দাঁত কিড়মিড় করতে করতে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলেন হরিপদ। চিৎকার করে বললেন, ‘কোথায়? ওই হতচ্ছাড়া চোরটা কোথায়? ডাকুন ওকে।’ চোখ কপালে তুলে বললেন ডাক্তার, ‘কিসের চোর? কোন চোর?’ হরিপদ বললেন, ‘আমার এত সুন্দর বিদেশি হ্যাট চুরি হয়ে গেল, আর আপনি বলছেন কিসের চোর?’ ডাক্তার: কী করে বুঝলেন, আমার এখানেই চুরি হয়েছে? হরিপদ: আপনার কর্মচারীদের মধ্যে কেউ আমার হ্যাটটা বদলে দিয়েছে। এটা কিছুতেই আমার হ্যাট হতে পারে না। এটা দেখতে অত্যন্ত কুৎসিত এবং নকশাটাও জঘন্য। ডাক্তার: হুম। তার মানে আপনার চোখের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমার খুব দ্রুত রাগ উঠে যায়। কিছুতেই সহজে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ডাক্তার: কবে থেকে আপনার এই সমস্যা? রোগী: কবে থেকে, সেটা আপনাকে বলতে হবে? আপনি ডাক্তার হয়েছেন, এই সহজ ব্যাপারটা বোঝেন না? বলি, কী ছাইপাঁশ পড়ে ডাক্তার হয়েছেন…?!
পল্টু গেছে এক পরামর্শকের কাছে। পল্টু: স্যার, পড়তে বসলেই আমার শুধু ঘুম আসে। পরামর্শক: তোমাকে ধ্যান করতে হবে। শোনো, পড়ার আগে আসন গেড়ে বসবে। চোখ বন্ধ করবে। কল্পনা করবে, তুমি একটা সবুজ মাঠে দাঁড়িয়ে আছ। মাঠের শেষে একটা বাড়ি। তোমার মনের বাড়ি। মনের বাড়িতে প্রবেশ করবে। দেখবে সুন্দর ঝরনা। নিজের ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াবে। দেখবে, একদম ঝরঝরে লাগছে। ঘুম দূর হয়ে যাবে… পল্টু: ধুত্তোরি! আপনার কাছে আসাই ভুল হয়েছে। এত কিছু না করে আধঘণ্টা ঘুমিয়ে নিলেই হয়!
রোগী: ডাক্তার সাহেব, দীর্ঘ জীবন পাওয়া যাবে—এমন কোনো ওষুধ আছে? ডাক্তার: আছে, বিয়ে করে ফেলুন। রোগী: বিয়ে করলে দীর্ঘজীবী হব? ডাক্তার: না, তবে আপনার দীর্ঘজীবী হওয়ার ইচ্ছা মরে যাবে!