গ্রীষ্মের ছুটিতে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন এক বিদেশি। তাঁর গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ঝন্টু। বিদেশি: তোমাদের এলাকাটা ভালোই। তবে আশপাশে মানুষ যা দেখছি, সবাই গাধা প্রকৃতির। ঝন্টু: সমস্যা নেই। ছুটি ফুরালেই গাধাগুলো সব ফিরে যাবে!
ছুটিতে ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন এক আমেরিকান। ঢাকার ট্যাক্সিতে উঠে তিনি খুবই বিরক্ত। আমেরিকান: আপনাদের এখানে ট্যাক্সি এত ধীরগতিতে চলে! রাস্তাগুলোও ভীষণ খারাপ। আমাদের ওখানে সাঁই সাঁই করে ট্যাক্সি চলে। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর মিটার দেখে আমেরিকানের চক্ষু চড়কগাছ! বললেন, ‘সে কি! মিটারে এত টাকা উঠল কী করে?’ ট্যাক্সি ড্রাইভার: আমার কী দোষ, স্যার? রাস্তা আমার দেশের হলে কী হবে, মিটার তো আপনার দেশের!
গাইড নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সামনে এসে পর্যটকদের বলছে, ‘এটা হলো নায়াগ্রা জলপ্রপাত, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী জলপ্রপাত। প্রতিদিন অসংখ্য লোক আসে এই জলপ্রপাত দেখতে। আর এর আওয়াজ ২০ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়।’ এই বলে গাইড একটু থেমে বলল, ‘এবার আমি আমাদের নারী পর্যটকদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা একটু নীরবতা পালন করুন, যেন আমরা এর শব্দ শুনতে পাই।’
মফস্বল শহরে বেড়াতে এসে একজন ট্যুরিষ্ট একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকল। ঢুকে সে দুটো সিদ্ধ ডিম আর চায়ের অর্ডার দিল। খাওয়া শেষে তাকে বলা হল বিল পঁচিশ টাকা। ট্যুরিষ্ট বলল, এত দাম ডিমের? তোমাদের এখানে কি ডিম পাওয়া যায় না? ওয়েটার বলল, ডিম পাওয়া যায়, কিন্তু ট্যুরিষ্ট পাওয়া যায় না।
গুলিস্তানের মোড়ে এক বিদেশী মদটদ খেয়ে টলতে- টলতে হাঁটছিল। একটা খালি বেবিট্যাক্সি পেয়ে উঠে চালককে বলল, গুলিস্তান চল। চালক হেসে বলল, রাস্তার ওপাশেই গুলিস্তান, বেবি লাগবে না-আপনি রাস্তা পার হয়ে চলে যান। আমেরিকান নাছোড়বান্দা। তাকে গুলিস্তান নিয়ে যেতেই হবে। অগত্যা চালক তার বেবিট্যাক্সি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে বলল, এটাই গুলিস্তান। আমেরিকান একটা বিশ টাকার নোট চালককে দিয়ে বলল, এত দ্রুত গাড়ি চালাবে না, অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে।
এক পর্যটক গেছে আফ্রিকায়। গাইডের সঙ্গে তার কথোপকথন। পর্যটকঃ বন-জঙ্গলে মানুষখেকো নেই তো? -না, নেই। এ নিয়ে একদম ভাববেন না। -একটা মানুষখেকোও নেই? -না, নেই। আমি নিশ্চিত হয়ে বলছি। শেষ মানুষখেকোটা আমরা গত সোমবার খেয়ে ফেলেছি।