What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজের ভূমিকা (1 Viewer)

কোত্থেকে পান এই আজগুবি গল্প? এই সেকশনে ভিত্তিহীন কথার আমার কোন থ্রেড নেই, মামা। খেয়াল করলেই দেখবেন- এখানে যে সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয়, সেগুলোর পিছনে দলীল/প্রমান সহ উপস্থাপন করা হয়।
আমি আপনার কাছে চাইলাম হাদিস, আর আপনি আমাকে দেখিয়ে দিলেন জীবনী... এই দুটো'র পার্থক্যটা বুঝেন তো, মামা?
 
কোত্থেকে পান এই আজগুবি গল্প? এই সেকশনে ভিত্তিহীন কথার আমার কোন থ্রেড নেই, মামা। খেয়াল করলেই দেখবেন- এখানে যে সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয়, সেগুলোর পিছনে দলীল/প্রমান সহ উপস্থাপন করা হয়।
আমি আপনার কাছে চাইলাম হাদিস, আর আপনি আমাকে দেখিয়ে দিলেন জীবনী... এই দুটো'র পার্থক্যটা বুঝেন তো, মামা?
জনাব,আপনার কোথাও একটু ভুল হচ্ছে। হাদিস হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখের বাণী যা তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে বলেছেন তাই হচ্ছে হাদিস। হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহুর জীবনের বর্ণনা বা ঘটনা এই হাদিসের মধ্যে পড়ে না।
সাহাবীদের জীবনের বণনা এবং ঘটনা জানতে হলে আপনাকে হায়াতুস সাহাবা নামক বইটি পড়তে হবে। আর এটা কোনো হাদিস গ্রন্থ নয়।
নবী সাঃ এর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা হাদিসের মধ্যে পড়ে কিন্তু সাহাবীদের জীবনী ঘটে যাওয়া ঘটনা হাদিসের মধ্যে পড়ে না।
এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
আবু বক্কর রাঃ আনহুকে দেখে কেয়ামতের সময় আল্লাহ তাআলা ক্রোধ শান্ত হয়ে যাবে আপনি এটা বিশ্বাস করছেন না এইতো?
তাহলে শুনুন আপনাকে একটি বাস্তব ঘটনা বলি.....
একটি কোম্পানি অফিসের কর্মচারীরা বেশ অনিয়ম করছিল এবং এই খবর তাদের বসের কাছে পৌঁছে এবং তিনি খুবই রাগান্বিত হয়ে যান। এই খবর শুনে অফিসের কর্মচারীরা খুবই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন । তারা একটি উপায় খুঁজছিল কিভাবে বসের ক্রোধকে শান্ত করা যায়।অফিসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকে পাঠিয়ে, নাহ , এটা সম্ভব নয় ,কারণ বস খুবই চরিত্রবান সৎ লোক। তাহলে উপায়... এমন সময় অফিসের সবচেয়ে চালাক কর্মচারী একটি বুদ্ধি দিল...সে একটি জনপ্রিয় বাংলা প্রবাদ বলল "কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হবে" ...অর্থাৎ একজন সৎ চরিত্রবান লোক আর একজন সৎ চরিত্রবান লোককেই পছন্দ করবে, তাই আমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি সচ্চরিত্রবান সেই যাবে বসের সামনে আমাদের হয়ে সুপারিশ করতে।
অবশেষে তারা এমন একজন কে পাঠালো যে তার সততা মেধা কর্মঠ দিয়ে বসের মন জয় করতে পেরেছিল এবং বসের স্নেহের পাত্র হয়েছিল।
এবং হা, তাদের এই প্ল্যান কাজে দিয়েছিল ,বস তাদেরকে ভালো হওয়ার আরেকটি সুযোগ দিয়েছিল ।
হযরত আবু বক্কর রাযিয়াল্লাহু আনহু পৃথিবীর প্রথম মুসলমান যিনি কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সমগ্র সাহাবীদের এবং এমনকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমগ্র উম্মতের মধ্যে হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর চরিত্র সর্বাপেক্ষা উত্তম। উনার কোন ক্রোধ ছিল না এবং এটা আল্লাহ তায়ালা বিশেষ পছন্দ করতেন। যে দশজন সাহাবী দুনিয়াতে বসেই বেহেস্তবাসী হওয়ার সুসংবাদ পেয়েছিল আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের মধ্যে অন্যতম।
নবী সাঃ এর বক্ষ-বিদৃন করা হয়েছিল এজন্য তিনি চাইলেও কোন খারাপ কাজ করতে পারতেন না কিন্তু আবু বক্কর রাযিয়াল্লাহু আনহু খারাপ গুণাবলী থাকা সত্ত্বেও তিনি তার সমগ্র জীবনে কোনো পাপ খারাপ কাজ করেননি এইজন্যই সমগ্র উম্মতের মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ মানব। এইজন্যই আল্লাহর কাছে উনার একটি বিশেষ দরজা আছে।
এজন্যই কেয়ামতের সময় আল্লাহ ক্রোধ শান্ত করার জন্য উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উম্মতহযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পাঠানো হবে।
 
