খুব লুসমোশান হওয়ায় পচা গেছে ওষুধের দোকানে বলে ওষুধ আনতে। পচাঃ কার্ত্তিকদা, কোনও ট্যাবলেট দাও না, হেব্বী লুসমোশান হচ্ছে মাইরি। কার্ত্তিকদাঃ কত বার গেছিস? কতটাই বা পাতলা হচ্ছে? ঠিক করে বল, গন্ধটা কেমন? পচাঃ তা তো ১০/১২ বারের পর থেকে গুনতেও ভুলে গেছি। তবে যা পাতলা তাতে তুমি কুলকুছিও করতে পারবে, আর গন্ধর কথা বোলো না… তাহলে তুমি কুলকুচি তো দূর… এলাকা ছেড়েই পালাবে। (বর্তমানে কার্ত্তিকদা কোমায় আচ্ছন্ন আছেন)
রোগী – ডাক্তার বাবু, প্রেসক্রিপশনে একদম উপরে যে ওষুধটা লিখেছেন সেটা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। ডাঃ – আরে, ওটা ওষুধ নয়। পেন-এ কালি আসছিল না বলে চালিয়ে দেখছিলাম। রোগী – আর কোথাও চেক করতে পারলেন না, প্রেসক্রিপশনেই চেক করতে হল ? এরজন্য আমাকে 50টা ওষুধের দোকানে ঘুরে বেড়াতে হল ! একজন তো বলল, কালকে আনিয়ে দেবে। আর একজন বলল, এই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে, অন্য কোম্পানির দেব ? আর একজন বলল, এই ওষুধের এখন খুব ডিমান্ড। ব্ল্যাকেই পাওয়া যাবে। আর একজন তো আর এক কাঠি। বলেছে এটা তো ক্যানসারের ওষুধ, কার হয়েছে ?
এক ঘাড়ত্যাড়া লোক গেছে করোনা টেস্ট করাতে। ডাক্তার বললেন 3500/- টাকা লাগবে। এটা শুনে ভদ্রলোক ডাক্তারের মুখের ওপর হাচিঁ দিয়ে দৌড়ে পালালো। ভয় পেয়ে ডাক্তার নিজের করোনা টেস্ট করে নিলেন। এক সপ্তাহ পর ঐ লোক চেম্বারে ফোন করে জানতে চাইলো ডাক্তার কি কোয়ারেন্টাইনে নাকি ছুটিতে গেছেন? ডাক্তারের এসিস্ট্যান্ট জানালো ডাক্তার কোয়ারেন্টাইনে যাননি, চেম্বারেই আছেন, সুস্হ আছেন। ভদ্রলোক নিশ্চিন্ত হলো–যাক বাবা ডাক্তার নেগেটিভ মানে আমিও নেগেটিভ।
অ্যাপেণ্ডিসাইটিসের অপারেশান হবে রোগীকে অজ্ঞান করার তোড়জোড় চলছে । হঠাৎ অপরেশান টেবিল থেকে রোগী লাফিয়ে নেমে ছুটে পালাল । তাকে অনেক বুঝিয়ে কেবিনে ফিরিয়ে আনার পর বাড়ির লোক তার পলায়নের কারণ জানতে চাইল । তখন রোগী বললো, আসলে অজ্ঞান করার আগে শুনলাম কিনা নার্স বলছে, এটা খুব সোজা অপারেশন, মনে একটু জোর করুন । ঘাবড়াবার কোন কারণ নেই। বাড়ির লোক কিছটো অবাক হয়ে বলে, নার্সতো ঠিক কথাই বলেছে। রোগীকে অপারেশনের আগে এই ভাবেই তো সাহস দিতে হয়। রোগী : না, আসলে নার্স কথাটা আমাকে বলেনি। সে ডাক্তারকেই ওটা বলছিল।
ডাক্তার এবং সন্তানের সম্পর্কে উদ্বিগ্ন এক মায়ের কথা হচ্ছে। মা : ডাক্তারবাব ছেলেকে নিয়ে বড় চিন্তায় পড়েছি । সারাদিন আমার ছেলে বাড়িতে যত অ্যাসট্রে আছে তার ছাই ঢেলে ফেলতে থাকে । সারাদিনই ঐ কাজ করে । ডাক্তার : এতে চিন্তা করার কি আছে ? ঐ ছাই তো এক সময় ফেলতে হবেই। মা : ঠিকই বলেছেন । কিন্তু আমরা ছেলে ছাইগুলো বাইরে ফেলেনা । নিজের মুখের মধ্যে ঢেলে দেয় ।
বিবাহিত মহিলা : ডাক্তারবাবু, উনি কাল রাতেও ঘুমাতে পারেননি। সারাক্ষণ আমরা সঙ্গে বকবক করেছেন । ডাক্তার : আপনার স্বামীর কথা বলেছেন তো ? ঠিক আছে আমি ওষুধ লিখে দিচ্ছি। বিবাহিত মহিলা : ( প্রেসক্লিপসান হাতে নিয়ে ) ঠিক কখন এই ওষুধটা ওঁকে খাওয়াতে হবে ? ডাক্তার : ওঁকে নয়, আপনি খাবেন, শমতে যাবার আগে । তাতেই কাজ হবে ।
হরতালে নাশকতার অভিযোগে আটক এক কয়েদি দুদিন পর পর অসুস্থ হয়ে জেলের ডাক্তারের কাছে যায়। আবার যখন গেল, তখন তার পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানালেন, তার একটি কিডনি কেটে ফেলে দিতে হবে। শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল কয়েদি, ‘ডাক্তার, আমি প্রথমবার যখন আপনার কাছে আসি, আপনি টনসিল কেটে নিলেন। দ্বিতীয়বার কাটলেন অ্যাপেন্ডিক্স! আমি আপনার কাছে আসি অসুস্থ দেখিয়ে আপনি আমাকে জেল থেকে বের হতে সাহায্য করবেন বলে। তা তো করলেনই না, উল্টো এখন আবার একটা কিডনিও কেটে ফেলার কথা বলছেন?’ ‘আরে, এত রেগে যাচ্ছেন কেন? একবারে কী সব হয়? আমি তো একটু একটু করে আপনাকে জেল থেকে বের করে নিচ্ছি!’
সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ডে, এক রোগী বসে আছে তো আছেই। হাত দুটি দিয়ে বেডের রেলিঙ ধরে আছে। অনেক চেষ্টার পরও নার্সরা তাকে সরাতে পারলেন না। রাউন্ডের সময় ডাক্তার বললেন, ‘আপনি এভাবে বসে আছেন কেন?’ রোগী বললেন, ‘আমি তো ড্রাইভার! তাই গাড়িতে বসে আছি।’ ডাক্তার বললেন, ‘তাই নাকি? তাহলে গাড়ি চালান না কেন?’ রোগীর জবাব, ‘আরে পাগল, আপনি কোন দেশে আছেন? জানেন না, দেশে হরতাল চলতেছে। গাড়ি চালাইলেই আগুন!’