তাকালেন।
আপনার স্বভাব চরিত্র সম্বন্ধে মিত্রা যতটা না জানে তার থেকে আমি অনেক বেশি জানি, খালি এই টুকু ব্যাপার আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।
ঘরুইবাবুর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। উনি ভাবতে পারেন নি এক ঘর লোকের মধ্যে ওনাকে আমি এই ধরনের কথা বলতে পারি।
এ আপনি কি বলছেন, অনিন্দবাবু।
আপনি নিশ্চই জানেন আমি কতোদূর দৌড়তে পারি।
হ্যাঁ হ্যাঁ তা কি বলতে।
ওনাদের আমি চিনি না, (সামনে বসা দুজন নতুন ব্যক্তিকে দেখিয়ে) তাই এই মুহূর্তে কিছু বলছি না। (হাতজোড় করে ) তবে আপনাদেরও জানাই মিত্রা আমার কলজের বন্ধু, শুধু বন্ধু নয় বিয়ের আগে ওদের বাড়িতেও আমার যাতায়াত ছিল, ওর বাবা-মা সকলেই আমার বিশেষ পরিচিত। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। মিত্রার কোন ক্ষতি হবে এটা আমি মেনে নেবো না। ও আপনাদের যে দায়িত্ব দিচ্ছে তা ঠিক ঠিক ভাবে পালন করবেন।
মিত্রা চুপচাপ বসেছিল, ওরা আমার কথা শোনার পর কেউ আর কোন কথা বললো না।
মিত্রা যখন আপনাদের এখানে ডেকে এনেছেন, তখন আমি বুঝে নেবো আপনারা ব্যবসায়িকদিক থেকে মিত্রার খুব কাছের লোকই হবেন।
সকলেই আমার মুখের দিকে তাকালো।
মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, ওনাদের পারপাশটা আমাকে একটু বলবি।
চম্পকবাবুকে আমি রাখবনা ভেবেছিলাম।
কেনো।
ওনার চলচলন আমার ভাল লাগছে না। ওনার জায়গায় অরিন্দম বাবুকে নিয়ে এলাম।
না এ ভুলটা করিস না। চম্পকদা থাকুক, চম্পকদার ওপরে ওনাকে বসা।
অরিনদমবাবু আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার একটু অসুবিধে হবে কাজে।
কি কারনে বলছেন।
সাবোতেজ হতে পারে। আপনি যখন এতটাই জানেন তখন এই টুকু নিশ্চই বুঝতে পারছেন।
অরিন্দমবাবু আপনি আগে কোথায় ছিলেন।
একটা সর্বভারতীয় ইংরাজী দৈনিকের কথা বললেন।
মিত্রার সঙ্গে আপনার পরিচয়।
মিত্রা বললো, আমার ক্লাবের মিঃ রায় ওনার সঙ্গে পরিচয় রিয় দিয়ছেন।
ও। আপনাদের ওখানে মৈনাক আছে না।
অরিনদমবাবুর মুখটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।
মিত্রা বললো কে মৈনাক।
আমাদের সঙ্গে ইংরাজী ডিপার্টমেন্টে পরতো।
ও। ঐ ফর্সামতো ছেলেটা।
হ্যাঁ।
তোর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে।
ভাইজ্যাক যাওয়ার দুচারদিন আগে ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
অরিন্দমবাবুর দিকে তাকিয়ে বললাম, চম্পকদাকে এখন সরানো যাবে না। আপনি ব্যাপারটা নিয়ে ভাবুন।
অরিন্দমবাবু চুপচাপ বসে রইলেন।
মিত্রার দিকে তকিয়ে বললাম, কিংশুক বাবু।
ওনাকে আমি ম্যানেজমেন্ট দেখার জন্য অনুরোধ করেছি।
ভালো।
তবে তুই একটা কাজ কর, দায়িত্বটা সকলকে ভাগা ভাগি করে দে।
তোর মতামতটা বল।
আজ হবে না। দাদাকি এখানে আছেন। সবাই আমার মুখের দিকে তাকালো।
না। মুম্বাই গেছে।
কবে আসবেন।
দুএকদিন দেরি হবে।
দাদাকে আসতে দে।
ঠিক আছে।
মিত্রা ওদের দিকে তাকিয়ে বললো যে ভাবে বুবুন বললো ঐ ভাবে কাল থেকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যান, কিংশুক বাবু আর অরিন্দমবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনাদের ঘরটা রেডি হোক তারপর অফিসে আসবেন, আপনারা কাজ শুরু করে দিন। ঘরুইবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, যা যা ডিসিসন হলো সেই মতো কাজ শুরু করুন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার চেষ্টা করুন।
ঘরুইবাবু একটু আমতা আমতা করে বললেন, আর কয়েকটা দিন আমাকে সময় দিন।
ঠিক আছে তাই হোক।
সুনীতবাবু কিছু বললে পাত্তা দেবার দরকার নেই। বাকিটা কি করে কি করতে হয়, আপনাক বুঝিয়ে বলার দরকার নেই।
ঘরুইবাবু মাথানীচু করে বললেন না ম্যাডাম আমি ঠিক ম্যানেজ করে নেবো।
সবাই বিদায় নিল।
আর নিউজরুমের বুড়ো গুলোকে সামলাবার দায়িত্ব আমি নেবো তোকে কিছু ভাবতে হবে না।
সবাই হেসে ফেললো।
আপনি ভালো কথা বলেছেন। যত সমস্যা ঐ এডিটর পদটাকে নিয়ে। অরিন্দমবাবু বললেন।
