What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজের ভূমিকা (1 Viewer)

সমাজের এসব বিসৃঙ্খলা দেখে ভাবি সব-ছেড়ে জঞ্জলে চলে যাবো। কিন্তু হায় জঞ্জল কোথায় সব-কেটে সাফ করে-ফেলেছে ৷ সালা মরেও শান্তি নেই৷

জঙ্গলে যাওয়া কোনো ভালো সমাধান না। যদিও আপনি এটা ফান করার জন্য লিখেছেন। আপনি কোনো সিরিয়াস মন্তব্য করেননি। তথাপিও অনেকেরই ধারনা এই সব ছেড়ে ছুড়ে জঙ্গলে (প্রকারান্তরে নিভৃতে)চলে যাওয়াই বুঝি বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে। জঙ্গলে গেলে তো এর কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে না। বরং আমরা যে জঙ্গলে বসবাস করছি, সেটাকে আগামি প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য আমাদেরই কাজ করে যেতে হবে। আর সে কাজটা যার যার সাধ্যের মাঝে যেটুকু সুযোগ আছে সেটা দিয়েই করতে হবে। আমরা কেউ সুপার হিউম্যান নই। সুতরাং, একদিনে সব জঞ্জাল দূর করে ফেলতে পারবো সেটা ভাবা কোনো মতেই ঠিক হবে না। আমাদের যদি চেষ্ঠার সাথে আন্তরিকতার সংমিশ্রণ থাকে, তবে আমি বিশ্বাস করি- একদিন আমাদের এই সমাজের নৈতিক উন্নয়ন ঘটবেই...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য মামাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
 
জঙ্গলে যাওয়া কোনো ভালো সমাধান না। যদিও আপনি এটা ফান করার জন্য লিখেছেন। আপনি কোনো সিরিয়াস মন্তব্য করেননি। তথাপিও অনেকেরই ধারনা এই সব ছেড়ে ছুড়ে জঙ্গলে (প্রকারান্তরে নিভৃতে)চলে যাওয়াই বুঝি বুদ্ধিমানের মতো কাজ হবে। জঙ্গলে গেলে তো এর কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে না। বরং আমরা যে জঙ্গলে বসবাস করছি, সেটাকে আগামি প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য আমাদেরই কাজ করে যেতে হবে। আর সে কাজটা যার যার সাধ্যের মাঝে যেটুকু সুযোগ আছে সেটা দিয়েই করতে হবে। আমরা কেউ সুপার হিউম্যান নই। সুতরাং, একদিনে সব জঞ্জাল দূর করে ফেলতে পারবো সেটা ভাবা কোনো মতেই ঠিক হবে না। আমাদের যদি চেষ্ঠার সাথে আন্তরিকতার সংমিশ্রণ থাকে, তবে আমি বিশ্বাস করি- একদিন আমাদের এই সমাজের নৈতিক উন্নয়ন ঘটবেই...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য মামাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
বড়-বড় দরবেশ /সন্নাসীরা জঙ্গলে গিয়ে সাধনা করে। সমাজ-মানুষ-দেশ এটা অনেক বড় বিষয়৷ যখন কেউ সিগারেট খায় তার আসে-পাসের মানুষ অত-টাই ক্ষতিগ্রস্ত যতটা সে নিজে হয়। কথায় আছে অন্যায় করা আর অন্যায় সহ্য করা সমান পাপ। তবে একটা প্রশ্ন "আপনি নিজে কি নিষ্পাপ ?" যখন আপনি অন্যের অন্যায়-কাজে বাধা দিবেন তখন ওই লোক সর্ব-প্রথম এই প্রশ্ন-টাই আপনাকে করবে ? আপনি বুকে হাত দিয়ে কখনোই বলতে পারবেন না যে আপনি নিস্পাপ। একটা প্রবাদ আছে "নিজে ভালো তো দুনিয়া ভালো "I তাই অন্যের ভুল খোজার আগে নিজের ভুল-গুলো শোধরাতে হবে ৷কথার আছে "বোবার শক্রু নেই / এক-হাতে তালি বাজে না। তাই যে যেমন কর্ম করবে সৃষ্টি-কর্তা তাকে সেরকম ফল দিবে। অর্থাৎ অন্যায়ের বিচার করার জন্য উপরে একজন আছেন।
 
কোনো বড় দরবেশই জঙ্গলে গিয়ে সাধনা করেছে বলে আমার জানা নেই। সন্ন্যাসীদের কথা অবশ্য আলাদা। আর তপস্যার জন্য জঙ্গলে কিংবা পর্বতে যাবার প্রয়োজন হলেও ইবাদতের জন্য অন্তত এই ধরনের জায়গায় যাওয়ার দরকার পড়ে না।
কাউকে সৎ পরামর্শ দেয়ার জন্য নিজে সৎ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে নিজের ভিতরে যদি অন্যায় আর পাপে ভরা থাকে, সেক্ষেত্রে পরের জন্য ভাল পরামর্শ আসবে কোত্থেকে?