আমি বুঝি না, কেনো আপনি বারবার অন্ধকে হাতি চেনানোর চেস্টা করে যাচ্ছেন? কিয়ামতের দিন আবু বকর (রাঃ) কে আল্লাহর গোস্বা প্রশমনের জন্য প্রেরন করা হবে, এই কথাটি তখনই সঠিক কথা হবে- যখন এটি নবী (সাঃ) বা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলবেন। অন্যথায় পৃথিবীর সমস্ত লোক বললেও এটির গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। অন্তত ধর্মীয় ভাবে তো নয়ই। আপনাকে আগে বুঝতে হবে ধর্মের গন্ডি কাকে বলে। ধর্মীয় গন্ডি যদি না বুঝেন, তবে তো অনেক কিছুই ভুল হতে পারে, মামা।
আপনি হযরত আবু বকর (রাঃ) এর বিষয়ে যা বলেছেন, সেটা আবেগ হতে পারে, কোনোভাবেই হুকুমত নয়। আর ধর্মীয় কোনো ব্যাপারে হুকুমত ব্যাতিত অন্য কিছু গ্রহণ করা বৈধ হবে না...
 
আমি বুঝি না, কেনো আপনি বারবার অন্ধকে হাতি চেনানোর চেস্টা করে যাচ্ছেন? কিয়ামতের দিন আবু বকর (রাঃ) কে আল্লাহর গোস্বা প্রশমনের জন্য প্রেরন করা হবে, এই কথাটি তখনই সঠিক কথা হবে- যখন এটি নবী (সাঃ) বা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলবেন। অন্যথায় পৃথিবীর সমস্ত লোক বললেও এটির গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। অন্তত ধর্মীয় ভাবে তো নয়ই। আপনাকে আগে বুঝতে হবে ধর্মের গন্ডি কাকে বলে। ধর্মীয় গন্ডি যদি না বুঝেন, তবে তো অনেক কিছুই ভুল হতে পারে, মামা।
আপনি হযরত আবু বকর (রাঃ) এর বিষয়ে যা বলেছেন, সেটা আবেগ হতে পারে, কোনোভাবেই হুকুমত নয়। আর ধর্মীয় কোনো ব্যাপারে হুকুমত ব্যাতিত অন্য কিছু গ্রহণ করা বৈধ হবে না...
জনাব, অন্ধ লোক হাতির পায়ের তলায় পড়বে এটাই স্বাভাবিক আর ধর্মান্ধ লোক....আপনাকে আমি হায়াতুস সাহাবা বইটি পড়তে বলেছিলাম সেটা কি পড়েছেন? এখন যদি আমি আপনাকে বলি যে অমুক হাদিসের অমুক পৃষ্ঠায় অত নাম্বার আয়াতে এটা লিখা আছে ।আপনি যদি হাদিসটি পড়ে না থাকেন তাহলে আমি যে মিথ্যে বলছি না সত্যি বলছি তা কখনোই প্রমাণ করতে পারবেন না।6 লক্ষেরও বেশি জাল হাদিস রয়েছে।ছয়টি সহীহ হাদীস গ্রন্থ আছে আপনি কয়টি পড়েছেন?আবার এই ছয়টি হাদিস গ্রন্থের মধ্যেও দুর্বল যইফ হাদিস আছে। তাই প্রকৃত হাদিস বিশারদ ছাড়া সহিহ হাদিস এবং জাল হাদিস যাচাই করা দুঃসাধ্য।
কোরআনের ব্যাখ্যা হল হাদিস। হাদিস কোনো গল্প এর বই নয় যেখানে সাহাবীদের জীবনের গল্প লেখা থাকবে।
প্রত্যেক সাহাবীদের আলাদা আলাদা মর্তবা আছে । যেমন হযরত আলী রাঃ আনহুকে শেরে খোদা বলা হত এ আবু বক্কর রাযিয়াল্লাহু আনহু কে আমিনুল মোমেনিন বলা হতো। এসব মর্তবা স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত কোনো মানুষের দিয়ে টাইটেল নয়।
 
