একবার চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। এটা শুনে আমার এক বন্ধু কৌতুকটা বলল। সেই থেকে মাথায় আছে। তবে বলার আগে চোখের ডাক্তারদের বলে রাখছি, তাঁদের ছোট বা হেয় করার জন্য এই কৌতুক না। এটি নিছকই কৌতুক। হয়েছে কী, একবার এক ভদ্রলোকের স্ত্রী চিত্কার করে জানতে চাইছে— ওগো শুনছ? তোমার না আজ চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা। গিয়েছিলে? ভদ্রলোক বললেন, গিয়েছিলাম তো। —ডাক্তার কী বলল? —দূর! ডাক্তারের নিজের চোখ আমার চেয়ে খারাপ। —সেকি, কেন? —আর বোলো না, দিনের বেলায় উনি টর্চ জ্বালিয়ে আমার চোখ দেখছিলেন! তুমিই বলো, আমার চেয়ে খারাপ না হলে ওনার টর্চ লাগে?
এক ভদ্রলোক গেছেন ডাক্তারের কাছে। ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার পর যথারীতি ফি দেওয়ার পালা। কিন্তু ভদ্রলোকের কাছে ক্যাশ নেই। আছে চেক। বাধ্য হয়ে চেক নিলেন ডাক্তার সাহেব। সপ্তাহ খানেক পরে ডাক্তারের সঙ্গে ভদ্রলোকের দেখা। ডাক্তার বললেন, ‘আপনি যে চেকটা দিয়ে এসেছিলেন, সেটা তো ব্যাংক থেকে ফেরত এসেছে।’ ভদ্রলোকের ত্বরিত জবাব, ‘আপনি কদিন আগে যে রোগের চিকিৎসা করলেন, সেটাও যে ফেরত এসেছে!’
জয়নাল সাহেব কানে কম শোনেন। হেয়ারিং এইড কিনতে তিনি গেলেন দোকানে। জয়নাল: ভাই, হেয়ারিং এইডের দাম কত? দোকানদার: পাঁচ টাকা দামের আছে, পাঁচ হাজার টাকা দামেরও আছে। জয়নাল: আমাকে পাঁচ টাকারটাই দেখান। দোকানদার জয়নালের কানে একটা প্লাস্টিকের খেলনা হেয়ারিং এইড গুঁজে দিলেন। জয়নাল আশ্চর্য হয়ে বললেন, এটার ভেতর তো কোনো যন্ত্রপাতিই নেই। এটা কাজ করে কীভাবে? দোকানদার: সত্যি বলতে, এটা কোনো কাজ করে না। তবে আপনার কানে এই জিনিস দেখলে লোকজন এমনিতেই আপনার সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে উঁচু গলায় কথা বলবে!
হাঁস শিকারে গেছেন তিন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বললেন, হুম্, দেখতে হাঁসের মতোই লাগছে, হাঁসের মতোই ডাকে, হাঁসের মতো ওড়ে। ওটা একটা হাঁসই হবে। তিনি গুলি ছুড়লেন, ততক্ষণে পাখিটা চলে গেছে অনেক দূর। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ তাঁর বইটা বের করলেন, হাঁসের ছবি দেখলেন। হাঁসের বৈশিষ্ট্যগুলোতে একবার চোখ বুলালেন। বললেন, হুম্। ওটা একটা হাঁস। গুলি ছুড়লেন। কিন্তু এবারও পাখি ততক্ষণে নাগালের বাইরে চলে গেছে। শল্যচিকিৎসক গুলি ছুড়লেন। ধপ করে নিচে পড়ল পাখিটা। চিকিৎসক বললেন, ‘কাছে গিয়ে দেখো তো, ওটা একটা হাঁস কি না!’
হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন এক রোগী। দরজার সামনে তার পথ রোধ করলেন হাসপাতালের দারোয়ান। দারোয়ান: কী হলো? কোথায় যাচ্ছেন? রোগী: আর বলবেন না! নার্স বলছিল, ‘ভয় পাবেন না। এটা খুবই সাধারণ একটা অপারেশন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ে যাবে।’ দারোয়ান: হ্যাঁ, সে তো ভালো কথাই বলেছে। নার্স আপনাকে সাহস দিচ্ছিল। রোগী: আরে বুদ্ধু, সে আমার সঙ্গে নয়, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিল!
ডাক্তারের কাছে গিয়ে শফিক দেখল, চেম্বারের দরজায় বড় করে লেখা আছে, ‘প্রথমবার ৫০০ টাকা, এরপর ৩০০ টাকা।’ ২০০ টাকা বাঁচাতে সে মনে মনে একটা বুদ্ধি আঁটল। ডাক্তারের রুমে ঢুকেই বলল, ‘ডাক্তার সাহেব, আবার এলাম। আমার অসুখ তো ভালো হলো না।’ ডাক্তার ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন। তারপর বললেন, ‘আগে যে ওষুধগুলো দিয়েছিলাম, সেগুলোই চলবে। এবার ঝটপট ৩০০ টাকা দিন।’
চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর রোগী বলছে ডাক্তারকে। রোগী: আপনি আমার যে উপকার করলেন, ফি দিয়ে আমি আপনাকে লজ্জিত করতে চাই না। কিন্তু সম্পত্তির উইলে আমি আপনার জন্য যা রেখে যাচ্ছি, আমার মৃত্যুর পর আপনি নিশ্চয়ই হেসেখেলে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারবেন। ডাক্তার: মাফ করবেন, আপনার প্রেসক্রিপশনটা একটু দেবেন? ওখানে আমি কিছু পরিবর্তন আনতে চাই!
ডা. হরিপদ একজন দাঁতের চিকিৎসক। এক সন্ধ্যায় দেখা গেল চেম্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে আনন্দে লাফাচ্ছেন তিনি। ছুটে এল হরিপদের ব্যক্তিগত সহকারী, ‘স্যার, কোনো সমস্যা?’ হরিপদ: সমস্যা হলে কি আমি আনন্দে নাচি বেকুব? সহকারী: সেটাই তো বলছি স্যার, ভেতরে রোগী বসিয়ে রেখে আপনি বাইরে দাঁড়িয়ে নাচানাচি করছেন কেন? হরিপদ: ভেতরে যে রোগী বসে আছে, সে কে জানো? সহকারী: না তো! কে স্যার? হরিপদ: একজন পুলিশ সার্জেন্ট, যে গতকাল দ্রুত গাড়ি চালানোর অপরাধে আমার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে। আজকে তাকে পেয়েছি!