পরকালে প্রত্যেকটা কাজের প্রতিদানই পাওয়া যাবে কৃত কর্মের নিয়তের বিবেচনায়। আপনি যদি কোন ভালো কাজের নিয়্যত করেন, আর সেটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় করতা অপারগ হন, তবে শুধু মাত্র নিয়্যতের কল্যানে সে ভালো কাজটির সুফল পেয়ে যাবেন। একই কথা খাটে মন্দ কাজের ব্যাপারেও...
 
কোনো বড় দরবেশই জঙ্গলে গিয়ে সাধনা করেছে বলে আমার জানা নেই। সন্ন্যাসীদের কথা অবশ্য আলাদা। আর তপস্যার জন্য জঙ্গলে কিংবা পর্বতে যাবার প্রয়োজন হলেও ইবাদতের জন্য অন্তত এই ধরনের জায়গায় যাওয়ার দরকার পড়ে না।


কাউকে সৎ পরামর্শ দেয়ার জন্য নিজে সৎ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে নিজের ভিতরে যদি অন্যায় আর পাপে ভরা থাকে, সেক্ষেত্রে পরের জন্য ভাল পরামর্শ আসবে কোত্থেকে?
পরকালে প্রত্যেকটা কাজের প্রতিদানই পাওয়া যাবে কৃত কর্মের নিয়তের বিবেচনায়। আপনি যদি কোন ভালো কাজের নিয়্যত করেন, আর সেটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় করতা অপারগ হন, তবে শুধু মাত্র নিয়্যতের কল্যানে সে ভালো কাজটির সুফল পেয়ে যাবেন। একই কথা খাটে মন্দ কাজের ব্যাপারেও...
জনাব, ইবাদত/তপস্যা এক-সূর্তে গাঁথা। হিন্দুরা করে তপস্যা আর মুসলিমরা করে ইবাদত। বড়-বড় দরবেশরা জঙ্গলে গিয়ে ইবাদত /সাধনা করছেন তার প্রমান তো বাংলাদেশেই আছে। বাংলাদেশে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন যেসব সূফি-আওলিয়ারা তাদের জীবনী পড়ে দেখুন। .... আমি আমার এলাকা বগুড়ার "সূফি -আওলিয়া "হযরত শাহ্ সুলতান (রাঃ) "এর বগুড়াতে আগমনের লোকে-মুখে শোনা কাহিনী আপনাকে বলছি শুনুন-...
হযরত শাহ্ সুলতান (রাঃ) ছিলেন একটা দেশের রাজা এবং তিনি খুবই সৎ এবং ধর্ম-প্রান রাজা ছিলেন৷ তিনি দিনে রাজ্য-পরিচালনা রাতে আল্লাহর ইবাদত করতেন। এমনি একদিন রাতে তিনি শুনতে-পান রাজ-প্রসাদের ছাদে ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ, এরপর তিনি ঐ আওয়াজ অনুসরন করে ছাদে যান এবং দেখতে পান একজন নূরানী চেহেরার দরবেশ ঘোড়া-সওয়ারী করছে৷ তিনি তাকে প্রশ্ন করেন ছাদ কি ঘোড়া-সওয়ারীর যায়গা ? ঐ দরবেশ তৎক্ষনাত উত্তর দেন যদি মখমলের রাজ-পালঙ্ক ইবাদতের জায়গা হতে পারে তাহলে ছাদ কেন ঘোড়া-সওয়াবের জায়গা হবে না। তিনি এর কোনো সদ-উত্তর দিতে না পেরে ওখান থেকে চলে আসলেন। এবং পরের দিনই তিনি রাজ্য-ত্যাগ করে অনেক দূরের জঙ্গলে চলে গেলেন। ওনার জঙ্গলে যাওয়ার কারন হল লোকালয়ে থাকালে ওনার প্রজারা ওনাকে অনুরোধ-বিরোধ করে আবার সিংহাসন বসিয়ে দিত।
ওনি জঙ্গলে নিরি-বিলিতে ইবাদত করতে-করতে ইলমী-ক্ষমতা লাভ করেন। এমতবস্তায় তাঁর প্রজারা তাকে পাগলের মত খুজতে-খুজতে জঙ্গলে চলে আসে এবং তাকে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ-বিরোধ করতে থাকে এবং এক-পর্যায় তাঁর ছেলে ক্রুদ্ধ হয়ে তার জামা সেলাইয়ের সূচ নদীতে ফেলে দেয়। এতে তিনি বেশ কষ্ট পান এবং ছেলেকে বলে তুমি যদি ওই সূচ নদী থেকে উদ্ধার করে দিতে পারো তাহলে ওয়াদা-করছি আমি ফিরে যাব ৷ ছেলে তো অবাক এটা তো অসম্ভব এত-বড় নদীতে