What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

দ্বীন প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজের ভূমিকা (1 Viewer)

আপনি নবী রাসুলদের সাথে সাধারন মানুষের পার্থক্যটা বুঝতেছেন না। কিংবা ইচ্ছা করে সাধারন মানুষ আর নবী রাসুল (সাঃ) দের এক করে ফেলতেছেন, মামা। একজন সাধারন মানুষ সে যতো বড় আলেম কিংবা আমলদারই হন না কেনো- একজন নবীর তুলনায় কিছুই না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতিটা নবীকে তাঁর কওম বা জাতীকে তাওহীদের দাওয়াত দেয়ার জন্য প্রেরন করেন। দাওয়াতের পদ্ধতির অংশ হিসাবে দান করেন মু'জেজা বা অলৌকিক নিদর্শন। যা শুধু রাসুল বা আম্বিয়ায়ে কেরামদের জন্যই খাস ছিলো। এই ধরনের মু'জেজার সাথে সাধারন লোকের কোনো কর্মকান্ড একীভূত করা কোনোভাবেই উচিৎ নয়।
এই ধরনের মু'জেজার সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কালামের কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহর প্রিয় বান্দা তথা আম্বিয়াদের দাওয়াতের কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এই সমস্ত অলৌকিক নিদর্শন সরাসরি আল্লাহ প্রদত্ত ছিলো। এতে নবী বা আম্বিয়াদের কোনো হাত ছিলো না।
জঙ্গলে গিয়ে ধর্ম চর্চ্চা কিংবা ধর্ম সম্মন্ধে জ্ঞান অর্জনের উপমা ইসলাম ধর্মে নেই। বৌদ্ধ ধর্মে এই ব্যাপারে যথেষ্ঠ দূর্বলতা আছে। সেখানে গৌতম বৌদ্ধ জঙ্গলে গিয়ে তার দিব্য দৃস্টি লাভ করেন তপস্যার মাধ্যমে। যেটা ইসলাম ধর্মের ধর্ম প্রচারের পদ্ধতির সাথে একেবারেই বেমানান। হিন্দু ধর্মেও এই ধরনের যুগিবাদের প্রচলন দেখা যায়। কিন্তু কোনোভাবেই সেটা ইসলাম ধর্মের কোনো আমলেই প্রসিদ্ধ ছিলো না বা নেই।
সেদিক বিবেচনায় আপনার এই শাহ সুলতান কিভাবে জঙ্গল থেকে ধর্মজ্ঞান লাভ করলো সেটা আমার কিছুতেই মাথায় আসতেছে না।
 
আপডেট...


পরে বালকটি বাদশাহকে বলে, আপনি আমাকে কখনোই মারতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপনি আমার কথা শুনবেন। বাদশাহ বললেন, কি সে কথা? বালকটি বলল, আপনি সমস্ত লোককে একটি ময়দানে জমা করুন। অতঃপর একটা তীর নিয়ে আমার দিকে নিক্ষেপ করার সময় বলুন, باسم الله رب الغلام‘বালকটির পালনকর্তা আল্লাহর নামে’। বাদশাহ তাই করলেন এবং বালকটি মারা গেল। তখন উপস্থিত হাযার হাযার মানুষ সমস্বরে বলে উঠল, ‘আমরা বালকটির প্রভুর উপরে ঈমান আনলাম’। তখন বাদশাহ বড় বড় গর্ত খুঁড়ে বিশাল অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে সবাইকে হত্যা করল। নিক্ষেপের আগে প্রত্যেককে ধর্ম ত্যাগের বিনিময়ে মুক্তির কথা বলা হয়। কিন্তু কেউ তা মানেনি। শেষ দিকে একজন মহিলা তার শিশু সন্তান কোলে নিয়ে ইতস্ততঃ করছিলেন। হঠাৎ কোলের অবোধ শিশুটি বলে ওঠে, ‘শক্ত হও হে মা! কেননা তুমি সত্যের উপরে আছো’। তখন বাদশাহর লোকেরা মা ও ছেলেকে এক সাথে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে। ঐদিন ৭০ হাযার মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়। (আহমাদ, মুসলিম হা/৩০০৫; তিরমিযী হা/৭৩৩৭।) এ ঘটনা থেকে আমরা জানতে পারি যে, এক যুবকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে হাযার হাযার মানুষ মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।

