What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বিদেশ-বিভুঁই এ লেখাপড়া by senian (1 Viewer)

Ochena_Manush

Mega Poster
Elite Leader
Joined
Aug 12, 2022
Threads
257
Messages
17,616
Credits
362,761
LittleRed Car
Automobile
Strawberry
Audio speakers
আনাম মিষ্টি নিয়ে ঘরে ফিরল অফিস থেকে৷ খুশির খবরে মিষ্টি খাওয়াই যে রেওয়াজ। ফারহানা আনামের হাতে মিষ্টি দেখে অবাক হল৷ আনাম পরে সবকিছু খুলে বলল৷ ফারহানাকে না জানিয়েই সে ফারহানার জন্য একটা স্কলারশিপ এর আবেদন করেছিল৷ অনার্স এ মেয়েটার রেজাল্ট ভাল৷ কিন্তু তাও সে এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী। আনামের কোনো বাঁধা ছিলনা, ফারহানারই চাকরি বাকরি ভালো লাগেনা৷ আর শিহাব হওয়ার পর ওকে নিয়েই ফারহানার ব্যস্ততা। আশ্চর্যজনকভাবে স্কলারশিপটা ফারহানা পেয়ে গেছে৷ ফারহানা এসবের কিছুই জানতনা৷ সে যেন আকাশ থেকে পড়ল৷
-এসবের মানে কি?
-স্কলারশিপ, দক্ষিণ কোরিয়ার একটা ভার্সিটিতে৷
-তুমি পাগল হয়েছ?এখন আবার পড়ব? তাও আবার দেশের বাইরে!
-সমস্যা কি তাতে?
-সংসার কে দেখবে, শিহাবকে কে দেখবে?
-আম্মা আছে, আমি আছি৷ এত চিন্তা করো কেন?
-হ্যাঁ, আমাকে পাগলে পেয়েছে যে আমি তিন বছরের বাচ্চা রেখে বিদেশ যাই পড়তে সবকিছু ফেলে।
-ধুর৷ এতকিছু বুঝিনা৷ সুযোগ বারবার আসেনা৷ এটা একটা প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ।
-তুমি যাও৷ আমি কোথাও যাচ্ছিনা, যত্তসব!

ফারহানা আর আনামের বিয়ের পাঁচ বছর চলছে৷ খুব সুখী তারা৷ আনাম ব্যাংকে চাকরি করে৷ শিহাব তাদের ছেলে, ৩ বছর বয়স৷ বাড়িতে আর আছেন আনামের মা৷ খুব ভাল মহিলা৷ একেবারে বৃদ্ধা নন, প্রৌঢ়া বলা চলে। ফারহানার সাথেও তার সম্পর্কটা চমৎকার! ঠিক যেন মা-মেয়ের মত৷ ফারহানা সাধারণ বাঙালি মেয়ে। দেখতে সুন্দর, শ্যামলা গায়ের রঙ আর মায়াবি চেহারা, ফিগার যথেষ্ট ভাল। সে খুব লাজুক৷ ঘরকন্যা করেই বাংলার আর পাঁচটা গৃহবধূর মত তার দিন কেটে যায়৷ তার একটা খুব ভাল স্বামী আছে, একজন মায়ের মত শাশুড়ি আছেন, ফুটফুটে একটা ছেলে আছে৷ একটা বাঙালি মেয়ের সুখী হতে আর কি লাগে? ফারহানা বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যায় এবং অনার্স শেষ করে৷ শান্তশিষ্ট এবং কাজে পটু মেয়েটা এ ঘরের লক্ষ্মী। সবকিছু সে নিজহাতে পরম মমতায় সামলায়৷ আনামের সবকিছুর দেখাশোনা, ছেলের দেখাশোনা, শাশুড়ির যত্ন। সে ধর্মে-কর্মেও পিছিয়ে নেই৷ যদিও নিয়মিত পড়া হয়না কিন্তু নামাজ পড়ে সে৷

আনামের মা খবরটা শুনে বেশ খুশি হলেন,কিন্তু আনাম ভেবেছিল আম্মা না আবার কিছু মনে করে। কিন্তু দেখা গেল তিনি বেশ আনন্দিত খবরটা শুনে।

কয়েকদিন পরের কথা৷ ফারহানার মা-বাবা এসেছেন৷ ফারহানার স্কলারশিপ পাওয়া ও পড়তে দেশের বাইরে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই তাদের আসা৷ তারাও যখন উৎসাহ দিলেন তখন ফারহানা আস্তে আস্তে নরম হল। কিন্তু তার কথা হল শিহাবকে ফেলে সে কোথাও যাবেনা৷ সবাই তখন তাকে বোঝাল ১ বছরের মাত্র ব্যাপার, দেখতে দেখতে চলে যাবে৷ আর শিহাবতো এখন একটু বড় হয়েছে৷ দাদী আছেন, বাবা আছে, নানা-নানী আছে। শিহাবের কোনো সমস্যা হবেনা। ফারহানার ঢাকা ভার্সিটিতে পড়া ছোট বোনও তাকে বেশ উৎসাহ দিল৷
Hidden content
You need to reply to this thread or react to this post in order to see this content.
 

Users who are viewing this thread

Back
Top