ওই ক্ষুদ্র সূচ কিভাবে উদ্ধার করা সম্ভব। ছেলের এই-অবস্থা দেখে তিনি মুচকি হাসতে থাকেন এবং বলেন তোমার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ এবার আল্লাহর-কালামের ক্ষমতা দেখো এবং তিনি একটা দোয়া পড়ে নদীর পানিত ফুঁ দেন সাথে-সাথে একটা সোনালী-রঙ্গের ছোট মাছ ওনার ওই সূচটা মুখে নিয়ে ভেসে ওঠে। এরপর তিনি ছেলেকে বলেন তুমি আমার শর্ত-ভঙ্গ করেছো তাই আমি আর ফিরবো না,এরপর ওনার ছেলে এবং প্রজারা নিরাস হয়ে ফিরে যায়।
এদিকে বগুড়ার মহাস্তানের হিন্দু রাজা আইন করে রাজ্যে কোনো গরু-জবাই চলবে না , কিন্তু এক গরীব প্রজা তাঁর একমাত্র ছেলের আবদার রাখতে গিয়ে গরু-জবাই করে ৷ এটা ওই হিন্দু-রাজার কানে যায় ,সে ওই প্রজার ২ হাত কেটে দেন এবং তার একমাত্র ছেলেকে নির্মম-ভাবে হত্যা করে৷
এই খবর জঙ্গলে থাকা সুলতান (রাঃ) কাছে পৌছে , তিনি কাল-বিনম্ব না করে ওই হিন্দু রাজার রাজ্য আক্রমন করেন ঐ যুদ্ধে তাঁর কোনো সৌন্য ছিল না তিনি শুধু আল্লাহ‌র-কালেমার শক্তি দিয়ে ওই হিন্দু-রাজার বিশাল-সেনাবাহীনীকে পরাজিত করেন। এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন।
 
জনাব, ইবাদত/তপস্যা এক-সূর্তে গাঁথা। হিন্দুরা করে তপস্যা আর মুসলিমরা করে ইবাদত। বড়-বড় দরবেশরা জঙ্গলে গিয়ে ইবাদত /সাধনা করছেন তার প্রমান তো বাংলাদেশেই আছে। বাংলাদেশে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন যেসব সূফি-আওলিয়ারা তাদের জীবনী পড়ে দেখুন। .... আমি আমার এলাকা বগুড়ার "সূফি -আওলিয়া "হযরত শাহ্ সুলতান (রাঃ) "এর বগুড়াতে আগমনের লোকে-মুখে শোনা কাহিনী আপনাকে বলছি শুনুন-...
হযরত শাহ্ সুলতান (রাঃ) ছিলেন একটা দেশের রাজা এবং তিনি খুবই সৎ এবং ধর্ম-প্রান রাজা ছিলেন৷ তিনি দিনে রাজ্য-পরিচালনা রাতে আল্লাহর ইবাদত করতেন। এমনি একদিন রাতে তিনি শুনতে-পান রাজ-প্রসাদের ছাদে ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ, এরপর তিনি ঐ আওয়াজ অনুসরন করে ছাদে যান এবং দেখতে পান একজন নূরানী চেহেরার দরবেশ ঘোড়া-সওয়ারী করছে৷ তিনি তাকে প্রশ্ন করেন ছাদ কি ঘোড়া-সওয়ারীর যায়গা ? ঐ দরবেশ তৎক্ষনাত উত্তর দেন যদি মখমলের রাজ-পালঙ্ক ইবাদতের জায়গা হতে পারে তাহলে ছাদ কেন ঘোড়া-সওয়াবের জায়গা হবে না। তিনি এর কোনো সদ-উত্তর দিতে না পেরে ওখান থেকে চলে আসলেন। এবং পরের দিনই তিনি রাজ্য-ত্যাগ করে অনেক দূরের জঙ্গলে চলে গেলেন। ওনার জঙ্গলে যাওয়ার কারন হল লোকালয়ে থাকালে ওনার প্রজারা ওনাকে অনুরোধ-বিরোধ করে আবার সিংহাসন বসিয়ে দিত।
ওনি জঙ্গলে নিরি-বিলিতে ইবাদত করতে-করতে ইলমী-ক্ষমতা লাভ করেন। এমতবস্তায় তাঁর প্রজারা তাকে পাগলের মত খুজতে-খুজতে জঙ্গলে চলে আসে এবং তাকে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ-বিরোধ করতে থাকে এবং এক-পর্যায় তাঁর ছেলে ক্রুদ্ধ হয়ে তার জামা সেলাইয়ের সূচ নদীতে ফেলে দেয়। এতে তিনি বেশ কষ্ট পান এবং ছেলেকে বলে তুমি যদি ওই সূচ নদী থেকে উদ্ধার করে দিতে পারো তাহলে ওয়াদা-করছি আমি ফিরে যাব ৷ ছেলে তো অবাক এটা তো অসম্ভব এত-বড় নদীতে ওই ক্ষুদ্র সূচ কিভাবে উদ্ধার