অনুরূপভাবে যুবকদের মাধ্যমেই মদীনার রাষ্ট্রীয় ভীত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১১ নববী বর্ষে মদীনা হ’তে হজ্জ করতে এসেছিল কনিষ্ঠ তরুণ আস‘আদ বিন যুরারাহর নেতৃত্বে পাঁচজন তরুণ। আর পরবর্তীতে তাদেরই প্রচেষ্টার ফসল হয়ে উঠেছিল বিশ্ব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রব্যবস্থা, যা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। এই যুবকরাই বদর, ওহোদ, খন্দক ও তাবুকের যুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ইসলামের শত্রুদের নিধন করে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করেছিল।

ইসলামের বড় শত্রু আবু জাহলকে হত্যা করেছিল ছোট্ট দু’টি বালক মু‘আয ও মুয়াববাজ। আব্দুর রহমান বিন আওফ বলেন, বদরের যুদ্ধে সৈনিকদের বুহ্যে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি আমার ডানে ও বামে দু’জন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। তাদের দেখে আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করলাম না। এ সময় তাদের একজন আমাকে গোপনে বলল, ‘চাচাজী আমাকে দেখিয়ে দিন তো আবু জাহল কে? আমি বললাম, তাকে তোমরা কি করবে? তারা বলল, আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি দেখামাত্র তাকে হত্যা করব। আব্দুর বিন আওফ বলেন, আমি ইশারায় আবু জাহলকে দেখিয়ে দেওয়া মাত্রই তারা দু’জন বাঘের মত তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে হত্যা করল।
 
ওহোদ যুদ্ধের জন্য ওসামা তার সমবয়সী কতিপয় যুবক, কিশোরের সাথে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সামনে উপস্থিত হ’লেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের মধ্যে কয়েকজনকে নির্বাচন করলেন। আর ওসামাকে অপ্রাপ্ত বলে ফিরিয়ে দিলেন। যুদ্ধে যেতে না পেরে ওসামা মনে কষ্ট ও অন্তরে ক্ষোভ নিয়ে অশ্রুসজল নয়নে বাড়ী ফিরলেন। পরের বছর খন্দকের যুদ্ধের জন্য সৈন্য বাছাই পর্বে বাদ পড়ার ভয়ে ওসামা পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর করে উচু হয়ে দাঁড়ালেন। তার আগ্রহ দেখে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে নির্বাচন করলেন। মাত্র ১৪ বছরের এই যুবক যোগ দিলেন খন্দকের যুদ্ধে।

একাদশ হিজরীতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রোমান বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০ বছরের সেই যুবক ওসামা বিন যায়েদকে সেনাপতি করে পাঠান। তিনি বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে রোমানদের গর্ব চিরতরে নস্যাৎ করে দেন।

