আম চুরি করতে একটি ছেলে গাছে উঠেছে। গাছের মালিক হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলল। ‘ওই বদমাশ, আমার আমগাছে কী করছিস?’ ‘ইয়ে··· আঙ্কেল··· মানে কয়েকটি আম মাটিতে পড়েছিল, ওগুলো গাছে তুলে রাখছি।’
সীমান্ত এলাকায় এক লোক প্রায়ই সাইকেলে চেপে পিঠে দুটি বস্তা নিয়ে সীমান্ত পার হয়। সেনারা প্রতিদিন লোকটিকে থামিয়ে বস্তা দুটি খুলে তল্লাশি করে। সব সময়ই দেখা যায়, বস্তায় শুধু বালু। লোকটিও অসংখ্যবার বালু আনা-নেওয়া করল এভাবে সাইকেলে চড়ে। অবশেষে একদিন তাকে আর দেখা গেল না। বহু দিন পর সীমান্তের এক সেনা ছুটি কাটাতে শহরে এসে দেখে, ওই লোকটি সামনে দিয়ে যাচ্ছে। সেনাটি বলল, ‘এই যে, আপনি! আমরা নিশ্চিত ছিলাম, আপনি কিছু চোরাচালান করছেন। কিন্তু কখনো বালু ছাড়া কিছুই তো আমরা পাইনি! বলুন তো, আসলে আপনি কী চোরাচালান করতেন?’ লোকটা বলল, ‘সাইকেল।’
বাজারে ভাল দাম না পাওয়ায় বলদ বিক্রি না করেই কৃষক তার বলদটাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছে । এদিকে বলদ বিক্রিও টাকা ছিনতাই করতে পথে ঘাপটি মেরেও বসেছিল এক ছিনতাইকারী । ছিনতাইকারীঃ কী ব্যাপার, বলদ বিক্রি না করেই ওটাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলে যে ? কৃষকঃ ভাল দাম ওঠেনি তাই । ছিনতাইকারীঃ কম দামেও তো বিক্রি করতে পারতি , লোকসান কি তোর হতো, নাকি আমার?
কর্ডলেস টেলিফোনে ক্রিং ক্রিং। রিসিভার ওঠাল এক শিশু। তারপর ফিসফিস করে বলল, হ্যালো। –হ্যালো, তোমার বাবা বাড়ি আছে? –আছে, কিন্তু সে ব্যস্ত।-ফিসফিস করে বলল শিশুটি। –মা আছে? –হ্যাঁ, মা আছে। কিন্তু মাও ব্যস্ত।-আবার ফিসফিসে কণ্ঠ। –তাহলে কার সঙ্গে কথা বলব? বাড়িতে আর কেউ আছে? –আছে। পুলিশ কাকুরা আছে, দমকল কাকুরা আছে। –তাহলে অন্তত তাদের কাউকে দাও। খুব জরুরি কথা আছে। –তাদেরও ডাকা যাবে না। তারাও খুব ব্যস্ত। –হায় ঈশ্বর! কী নিয়ে তারা এত ব্যস্ত? –আমি লুকিয়ে আছি। সবাই আমাকে খুঁজছে।
ট্রাফিক পুলিশরা ভুলেই গেছেন যে ঈদ গত হয়ে গেছে। তাঁরা নিয়মমাফিক সকালেই তাঁদের নির্ধারিত স্থানে ডিউটি করতে থাকেন। অফিস টাইম হয়ে গেলেও রাস্তায় জ্যাম না লাগার কারণে তাঁদের একজন অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়েন। অবশেষে কিছু উপরি লাভের আশায় তিনি একটি গাড়ি দাঁড় করালে ড্রাইভার নেমে এসে কোলাকুলি শুরু করে। হতবিহ্বল ট্রাফিক এভাবে যে গাড়িই থামান না কেন, সবাই কোলাকুলির জন্য দৌড়ে আসে। ড্রাইভারদের হঠাৎ এহেন বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে অনেকে ট্রাফিক পুলিশই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ব্যাঙ্ক ডাকাতি করে ডাকাত-দল চলে যাচ্ছে। এক ডাকাত বলল, যাওয়ার আগে টাকাটা একবার গুনে নিলে হত না, ওস্তাদ? সর্দার বলল, গোনার দরকার নেই। কাল পত্রিকা দেখলেই হবে।
এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে- লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও। চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।
পত্রিকায় ছাপা হয়েছে একটি চাকরির বিজ্ঞাপন: এই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে একজন জ্যোতিষী নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোথায়, কখন, কার সঙ্গে দেখা করতে হবে, তা নিশ্চয় তাঁর জানা আছে!
দুয়ারে নতুন বছর। ভাগ্যের হালচালটা জেনে নিতে হাবলু হানা দিল এক জ্যোতিষবাবার আস্তানায়। বলল, ‘বাবা, কদিন হলো ডান হাতটা খুব চুলকাচ্ছে। কিসের লক্ষণ বলুন তো?’ জ্যোতিষবাবা: হুম্! তোর ওপর মঙ্গলের প্রভাব রয়েছে। আসছে বছর তোর হাতে প্রচুর টাকা আসবে। হাবলু: বাবা, আমার বাঁ হাতের তালুও চুলকায়। জ্যোতিষবাবা: বলিস কী? তোর তো বিদেশযাত্রা শুভ! হাবলু: (খুশিতে গদগদ হয়ে) বাবা, আমার ডান পা’টাও কিন্তু একটু একটু চুলকাচ্ছে। জ্যোতিষবাবা: দূর ব্যাটা, তোর চুলকানি আছে। ডাক্তার দেখা।