করা সম্ভব। ছেলের এই-অবস্থা দেখে তিনি মুচকি হাসতে থাকেন এবং বলেন তোমার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ এবার আল্লাহর-কালামের ক্ষমতা দেখো এবং তিনি একটা দোয়া পড়ে নদীর পানিত ফুঁ দেন সাথে-সাথে একটা সোনালী-রঙ্গের ছোট মাছ ওনার ওই সূচটা মুখে নিয়ে ভেসে ওঠে। এরপর তিনি ছেলেকে বলেন তুমি আমার শর্ত-ভঙ্গ করেছো তাই আমি আর ফিরবো না,এরপর ওনার ছেলে এবং প্রজারা নিরাস হয়ে ফিরে যায়।
এদিকে বগুড়ার মহাস্তানের হিন্দু রাজা আইন করে রাজ্যে কোনো গরু-জবাই চলবে না , কিন্তু এক গরীব প্রজা তাঁর একমাত্র ছেলের আবদার রাখতে গিয়ে গরু-জবাই করে ৷ এটা ওই হিন্দু-রাজার কানে যায় ,সে ওই প্রজার ২ হাত কেটে দেন এবং তার একমাত্র ছেলেকে নির্মম-ভাবে হত্যা করে৷
এই খবর জঙ্গলে থাকা সুলতান (রাঃ) কাছে পৌছে , তিনি কাল-বিনম্ব না করে ওই হিন্দু রাজার রাজ্য আক্রমন করেন ঐ যুদ্ধে তাঁর কোনো সৌন্য ছিল না তিনি শুধু আল্লাহ‌র-কালেমার শক্তি দিয়ে ওই হিন্দু-রাজার বিশাল-সেনাবাহীনীকে পরাজিত করেন। এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন।

মামা, কিচ্ছা-কাহিনী আর বাস্তবতা এক জিনিষ না, মামা। আপনি যেটা লোক মুখে শুনেছেন সে বিষয়ে ভাল কোন লেখককে দায়ীত্ব দিলে আরো সুন্দর করে এই কাহিনী বর্ণনা করতে পারবেন। হয়তো সেটা বই আকারে বাজারে বিক্রিও হবে বেশ। যেমন বিক্রি হয় আরব্য উপন্যাস কিংবা এই জাতীয় ফ্যান্টসী বই। ধর্মীয় কোনো কিছুই দলীলের বাইরে নয়। এক্ষেত্রে প্রমান খুব বড় একটা জিনিষ, মামা। আজ পর্যন্ত কোনো নবী আওলিয়াদের জঙ্গলে যাবার ঐশী নির্দেশের কথা কি আপনি বলতে পারবেন, মামা? যদি জানা থাকে, দলিল দিন।
যেহেতু এখানে ধর্মীয় তর্ক করা যাবে না। কিংবা সেটা ফোরামের জন্য শোভন হবে না, তাই হিন্দু-মুসলিম ধর্ম কর্ম বা আমলের মিলের বিষয়ে কিছু বললাম না। শুধু এটুকু বলা মনে হয় ঠিক হবে যে- মুসলমান ধর্মের কোনো আমলের সাথে অন্য কোন ধর্মের কর্মের মিল খোঁজা কোনোভাবেই ঠিক বা উচিৎ হবে না।
সুন্দর কাহিনী বর্ণনার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
মামা, কিচ্ছা-কাহিনী আর বাস্তবতা এক জিনিষ না, মামা। আপনি যেটা লোক মুখে শুনেছেন সে বিষয়ে ভাল কোন লেখককে দায়ীত্ব দিলে আরো সুন্দর করে এই কাহিনী বর্ণনা করতে পারবেন। হয়তো সেটা বই আকারে বাজারে বিক্রিও হবে বেশ। যেমন বিক্রি হয় আরব্য উপন্যাস কিংবা এই জাতীয় ফ্যান্টসী বই। ধর্মীয় কোনো কিছুই দলীলের বাইরে নয়। এক্ষেত্রে প্রমান খুব বড় একটা জিনিষ, মামা। আজ পর্যন্ত কোনো নবী আওলিয়াদের জঙ্গলে যাবার ঐশী নির্দেশের কথা কি আপনি বলতে পারবেন, মামা? যদি জানা থাকে, দলিল দিন।
যেহেতু এখানে ধর্মীয় তর্ক করা যাবে না। কিংবা সেটা ফোরামের জন্য শোভন হবে না, তাই হিন্দু-মুসলিম ধর্ম কর্ম বা আমলের মিলের বিষয়ে কিছু বললাম না। শুধু এটুকু বলা মনে হয় ঠিক হবে যে- মুসলমান ধর্মের কোনো আমলের সাথে অন্য কোন ধর্মের কর্মের মিল খোঁজা কোনোভাবেই ঠিক বা উচিৎ হবে না।
সুন্দর কাহিনী বর্ণনার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, মামা।