দুঃখজনক হ’লেও সত্য যে, আমাদের যুবসমাজের একটি বিরাট অংশ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিচ্ছে বাতিল মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য। তাদের ধারণা যে, ধর্ম ও রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা। ধর্ম কেবলমাত্র ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত, তাসবীহ-তাহলীলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কাজেই বৈষয়িক জীবনটা নিজের ইচ্ছামত চললেই হবে। এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের বশবর্তী হয়েই তারা আল্লাহর দেয়া শক্তি-সাহস মানবরচিত বাতিল মতবাদের পিছনে ব্যয় করছে। এই ভ্রান্ত ধারণা অবশ্যই বর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে হক্ব বা সত্য হল একটাই। আর তা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, হক্ব তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে আসে। অতএব যার ইচ্ছা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা তা অমান্য করুক। আমরা সীমালংঘনকারীদের জন্য জাহান্নাম প্রস্ত্তত করে রেখেছি’
(কাহ্ফ ২৯)।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি ঘুনে ধরা এই দেশ ও সমাজের অজ্ঞতা, দ্বীনতা, হীনতা, জরাজীর্ণতা, খুন-খারাবী, হিংসা-বিদ্বেষ, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, নগ্নতা ও বেহায়াপনার মত নির্লজ্জতা দূর করে সুশিক্ষিত, আদর্শ ও কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সর্বাত্মক সমাজ বিপ্লবের কাজ একমাত্র তাওহীদি আক্বীদায় বিশ্বাসী নিবেদিতপ্রাণ, ঈমান ও আমলে সামঞ্জস্যশীল এবং জাহেলিয়াতের সাথে আপোষহীন যুবসমাজের দ্বারাই সম্ভব। তাই জাতীয় কবি কাযী নযরুল ইসলাম বলেন,

যুগে যুগে তুমি অকল্যাণেরে করিয়াছ সংহার

তুমি বৈরাগী বক্ষের প্রিয়া ত্যাজি ধর তলোয়ার।

জরজীর্ণের যুক্তি শোন না গতি শুধু সম্মুখে,

মৃত্যুরে প্রিয় বন্ধুর সম জড়াইয়া ধর বুকে।

তোমরাই বীর সন্তান যুগে যুগে এই পৃথিবীর,

হাসিয়া তোমরা ফুলের মতন লুটায়েছ নিজ শির।

দেহেরে ভেবেছ ঢেলার মতন প্রাণ নিয়ে কর খেলা,

তোমারই রক্তে যুগে যুগে আসে অরুণ উদয় বে আসুন, আমরা আমাদের যৌবনের এই মূল্যবান সময়কে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার চেষ্টা করি। সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখি। তাহ’লেই আমাদের এ যৌবনকাল সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!
 
ওহোদ যুদ্ধের জন্য ওসামা তার সমবয়সী কতিপয় যুবক, কিশোরের সাথে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সামনে উপস্থিত হ’লেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের মধ্যে কয়েকজনকে নির্বাচন করলেন। আর ওসামাকে অপ্রাপ্ত বলে ফিরিয়ে দিলেন। যুদ্ধে যেতে না পেরে ওসামা মনে কষ্ট ও অন্তরে ক্ষোভ নিয়ে অশ্রুসজল নয়নে বাড়ী ফিরলেন। পরের বছর খন্দকের যুদ্ধের জন্য সৈন্য বাছাই পর্বে বাদ পড়ার ভয়ে ওসামা পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর করে উচু হয়ে দাঁড়ালেন। তার আগ্রহ দেখে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে নির্বাচন করলেন। মাত্র ১৪ বছরের এই যুবক যোগ দিলেন খন্দকের যুদ্ধে।

একাদশ হিজরীতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রোমান বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০ বছরের সেই যুবক ওসামা বিন যায়েদকে সেনাপতি করে পাঠান। তিনি বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে রোমানদের গর্ব চিরতরে নস্যাৎ করে দেন।

