বিশ্বাসে মিলায় বস্তু... কথা ঠিক। যার কারনেই যে কোন ধর্মের প্রথম শর্তই হচ্ছে বিশ্বাস বা ঈমান... যদি আপনার ভিতর ঈমানের ত্রুটি থাকে, মানে বিশ্বাসে যদি গলতি থাকে তবে যতো কর্মই আপনি করুন, কোনো কাজে দিবে না। আমি তর্ক করতেও চাই না। আর বেহুদা তর্ক সম্পর্কের শুধু অবনতিই ঘটায়, সম্পর্ক উন্নয়নে কোনভাবেই সেই তর্ক কোনো ফলপ্রসূ ভুমিকা রাখে না। আপনি যে প্রমানের কথা লিখেছেন- সেটির কথা আমি আগেই বলেছিলাম। ভাল লেখকের মাধ্যমে সেগুলো খুব ভালোভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব। গুগল তো মামা সেইদিনের একটা আবিস্কার। এখানে আমার আপনার মতো যে কেউই তথ্য সংযুক্ত করতে পারে। গুগলের নিশ্চয়ই সেই চোখ নেই, যেটা দিয়ে ঘটনা ঘটার সময়ের কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব? এই তথ্যভান্ডারে শুধুমাত্র সেসব তথ্যেরই সমারোহ ঘটেছে, যা আমরা ওখানে সরবরাহ করেছি। লোক কাহিনী একটা সংস্কৃতিতে বড় ভুমিকা পালন করে। আমাদের সংস্কৃতি এই ধরনের হাজারো লোক কাহিনী সমৃদ্ধ। গাজী-কালু থেকে চণ্ডীদাস-রজকিনী কিছুই এর বাইরের নয়। কিন্তু খেয়াল করে দেখেন তো মামা, এই সমস্ত লোক কাহিনীর সঠিক ভিত্তি আজও কি কেউ আবিস্কার করতে পেরেছে? আর কে না জানে, লোক কাহিনীর ৯৫ ভাগই শুধু মাত্র কথার কথা, এর পেছনে না আছে কোনো সত্যতা, আর না আছে কোনো সঠিক দলিল!
ভালোমানুষ হতে হয়তো আপনার কথানুযায়ী ধর্মের প্রয়োজন হয় না। তবে ধর্ম না থাকলে পরকালে মুক্তি পাবারও কোন সুযোগ নেই। আর ভালো হবার পরও যদি পরকালে মুক্তি না মেলে, তবে সেই ভাল মানুষের মূল্য থাকল কি?
জনাব ,"প্রত্নতত্ত্ব"নামে একটা সাবজেট আছে ৷ এবং এই সাবজেটে যারা "পি.এইচ.ডি করেছে তারাও এখানে এসে এসব প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা করেছে এবং তাদের গবেষনা-লদ্ধ ফলাফল নিয়ে অনেক-অনেক লেখক বই লিখেছে ... প্লিজ একবার লাইব্রেরীতে গিয়ে একটা বই পড়ে দেখুন কিংবা google এ সার্চ দিয়ে দেখুন।
"প্রত্নতত্ত্ব-বিদরা " কোটি-কোটি বছরের পুরাতন একটা "পাথর কিংবা ইট পরীক্ষা করে বলে দিতে পারে এটার বয়স কত আর এটা কি কাজে ব্যবহৃত হয়েছে
এটা পিওর-বিজ্ঞান এখানে কোনো ধোকা-বাজি নেই।
বগুড়ার মহাস্থান-গড় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল তখন এটার নাম ছিল "পুন্ডু-নগর " এখানে অনেক প্রাচীন-বিদ্যা-পীঠ ছিল যেখানে দূর-দূর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসতো
সেই বেহুলার-বাসর ঘর নামক বিখ্যাত জায়গাটাও এখানে আছে।
আপনি আপনি যানেন না তাই বেহুলার বাসর ঘর এর ইতিহাস আমি সংক্ষেপে বলছি বেহুলার স্বামী সাপের দেবী মনসার অভিশাপের শিকার হন তাই বেহুলার বাসরঘর টি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে কোনো দরজা জানালা ছিল না এমনকি ইঁদুর ঢোকার মত কোন ছিদ্রও ছিল না ৷ তাই সাপ ঢোকার প্রশ্নই আসে না , তাই বেহুলার স্বামী নিরাপদ ছিল
কিন্তু বাধ-সাধন ঐ কারিগর যে এই মহলটা বানিয়েছে। মহলটা বানিয়ে যখন সে খেতে বসলো তখন থালাবাসনে সব-জয়াগায় সে সাপ দেখতে পেল তারপর হঠাৎ সাপের দেবী মনসা তার সামনে উদয় হল এবং তাকে বলল তুই ওই ঘরে একটা ছোট ছিদ্র করে দিয়ে আয়৷
লোকটা ভীত-সন্ত্রষ্ট হয়ে তার আদেশ পালন করল।
পরবর্তী সময়ে সাপের-কামড়ে বেহুলার-স্বামী মৃত্যু-পথযাত্রী হয় ... এরপর আরও কাহিনী আছে বেহুলা এক-সময় তার স্বামীকে সুস্থ করে তোলেI
সেই "বেহুলার - বাসরঘর ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আজও এখানে বিদ্যমান।
তবে "প্রত্নতত্ত্ব-বীদরা "এটা গবেষনা করে ভিন্ন-ইতিহাস বের করে, তারা বলেন এটা কোনো "বাসরঘর-ফাসড়ঘড় কিচ্ছু নয় এটা ছিল পুন্ডু-নগরের একটা বিখ্যাত বিদ্যা-পীঠ।
এভাবে "হযরত শাহ সুলতান (রাঃ) এবং ওই হিন্দু রাজার ইতিহাসও প্রত্নতত্ত্ব-বিদরা বর্ণনা করেছেন যেটা হুবহ না হলেও ৪o-90% মিলে যায় ৷
আল-কোরআনে আছে নবী (সঃ) হাতের আঙ্গুল চাঁদ দুডাগ করেছেন , মূসা(আঃ) লাঠি দিয়ে বিশাল-সমুদ্রর পানির মধ্যে রাস্তা তৈরী করেছেন। আপনি কি এসব ঘটনা-গুলোকেও কিচ্ছা-কহিনী বলবেন ?