"বিশ্বাসে মিলায় বস্তু আর তর্কে বহুদূর " অাপনি প্রমান চান ? "google এ সার্চ দিয়ে বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পুরাকৃতির ইতিহাস পেয়ে যাবেন। আর তারপরও যদি বিশ্বাস না হয় , তবে চলে আসুন বগুড়াতে I হযরত শাহ্ সুলতান (রাঃ) এর মাজার এবং ঐ হাত-কাটা ব্যক্তির কবর এবং সেই হিন্দু রাজার রাজ-প্রসাদের ধ্বংস-স্তূপ দেখুন আর মহাস্থান-গড়ের মিউজিয়ামে প্রমান-সহ প্রকৃত-ইতিহাস পেয়ে যাবেন।
"হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকল ধর্ম একটাই কথায় বার-বার বলে "ভাল মানুষ হও "I
অার "ভাল মানুষ হতে ধর্ম দরকার হয় না শুধু নিজের ইচ্ছা লাগে I
কথায় আছে "ভাল হতে পয়সা লাগে না "I
 
"বিশ্বাসে মিলায় বস্তু আর তর্কে বহুদূর " অাপনি প্রমান চান ? "google এ সার্চ দিয়ে বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পুরাকৃতির ইতিহাস পেয়ে যাবেন। আর তারপরও যদি বিশ্বাস না হয় , তবে চলে আসুন বগুড়াতে I হযরত শাহ্ সুলতান (রাঃ) এর মাজার এবং ঐ হাত-কাটা ব্যক্তির কবর এবং সেই হিন্দু রাজার রাজ-প্রসাদের ধ্বংস-স্তূপ দেখুন আর মহাস্থান-গড়ের মিউজিয়ামে প্রমান-সহ প্রকৃত-ইতিহাস পেয়ে যাবেন।
"হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকল ধর্ম একটাই কথায় বার-বার বলে "ভাল মানুষ হও "I
অার "ভাল মানুষ হতে ধর্ম দরকার হয় না শুধু নিজের ইচ্ছা লাগে I
কথায় আছে "ভাল হতে পয়সা লাগে না "I

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু... কথা ঠিক। যার কারনেই যে কোন ধর্মের প্রথম শর্তই হচ্ছে বিশ্বাস বা ঈমান... যদি আপনার ভিতর ঈমানের ত্রুটি থাকে, মানে বিশ্বাসে যদি গলতি থাকে তবে যতো কর্মই আপনি করুন, কোনো কাজে দিবে না। আমি তর্ক করতেও চাই না। আর বেহুদা তর্ক সম্পর্কের শুধু অবনতিই ঘটায়, সম্পর্ক উন্নয়নে কোনভাবেই সেই তর্ক কোনো ফলপ্রসূ ভুমিকা রাখে না। আপনি যে প্রমানের কথা লিখেছেন- সেটির কথা আমি আগেই বলেছিলাম। ভাল লেখকের মাধ্যমে সেগুলো খুব ভালোভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব। গুগল তো মামা সেইদিনের একটা আবিস্কার। এখানে আমার আপনার মতো যে কেউই তথ্য সংযুক্ত করতে পারে। গুগলের নিশ্চয়ই সেই চোখ নেই, যেটা দিয়ে ঘটনা ঘটার সময়ের কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব? এই তথ্যভান্ডারে শুধুমাত্র সেসব তথ্যেরই সমারোহ ঘটেছে, যা আমরা ওখানে সরবরাহ করেছি। লোক কাহিনী একটা সংস্কৃতিতে বড় ভুমিকা পালন করে। আমাদের সংস্কৃতি এই ধরনের হাজারো লোক কাহিনী সমৃদ্ধ। গাজী-কালু থেকে চণ্ডীদাস-রজকিনী কিছুই এর বাইরের নয়। কিন্তু খেয়াল করে দেখেন তো মামা, এই সমস্ত লোক কাহিনীর সঠিক ভিত্তি আজও কি কেউ আবিস্কার করতে পেরেছে? আর কে না জানে, লোক কাহিনীর ৯৫ ভাগই শুধু মাত্র কথার কথা, এর পেছনে না আছে কোনো সত্যতা, আর না আছে কোনো সঠিক দলিল!
ভালোমানুষ হতে হয়তো আপনার কথানুযায়ী ধর্মের প্রয়োজন হয় না। তবে ধর্ম না থাকলে পরকালে মুক্তি পাবারও কোন সুযোগ নেই। আর ভালো হবার পরও যদি পরকালে মুক্তি না মেলে, তবে সেই ভাল মানুষের মূল্য থাকল কি?