দুঃখজনক হ’লেও সত্য যে, আমাদের যুবসমাজের একটি বিরাট অংশ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিচ্ছে বাতিল মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য। তাদের ধারণা যে, ধর্ম ও রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা। ধর্ম কেবলমাত্র ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত, তাসবীহ-তাহলীলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কাজেই বৈষয়িক জীবনটা নিজের ইচ্ছামত চললেই হবে। এই ভ্রান্ত বিশ্বাসের বশবর্তী হয়েই তারা আল্লাহর দেয়া শক্তি-সাহস মানবরচিত বাতিল মতবাদের পিছনে ব্যয় করছে। এই ভ্রান্ত ধারণা অবশ্যই বর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে হক্ব বা সত্য হল একটাই। আর তা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, হক্ব তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে আসে। অতএব যার ইচ্ছা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা তা অমান্য করুক। আমরা সীমালংঘনকারীদের জন্য জাহান্নাম প্রস্ত্তত করে রেখেছি’ (কাহ্ফ ২৯)।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি ঘুনে ধরা এই দেশ ও সমাজের অজ্ঞতা, দ্বীনতা, হীনতা, জরাজীর্ণতা, খুন-খারাবী, হিংসা-বিদ্বেষ, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, নগ্নতা ও বেহায়াপনার মত নির্লজ্জতা দূর করে সুশিক্ষিত, আদর্শ ও কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সর্বাত্মক সমাজ বিপ্লবের কাজ একমাত্র তাওহীদি আক্বীদায় বিশ্বাসী নিবেদিতপ্রাণ, ঈমান ও আমলে সামঞ্জস্যশীল এবং জাহেলিয়াতের সাথে আপোষহীন যুবসমাজের দ্বারাই সম্ভব। তাই জাতীয় কবি কাযী নযরুল ইসলাম বলেন,