আপনি আমাকে হায়াতুস সাহাবা পড়তে বলেছেন। কেনো বলুন তো? হায়াতুস সাহাবা পড়লে কি আমার সাওয়াব হবে? হবে কিনা তাতে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। সম্ভবত হবে না। বরং বিপ্রিত কিছু হতে পারে। এ বিষয়ে আমি কোনো কথাও বলতে চাইনা। আমার কথা হচ্ছে- আপনি আবু বকর (রাঃ) এর বিষয়ে যে কথাটি আলোচনায় উল্লেখ করেছেন, সেটি যদি কোনো হাদিস কিংবা ক্বোরআন না হয়ে থাকে, তবে তার দ্বারা কি কোনো দলিল পেশ করা উচিৎ হয়েছে আপনার?
ধরেন, কোনো এক আলেম বলে দিলো জান্নাতে যাবার জন্য নামাযের প্রয়োজন নেই। আপনি কি সেটা মেনে বিবেন? নিশ্চয়ই না। কেননা জান্নাতের পূর্ব শর্ত হলো নামায আদায় করা। আর একথাটি আমরা কোত্থেকে জেনেছি? ক্বোরআন আর হাদিস থেকে। সুতরাং ধর্মীয় কোনো বিধানের ভিত্তি হলো ক্বোরআন আর হাদিস। যদি এই দুটোয় কোনো বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি না থাকে, তবে তা ধর্মীয় বিধান হিসানে গ্রহণীয় নয়। যেমন আপনার ঐ কথাটিও গ্রহণীয় নয়।
হায়াতুস সাহাবা বলেন, হেকায়েতুস সাহাবা বলেন কিংবা দাকায়েকুল আখবার এই সবই আমাদের মতো কেউ না কেউ লিখেছেন। যাদের এই বিষযে প্রচুর জ্ঞান আছে। পরিভাষায় আমরা যাদেরকে আলেম বলে সম্মোধন করে থাকি। কিন্তু কোনো মানুষই ভুলের উর্দ্ধে নয়। ঐ সকল লেখকরাও ভুল করতে পারেন। আর সেই ভুল কি শুদ্ধ যাচাই করার মাধ্যম হলো আল্লাহর কালাম ক্বোরআন আর সহিহ হাদিস। আলেমদের যে কোনো লেখা যদি এই দুটি প্রমানপঞ্জি দ্বারা অগ্রহণযোগ্য হয়, তবে তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সে যতো বড় আলেমই লিখে থাকুক না কেনো। যেমন আপনার হায়াতুস সাহাবা গ্রন্থের উল্লেখিত কথাটি। কারন এই কথার স্বপক্ষে ক্বোরআন হাদিসের কোনো দলিল নেই। এই কথাটি যদি কোনো মুসলমান সজ্ঞানে বিশ্বাস করে, তবে তার ঈমান যথেষ্ঠ পরিমানে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলেই ধর্মীয় মতে প্রমাণিত। শুধু এই বিষয়ে না, বরং ধর্মীয় যে কোনো হুকুমতের বেলায়ই একথা প্রযোজ্য...
 
এখন যদি আমি আপনাকে বলি যে অমুক হাদিসের অমুক পৃষ্ঠায় অত নাম্বার আয়াতে এটা লিখা আছে ।আপনি যদি হাদিসটি পড়ে না থাকেন তাহলে আমি যে মিথ্যে বলছি না সত্যি বলছি তা কখনোই প্রমাণ করতে পারবেন না।

আপনি খুব ভালো করেই জানেন, এই যুগে হাদিস গ্রন্থ আর হাদিস নাম্বার জানা থাকলে যে কোনো হাদিসই মিনিটের মধ্যে বের করা যায়। আপনি কেনো আমিও যদি এরকম কোনো ভুল তথ্য উপস্থাপন করি, তবে সেটা প্রমানের জন্য দিনের পর দিন অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই। জাস্ট একটা ক্লিকই এর জন্য যথেষ্ঠ... এর জন্য নিজেকে দাওরায়ে হাদিস হবার দরকার পড়বে না। ...
 
ছয়টি সহীহ হাদীস গ্রন্থ আছে আপনি কয়টি পড়েছেন?

হাদিস গ্রন্থ ছয়টি না, মামা। দুনিয়াতে শত শত হাদিস গ্রন্থ আছে। আমাদের এই উপমহাদেশে ছয়টি প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থের উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যেটাকে আমরা সিয়াহ সিত্তা বলে জানি...
এই হাদিস গ্রন্থের বেশ কিছু গ্রন্থ আলহামদুলিল্লাহ আমার পড়া আছে। যদিও এটা উল্লেখ করতে চাইনি, তথাপিও আপনার কৌতুহল নিবৃত্ত করার নিমিত্তেই শুধু বলা। এর মাঝে কোনো গর্বের লেশমাত্রও যদি থাকে, আল্লাহ যেনো আমাকে মাফ করেন...
 
এই ছয়টি হাদিস গ্রন্থের মধ্যেও দুর্বল যইফ হাদিস আছে। তাই প্রকৃত হাদিস বিশারদ ছাড়া সহিহ হাদিস এবং জাল হাদিস যাচাই করা দুঃসাধ্য।

তেমন কোনো দুঃসাধ্য বিষয় নয় এটি, মামা। আপনি যদি মূল হাদিসগ্রন্থ পাঠ করেন, তবে খুব সহজে সহিহ জয়ীফ আর জাল হাদিস শনাক্ত করতে পারবেন। কারন প্রতিটা হাদিসের শেষেই মুসান্নেফ কতৃক হাদিসের ধরনটা স্পস্ট উল্লেখ করে দেয়া আছে। অর্থাৎ- হাদিসটি কি সহিহ নাকি জয়ীফ কিংবা নাকি হাদিসটি জাল সেটি প্রতিটা হাদিসের নিচেই উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।আর কি কারনে হাদিসের এই অবস্থান সৃস্টি হয়েছে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া আছে। সেটি কি সনদে সমস্যা, নাকি মতনে- তারও উল্লেখ রয়েছে। আর সেটি করা হয়েছে শত শত বৎসর আগেই।হাদিস সঙ্কলনের সময়েতে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top