বইয়ের নাম : চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : জুন ২০০৯
প্রকাশক : অন্বেষা প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭১ টি
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : জুন ২০০৯
প্রকাশক : অন্বেষা প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭১ টি
সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট
কাহিনী সংক্ষেপ :
শামসুল আলম তিন বছর আগে এম এ পাশ করেছে। তিন বছর ধরেই চাকরির চেষ্টা করছে, কিছু হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত অজপাড়া গায়ের এক গ্রাম্য স্কুলে একটি শিক্ষকতার চাকরির অফার এসেছে, কিন্তু সেটা তার পছন্দ না। এদিকে বাড়ির অবস্থা বেশ খারাপ, ইন্সুরেন্স কম্পানিতে চাকরি করা বাবার উপরেই সংসারের দায়িত্ব।
আলমের বন্ধু মজিদ থাকে তার ফুপুর বাড়িতে,সারাদিন কাজ করে ফুপার রেশনের দোকানে। বিনিময়ে ফুপার বাড়িতে থাকা আর খাওয়া পায়, আর কোন বেতন বা টাকা পয়সা কিছু পায় না। এক পূর্ণিমার রাতে আলম আর মজিদ দুজনে নেমে আসে রাস্তায়। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তাদের দেখা হয় আরেক বন্ধু মাহিনের সাথে। মাহিন তখন সেলুনে চুল কাটাচ্ছে। মাহিনের অবস্থা তাদের বন্ধুদের মাঝে সবচেয়ে ভালো হলেও সেই সবচেয়ে কৃপন। তার স্বভাব হচ্ছে বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই টাকা ধার চাওয়া। সেলুন থেকে মজিদ একটা খুর চুরি করে। সেই খুর নিয়ে সবাই যখন রাস্তায় নামে তখনই মজিদ কেমন যেন আচরণ করতে শুরু করে,একটা ঘোড়ের মধ্যে চলে যায়।
মির্জা সাহেব তার মেয়ে পলিনকে নিয়ে অনেকদিন পরে বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন মেয়েকে দেশ দেখাবেন বলে। এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি একটি ফাইভস্টার হোটেলে চলে গেলেন তিনি টেক্সি নিয়ে। রাতে হঠাৎ করেই তিনি মেয়েকে হোটেলের রুমে রেখে পথে নেমে এলেন হাঁটতে হাঁটতে। তখন তার দেখা হয়ে যায় খুর হাতে ঘুরে বেরানো মজিদদের দলের সাথে। মজিদ তখন মির্জা সাহেবকে খুর দেখিয়ে তাদের সাথে হাঁটতে বাধ্য করে। আকাশে তখন ফকফকা চাঁদের আলো।
আলমদের বন্ধুস্থানীয় আরেক জন করিম। করিম থাকে তার মামার নির্মাণাধীন একটা দালানে। মূলতো করিম সেখানে থাকে দারোয়ানের মত। তার কাজ কোনো কিছু চরি না হওয়ার তদারকি করা। তার মামার ছেলে মিরন মঝে মাঝে তার এখানে আসে নানা অকাজ করার জন্য। মজিদরা মির্জা সাহেবকে সাথে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে পৌছায় করিমে আস্তানায়। করিম তাদের জানায় মিরন আছে উপরে। রাস্তায় ফুল বিক্রি করে এমন একটি ১০-১১ বছরের বাচ্চা মেয়েকে মিরন জোড় করে ঘরের ভিতরে নিয়ে গেছে। এখন ঘরের ভিতর থেকে আর কোন সাড়াশব্দ বের হচ্ছে না।
ঘোরের মধ্য থাকা মজিদ বলতে থাকে খুন করে ফলবো।
কাকে খুন করবে সে?
----- সমাপ্ত -----