যুগে যুগে তুমি অকল্যাণেরে করিয়াছ সংহার

তুমি বৈরাগী বক্ষের প্রিয়া ত্যাজি ধর তলোয়ার।

জরজীর্ণের যুক্তি শোন না গতি শুধু সম্মুখে,

মৃত্যুরে প্রিয় বন্ধুর সম জড়াইয়া ধর বুকে।

তোমরাই বীর সন্তান যুগে যুগে এই পৃথিবীর,

হাসিয়া তোমরা ফুলের মতন লুটায়েছ নিজ শির।

দেহেরে ভেবেছ ঢেলার মতন প্রাণ নিয়ে কর খেলা,

তোমারই রক্তে যুগে যুগে আসে অরুণ উদয় বে আসুন, আমরা আমাদের যৌবনের এই মূল্যবান সময়কে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার চেষ্টা করি। সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখি। তাহ’লেই আমাদের এ যৌবনকাল সার্থক হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!
জনাব, আপনি যেই হাদিসগুলো বর্ণনা করলেন সবগুলোই জিহাদি হাদিস,আরব বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জিহাদের মাধ্যমে কিন্তু ভারতবর্ষে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে আল্লাহর কালাম এবং তার রুহানি কুদরতের মাধ্যমেI হযরত শাহ সুলতান (রাঃ) ,শাহজালাল (রাঃ) শাহমখদুম(রাঃ) ... কাছে দোয়া নিতে শুধু মুসলিম নয় বিধর্মীরাও আসত এবং ওনাদের আলৌকিক ক্ষমতা দেখে এসব বিধর্মীরা ইসলাম গ্রহন করে। তাই ওনাদির মৃত্যুর পরও আজও সকল ধর্মের লোকেরা উনাদের মাজারে দোয়া নিতে যায়।
উদাহরণস্বরূপ ভারতের আজমীর শরীফের কথা ধরুন , এটা হিন্দু-মুসলিম সবার জন্য পবিত্র জায়গা হিসেবে গণ্য এখানে বড় কট্টরপন্থী হিন্দুরাও দোয়া নিতে আসে৷ অবশ্যই তাদের রুহানি ক্ষমতা আছে তানাহলে এত-এত মানুষ সেখানে যেত না I
কারন মৌমাছি সেখানেই যায় যেখানে মধু আছে ৷
আপনি নিশ্চয়ই অস্কারবিজয়ী ভারতের বিখ্যাত সুরকার এ আর রহমানের ইসলাম গ্রহণের গল্পটা শুনে থাকবেন৷
শোনা যায় উনার একমাত্র ছোটবোনের ক্যান্সার ধরা পড়ে ডাক্তাররা তাঁর মৃত্যুর সময় ঠিক করে দেয়। এমতাবস্থায় তিনি শেষ চেষ্টা হিসেবে একজন আলেম- দরবেশের কাছে যান ওই দরবেশ ওনার বোনকে একটি দোয়া পড়ে দেন৷ ব্যস এতেই বোনটি সম্পূর্ণ-রূপে আরোগ্য লাভ করেন। এই আশ্চর্য ক্ষমতা দেখেএ আর রহমান ইসলাম গ্রহণ করেন৷
এই পীর দরবেশ দিন নিয়ে অনেক অনেক অলৌকিক ঘটনা আছে ।
এই রকমই একজন দরবেশের আলৌকিক মোজেজা নিয়ে বাংলা-ছায়াছব" তৈরি হয় যার নাম "বড় ভালো মানুষ ছিল " এতে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক I
আরো নবী-রসূলদের কোনো আলৌকিক ক্ষমতা ছিল না ,যা ছিল সবই আল্লাহর কালামের শক্তি৷ যার প্রমান নবী (সাঃ) এর বিদায় হজের ভাষন ওনি বলেছেন "আমি তোমাদের মতই রক্তমাংসের মানুষ"৷
আরো একটি ঘটনার কথা বলি একবার নবী(সাঃ)কে কিছু দুষ্ট লোক জাদু করে এতে তিনি ভীষণ অসুস্থ হয় পড়েন৷ ওই দুষ্টু লোকেরা নবী(সাঃ) একটি পুতুল বানিয়ে তাতে অনেকগুলো সূতো পেঁচিয়ে গীট দেয় এবং পুতুলটি একটি কুয়োতে নিক্ষেপ করেন৷ নবী সাঃ এর কাছে জিব্রাইল আল্লাহ জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসেন এবং ওনাকে পুরো ঘটনাটি বলেন এরপর নবী সাঃ ঐ কূয়ো থেকে পুতুলটি উদ্ধার করেন এবং সূরা নাচ এবং সূরা ফালাক পড় ঐ পুতুলটিতে ফুঁ দেন আর সাথে সাথে পুতুলের সুতোর গীট-গুলো খুলে যায় আর তিনি সুস্থতা লাভ করেন৷
এখানে একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য যে সূরা নাচ ও সূরা ফালাক এর কুদরতি ক্ষমতার কারণে তিনি সুস্থতা লাভ করেন এই দুটি দোয়া সকলের জন্য প্রযোজ্য যে কেউ এই দুটি দোয়া পরে দুষ্টলোকের জাদু টোনা হতে সুরক্ষিত হতে পারবে এখানে নবী সাঃ এর কোনো অলৌকিক ক্ষমতার নিদর্শন পাওয়া যায় না যা পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণই ওই দুয়া দুটির কুদরতি ক্ষমতা অর্থাৎ নবী রাসূলগণ আমাদের মতই সাধারণ রক্ত মানুষের মানুষ ছিল।
 
মৃত ব্যাক্তি আবার কি করে দোয়া করে এটাই তো বুঝলাম না...
 
মৃত ব্যাক্তি আবার কি করে দোয়া করে এটাই তো বুঝলাম না...
জনাব, মৃত ব্যক্তি দোয়া করতে পারেনা এটা আমিও জানি কিন্তু ওরা বুঝতে চায় না৷ কারন যারা ওনার দরগায় আসে তাদের পূর্ব-পুরুষরাও ঐ সূফি-দরবেশ এর সুবিধা-ভোগী এদের অনেকে ঐ দরবেশের নাম-ভাঙ্গিয়ে ধর্ম-ব্যবসার প্রসার খুলে বসেছে আবার কেউ-কেউ সত্যিকার অর্থে ওই দরবেশকে ভালোবাসেন।
 
জনাব, মৃত ব্যক্তি দোয়া করতে পারেনা এটা আমিও জানি কিন্তু ওরা বুঝতে চায় না৷

আপনার এই কথাটা আমার ভাল লেগেছে। আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। কিন্তু...