 
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু... কথা ঠিক। যার কারনেই যে কোন ধর্মের প্রথম শর্তই হচ্ছে বিশ্বাস বা ঈমান... যদি আপনার ভিতর ঈমানের ত্রুটি থাকে, মানে বিশ্বাসে যদি গলতি থাকে তবে যতো কর্মই আপনি করুন, কোনো কাজে দিবে না। আমি তর্ক করতেও চাই না। আর বেহুদা তর্ক সম্পর্কের শুধু অবনতিই ঘটায়, সম্পর্ক উন্নয়নে কোনভাবেই সেই তর্ক কোনো ফলপ্রসূ ভুমিকা রাখে না। আপনি যে প্রমানের কথা লিখেছেন- সেটির কথা আমি আগেই বলেছিলাম। ভাল লেখকের মাধ্যমে সেগুলো খুব ভালোভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব। গুগল তো মামা সেইদিনের একটা আবিস্কার। এখানে আমার আপনার মতো যে কেউই তথ্য সংযুক্ত করতে পারে। গুগলের নিশ্চয়ই সেই চোখ নেই, যেটা দিয়ে ঘটনা ঘটার সময়ের কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব? এই তথ্যভান্ডারে শুধুমাত্র সেসব তথ্যেরই সমারোহ ঘটেছে, যা আমরা ওখানে সরবরাহ করেছি। লোক কাহিনী একটা সংস্কৃতিতে বড় ভুমিকা পালন করে। আমাদের সংস্কৃতি এই ধরনের হাজারো লোক কাহিনী সমৃদ্ধ। গাজী-কালু থেকে চণ্ডীদাস-রজকিনী কিছুই এর বাইরের নয়। কিন্তু খেয়াল করে দেখেন তো মামা, এই সমস্ত লোক কাহিনীর সঠিক ভিত্তি আজও কি কেউ আবিস্কার করতে পেরেছে? আর কে না জানে, লোক কাহিনীর ৯৫ ভাগই শুধু মাত্র কথার কথা, এর পেছনে না আছে কোনো সত্যতা, আর না আছে কোনো সঠিক দলিল!
ভালোমানুষ হতে হয়তো আপনার কথানুযায়ী ধর্মের প্রয়োজন হয় না। তবে ধর্ম না থাকলে পরকালে মুক্তি পাবারও কোন সুযোগ নেই। আর ভালো হবার পরও যদি পরকালে মুক্তি না মেলে, তবে সেই ভাল মানুষের মূল্য থাকল কি?
জনাব ,"প্রত্নতত্ত্ব"নামে একটা সাবজেট আছে ৷ এবং এই সাবজেটে যারা "পি.এইচ.ডি করেছে তারাও এখানে এসে এসব প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা করেছে এবং তাদের গবেষনা-লদ্ধ ফলাফল নিয়ে অনেক-অনেক লেখক বই লিখেছে ... প্লিজ একবার লাইব্রেরীতে গিয়ে একটা বই পড়ে দেখুন কিংবা google এ সার্চ দিয়ে দেখুন।
"প্রত্নতত্ত্ব-বিদরা " কোটি-কোটি বছরের পুরাতন একটা "পাথর কিংবা ইট পরীক্ষা করে বলে দিতে পারে এটার বয়স কত আর এটা কি কাজে ব্যবহৃত হয়েছে
এটা পিওর-বিজ্ঞান এখানে কোনো ধোকা-বাজি নেই।
বগুড়ার মহাস্থান-গড় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল তখন এটার নাম ছিল "পুন্ডু-নগর " এখানে অনেক প্রাচীন-বিদ্যা-পীঠ ছিল যেখানে দূর-দূর থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসতো
সেই বেহুলার-বাসর ঘর নামক বিখ্যাত জায়গাটাও এখানে আছে।
আপনি আপনি যানেন না তাই বেহুলার বাসর ঘর এর ইতিহাস আমি সংক্ষেপে বলছি বেহুলার স্বামী সাপের দেবী মনসার অভিশাপের শিকার হন তাই বেহুলার বাসরঘর টি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে কোনো দরজা জানালা ছিল না এমনকি ইঁদুর ঢোকার মত কোন ছিদ্রও ছিল না ৷ তাই সাপ ঢোকার প্রশ্নই আসে না , তাই বেহুলার স্বামী নিরাপদ ছিল
কিন্তু বাধ-সাধন ঐ কারিগর যে এই মহলটা বানিয়েছে। মহলটা বানিয়ে যখন সে খেতে বসলো তখন থালাবাসনে সব-জয়াগায় সে সাপ দেখতে পেল তারপর হঠাৎ সাপের দেবী মনসা তার সামনে উদয় হল এবং তাকে বলল তুই ওই ঘরে একটা ছোট ছিদ্র করে দিয়ে আয়৷
লোকটা ভীত-সন্ত্রষ্ট হয়ে তার আদেশ পালন করল।
পরবর্তী সময়ে সাপের-কামড়ে বেহুলার-স্বামী মৃত্যু-পথযাত্রী হয় ... এরপর আরও কাহিনী আছে বেহুলা এক-সময় তার স্বামীকে সুস্থ করে তোলেI
সেই "বেহুলার - বাসরঘর ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আজও এখানে বিদ্যমান।
তবে "প্রত্নতত্ত্ব-বীদরা "এটা গবেষনা করে ভিন্ন-ইতিহাস বের করে, তারা বলেন এটা কোনো "বাসরঘর-ফাসড়ঘড় কিচ্ছু নয় এটা ছিল পুন্ডু-নগরের একটা বিখ্যাত বিদ্যা-পীঠ।
এভাবে "হযরত শাহ সুলতান (রাঃ) এবং ওই হিন্দু রাজার ইতিহাসও প্রত্নতত্ত্ব-বিদরা বর্ণনা করেছেন যেটা হুবহ না হলেও ৪o-90% মিলে যায় ৷
আল-কোরআনে আছে নবী (সঃ) হাতের আঙ্গুল চাঁদ দুডাগ করেছেন , মূসা(আঃ) লাঠি দিয়ে বিশাল-সমুদ্রর পানির মধ্যে রাস্তা তৈরী করেছেন। আপনি কি এসব ঘটনা-গুলোকেও কিচ্ছা-কহিনী বলবেন ?
