কোত্থেকে পান এই আজগুবি গল্প? এই সেকশনে ভিত্তিহীন কথার আমার কোন থ্রেড নেই, মামা। খেয়াল করলেই দেখবেন- এখানে যে সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয়, সেগুলোর পিছনে দলীল/প্রমান সহ উপস্থাপন করা হয়।
আমি আপনার কাছে চাইলাম হাদিস, আর আপনি আমাকে দেখিয়ে দিলেন জীবনী... এই দুটো'র পার্থক্যটা বুঝেন তো, মামা?
জনাব,আপনার কোথাও একটু ভুল হচ্ছে। হাদিস হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখের বাণী যা তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে বলেছেন তাই হচ্ছে হাদিস। হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহুর জীবনের বর্ণনা বা ঘটনা এই হাদিসের মধ্যে পড়ে না।
সাহাবীদের জীবনের বণনা এবং ঘটনা জানতে হলে আপনাকে হায়াতুস সাহাবা নামক বইটি পড়তে হবে। আর এটা কোনো হাদিস গ্রন্থ নয়।
নবী সাঃ এর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা হাদিসের মধ্যে পড়ে কিন্তু সাহাবীদের জীবনী ঘটে যাওয়া ঘটনা হাদিসের মধ্যে পড়ে না।
এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
আবু বক্কর রাঃ আনহুকে দেখে কেয়ামতের সময় আল্লাহ তাআলা ক্রোধ শান্ত হয়ে যাবে আপনি এটা বিশ্বাস করছেন না এইতো?
তাহলে শুনুন আপনাকে একটি বাস্তব ঘটনা বলি.....
একটি কোম্পানি অফিসের কর্মচারীরা বেশ অনিয়ম করছিল এবং এই খবর তাদের বসের কাছে পৌঁছে এবং তিনি খুবই রাগান্বিত হয়ে যান। এই খবর শুনে অফিসের কর্মচারীরা খুবই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন । তারা একটি উপায় খুঁজছিল কিভাবে বসের ক্রোধকে শান্ত করা যায়।অফিসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকে পাঠিয়ে, নাহ , এটা সম্ভব নয় ,কারণ বস খুবই চরিত্রবান সৎ লোক। তাহলে উপায়... এমন সময় অফিসের সবচেয়ে চালাক কর্মচারী একটি বুদ্ধি দিল...সে একটি জনপ্রিয় বাংলা প্রবাদ বলল "কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হবে" ...অর্থাৎ একজন সৎ চরিত্রবান লোক আর একজন সৎ চরিত্রবান লোককেই পছন্দ করবে, তাই আমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি সচ্চরিত্রবান সেই যাবে বসের সামনে আমাদের হয়ে সুপারিশ করতে।
অবশেষে তারা এমন একজন কে পাঠালো যে তার সততা মেধা কর্মঠ দিয়ে বসের মন জয় করতে পেরেছিল এবং বসের স্নেহের পাত্র হয়েছিল।
এবং হা, তাদের এই প্ল্যান কাজে দিয়েছিল ,বস তাদেরকে ভালো হওয়ার আরেকটি সুযোগ দিয়েছিল ।
হযরত আবু বক্কর রাযিয়াল্লাহু আনহু পৃথিবীর প্রথম মুসলমান যিনি কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সমগ্র সাহাবীদের এবং এমনকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমগ্র উম্মতের মধ্যে হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর চরিত্র সর্বাপেক্ষা উত্তম। উনার কোন ক্রোধ ছিল না এবং এটা আল্লাহ তায়ালা বিশেষ পছন্দ করতেন। যে দশজন সাহাবী দুনিয়াতে বসেই বেহেস্তবাসী হওয়ার সুসংবাদ পেয়েছিল আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের মধ্যে অন্যতম।
নবী সাঃ এর বক্ষ-বিদৃন করা হয়েছিল এজন্য তিনি চাইলেও কোন খারাপ কাজ করতে পারতেন না কিন্তু আবু বক্কর রাযিয়াল্লাহু আনহু খারাপ গুণাবলী থাকা সত্ত্বেও তিনি তার সমগ্র জীবনে কোনো পাপ খারাপ কাজ করেননি এইজন্যই সমগ্র উম্মতের মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ মানব। এইজন্যই আল্লাহর কাছে উনার একটি বিশেষ দরজা আছে।
এজন্যই কেয়ামতের সময় আল্লাহ ক্রোধ শান্ত করার জন্য উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উম্মতহযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পাঠানো হবে।