উদাহরণস্বরূপ ভারতের আজমীর শরীফের কথা ধরুন , এটা হিন্দু-মুসলিম সবার জন্য পবিত্র জায়গা হিসেবে গণ্য এখানে বড় কট্টরপন্থী হিন্দুরাও দোয়া নিতে আসে৷ অবশ্যই তাদের রুহানি ক্ষমতা আছে তানাহলে এত-এত মানুষ সেখানে যেত না

তাইলে এই কথাটা কেনো যে বললেন, সেটাই বুঝতেছি না।
আপনার কোন কথাটা ঠিক ধরে নেবো, মামা?
 
আপনার এই কথাটা আমার ভাল লেগেছে। আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। কিন্তু...



তাইলে এই কথাটা কেনো যে বললেন, সেটাই বুঝতেছি না।
আপনার কোন কথাটা ঠিক ধরে নেবো, মামা?
জনাব, উনাদের রুহানি ক্ষমতা ছিল এখন ওনারা জান্নাতের মেহমান হয়েছেন ৷ যখন উনারা বেঁচে ছিলেন তপন এমনিভাবে হাজার হাজার মানুষ দোয়া নিতে আসতো এবং এই দোয়ার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান হয়ে যেত ৷ এখনো হাজার হাজার মানুষ উনাদের মাজারে দোয়া নিতে আসে কিন্তু তারা এটা বুঝতে চায়না যে মৃত ব্যক্তি দোয়া করতে পারেনা কিন্তু তাদের একটা অন্ধবিশ্বাস সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলযা থেকে তারা বের হয়ে আসতে পারছেনা। আর তাদের এই অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কিছু ধর্মব্যবসায়ী ব্যবসা করে যাচ্ছে৷ আমি এটাই বারবার আপনাকে বলছি যে উনাদের রুহানি ক্ষমতা ছিল আর আপনি বারবার এটা অস্বীকার করছিলেন আর বলছিলেন নবী-রাসূলগণ ছাড়া আর কারো রুহানি ক্ষমতা নেই৷
এখন আপনি এটা স্বীকার করে নিলেন যে উনাদের রুহানি ক্ষমতা ছিল৷
 
জনাব, উনাদের রুহানি ক্ষমতা ছিল এখন ওনারা জান্নাতের মেহমান হয়েছেন ৷

মামা, এই রুহানী ক্ষমতা জিনিষটা কি? একটু যদি বিস্তারিত জানাতেন...
জান্নাতে মেহমান হয়ে যাওয়া লাগবে কেনো, মামা? ওটা তো ভালো লোকের চিরস্থায়ী বাসস্থান হবার কথা!
 