 
আপনার জানানোর ভঙ্গিটা আমি খুব উপভোগ করছি, মামা। তবে বলতে দ্বিধা নেই- আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন সেটাই আমি এখনো ধরতে পারছি না। আপনি আমাকে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে অবগত করাতে চেয়েছেন। আমি কি এই বিষয়ে আপনার সাথে মতবিরোধ করেছি, মামা? তাদের গবেষনা তাদের কাছে। সে বিষয়েও আমি কোনো মন্তব্য করেনি। তারা মাটি খুঁড়ে আমাদের অতীত সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন সেটা তো খুবই ভালো একটা বিষয়। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কিছু পদ্ধতি সম্মন্ধে আমার জানা আছে, মামা। ওদের দেয়া তথ্যের সাথে অন্যান্য গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্যের খুব একটা অ-মিল নেই। যার কারনে খুব সহজেই আর প্রায় বিনা দ্বিধায় তাদের তথ্যের উপর নির্ভর করা যায় কিংবা সেই তথ্যের উপর আস্থা রাখা যায়। তার মানে এই ক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে ঐক্যমত পোষণ করলাম।
মহাস্থানগড় সম্মন্ধে বাকি কথাগুলোর সাথেও আমি প্রায় একমত। শুধু বেহুলার কল্পিত কাহিনীটা ব্যাতিত। আর এই বিষয়ে আপনি নিজেই উল্লেখ করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ এই বেহুলার কাহিনীটিকে সমর্থন করে না। আর না করার পিছনে অন্যতম কারন হচ্ছে- গবেষকরা লোক কাহিনীর রেশ ধরে কোনো কিছুর গবেষণা করে না। বরং তাদের গবেষনায় থাকে পিউর কিছু প্রমানপত্র। যেমন শীলা লিপি বা ঐ সময়ের বিভিন্ন অঙ্কন, ভাস্কর্য্য ইত্যাদি। যা দিয়ে গবেষনা করলেই কেবল সঠিক ঘঠনার কাছাকাছি পৌঁছানোর একটা সুযোগ থাকে।
আমি নিজে ১৯৮৯ সালে সেই কথিত বাসর ঘর ঘুরে দেখে এসেছি, মামা। আজকে যে অবস্থায় আছে সেখানে দাঁড়িয়ে যে কোনো কল্প-কথা কিংবা লোক কথায় এই বাসরটিকে (?!) নিয়ে কল্পনা করা যেতেই পারে। তবে মনে রাখতে কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে ফারাক যোজন যোজন...
আপনার শাহ সুলতান নিয়েও আমার কোনো আপত্তি নেই। সম্ভবত ওই যুগে ওনি একজন বিখ্যাত আমলদার ধর্মপ্রান মুসলমান ছিলেন। ওনি ঐ এলাকায় ধর্ম প্রচার থেকে নিয়ে ধর্মীয় অনেক বিষয়েই অগ্রনী ভুমিকায় হয়তো ছিলেন। কিছু কিংবদন্তি সেই সূত্রে তো থাকতেই পারে। তার মানে এটা নয় যে, ওনার ব্যাপারে যে লোককাহিনী প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলো সঠিক!
আপনি আল-ক্বোরআনের কথা উল্লেখ করছেন। আর সে জন্যই আমি কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি... আপনি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? আপনি তো আমার কথাটাই বলেছেন। আমি বলেছিলাম দলিলের কথা। আপনি কোরআনের দলিল দিয়েছেন। কোরআন হাদিসের দলিল থাকলে সেটাকে অস্বীকার করে এমন কে আছে? ক্বোরান হাদিসের মতো দলিল ভিত্তিক যে কোনো গল্পই গ্রহণীয়। কেননা এটা প্রমানীত। প্রমানীত কোনো বিষয় নিয়ে তাই আলোচনা কিংবা কোনো ধরনের তর্ক কোনোভাবেই গ্রহণীয় নয়।
 
আপনার জানানোর ভঙ্গিটা আমি খুব উপভোগ করছি, মামা। তবে বলতে দ্বিধা নেই- আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন সেটাই আমি এখনো ধরতে পারছি না। আপনি আমাকে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে অবগত করাতে চেয়েছেন। আমি কি এই বিষয়ে আপনার সাথে মতবিরোধ করেছি, মামা? তাদের গবেষনা তাদের কাছে। সে বিষয়েও আমি কোনো মন্তব্য করেনি। তারা মাটি খুঁড়ে আমাদের অতীত সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন সেটা তো খুবই ভালো একটা বিষয়। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কিছু পদ্ধতি সম্মন্ধে আমার জানা আছে, মামা। ওদের দেয়া তথ্যের সাথে অন্যান্য গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্যের খুব একটা অ-মিল নেই। যার কারনে খুব সহজেই আর প্রায় বিনা দ্বিধায় তাদের তথ্যের উপর নির্ভর করা যায় কিংবা সেই তথ্যের উপর আস্থা রাখা যায়। তার মানে এই ক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে ঐক্যমত পোষণ করলাম।
