সম্প্রতি কিছু অসহ্য অভিজ্ঞতার পর বলিউডের ভূতুড়ে ছবির কথা শুনলেই নাক সিঁটকোতে হয়। সেই বস্তাপচা গল্প, বিদঘুটে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর আর নিম্নমানের অভিনয় দেখে ভয় তো দূর অস্ত, মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই সত্যি বলতে কোনওরকম প্রত্যাশা না নিয়েই আমাজন প্রাইম ভিডিওর পর্দায় চোখ রেখেছিলাম 'ছোড়ি' দেখার জন্য। কিন্তু ১২৯ মিনিট পর যখন স্ক্রিনজুড়ে অন্ধকার নামল, মনের কোণ তখন হাজারো প্রাপ্তিতে উজ্জ্বল। গায়ে শিহরণ জাগানোর সঙ্গে এ ছবি সমাজকে বড় শিক্ষাও দিয়ে গেল।
মারাঠি ছবি 'লাপাছাপ্পি'র অবলম্বনে 'ছোড়ি'কে (Chhorii) সাজিয়েছেন পরিচালক বিশাল ফুরিয়া। ভূতুড়ে পরিবেশের মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার গর্ভের সন্তানকে রক্ষা করার লড়াইকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। শহুরে আধুনিক মানসিকতার সাক্ষী (নুসরত বারুচা) সুখে সংসার করে স্বামী হেমন্তের (সৌরভ গোয়েল) সঙ্গে। বিশেষ এক কারণে তাদের কিছু দিনের জন্য গা ঢাকা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। ঠিক করে, বাড়ির গাড়িচালকের গ্রামে ক'দিন থাকবে। অন্তঃসত্ত্বা সাক্ষীকে নিয়ে চালকের বাড়িতেই ওঠে হেমন্ত। চালকের ঘরনি ভানো দেবী 'মনিব'দের সেবায় কোনও ঘাটতি রাখে না। কিন্তু দিগন্ত বিস্তৃতি আখের খেতে ঘেরা সেই বাড়িতেই নানা অবিশ্বাস্য, অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটতে শুরু করে সাক্ষীর সঙ্গে। কী ঘটনা, কেনই বা ঘটছে- সেসব বরং নিজেই দেখবেন। তবে গা ছমছমে সেই পরিবেশ, কুসংস্কারের আঁধার, গ্রাম্য মানসিকতা থেকেই বড় বার্তা পায় সাক্ষী।