মামা, এই রুহানী ক্ষমতা জিনিষটা কি? একটু যদি বিস্তারিত জানাতেন...
জান্নাতে মেহমান হয়ে যাওয়া লাগবে কেনো, মামা? ওটা তো ভালো লোকের চিরস্থায়ী বাসস্থান হবার কথা!
জনাব ,রুহানি ক্ষমতা অর্থ রুহের ক্ষমতা অর্থাৎ আত্মার ক্ষমতা, যেসব মানুষের অন্তরে কোন লোভ লালসা,হিংসা-বিদ্বেষ,পাপাচার.... নেই তাদের রুহের সাথে আল্লাহর direct connection হয়ে যায় অর্থাৎ তারা যে দোয়া বা মোনাজাত করবে তা সাথে সাথে কবুল হয়ে যায় । এটাই হলো রুহানি ক্ষমতা ৷
এই বিষয় একটি গল্প বলি শুনুন.... অনেকদিন আগে একজন ধার্মিক আল্লাহ ওয়ালা দরবেশ ছিলেন তিনি মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান আল্লাহর কালামের শক্তি দিয়ে করে দিতেন ৷ একদিন এক যুবক লোক উনার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল দরবেশ বাবা আমি এতো এতো দোয়া মোনাজাত করি অথচ আমার একটা ফরিয়াদ কবুল হয়না অথচ আপনি একবার মোনাজাত করলে সাথেসাথে সেটা কবুল হয়ে যায় ৷ আপনি কি বিশেষ আমল জানেন যা আমি জানি না ? দরবেশ এই যুবেকের প্রশ্ন শুনে মৃদু হাসলেন আর বললেন বৎস আমি অবশ্যই একটা বিশেষ আমল জানি যা পড়ে তুমি যেই দোয়াই করো না কেন সেটা অবশ্যই কবুল হবে যদি তুমি কাউকে অভিশাপ দাও সে সাথেসাথে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে ....
একথা শুনে যুবক লোকটি দরবেশের কাছে কাকুতি মিনতি করতে লাগলো আর বলল হুজুর আমাকে ওই আমলটি শিখিয়ে দিন...
দরবেশ কি আবার মৃদু হাসলেন এবং বললেন বৎস তুমি জঙ্গলের দিকে যাও ওখানে একজন বৃদ্ধ লোককে কাঠ কাটতে দেখবে তুমি তাকে অনুসরণ করবে এবং যা কিছু ঘটবে ফিরে এসে আমাকে বলবে ....
যুবকটি জঙ্গলে চলে গেল এবং ওই বৃদ্ধ কাঠুরিয়াকে অনুসরণ করতে লাগলো... কাঠুরিয়া লোকটি খুবই বৃদ্ধ আর দুর্বল ছিল ৷ সে সারাদিনে অল্প পরিমাণ কাঠ কেটে তা মাথায় নিয়ে বাজারের দিকে যেতে লাগলো এবং পথিমধ্যে একজন রাজার সেনা তার পথ আটকালো এবং তার সারাদিনের পরিশ্রম করে কাটা সব কাঠ কেড়ে নিল এবং তাকে নির্মমভাবে পেটালো....
এই পর্যন্ত দেখে যুবক লোকটি ফিরে আসলো এবং দরবেশকে পুরো ঘটনাটি খুলে বলল....
এবার দরবেশ যুবকের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল তুমি যদি ওই বিশেষ আমলটি জানতে এবং ওই বৃদ্ধ কাঠুরের জায়গায় থাকতে তাহলে কি করতে? যুবক লোকটি তৎক্ষণাৎ উত্তর দিল আমি ওই অত্যাচারী লোকটিকে অভিশাপ দিয়ে জ্বলে-পুড়ে ছারখার করে দিতাম....
এবার দরবেশ মৃদু হাসলো আর বলল ওই বৃদ্ধ কাঠুরিয়া বিশেষ আমলটি জানেন তিনি চাইলে ওই আমলটি পাঠ করে অভিশাপ দিতে পারতো কিন্তু তিনি এটা করেননি....
বৎস আমি তোমাকে ওই আমলটি শিখিয়ে দিতে পারবো না , এর জন্য তোমাকে কঠোর সাধনা করে মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ প্রতিহিংসা প্রতিশোধ পরায়ণতা চিরতরে দূর করতে হবে ৷ এই আমলটি আর কিছুই নয় এটা তোমার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হৃদয়ের রুহানি ক্ষমতা ৷
এটা ছিল আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর ....
এবার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর...সূফী-দরবেশ নেককার ব্যক্তিরা এখন কবরে জীবন ব্যায় করছেন তারা এখনও পুরোপুরি জান্নাত লাভ করেননি তারা জান্নাতের মেহমান হয়ে আেছেন ৷ রোজ হাশরের পর তারা পুরোপুরি জান্নাত লাভ করবেন ৷
 

Users who are viewing this thread

Back
Top