মহাস্থানগড় সম্মন্ধে বাকি কথাগুলোর সাথেও আমি প্রায় একমত। শুধু বেহুলার কল্পিত কাহিনীটা ব্যাতিত। আর এই বিষয়ে আপনি নিজেই উল্লেখ করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ এই বেহুলার কাহিনীটিকে সমর্থন করে না। আর না করার পিছনে অন্যতম কারন হচ্ছে- গবেষকরা লোক কাহিনীর রেশ ধরে কোনো কিছুর গবেষণা করে না। বরং তাদের গবেষনায় থাকে পিউর কিছু প্রমানপত্র। যেমন শীলা লিপি বা ঐ সময়ের বিভিন্ন অঙ্কন, ভাস্কর্য্য ইত্যাদি। যা দিয়ে গবেষনা করলেই কেবল সঠিক ঘঠনার কাছাকাছি পৌঁছানোর একটা সুযোগ থাকে।
আমি নিজে ১৯৮৯ সালে সেই কথিত বাসর ঘর ঘুরে দেখে এসেছি, মামা। আজকে যে অবস্থায় আছে সেখানে দাঁড়িয়ে যে কোনো কল্প-কথা কিংবা লোক কথায় এই বাসরটিকে (?!) নিয়ে কল্পনা করা যেতেই পারে। তবে মনে রাখতে কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে ফারাক যোজন যোজন...
আপনার শাহ সুলতান নিয়েও আমার কোনো আপত্তি নেই। সম্ভবত ওই যুগে ওনি একজন বিখ্যাত আমলদার ধর্মপ্রান মুসলমান ছিলেন। ওনি ঐ এলাকায় ধর্ম প্রচার থেকে নিয়ে ধর্মীয় অনেক বিষয়েই অগ্রনী ভুমিকায় হয়তো ছিলেন। কিছু কিংবদন্তি সেই সূত্রে তো থাকতেই পারে। তার মানে এটা নয় যে, ওনার ব্যাপারে যে লোককাহিনী প্রকাশ করা হচ্ছে সেগুলো সঠিক!
আপনি আল-ক্বোরআনের কথা উল্লেখ করছেন। আর সে জন্যই আমি কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি... আপনি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? আপনি তো আমার কথাটাই বলেছেন। আমি বলেছিলাম দলিলের কথা। আপনি কোরআনের দলিল দিয়েছেন। কোরআন হাদিসের দলিল থাকলে সেটাকে অস্বীকার করে এমন কে আছে? ক্বোরান হাদিসের মতো দলিল ভিত্তিক যে কোনো গল্পই গ্রহণীয়। কেননা এটা প্রমানীত। প্রমানীত কোনো বিষয় নিয়ে তাই আলোচনা কিংবা কোনো ধরনের তর্ক কোনোভাবেই গ্রহণীয় নয়।
জনাব, আমি এটাই বলতে চাইছি যে যদি নবী (সাঃ) চাঁদকে দুভাগ করতে পারে এবং মুসা(আঃ) সমুদ্রের মধ্যে পথ তৈরি করতে পারে তাহলে হযরত শাহ সুলতান(রাঃ) আল্লাহর কালামের শক্তি দিয়ে ঐ হিন্দু রাজার সেনাবাহিনী কে পরাজিত করতে পারবে না ?
নবী-রসূলগন তো ঐ আল্লাহর কালাম দিয়েই সব কেরামতি দেখিয়েছেন তাহলে ঐ একই আল্লাহর কালাম দিয়ে হযরত শাহ সুলতান(রঃ) কেন কোন কেরামতি দেখাতে পারবেন না?
তাহলে কি আল্লাহর কালামের ক্ষমতা কমে গিয়েছে? না আল্লাহর কালামের ক্ষমতা বিন্দুমাত্র কমে নাই কমেছে ভালো মানুষের সংখ্যা ৷
একজন সৎ নিষ্পাপ মানুষ এখনো যদি আল্লাহর কালাম পড়ে তবে আল্লাহর কালাম এখনো তার কুদরতি ক্ষমতা দেখাবে কিন্তু এরকম সৎ নিষ্পাপ মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে নেই বললেই চলে তাই আল্লাহর কালামের ক্ষমতা নিয়ে এই-যুগের মানুষের বিশ্বাস দিন দিন কমে যাচ্ছে৷
আর আমি হযরত শাহ সুলতান(রাঃ) কেন জঙ্গলে গিয়েছিলেন সেটা আমি আমার প্রথম পোস্টেই ব্যাখ্যা করেছি৷
উনি যদি ওই সময় জঙ্গল না যেতেন তাহলে ওনার প্রজারা অনুনয়-বিনয় করে ওনাকে পুনরায় রাজ সিংহাসনে বসিয়ে দিতেন তাই উনি উনার প্রজাদের বাঁচার জন্যই জঙ্গলে গিয়েছিলেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top