মিত্রা আমার দিকে তাকিয়ে মাথা দোলালো।
আমি মিঃ ঘরুইএর দিকে তাকিয়ে বললাম, ঘরুইবাবু অফিসে আপনার সঙ্গে আমার বিশেষ একটা কথা হয় না, কিন্তু আপনি আমার সম্বন্ধে অনেক খোঁজ খবর রাখেন।
ঘরুইবাবু আমার মুখের দিকে তাকালেন।
আপনার স্বভাব চরিত্র সম্বন্ধে মিত্রা যতটা না জানে তার থেকে আমি অনেক বেশি জানি, খালি এই টুকু ব্যাপার আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।
ঘরুইবাবুর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। উনি ভাবতে পারেন নি এক ঘর লোকের মধ্যে ওনাকে আমি এই ধরনের কথা বলতে পারি।
এ আপনি কি বলছেন, অনিন্দবাবু।
আপনি নিশ্চই জানেন আমি কতোদূর দৌড়তে পারি।
হ্যাঁ হ্যাঁ তা কি বলতে।
ওনাদের আমি চিনি না, (সামনে বসা দুজন নতুন ব্যক্তিকে দেখিয়ে) তাই এই মুহূর্তে কিছু বলছি না। (হাতজোড় করে ) তবে আপনাদেরও জানাই মিত্রা আমার কলজের বন্ধু, শুধু বন্ধু নয় বিয়ের আগে ওদের বাড়িতেও আমার যাতায়াত ছিল, ওর বাবা-মা সকলেই আমার বিশেষ পরিচিত। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। মিত্রার কোন ক্ষতি হবে এটা আমি মেনে নেবো না। ও আপনাদের যে দায়িত্ব দিচ্ছে তা ঠিক ঠিক ভাবে পালন করবেন।
মিত্রা চুপচাপ বসেছিল, ওরা আমার কথা শোনার পর কেউ আর কোন কথা বললো না।
মিত্রা যখন আপনাদের এখানে ডেকে এনেছেন, তখন আমি বুঝে নেবো আপনারা ব্যবসায়িকদিক থেকে মিত্রার খুব কাছের লোকই হবেন।
সকলেই আমার মুখের দিকে তাকালো।
মিত্রার দিকে তাকিয়ে বললাম, ওনাদের পারপাশটা আমাকে একটু বলবি।
চম্পকবাবুকে আমি রাখবনা ভেবেছিলাম।
কেনো।
ওনার চলচলন আমার ভাল লাগছে না। ওনার জায়গায় অরিন্দম বাবুকে নিয়ে এলাম।
না এ ভুলটা করিস না। চম্পকদা থাকুক, চম্পকদার ওপরে ওনাকে বসা।
অরিনদমবাবু আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার একটু অসুবিধে হবে কাজে।
কি কারনে বলছেন।
সাবোতেজ হতে পারে। আপনি যখন এতটাই জানেন তখন এই টুকু নিশ্চই বুঝতে পারছেন।
অরিন্দমবাবু আপনি আগে কোথায় ছিলেন।
একটা সর্বভারতীয় ইংরাজী দৈনিকের কথা বললেন।
মিত্রার সঙ্গে আপনার পরিচয়।
মিত্রা বললো, আমার ক্লাবের মিঃ রায় ওনার সঙ্গে পরিচয় রিয় দিয়ছেন।
ও। আপনাদের ওখানে মৈনাক আছে না।
অরিনদমবাবুর মুখটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।
মিত্রা বললো কে মৈনাক।
আমাদের সঙ্গে ইংরাজী ডিপার্টমেন্টে পরতো।
ও। ঐ ফর্সামতো ছেলেটা।
হ্যাঁ।
তোর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে।
ভাইজ্যাক যাওয়ার দুচারদিন আগে ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
অরিন্দমবাবুর দিকে তাকিয়ে বললাম, চম্পকদাকে এখন সরানো যাবে না। আপনি ব্যাপারটা নিয়ে ভাবুন।
অরিন্দমবাবু চুপচাপ বসে রইলেন।
মিত্রার দিকে তকিয়ে বললাম, কিংশুক বাবু।
ওনাকে আমি ম্যানেজমেন্ট দেখার জন্য অনুরোধ করেছি।
ভালো।
তবে তুই একটা কাজ কর, দায়িত্বটা সকলকে ভাগা ভাগি করে দে।
তোর মতামতটা বল।
আজ হবে না। দাদাকি এখানে আছেন। সবাই আমার মুখের দিকে তাকালো।
না। মুম্বাই গেছে।
কবে আসবেন।
দুএকদিন দেরি হবে।
দাদাকে আসতে দে।
ঠিক আছে।
মিত্রা ওদের দিকে তাকিয়ে বললো যে ভাবে বুবুন বললো ঐ ভাবে কাল থেকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যান, কিংশুক বাবু আর অরিন্দমবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনাদের ঘরটা রেডি হোক তারপর অফিসে আসবেন, আপনারা কাজ শুরু করে দিন। ঘরুইবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, যা যা ডিসিসন হলো সেই মতো কাজ শুরু করুন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলার চেষ্টা করুন।
ঘরুইবাবু একটু আমতা আমতা করে বললেন, আর কয়েকটা দিন আমাকে সময় দিন।
ঠিক আছে তাই হোক।
সুনীতবাবু কিছু বললে পাত্তা দেবার দরকার নেই। বাকিটা কি করে কি করতে হয়, আপনাক বুঝিয়ে বলার দরকার নেই।
ঘরুইবাবু মাথানীচু করে বললেন না ম্যাডাম আমি ঠিক ম্যানেজ করে নেবো।
সবাই বিদায় নিল।